নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্য হতে গ্রাম কি হারিয়ে যাচ্ছে?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০


সাহিত্যে গ্রাম বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদও গ্রামীণ পটভূমিতে তেমন সাহিত্য রচনা করেননি। যা করেছেন তা ফ্যান্টাসী ধরনের। অথচ বাংলাসাহিত্যের প্রধান উপন্যাসগুলো গ্রামকে উপজীব্য করেই রচিত হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘পথেরপাঁচালী’ বাংলা উপন্যাসের মধ্যে সেরা। এর সূচনা এবং সিংহভাগ গ্রামকে নিয়েই লেখা। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘পথেরপাচালী’ আরো আকর্ষণীয় হয়েছে, উপন্যাসের শহুরে অংশটুকু বাদ দেয়ার কারণেই। বাংলা সাহিত্যের আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ এর প্রথম পর্বের অধিকাংশই গ্রামীণ। এর আকর্ষণও এখানেই। লেখক এর দ্বিতীয় পর্ব লিখেন নায়িকা দিপাবলীর শহুরের জীবনকে আশ্রয় করে। সেটা আগের মতো আকর্ষণীয় থাকেনি। সমরেশের লেখার মূল উপজীব্য শিলিগুড়ির পাহাড়ি এলাকা। তিনি যখনই এর বাইরে এসেছেন, আর আকর্ষণটা থাকেনি। বুদ্ধদেব গুহ বনজঙ্গলের বাইরে গিয়ে সুবিধা করতে পারেন নি। তার বনের রাজা পৃথু ঘোষ। ইমদাদুর হক মিলন এর সবচেয়ে ভাল কাজ অবশ্যই ‘নুরজাহান’। এজন্য আনন্দ পুরষ্কার পেয়েছেন। এটি গ্রামীণ কাহিনী নিয়ে লেখা। তাঁর আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস ‘অধিবাস’ও বিক্রমপুর নিয়ে লেখা। মিলনের অধিকাংশ চেষ্টাই শহরকে নিয়ে। কখনো কখনো এতে হালকা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিন্তু পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাননি। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাস। এর উপজীব্য গ্রামীণ জেলে পাড়া এবং জেলে জীবন। তার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’র অধিকাংশই গ্রামীন পটভূমিতে লেখা। তারাশঙ্করের কবিও গ্রামীণ কবিয়ালকে নিয়ে লেখা। সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর ‘লাল সালু’ উপন্যাসে গ্রামের মানুষেরা ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা কিভাবে প্রতারিত হন তা নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। শহীদুল জহিরের ‘সেরাতে পূর্ণিমা ছিল’ অবশ্য একটি অসাধারণ উপন্যাস। এরপরেও একটি ‘পথেরপাঁচালী’, একটি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ একটি ‘লাল সালু’ আমরা পাচ্ছি না বর্তমান সময়ে।

উপন্যাস হতে গ্রাম হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদ চাকচিক্য পছন্দ করে। গ্রামে আর গরীবের ঘরে চাকচিক্য থাকে না। চলচ্চিত্র এবং নাটকে পুঁজিবাদ এমনই হানা দিয়েছে যে, সেখানে শহরের গরীবের ঘরেও লক্ষ লক্ষ টাকা দামের আসবাবপত্র থাকে, গায়ে থাকে দামী পোষাক, অলঙ্কার। ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর দিকে তাকালে চোখ ঝলসে যায় রূপ-লাবণ্যে-আভিজাত্যে। লেখক প্রকাশকরাও বুঝে যাচ্ছেন, গ্রাম নিয়ে লিখলে সেখানে গ্লামার থাকে না, এর পাঠকও থাকে না। এটা হচ্ছে ভাল উপন্যাসিকের অভাবের কারণেই। আমরা তীব্রভাবেই অভাব বোধ করছি বিভূতিভূষণ, ওয়ালীউল্লাহ আর মানিক বন্দোপাধ্যায়দের। বতর্মান লেখকরাও শহরেই থাকেন। গ্রামকে নিয়ে লিখতে গেলে, গ্রামকে তো হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে। সেই বুঝার সময়টাই বা কোথায়? টিভি নাটকে গ্রাম মাঝে মধ্যে থাকে। তবে সেটা ফ্যান্টাসী বা রম্য। এখন টিভি নাটকে রম্য রচনার পটভূমি হচ্ছে গ্রাম। অথচ গ্রামের মানুষের সমস্যা, অভাব-অনটন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠে আসে না। গ্রামের দরিদ্র নারী অহরহই সম্ভ্রম হারাচ্ছে, দরিদ্র মানুষ জমি হারাচ্ছ এসব উঠে আসে না। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই সহজ, সরল, বোকা এবং অশীল। তাদের ভাষা ভদ্রচিত নয়, জীবন যাপনও নয়। গ্রাম্য টাউটরা ভয়ংকর। শহরের নামী দামী রাজনৈতিক নেতারা এদের পোষেন। তারা ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে থাকেন। কিন্তু শিক্ষিত মানুষরা এসব টের পান না, সাহিত্যে এরা নেই বলেই।

ড. হুমায়ূন আজাদ উপন্যাসিক হলেও তিনি সাহিত্য সমালোচকও ছিলেন। তার রচনাও শৈশব নির্ভর। স্মৃতিচারণমূলক একটি অসাধারণ গদ্য ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ তিনি লিখেছেন শৈশবে দেখা বিক্রমপুর নিয়ে। কিন্তু তিনি যখনই উপন্যাস লিখলেন, ছেড়ে গেলেন গ্রামকেই। গ্রামের দুর্বিসহ চিত্র কেউ ফুটিয়ে তুলতে চান না। শহরের চকচকে গল্প সহজেই ফেদে ফেলা যায়। হুমায়ুন আজাদ এ বিষয়ে বলেছেন, গ্রামকে নিয়ে শ্রেষ্ঠ উপন্যাসটি বিভূতিভূষণ লিখে ফেলেছেন, তাই আর এ নিয়ে উপন্যাস লিখতে চাই না। যতটুকু লিখেছেন সেখানে আর সমস্যাসংকুল পুর্ণাঙ্গ গ্রাম থাকেনি। হয়তো কোথাও কোথাও ছাপ ছিল গ্রামের। সৈয়দ শামসুল হক, শওকত আলী কিছুটা যে লিখেন নি তা নয় তবে তারা গ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেন নি শরৎচন্দ্রের মতোও। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছিলেন, গ্রাম এখনো শিক্ষিত মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি। এই সত্যটা সব লেখকরাও বুঝেন। তারা গ্রামে নিজেরাও ঢুকতে চান না আবার গ্রামকে তাদের সাহিত্যেও ঢুকাতে চান না। এ জন্যই সৈয়দ হকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘খেলারাম খেলে যা’ এবং শওকত আলীর ‘উত্তরের খেপ’ গ্রামের সমস্যার উপন্যাস নয়; শহরের যান্ত্রিক উপন্যাস। শওকত আলীর ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ মূলত ইতিহাস কেন্দ্রিক। জাকির তালুকদার লিখেছেন কিছু- মুসলমানমঙ্গল গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা। তাঁর সেরা উপন্যাস ‘পিতৃগণ’ ইতিহাস কেন্দ্রিক।

আমাদের গ্রাম এখন চরমভাবেই অবহেলিত। শুধু সাহিত্যে নয়, বাস্তবেও। বড় ব্যবসায়ী, বড় চাকুরীজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার গ্রামে শুধু থাকেন না, তা নয়, গ্রামের সাথে সম্পর্কও রাখতে চান না। প্রধান রাজনীতিবীদদের অনেকে অবশ্য শুধু নিজ নির্বাচনী এলাকার সাথে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হতেন, যতদিন ভোটের রাজনীতি ছিল। সেটাও গভীরভাবে নয়। গ্রামের টাউট শ্রেণী ও প্রভাবশালীদের সাথেই সম্পর্ক রাখেন। সাধারণ মানুষের ধারে কাছেও ঘেষেন না। এর একটা কারণ আছে। গ্রামের অশীল মানুষের সাথে তারা সম্পর্ক রাখতে চান না। দরিদ্র আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থাকতে চান। গ্রামের এতো অভাব-অভিযোগের মধ্যে কখন কে হাত পেতে বসেন- টাকার জন্য, চাকুরির জন্য, তদবিরের জন্য। আর এখনতো এমপি-মন্ত্রীদের গ্রামের সাথে একদম সম্পর্ক না রাখলেও চলে। আমাদের এমপি সাহেব এই করোনাকালে একদিনের জন্যও দেশেই আসেননি। সাহিত্যিকরা কেন দূরে সরে গেলেন তা বোধগম্য নয়। শুধু বাংলা সাহিত্যেই যে এই সমস্যা তা নয়, বিশ্ব সাহিত্যও শহর নির্ভর হয়ে উঠেছে। জীবন সংকট ও টানাপোড়েন; যা আকর্ষণীয় তা কি শুধু শহরেই রয়েছে। গ্রামের মানুষ শুধু অশীল নয়; অশিক্ষিত, দরিদ্র, কুৎসিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন। গ্রামে শহরের মতো একজন সুন্দরীকে নায়িকা হিসাবে পাওয়া সহজ নয় আবার একজন সুগঠিত নায়কও গ্রামে থাকে না। ফলে লেখকদের রসায়ন মেলানো সহজ হয়ে উঠে না। তাদের ডায়ালগও আকর্ষণীয় হয় না। তাহলে বাংলা সাহিত্যের প্রধান ক্লাসিক পাঁচটি উপন্যাস কিভাবে গ্রাম নির্ভর হল। আসল সমস্যা হল, গ্রামকে নিয়ে একটি উপন্যাস লেখা সহজ নয়।

সাহিত্যের একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। এখন অনেকেই ইতিহাস নির্ভর সাহিত্য লিখে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। হুমায়ূন আহমেদের আকর্ষণীয় উপন্যাস- জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প’, ‘বাদশাহ নামদার’, ‘মধ্যাহ্ন’ কিংবা ‘দেয়াল’ ইতিহাস নির্ভর। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়তো ঢাউস ঢাউস উপন্যাস লিখছেন কিংবদন্তী চরিত্র নিয়ে। ভারত কেন্দ্রীক প্রধান দুটি উপন্যাস অরুন্ধতী রায়ের ‘গড অফ স্মল থিকস’ কিংবা সালমান রুশদীর ‘দি মিড নাইট চিলড্রেন’ পূর্ববর্তী সময়ের উপন্যাস। উইলবার স্মীথতো চার হাজার বছর আগের গল্প নিয়ে লিখেছেন, ‘রিভার গড’ উপন্যাস এবং ইজিপশিয়ান সিরিজ। আলেক্স হ্যালীর ‘রুটস’ আমেরিকায় দাস প্রথার শুরুর অবস'া নিয়ে লেখা। ‘আংকেল টমস কেবিন’ একই ধরনের উপন্যাস। আলবেয়ার কাম্যুর ‘প্লেগ’ও তাই। এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাস ইতিহাস নির্ভর। এই ধারা এবং সাম্প্রতিক শহর নিয়েই লেখা উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। দ্য দা ভিঞ্চি কোড এখন পৃথিবীর জনপ্রিয়তম উপন্যাস। এর বাইরে ফ্যান্টাসী এবং সায়েন্স ফিকশন ধর্মীও প্রচুর উপন্যাস লেখা হচ্ছে। শুধু উপন্যাস থেকে গ্রামই হারিয়ে যাচ্ছে। এটা হয়তো জনপ্রিয়তার চিন্তা করেও হয়েছে। গ্রাম নিয়ে লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও হয়তো লেখা হচ্ছে না।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ৬৮ হাজার গ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ । বেশীর ভাগ মানূষই গ্রামে বাস করে। সাহিত্যে তাদের জীবনকাল না থাকলে সাহিত্যই কিসের।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: একদা উপন্যাসগুলো ছিল গ্রাম কেন্দ্রিক, এখনতো সেরকম দেখি না। লেখকগণ শহরকে নিয়েই লিখতে পছন্দ করছেন।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন কোন লেখক গ্রামে থাকে না।গ্রাম নিয়ে লিখলে তার লেখা আগের মতো হবে না।গ্রামও আগের মতো নেই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৩

মুজিব রহমান বলেছেন: গ্রাম উন্নত হয়েছে কিন্তু গ্রামের মূল শক্তি হল মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক। শহরে কে কাকে চিনে? নিচ তলার মানুষ চিনে না উপর তলার মানুষকে। গ্রামে মানুষের বন্ধনটাই আসল।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্রামকে নিয়ে লেখা সহজ না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: গ্রামকে গভীরভাবে উপলব্ধি না করতে পারলে লেখা সম্ভবও না।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের লেখকেরা শহরের। তারা নিজেরাই ঠিক করে গ্রাম দেখেনি।

বিভূতিভূষন একাই এক শ'। তার লেখা মানেই গ্রাম। বৃষ্টি। মেঘ। কাশফুল। দারিদ্রতা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: বিভূতিভূষণ অবশ্যই সেরা।
তাঁর অপুর সংসারসহ কিছু লেখা আছে শহরকেন্দ্রিক।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: লেখা লেখি একটা অভিজ্ঞতা, আপনাকে সেই অভিজ্ঞতা নিতে হয়, এখন লেখকেরা সেই অভিজ্ঞতা নিতে পারে না। শহুরে থেকে গ্রাম উল্পব্ধি কিছুটা কঠিন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
মানিক ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ লিখতে গিয়ে জেলে পাড়ায় থেকেছেন। গভীর উপলীব্ধ ছাড়া লেখা অসম্ভব।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই চিন্তাশীল একটা বিষয়ে লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে স্যার।

সাহিত্য থেকে গ্রাম চলে যাওয়ার একটা প্রধান কারণ হতে পারে আমাদের জীবন থেকেই গ্রাম চলে যাওয়া। শহরমূখী মানুষের চিন্তায় এখন গ্রাম একটা পশ্চাদপদ বিষয়, তাকে রোমন্থন করা যায়, কিন্তু বাস্তবে আনা যায়না, ভেবে আকুল হওয়া যায় কিন্তু লেখা যায় না....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেক কালজয়ী লেখককেই দেখেছি- লেখার জন্য কি পরিশ্রমেই না করেছেন। যে বিষয়ে লিখেছেন তা নিয়ে প্রচুর পড়েছেন, নিজে সশরিরে উপস্থিত থেকেছেন। অনেকে নিজের অভিজ্ঞতাটাই তুলে এনেছেন।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

অপু তানভীর বলেছেন: কালে কালে আরও গ্রাম হারিয়ে যাবে ।

যারা গ্রাম কেন্দ্রীক সাহিত্য রচনা করেছেন একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবাই গ্রামকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন । সেই গ্রামীন জীবনের ভেতরে জীবন যাপন করেছেন । এই জন্যই সম্ভবত তারা গ্রাম নিয়ে এতো চমৎকার ভাবে লিখতে পেরেছেন, লেখার আগ্রহ পেয়েছেন । কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের সাহিত্য যারা রচনা করেন, অন্তত পরিচিত মুখ গুলো যদি আমরা দেখি (হুমায়ুন আহমেদ পরবর্তি যুগ) তাহলে দেখা যাবে ঐভাবে গ্রামকে কাছ থেকে দেখার লেখক খুব কমই আছে। তাদের বেড়ে ওঠা শহর কিংবা মফস্বল কেন্দ্রীক । ঐ গ্রামের আবহাওয়াতে তারা কোন দিন ছিলই না । তারা গ্রাম সম্পর্কে যা জেনেছে সবই বই পড়ে ।

আস্তে আস্তে আরও কমে যাবে ....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। সে লক্ষণই স্পষ্ট হয়েছে।
গভীরভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে গভীর লেখা সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.