নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান নিয়ে এসেছে জোড়া বাছুর জন্মপ্রযুক্তি!!

২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০


বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট জোড়া গরু উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছে। তারা জোড়া বাছুর জন্মানোর প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।সাধারণত গাভি বছরে একটি বাছুরের জন্ম দেয়। এখন দুটি ভ্রূণ স্থাপন প্রযুক্তির (ইনভারট্রো অ্যামব্রায়ো প্রডাকশন) মাধ্যমে একটি গাভির গর্ভে থেকে একসাথে দুটি বাছুর জন্ম নিবে। এতে গরু উৎপাদন ডাবল হয়ে যাবে। দুই বছর আগে আইভিপি প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি গাভি থেকে দুটি বাছুর জন্মানোতে সফল হন গবেষকরা। এরপর গতবছর আরও একটি গাভি থেকে জোড়া বাছুরের জন্ম দেওয়া হয়।

এ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ব্যবহারের জন্য দাতা গাভি থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ এবং ভ্রুণ ক্রায়োপ্রিজারভেশন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয়। এজন্য প্রয়োজন হবে কোনো দুধেল গাই বা উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের গাভি। প্রথমে ওই গাভি থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। সেই ডিম্বাণু ল্যাবে পরিপক্ব, নিষিক্তকরণ এবং কালচার শেষে তা ভ্রূণে পরিণত করতে হয়। সাতদিন ল্যাবে থাকার পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল বা দুধ কম দেয় এমন গাভির জরায়ুতে তা স্থাপন করা হয়। দুটি করে ভ্রূণ ধাত্রী গাভীতে সংস্থাপন করা হয়। এরপর ওই গাভীটি গর্ভধারণ করলেই দুটি করে বাচ্চা বাড়তে থাকবে। কম-বেশি ১০ মাসের মধ্যে সেই গাভি থেকে দুটি বাছুর জন্ম নিবে। একটি সুস্থ ও ভালো মানের গাভীর ডিম্বাণু দিয়ে অনেকগুলো গাভীর গর্ভধারণ করানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে আইভিপি প্রযুক্তিতে জন্মানো বাছুরগুলো বর্তমানে পরিণত বয়সে পৌঁছেছে। এদের এখন বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় চলে এসেছে। এদের মধ্যে ভ্রূণ স্থাপন করে জোড়া বাচ্চা জন্ম দেওয়ানো হবে। এগুলো সম্পূর্ণ সফল হলে গাভীর একটির পরিবর্তে দুটি করে বাচ্চা উৎপাদন হবে। উন্নত দেশগুলো এই প্রযুক্তি আরো আগে থেকেই ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে। এই প্রযুক্তিতে অনেক দেশের গাভীই দুটি করে বাচ্চা দিচ্ছে। বিশালাকার ফার্মগুলোও ভরে উঠছে ডাবল বাছুরে। এই প্রযুক্তির জন্য বাড়তি ব্যয় রয়েছে। ডিম্বানু সংগ্রহ করে ল্যাবে পরিপক্ক, নিষিক্তকরণ ও কালচার করে তা আরেক গাভীর জড়ায়ুতে স্থাপন করতে যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত লোকবল প্রয়োজন হবে।

এই প্রযুক্তি মানুষের জন্যও চালু করা যায়। এখন উন্নত বিশ্বে নারীরা সিঙ্গেল মাদার হচ্ছে। তারা শুক্রাণূ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করছে শুক্রাণু। তা নিজেদের গর্ভাশয়ে নিষিক্ত করিয়ে মা হচ্ছে। এই শুক্রাণু বিক্রেতার বৈশিষ্ট জানানো হলেও ওই নারী জানতে পারে না- শুক্রাণূ বিক্রেতার নাম ঠিকানা। বিক্রেতাও জানে না ক্রেতার তথ্য। ফলে সিঙ্গেল মা চাহিদা মোতাবেক স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী সন্তান জন্ম দিচ্ছে। তবে আইভিপি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই নারী একাধিক সন্তানের মা হতে চাইলে একসাথেই দুটি/তিনটি সন্তানের মা হতে পারবেন। যদিও এই প্রযুক্তি মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগের তথ্য পাওয়া যায়নি। নারীরা এর চেয়ে নিজেকেই নিজের গর্ভে জন্ম দেয়ার ক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। অনেক আগেই এই প্রযুক্তিতে ডলি নামের ভেড়া জন্ম নিয়েছে। ডলিরও বাচ্চা হয়েছে। হরিণ ও ইঁদুরের উপরও এই প্রযুক্তি সফল হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রগুলো আটকে দিয়েছে মানুষের ক্ষেত্রে। বলা হচ্ছে- এটা ধর্মীয়ভাবে অনৈতিক। এতে যেসকল দম্পতির সন্তান হয় না তারা এ প্রযুক্তিতে সন্তান নিতে পারতো। তা হতো স্ত্রী বা স্বামীর মতো। হয়তো কোনদিন এ সকল প্রযুক্তি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মা গরুর সন্মতি নেয়া হয়েছে? ২টা বাচ্চা বহন করা কি সোজা ব্যাপার?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: হত্যার চেয়েও বেশি কঠিন?
কোরবাণীর সময় কি অনুমতি নেন হত্যা করার?
কসাইকে কি জিজ্ঞাসা করেন, অনুমতি নেয়া হয়েছে কি?

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২

এইচ তালুকদার বলেছেন: স্ট্যাটিস্টা ডট কম এর মতে বাংলাদেশের মানুষের বাৎসরিক বিফ কনজাম্পসন মাত্র .৮৩ কেজী।
এই পদ্ধতি একেবারে তৃনমূল কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের জন্যই ভালো

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২০

মুজিব রহমান বলেছেন: গরুর মাংসের দাম বহুদিন থেকেই দরিদ্র মানুষের হাতের বাইরে। ব্রাহমা জাতের গরু হোক কিংবা অন্যকোন ভাবে হোক সরবরাহ বাড়ানো দরকার।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিজ্ঞানের যতবেশি নতুন নতুন আবিস্কার নিয়ে আসবে,ধর্মগুলোর অসারতা ততবেশী প্রমান হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
বিশ্বজুড়েই সেটা হয়েছে।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:২৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আচ্ছা বিজ্ঞানীরা কি বলতে পারবেন ছাগল কেন দুইটা তিনটা বাচ্চা দেয়, গরু কেন একটা দেয়, কুকুর দশটা বাচ্চা দেয় কেন? এবং কুকুরের স্তন ও দশটা হয় কেন?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: বিবর্তন কোন হিসাব মেনে হয় না। জীবন সংগ্রামটা হয় হিসাব মেনে। যদি কুকুরের ১০টা করে বাচ্চা হতো আর বাট থাকতো দুটো তাহলে বাচ্চারা জীবন সংগ্রামে হারিয়ে যেতো। তবে প্রকৃতিতে সংকট আছেই। ছাগলের বাট দুটি কিন্তু অনেক সময় বাচ্চা হয় তিনটি।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ছি ছি ছি ।
আল্লাহ সোবাহানা উ তায়ালা নারাজ হবেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞান প্রকৃতিকে মানুষের অনুকূলে আনায় নিরন্তর কাজ করছে। তিনি তো সব করেছেন মানুষের কল্যাণে। তার খুশি হওয়ার কথা।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

নতুন বলেছেন: খামারীদের জন্য ভালো একটা বিষয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: অবশ্যই। তারাও লাভবান হবে। গোমাংশও সহজলভ্য হবে।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান এগিয়ে যাক। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের ভরসারস্থল হয়ে উঠুক বিজ্ঞান।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিজ্ঞানের জয় হোক। অন্ধের ক্ষয় হোক

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: অন্ধ-মুর্খদের ক্ষয় খুবই দরকার। বলাৎকারের হাত থেকে অন্তত শিশুরা বাঁচুক।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০

জগতারন বলেছেন:
যুক্ত রাষ্ট্রে এক মহিলা একসাথে ৮টি বাচ্চা জন্ম দিয়েছিলো।
আমি সে বাচ্চাদের ছবি বছর দশেক আগে দেখেছি।
এখন সে বাচ্চাগুলি কোথায় কিভাবে আছে বা বড় হচ্ছে
সে খবর আর নেয়া হয় নি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: এমন বিরল ঘটনা পৃথিবীতে রয়েছে। কালেভদ্রে গরুরও দুটি বাছুর হয়। এভাবে অনবরত হতে থাকলে তা হবে সাস্ত্রয়ী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.