নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বজুড়ে কত ধর্ম টিকে আছে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০


সবসময় পরবর্তী ধর্মগুলো যে পূর্ববর্তীকে বিতাড়িত করতে পেরেছে তা নয়। ইব্রাহিমীয় ধর্মের মধ্যে ইহুদী ধর্ম সবচেয়ে পুরাতন। এই ধর্মের প্রবর্তক মুছা নবী। এর বয়স ৩৫০০ বছর। জনসংখ্যা দেড় কোটিরও কম হলেও জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা এগিয়ে থাকায় বিশ্বজুড়েই তাদের প্রভাব অনেক। একেশ্বরবাদী বা সেমিটিক ধর্ম তিনটির বাকী দুটি ইসলাম ও খৃস্টান। খৃস্টান ধর্ম আগে আসলেও পৃথিবীতে এখনো তারা মোট মানুষের এক তৃতীয়াংশের বেশি। ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম মানুষের ধর্ম। অথচ খৃস্টান ধর্ম বিলুপ্তই হয়ে যেতে যদি না রাজা কনস্টান্টাইন এটিকে পুনর্জীবিত না করতেন। তিনি ধার্মিক হিসাবে নয়, শুধু দাসদের দমনের জন্য তাদের ধর্মে বুঁদ করে রাখার কৌশল হিসাবেই খৃস্ট ধর্মকে দাসদের গ্রহণ করতে বাধ্য করেন।

আজ খৃস্টানরাও দ্বিধাবিভক্ত ক্যাথলিক আর প্রোটেস্ট্যান্ট মতবাদে। ইসলামেও প্রধান দুই ভাগ- সুন্নি আর শিয়া। তবে তাদের কাছাকাছি আরো মতাদর্শী আছে- আহমাদিয়া, দ্রুজ, সুফি, বাহাই, ইয়াজিদি। অবশ্য আহমাদিয়াদের অনেকে অমুসলিম ঘোষণা করেছেন। ইয়াজিদি অবশ্য আলাদা ধর্মই, ইসলামের সাথে কিছু বিষয়ে মিল আছে মাত্র- তাদের বলা হয় শয়তান উপাসক! বাহাইও আলাদা ধর্মই। দ্রুজও একেশ্বরবাদী আলাদা ধর্মই। সুফিরা মুসলিম। হিন্দুদের মধ্যেও বহুভাগ রয়েছে। প্রধান শাক্ত, শৈব, বৈঞ্চব। বৌদ্ধদের মধ্যেও প্রধান দুই ভাগ- মহাযান ও বজ্রজান। ভাগগুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। খৃস্ট ধর্ম এসে ইউরোপ থেকে প্যাগান মানে মূর্তিপূজারীদের বিতাড়িত করে। ইউরোপে প্রধান ধর্ম শুধুই এখন খৃস্টান। কনস্টান্টাইনের আগে প্যাগানরাই খৃস্ট ধর্মকে বিতাড়িত করে দিয়েছিল। যদিও প্যাগানদের আবির্ভাব আরো আগে এমনকি ইহুদী ধর্মেরও আগে। প্যাগানরা দেবতাদের পূজা করতো। ভারত বর্ষে আর্যরা আসার আগে থেকেই স্থানীয় দেব-দেবীর পূজা প্রচলিত ছিল। আর্যরা তাদের দেবতাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় যদিও দুএকটি স্থানীয় দেবীকে তারা গ্রহণ করে নেন। ভারতে বহু স্থানীয় ধর্ম প্রচলিত ছিল। এখনো এক এলাকার মানুষের এক দেবতা প্রধান। শ্রীকৃষ্ণকে প্রধান করে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন এক দেবতায় ফিরতে তবে এটা সহজ নয়। দুর্গা কেবলই বাংলার দেবী তবে শ্রকৃষ্ণের প্রভাব বাংলাতেও বাড়ছে। একমাত্র দেবতা হয়ে উঠা সহজ নয়। এক ধর্ম কে বিতাড়িত করে আরেক ধর্মের দখলটা মূলত ক্ষমতার সাথে জড়িত। ভারত বর্ষে মুসলিমরা শাসন না করলে ইসলামের এতো প্রসার হতো না, আর্যরা ক্ষমতা দখল করতে না পারলে আর্য দেবীদের ভারতে কেউ পূজা করতো না। এর মধ্যেও কিছু ধর্ম হাজারো নিপীড়নের মধ্যেও টিকে থাকে। ইহুদীরা সুদীর্ঘকাল নিপীড়িত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইএসের হাতে ইয়াজিদি ধর্মের লোকেরা ভয়াবহ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। রুহিঙ্গা মুসলিমরাও বৌদ্ধ শাসকদের হাতে নিপীড়িত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এখনো বিশ্বজুড়ে টিকে আছে ৪৩০০টি ধর্ম।

বিলুপ্ত ধর্মের সংখ্যা অগুণিত৷ যারা বৃক্ষ পূজা করতো, যারা পাথর পূজা করতো ইত্যাদি সবারই ধর্ম ছিল৷ কোটি রকমের বিশ্বাস নতুন ধর্মের আগ্রাসনে বিলুপ্ত হয়েছে৷ পারস্যের অন্যতম প্রধান ধর্ম ছিল মনি ধর্ম ও জরাথষ্ট্র ধর্ম৷ ইসলাম আগমনে মনি ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যায়৷ অথচ প্রবক্তা মনি নিজেকে শেষ নবী ঘোষণা দিয়েছিল৷ জরাথষ্ট্র ধর্মের মানুষ এখন আছে লাখ খানেক৷ ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ ছিলেন এই ধর্মের৷ ভারতের প্রথম পরমাণু বিজ্ঞানী জাহাঙ্গীর ভাভা ও জামশেদ-রতন টাটাও জরুথ্রাষ্ট। এদেরই পার্শিয়ান অগ্নি উপাসক বলে৷ আরব ও পারস্যের অসংখ্য ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে ইসলাম আগমনের পর৷

ভারতেও অসংখ্য ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে৷ আজিবিক ধর্ম এর অন্যতম৷ হাজার রকমের ধর্মের মানুষ এখন হিন্দু৷ অথচ ভারতে এক সময় বেদবিরোধী বহু ধর্ম বা মতাদর্শী ছিল৷ এরমধ্যে চার্বাকদের কথা আমরা জেনেছি, চার্বাক বিরোধীদের কাছ থেকে৷ অধিকাংশ ধর্মেরই কোন লিটারেচার নেই, ফলে তাদের কোন তথ্যও নেই৷
চীনের কনফুসীয় মতাদর্শই ছিল একটা ধর্ম৷ চীনের স্থানীয় ধর্ম ছিল অগুণিত আজ চীনে ধর্ম বিশ্বাসই হারিয়ে যাচ্ছে৷ জাপানে বেশি ছিল সান্টু ধর্মের প্রভাব। আজও তারা সান্টু ধর্মের বহু রীতি পালন করে কিন্তু তারা সান্টু ধর্মের নন৷

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



কারো সাথে সৃষ্টিকর্তা কথা বলেছেন; কাউকে নিতি নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রচার করার জন্য?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: সব প্রবর্তকেরাই এটা বলেছেন। স্রষ্টা নিজে সৃষ্টিকে সরাসরি বলেননি। আমরা তার সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মমতে বিভিন্ন বিষয় জানি যা বৈপরত্যে ভরপুর। তিনি কি সাকার? না নিরাকার? তিনি কি চিরন্তন? না মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরে এসেছেন? মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে তিনি কোথায় ছিলেন? এমন হাজারো প্রশ্ন সম্পর্কে জানি না। স্রষ্টা যার কাছে এসেছেন বা বার্তাবাহক প্রেরণ করেছেন তার কোন সাক্ষী নেই, প্রেরিত পুরুষকেই আমরা বিশ্বাস করছি।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সৃষ্টিকর্তা কারো সাথে কথা বলেছেন; কাউকে *তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রচার করার জন্য?

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম টিকে থাক বা না থাক মানবতা টিকে থাকতেই হবে। তবেই না পৃথিবী সুন্দর হবে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
মানবতা এমনিতে টিকে থাকবে না, আমরা যদি কাজ করি তবেই মানবতা টিকে থাকবে?

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সামন্তবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় ধর্মের উদ্ভব ও বিকাশ।পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় প্রয়োজন হয় গনতন্ত্রের।

তৃতীয় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের মিশ্র অর্থনীতি,আধা সামন্তবাদী আধা পুঁজিবাদী।তাই ধর্মীয় প্রভাব বিরাট সমস্যা।পুজিবাদের বিকাশের সাথে সাথে ধর্মীয় প্রভাব কমতে থাকবে ,গনতন্ত্র বিকশিত হবে।এর কোন বিকল্প নাই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে আরো আগে। আদিম মানুষও অলৌকিক স্বত্তায় বিশ্বাস করতো।
পুঁজিবাদ ধর্মকে টিকিয়ে রাখতেই ভূমিকা রাখে। ধর্ম ব্যবসায়ীরাও পুঁজিবাদ থেকে শক্তি যোগায়, ব্যবসা বলে কথা!

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩২

মরুর ধুলি বলেছেন: গাজী কাকু বলেছেন, কারো সাথে সৃষ্টিকর্তা কথা বলেছেন; কাউকে নিতি নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রচার করার জন্য?

প্রতিউত্তরে লেখক বলেন, সব প্রবর্তকেরাই এটা বলেছেন। স্রষ্টা নিজে সৃষ্টিকে সরাসরি বলেননি। আমরা তার সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মমতে বিভিন্ন বিষয় জানি যা বৈপরত্যে ভরপুর। তিনি কি সাকার? না নিরাকার? তিনি কি চিরন্তন? না মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরে এসেছেন? মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে তিনি কোথায় ছিলেন? এমন হাজারো প্রশ্ন সম্পর্কে জানি না। স্রষ্টা যার কাছে এসেছেন বা বার্তাবাহক প্রেরণ করেছেন তার কোন সাক্ষী নেই, প্রেরিত পুরুষকেই আমরা বিশ্বাস করছি।

জ্ঞানের কমতি না জ্ঞানপাপী তার বিশ্লেষণে যাবার ইচ্ছা নাই।
ইন্নাদ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম- নিশ্চয় ইসলাম হচ্ছে আমার নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম।- আল কুরান।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনিওতো সেই বিশ্বাসই করেছেন। সেই বিশ্বাসের কথাইতো বলেছি। আপনাকে গভীরভাবে বিশ্বাস করতে তাতেতো কোন সমস্যা নেই।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক ধর্ম একটাই। ইসলাম।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা কেবলই মুসলিমদের বিশ্বাস। অন্য ধর্মের মানুষের বিশ্বাস আলাদা। আপনার বিশ্বাসের প্রতিও অন্যরা শ্রদ্ধাশীল থাকবে, আপনিও শ্রদ্ধাশীল থাকবেন অন্যদের বিশ্বাসে। সেটাই মানবতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.