নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ডেমোক্রেট প্রার্থীকে সমর্থন করি?

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯


অনেকের মতো আমারও প্রিয় মানুষদের একজন রিপাবলিকান পার্টির আব্রাহাম লিংকন। তার প্রচেষ্টায় দাসপ্রথার বিলুপ্ত হয়েছে। তারা শুরু করেছিল ডেমোক্রেটদের বিরোধিতা করার জন্য।তাদের স্লোগান ছিল মুক্ত শ্রম, মুক্ত দেশ, মুক্ত মানুষ। সেই রিপাবলিকানরা কালক্রমে হয়ে উঠে রক্ষণশীল। আধুনিকতা ও মানবতা বিরোধী। তারা খৃস্ট ধর্মকেই প্রাধান্য দিয়ে তাদের ধর্মীয় বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে, উদারতার বিপক্ষে গিয়ে আঁকড়ে ধরেছে পশ্চাৎপদতাকে। তাদের কাছে আমেরিকাই আগে। তাদের কাছে সৃষ্টিবাদই অধিক গ্রহণযোগ্য। জর্জ বুশের জঙ্গুলে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায়ই উঠে এসেছে ট্রাম্প।

বিপরীতে বানি স্যান্ডার্সের মতো সমাজতান্ত্রিক মানসিকতার নেতৃত্বও উঠে আসছে ডেমোক্রেটদের হাত ধরেই। একারণেই বলতে পারি ডেমোক্রেটিক পার্টির মতাদর্শে বামঘেঁষা অর্থনীতির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। ব্যক্তিস্বাধীনতাকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। ধর্মান্ধতার বাইরে গিয়ে তারা গর্ভপাতকেও সমর্থন দিচ্ছে এমনকি সমর্থন দিচ্ছে সমকামীতাকেও। বিজ্ঞানকে ভিত্তি করেই তারা আগাতে চায়। এসব কারণেই তারা একটি উদারনৈতিক আধুনিক দলে পরিণত হয়েছে। এ কারণেই বারাক ওবামার মতো কালো ও মুসলিম পিতার সন্তানও মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়। মনোনয়ন পায় একজন আধুনিক নারী হিলারীও।
সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখছি, উচ্চ শিক্ষিত মুক্তচিন্তকরা সমর্থন দিচ্ছে ডেমোক্রেট প্রার্থীকে। বিপরীতে স্বল্প শিক্ষিত ধর্মান্ধরা সমর্থন দিচ্ছে রিপাবলিকদের। আবার দরিদ্র কালরা সমর্থন দিচ্ছে ডেমোক্রেটদের বিপরীতে শ্বেতাঙ্গ ধনিকশ্রেণি সমর্থন দিচ্ছে রিপাবলিকানদের। অধিকাংশ নারীই ডেমোক্রেটদের নিরাপদ মনে করছে। নারীরা বিপুলভাবেই অর্থ সাহায্য দিয়ে সমর্থন দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে আমাদের সমর্থন দেয়ার কোন মূল্য নেই। ইংল্যান্ডের শ্রমিক দলকে সমর্থন করাও এমনই মানসিক তৃপ্তি। এতে চোখ রাখতে সুবিধা হয়। ক্রিকেট, ফুটবল এমন বহুদিকেই আমাদের সমর্থন থাকে। ব্রাজিল বা রিয়াল মাদ্রিদকে সমর্থন করি একই কারণে। সমর্থনের পেছনে কিছু কারণ থাকে। কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই আমরা সমর্থন দেই। একজন ডুনাল্ট ট্রাম্প জীবনভর অপরাধ করেছেন অধিক মাত্রায়। তার হাতে অসংখ্য নারী নিপীড়নের/ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবেও বহু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি অশীল, লুম্পেন এবং মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত। এটাই আজকের রিপাবলিক। তাদের সমর্থকও থাকবে। বিপরীতে বারাক ওবামা, হিলারী ক্লিনটন বা জো বাইডেনকে অধিক মার্জিত, ভদ্র হিসেবে দেখেছি। এই মতাদর্শেরও একদল সমর্থক থাকে। এসবের মধ্যে আমার নিকট ডেমোক্রেটদের সমর্থন দেয়ার মূল কারণ উদারনীতি। খুব করেই চাই ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন জিতে যাক আর পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বিধ্বস্ত হোক রিপাবলিকান পার্টির ডুনাল্ড ট্রাম্প।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এবারের নির্বাচনে কি বিষয়গুলো প্রধান্য পাচ্ছে? এই নির্বাচন কোনভাবে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে?

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ট্রাম্পের অভিভাশনবিরোধী নীতির কারণে সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের প্রবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ট্রাম্পকে উৎখাত করতে পারলে এদিকটাতে প্রত্যক্ষ লাভ হবে। এছাড়া শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদকে উসকে দেয়াতে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এতেও বাংলাদেশের অশ্বেতাঙ্গ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ও হবে। বাংলাদেশের অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যাতে আমেরিকার ভূমিকা অনেক। গার্মেন্টস খাতের কথাই বলেন আর রুহিঙ্গা সমস্যার কথাই বলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ট্রাম্পের অভিভাশনবিরোধী নীতির কারণে সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের প্রবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ট্রাম্পকে উৎখাত করতে পারলে এদিকটাতে প্রত্যক্ষ লাভ হবে। এছাড়া শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদকে উসকে দেয়াতে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এতেও বাংলাদেশের অশ্বেতাঙ্গ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ও হবে। বাংলাদেশের অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যাতে আমেরিকার ভূমিকা অনেক। গার্মেন্টস খাতের কথাই বলেন আর রুহিঙ্গা সমস্যার কথাই বলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

অধীতি বলেছেন: ভালো পর্যালোচনা ছিলো।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনে হেরে গেলে ট্রাম্প অনেক কষ্ট পাবে। এমন কি সে স্ট্রোকও করে ফেলতে পারে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: সে অযোগ্য লোক। তার কষ্ট পাওয়া অর্থহীন। এমন একজন অর্বাচীন যে একবার রাষ্ট্রপতি হয়েছে সেটাই ঢের বেশি।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুট দলই মুদ্রার এপিট ওপিট।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেট এবং কানাডাতে লিবেরেলদের ভোট ব্যাংক হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, গর্ভপাতের সপক্ষের, মুসলিম, ইমিগ্রেন্ট, সমকামী ও উভলিঙ্গ সম্প্রদায়। সমস্যা হচ্ছে এদের অনেকেই ভোটের দিন ভোট দিতে যান না। ফলে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং প্রবীণদের ভোটে রক্ষণশীলরা জয়ের স্বাদ গ্রহণ করে।

এবার অনেক বেশি আগাম ভোট পড়েছে। বলা যাচ্ছে না এই আগাম ভোটার সংখ্যাগরিষ্ট অংশ কার ভাগ্যে জুটবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: আগাম ভোটার জো বাইডেনের পক্ষেই বেশি- জরিপ বলছে।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খুবই চমৎকার পোস্ট স্যার।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

রাশিয়া বলেছেন: আমি চাই ট্রাম্প আবারো আসুক। গত চার বছর বিশ্ববাসী বেশ ভালো ছিল। বড় কোন যুদ্ধ দেখতে হয়নি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ইয়েমেনের যুদ্ধ দেখেন নি, সিরিয়ার? আফ্রিকার!
বুশের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ থেকে ইরাক বের হয়েছে?
আফগানিস্তান কেমন আছে?
এসব কাদের চাপানো যুদ্ধ?

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির আলোকে কোন দলটি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলে আপনি মনে করেন? ঐ দেশে যারা প্রবাসী বাঙালি আছে তাদের জন্য কোন দলটা ভালো হবে?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: শুধু বাংলাদেশ নয় ডেমোক্রেটরা পৃথিবীর জন্যই মঙ্গলজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.