নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুড়িয়ে মারার আগে লুঙ্গিটা ঠিক করুন

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২


কোন বাংলাদেশি যদি বিজ্ঞানে নোবেল পায় তবে সবচেয়ে উল্লসিতদের একজন হবো আমিই। সাহিত্যে, অর্থনীতিতে বা শান্তিতে নোবেল পেলেও খুশি হবো। ড. ইউনুস সাহেব শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন- খুবই খুশি হয়েছি তাকে বারবারই অভিনন্দন জানাই। কিছু লোক থাকবেই বিরোধীতা করার জন্য। বাঙালি মুসলিমদের গড় আয় যদি ২৫গুণ বেড়ে যায় এবং বাংলাদেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর সেরা ১০০টির মধ্যে স্থান পায় তবেও খুশিতে লাফাবো। বাংলাদেশের কোন প্রোডাক্ট যদি মাল্টিন্যাশনাল খেতাপ পায় কিংবা কোন উপন্যাস ইউরোপ/আমেরিকায় বেস্ট সেলার হয় তবেও খুশিতে নাচবো। মানব উন্নয়ন সূচকে আমাদের অবস্থান যদি শীর্ষ ১০-এ হয় কিংবা নারী বান্ধব ১০টি দেশের তালিকায় আমাদের নাম থাকে তবেও খুশিতে আটখানা হবো। গণতন্ত্রের সূচকে আমরা ৮০ তম। সবদেশে গণতন্ত্র নেই বলেই এতো কম। এ সূচকেও থাকতে চাই শীর্ষ ১০-এ। আইনের শাসন সূচকে আমাদের অবস্থান ১১২ তম। আহা যদি দশের মধ্যে থাকতাম!

হুজুরগণ যখন ওয়াজে বলেন, আমরা মুসলিমরা গবেষণা করবো না। কোরানে সবই দেয়া আছে। ইহুদী/নাসারাসহ বিধর্মীরা কষ্ট করে আবিষ্কার করবে আর আমাদের সুবিধায় তা কাজে লাগাবো। ওরা আমাদের দাস হিসেবে কাজ করার জন্যই ওদের জন্ম হয়েছে। আবার তারাই বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান খুঁজে বের করে অণুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে। সেখানে প্রায়শই ভুয়া তথ্য দিয়েও দাবী করে বসে। কেন এই দ্বিচারিতা? আমার ধারণা এটা হয় হতাশা থেকেই। তারা যখন দেখে কিছুতেই একজন বিজ্ঞানী বের হয় না, একজন সাহিত্যিক নোবেল পায় না, কোন ইতিবাচক সূচকেই মুসলিমরা থাকে না তখন আমার চেয়ে বেশিই হতাশ হয় তারা। তাই ইহুদী-নাসারা বিজ্ঞানীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্ল করে সাময়িক তৃপ্তি খুঁজে পায়। কিন্তু এমনিতেই একজন বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, অর্থনীতিবীদ বের হয়ে আসবে না। তাদের জন্য পরিবেশ লাগবে, মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় লাগবে, গবেষণাগার লাগবে অর্থাৎ সুযোগ লাগবে। যারা এগুলো বুঝে না তারা অপেক্ষায় থাকে ভাগ্যের। ভাগ্যের সিকা কোনদিনই ছিড়ে না।

মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে ইহুদীদের। তারা একবারও ভাবে না কেন স্রষ্টা ইহুদীদের মধ্যেই এতো জ্ঞানী-বিজ্ঞানী দিলো? পরীক্ষার জন্য, না মুসলিমদের সেবা করার জন্য? তাহলে কেন ইহুদীরা আজ এতো আগানো জাতি? সারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলো তাদের করা। তাদের আবিষ্কারকে অস্বীকার করলে আমরা চলতে পারবো না। বিপরীতে মুসলিমদের সংখ্যা ওদের এক-দেড়শো গুণ বেশি। মুসলিমদের কেন তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার নেই? মুসলিমদের সমস্ত আবিষ্কারকে অস্বীকার করলেও বিশ্ববাসীর তেমন ক্ষতি নেই। কেন এমন পরাজয়? ত্রুটি কোথায়?

শিক্ষার মানহীনতাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ভূগাচ্ছে। প্রতিভা নিয়োগ ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনভাবেই সেরা অবস্থানে যেতে পারে না। আমাদের হাইস্কুলের একজন বাংলার শিক্ষক, তার চেয়ারম্যানের বরাবর একটি আবেদনপত্র লিখে তা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। বিষয় ভুল, চারটি বাক্য লিখেছেন সবগুলোই ভুল আর কমপক্ষে ৮টি বানান ভুল। এমন মানহীন শিক্ষক নিয়োগের ফলেই স্কুলটির রেজাল্ট ভয়াবহ খারাপ হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দেখলাম, একজন ভিসি তার কন্যা ও জামাতাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য মেধার মান এতোটাই নামিয়েছেন যাতে তার কন্যা ও জামাতা নিয়োগ পায়। এরপরও জোর করে নিয়োগ না দিলে তাতেও তারা নিয়োগ পেতেন না। ওখানে রাজনৈতিক চাপ, ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

আমি একটি মাদ্রাসায় দুই মাস পড়িয়েছি। ওখানকার অবস্থা এতোটাই মানহীন যে, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিলে কেউই কোন বিষয়ে পাশ করতো না। শিক্ষকরা এমনিতেই খুবই মানহীন তারপরে আবার পড়ানোর কোনরূপ আগ্রহ নেই। এসব নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথাও নেই। দেশ ঘুষ-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত কেউ কি মিছিল করেন, ‘ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই!’ গণতান্ত্রিক দেশে সুষ্ঠুভোট না হলে সবদিক দিয়েই সর্বনাশ হয়ে যায়। জনগণের কোন আগ্রহই নেই। ছাত্রদের এতো বলাৎকারের কথা শুনি অথচ দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যেই এটা নেই। একটি রাষ্ট্রের মানুষের অহংকার করার মতো কোন বিষয়ই নেই, আত্মসম্মানের কোন জায়গা নেই অথচ কারণে অকারণে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে আর তারা তা রক্ষার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। কাউকে পুড়িয়ে মারছে আবার কারো বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। আগে দেখুন আপনার পরনের লুঙ্গিই খুলে আছে। অন্তত সেটা আগে ঠিক করুন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। আপনার চিন্তা ভাবনা সুন্দর।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমরাদের মুক্তচিন্তা করতে পারতেই হবে যদি দেশ বদলাতে চাই, দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খুবই সুন্দর পোস্ট স্যার।
ভালো লেগেছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমাদের মতগুলো (থাকবেই ভিন্নতা) প্রকাশ করতেই হবে। কথা বলতে হবে। অন্ধকার যুগ চলে আসা ঠেকাতে হবে যদি আগামীতে কথা বলতে চান।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

বিপ্লব06 বলেছেন: অপ্রিয় সত্য কিন্তু ব্যাপারগুলা নিয়া ডিসকাস করা উচিত।
ভালো লাগছে অনেক। পোস্টে প্লাস +++++++++

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
কথা বলতে চাই। কথা বলতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে কথা বলা অসম্ভব হয়ে যাবে।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: এক চোখা পোস্ট হয়ে গেল।
৮০০ থেকে ১৪০০ শতকের মধ্যে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান একদম পাশ কাটায় গেলেন, এছাড়া একমত।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: শ্রদ্ধার সাথেই তাদের স্মরণ করি। তাদের নিয়ে কয়েকটি পোস্টও দিয়েছি। তারাও নিদারুণ নিপীড়নের মধ্য দিয়েই কিছুকাল বিজ্ঞান চর্চা, দর্শন চর্চা করেছে। একসময় বিলুপ্ত হয়েই গিয়েছে। সেই অন্ধকার সময়ের সূচনা কেবলই দীর্ঘায়িত হচেছ।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: কবে যে নির্বোধদের একটু বুদ্ধি হবে? ওরা দেশটার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: খুব শিঘ্রই তাদের অভাবনীয় উত্থানও ঘটতে পারে। তখন আফগানিস্তানের মতোই হয়ে যাবে দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.