নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়ির পাশেই যখন ভালবাসার কৃত্তিনাশার চর

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

পদ্মা আমাদের বাড়ি-ঘর বহুবারই ভেঙ্গেছে। সর্বশেষ যে জায়গা থেকে আমরা সরে এসেছিলাম আবার তা জেগে আছে ৬ বছর ধরে। আরো ছয় বছর আগেও চরটি ছিল। আমাদের যে গ্রামটি ভাগ্যকুল বিভিন্ন কারণে এখন বিখ্যাত তার জন্মও পদ্মার পরিত্যক্ত গতিপথের কারণে। চাঁদরায়-কেদার রায়ের রাজধানী শ্রীপুরই যে পদ্মা বিলীন করেছে তার কাছে আমরাতো তুচ্ছই। তবুও সেই সর্বনাশা পদ্মাকে ভালবাসি। তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখি আর বর্ষায় শীতে, গ্রীষ্মে, বর্ষায় বদলাতে থাকা রূপ দেখি। চরের বনপুদিনা/মটমটিয়া ফুল দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। সূর্যকন্যার সাক্ষাৎ পেলে মন সতেজ হয়ে উঠে। ঠিক যেন বহু সূর্যই ফুটে আছে।আর ক্ষুদে ক্ষুদে মাখন-পেয়ালা ফুলগুলো দেখে মনে হবে ভর্তি আছে নরম মাখনে। বিষকাটালির দুরকমের ফুলই চোখে পড়বে। লাল ও সাদা। সাদা ফুল ফুটলে মনে হয় খই ফুটে আছে। মায়াবী বনফুল হল নামুতি। গুল্পঝোপগুলোতে অজস্র নামুতি ফুটে থাকে। এফুলগুলোও কিছুটা মাখনপেয়ালা বা সূর্যকন্যার মতোই। মুথাঘাস ফুল অতটা আকর্ষণীয় না হলেও তা দেখেও ভাল লাগে। ভাল লাগে ভাদলার ফুলও। এসব ঘাসফুল/বনফুল ছাড়াও চরে রোপন করা দিগন্তজোড়া হলুদ শরিষা ফুল মুগ্ধ করবেই। অবশ্য এখন দুএকটিই মাত্র দেখা গেল। অধিকাংশই ফলে পরিণত হয়েছে। শরিষার মতোই দেখতে মুলা ফুল- রঙ শুধু ধবধবে সাদা। ধনেপাতা ফুলগুলো প্রতিযোগিতা করে আকাশের অজস্র তারকার সাথে। ক্ষেতের দিকে তাকালেই মনে হবে- তারারমেলা। নদীর কাছাকাছি রয়েছে গাঙ কলমি। যেনো ফুল ফুটিয়ে ফুটিয়ে দৌঁড়াচ্ছে। দেখা মিলে কচুরি ফুলও। এবার চরে সবচেয়ে বেশি ফুটেছে কালোজিরা ফুল। এ ফুলগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ। ফোটার আগে কচি কলাপাতা সবুজ, ফুটলে ধবধবে সাদা। আর ফলগুলোতে চারটি করে শিং থাকে। মনে হবে সবুজ রঙের লক্ষ লক্ষ পোকা বসে আছে। প্রতি বছরই বহুবার চরে যাই। ২০০৪ সালে আক্রান্ত হওয়ার আগে এই চরে হুমায়ুন আজাদ স্যারও আমাদের সাথে ঘুড়ে বেড়াতে পছন্দ করতেন। গতকালও আমরা- মানে একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক নাসির উদ্দিন জুয়েল ভাই, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার লেখক আলমগীর শাহরিয়ার, উপস্থাপক ও হাইকোর্টের এডভোকেট সুব্রত কুমার দাস খোকন, ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে দীর্ঘ সময় কাটালাম চরের বহুমাত্রিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। আপনারাও চর দেখতে আসতে পারেন। সাথে ফ্রি পাবেন ভাগ্যকুলের বিখ্যাত ঘোল! ঘোল খাওয়ার জন্যও ভাগ্যকুলে প্রচুর মানুষ আসেন প্রতিদিন। ঢাকা থেকে শ্রীনগর হয়ে দোহারগামী বাসে বালাশুর নেমে আসতে হবে ভাগ্যকুলে। আবার মাওয়া নেমেও আসা যায় ভাগ্যকুলে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কালোজিয়ার চাষ হয় আপনাদের এলাকায়?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: এতো চাষ এবারই দেখলাম। আগে কম হতো। করোনাকালে মানুষ বিপুলভাবেই কালোজিরা খাওয়ায় দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এতো চাষ হয়েছে এবার।
বিক্রমপুরে মূলত আলু চাষ হয়। পশ্চিমাঞ্চলে আমাদের এলাকায় মূলত ধান চাষ হয়। পদ্মার চরে চাষ হচ্ছে এবার কালোজিরা।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: যেহেতু আপনি ভাগ্যকুলের মানুষ। তাহলে নিশ্চয়ই তিন দোকান, বালাসুর খুব ভালো করেই চিনেন। আমাদের গ্রামের নাম কামার গাও। আলামিন বাজার কি আশা হয় আপনার?

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: এ সপ্তাহেই আলামীন বাজারে আমার এক সহপাঠীর সাথে দেখা করলাম। দোহার গিয়েছিলাম কাজে। বালাশুর আমার বাড়ির খুবই কাছে প্রতিদিনই দুবার যেতে হয়। বালাশুরই আমার বাসস্ট্যান্ড। তিনদোকানও কাছে। আপনার সাথে পরিচিত হওয়ার আগ্রহ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.