![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি বিশ্বাস করিনা আমি, তবুও যুক্তি খোঁজে ফিরি।
কিছু একটা পড়ে যাবার শব্দে দরজার দিকে ফিরে তাকাতেই আ: বাতেন সাহেবের চোখ কপালে ওঠল। ভূত দেখার মতো চমকে ওঠলেন তিনি। তার গরম রক্ত শীতল হয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত। মারাত্মক রকমের সুন্দরি একটা মেয়ে খচ্ খচাং শব্দে ডিএসএলআর দিয়ে তার ছবি তোলছে। তার ইউনিফর্মের বোতাম খোলা আর ডান হাতে লাঠি। পাশেই, চেয়ারে বাঁধা আছে আশফাক। আশফাকের মাথা হেলে আছে অবহেলায়। মাথা থেকে রক্তের ধারা নেমে যাচ্ছে বাম কানের পাশ ঘেসে। দেখলেই বুঝা যায় যে তার জ্ঞান নেই। আ: বাতেন সাহেব লাঠি ফেলে দিয়ে দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে এলেন। মেয়েটা তখনো তার ছবি তোলছিল।
-এই, এই ...., হচ্ছে কি এসব! কে আপনি, আমার ছবি তোলছেন কেন?
- ধীরে... বাবু, ধীরে...। এক লগে এত প্রশ্ন করলে কোনটা থুইয়া কোনটার জবাব দিমু। মাথায় ত আন্ধা গিট্টু লাগব আমার।
- আমার সাথে ইয়ার্কি মারছেন আপনি? সত্যি করে বলুন কে আপনি?
- আমাকে দেখে বুঝি সাংবাদিক মনে হচ্ছে না আপনার?
- আপনি সাংবাদিক! আ: বাতেন সাহেবের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল মুহূর্তেই।
- জ্বি জনাব, আমি দৈনিক ‘ঠাডা’ পত্রিকার নগন্য সম্পাদিকা।
- ফাইজলামি করেন আমার সাথে! পত্রিকার এমন নাম তো আমার বাপের জন্মেও শুনি নাই। সত্যি করে বলুন আপনি কে। ঝেড়ে কাসুন একবার।
-আপনি না শুনলেও আমার কোন ক্ষতি নাই। তবে এখন আমার কথা মতো কাজ না করলে, আপনার মেলা ক্ষতির কারন হবে। ছেলেটার গিট্টু খুলে দিবেন চলুন।
-আমার ক্ষতি হবে মানে? কি বলতে চান আপনি?
-আমি কিছুই বলতে চাই না, করতে চাই। অবশ্য যদি আপনার কোন আপত্তি না থাকে।
-মানে?
-মানে ক্লিয়ার, একেবারে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। আপনার কোন আপত্তি না থাকলে এখনকার তোলা ছবিগুলোর সাথে আপনার কিছু নাম কীর্ত্তণ আগামীকালের ‘দৈনিক ঠাডা’ পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাতে যে ঠাডা আপনার উপড় পড়বে তা সামলাতে আপনার বেশ সমস্যা হবে বোধ হয়। তার চেয়ে ছেলেটাকে নিয়ে আপনার অফিস রুমে চলুন, ওকে সুস্থ করতে হবে।
আ: বাতেন সাহেব আর কোন কথা না বলে আশফাকের হাত পায়ের বাঁধনগুলো খুলে দিল। মেয়েটি রক্তাক্ত আশফাককে অনেক কষ্টে প্রায় কুলে করে নিয়ে অফিস রুমের একটা বেঞ্চিতে শুইয়ে দিল। তারপর নিজের ব্যাগে রাখা প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র বের করলো। আশফাকের মুখ থেকে চুইয়ে পড়া রক্ত মুছতে মুছতে বলল-
-গরম পানি করার ব্যবস্থা করুন। ওকে গোসল দিতে হবে। ও হ্যা, একটা ব্লেডেরও ব্যবস্থা করবেন। অথবা একজন নরসুন্দর ডেকে আনার ব্যবস্থা করুন। মাথাটা যেখানে ফাটিয়েছেন সেখানকার চুলগুলো কেটে দিতে হবে।
আ: বাতেন সাহেব মন্ত্রমুগ্ধের মতো বিনা বাক্য ব্যয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। তন্দ্রা আশফাকের মাথার ক্ষত যতটা সম্ভব পরিস্কার করে নিচ্ছিল। এমন সময় সারোয়ার সাহেব রুমে ঢুকলেন। খুবই স্বাভাবিকভাবে নিজের চেয়ারে বসলেন তিনি। কলিং বেল টিপলেন দুবার। একজন কনস্টেবল আসলেন। স্বাভাবিক কন্ঠে তিনি কনস্টেবলকে বললেন-
-মোড়ের দোকানের নাপিতটাকে ধরে নিয়ে আসুন।
-ইয়েস স্যার... কিন্তু ওরাতো বোধ হয় দোকান বন্ধ করে চলে গেছে স্যার। অনেক রাত হইছে তো....।
-তাহলে বাসা থেকে ধরে আনুন, যান।
-ইয়েস স্যার....।
কনস্টেবল চলে গেল। সারোয়ার সাহেব ওঠে এসে আশফাকের মাথার আঘাতটা একবার ভাল করে দেখলে, তারপর তন্দ্রার দিকে দৃষ্টি দিলেন-
-আপনিই তবে মিস তন্দ্রা, দৈনিক বজ্রপাত পত্রিকার সম্পাদিকা?
-জ্বি, বাপ মালিক, তার মেয়ে কোন রকম যোগ্যতা ছাড়াই সম্পাদিকা।
-বেশ রসিক আপনি। যাহোক, এই ছেলের সাথে পরিচয় কিভাবে আর কতদিনের?
-আমরা একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। আমি জার্নালিজম আর ও সাইকোলজি। সেই থেকে পরিচয়। এখনো চলছে বাকী জীবনটাও হয়ত চলবে।
-আপনি কি করে বুঝলেন এ ছেলে ঘটনার সাথে জড়িত নয়?
-আমার ধারণা আপনিও বুঝেছেন।
-আমার পশ্নের এটা জবাব নয়, আমি বাঁকা তেড়া জবাব পছন্দ করি না।
-জ্বি, জানি আমি। আশফাককে আমি গত দশ বছর থেকে চিনি। গত আট বছর থেকে প্রতি পূর্ণিমা রাতে আমরা দুজন গাজীপুরের গজারী বনে জোসনা দেখতে যাই। সারারাত থাকি দুজন পাশাপাশি। কখনো কখনো আমার শরীর ছুইয়ে যায় ওর শরীরকে। আচ্ছা.., একজন ধর্ষক চেনার জন্য এরকম কতগুলো জোসনা রাতের প্রয়োজন হয় আপনি বলতে পারেন?
সারোয়ার সাহেব নির্বাক তাকিয়ে রইলেন তন্দ্রার দিকে। ওনি কিছুই বলছেন না। তন্দ্রা খানিক বিরতি দিয়ে আবার শুরু করল-
-ওদের ব্যাচে আশফাক ছিল সেরা ছাত্র। ও ইচ্ছে করলেই বিদেশে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে সে যেতে চায়নি। সে পাগলদের নিয়ে গবেষণা করছে। একদিন হয়ত ভাল কিছু করবে আমাদের জন্য। এরকম একটা ছেলে কি করে ধর্ষক হয় বলুন! সবচেয়ে বড় কথা হলো- রাতের পর রাত ওর হাতের নাগালে আমার মতো একজন সুন্দরী মেয়ে মানুষ পড়ে থাকে। কখনো কোনদিন ভুল করেও সে আমার শরীরটাকে বিশেষভাবে ছোঁতে চায়নি। কিভাবে আমি বিশ্বাস করবো যে এই ছেলেটাই কোন মেয়ের শ্লীলতাহানী করেছে!
-কিন্তু আমার কাছে যে ওর বিরোদ্ধে কিছু প্রমাণ রয়েছে! বিমর্ষ চোখে তন্দ্রার দিকে তাকিয়ে বললেন সারোয়ার সাহেব।
-কি প্রমাণ?
-নাম্বার এক, ঘটনার রাতে আটটা পাঁচ চল্লিশের দিকে ওদের দুজনকে কথা বলতে দেখা গেছে। নাম্বার দুই, সেই রাতেই বারটার দিকে আশফাকের মোবাইলে মেয়েটার মোবাইল থেকে একটা ফোন এসেছিল।
-এতেই কি প্রমাণ হয় আশফাক দোষী?
-প্রমাণ না হলেও সন্দেহ তো করাই যায়, তাই না?
-না, যায় না। চলুন বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করি। প্রথমত: মেয়েটা আশফাককে পছন্দ করত। অবশ্য আমিসহ প্রায় দু’শর মতো মেয়ে আশফাককে পছন্দ করে। যাক সে কথা। আশফাক বাড়ীতে খুব কম আসে। আর যখন আসে তখন এই মেয়েটার সাথে কোন না কোন ভাবে দেখা হয়েই যায়। আশফাককে মারার পূর্বে আপনার সাথে তার কথা হয়েছিল, তার মানে কি আপনি তাকে এভাবে গরুর মতো মেরেছেন?
-না, ঠিক তা নয়।
-দ্বিতীয়ত, মেয়েটা আশফাককে পছন্দ করে। পছন্দের মানুষকে মানুষ কল করতেই পারে। আপনি নিশ্চয় আজ রাতে আপনার স্ত্রীকে কল করেছেন? এখন যদি ভোর রাতে আপানার স্ত্রী....।
-প্লিজ থামুন আপনি, আর শুনতে চাচ্ছি না।
-তাছাড়া আশফাককে ফাঁসানোর জন্য জড়িতরাও তো কল করতে পারে, তাই না?
-আপনার যুক্তি আমি বুঝি কিন্তু এখনতো ওকে আমি ছাড়তে পারছি না। কাল ওকে সহ আরো ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হবে। সেখান থেকে ওকে মুক্ত করতে হবে।
-এখন ওকে ছাড়তে বলছি নাতো আমি। রাতে ওকে নিয়ে কোথায় যাব আমি। তবে আপনি দাওয়াত করলে ওকে নিয়ে আপনার বাসায় যেতে পারি।
-আপনি কি আমার সাথে....।
- না, মশকরা করছিনা। আপনি ঠাট্টার পাত্র নন আমার কাছে। আমি ওর জামীনের ব্যবস্থা করেই তবে এসেছি। তবে রাতে যাব না।
-কেন? জামীন এনে থাকলে ওকে নিয়ে চলে যান।
-না, আপনার যে অফিসার ওকে বিনা দোষে মেরেছে, তাকে এমনি ছেড়ে দিয়ে আমি চলে যেতে পারি না।
-মানে?
-মানে আপনার আ: বাতেন সাহেব ঘটনা সম্পর্কে সবকিছুই জানেন। তারপরও বদমায়েশদেরকে বাঁচানোর জন্য আশফাকের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেবার চেষ্টা করেছে অসভ্য কায়দায়। তাকে আমি এমনিতেই ছেড়ে দেব না।
-কি বলছেন আপনি? আ: বাতেন সাহেব এসবের সাথে জড়িত?
-হু, তিনি ঘুষ খেয়েছেন। তবে কত টাকা খেয়েছেন ঠিক জানি না। ঘুষের টাকার গন্ধ আমি ভুলিয়ে দিয়ে তবেই যাব এ থানা থেকে।
-আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে আ: বাতেন সাহেব সত্যিই এসব করেছেন?
-তিনি আসলেই বলব সেসব, এখন নয়।
তন্দ্রা দুজনের কথার ফাঁকে আশফাকের গায়ের জামাটা চেঞ্জ করে দিয়েছে। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছিয়ে দেয়ার পর আশফাকের জ্ঞান ফিরেছে। তবে মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা পাওয়ার কারনে ইচ্ছে থাকলেও কথা বলতে পারছে না। চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে সে। তন্দ্রা তার মাথার চুলে নিজের ঢেঁড়সের মতো লম্বা আঙ্গুলগুলোকে বারবার চালনা করছে পরম মমতায়। কিছুক্ষন আগে আশফাককে একটা রোলাক আর একটা সার্জেল টেবলেট খাইয়ে দিয়েছে সে। ব্যাথাটা কমে যাওয়ার কথা এতক্ষনে। মাথায় দুটো সেলাই করতে হবে হয়ত। আ: বাতেন সাহেব একটা ছেলেকে সাথে নিয়ে চলে এসেছেন। একজন নার্সকে ডেকে আনা হয়েছে পাশের এক বাসা থেকে।
ঘড়িতে সময় রাত দুইটা। আশফাককে গোসল করানো হয়েছে। সে এখন কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। সারোয়ার সাহেব তার নিজের চেয়ারে বসে আছেন। টেবিলের দুই পাশের দুটি চেয়ারে তন্দ্রা আর আশফাক। সামনের চেয়ারে আ: বাতেন সাহেব মাথা নিচু করে বসে আছেন। তার গায়ে খাকি পোশাকের পরিবর্তে সাধারণ পোশাক। খানিক দূরেই অন্য একটা চেয়ারে টেরগা শাকিল বসে আছে। দরজার কাছে একটা লাঠি হাতে দাড়িয়ে আছেন পাঠান সাহেব। কিছুক্ষন পূর্বে পাঠান সাহেব শাকিলকে যত্নের সহিত লাঠি থেরাপি দিয়েছেন। থেরাপির প্রভাবে শাকিল অজ্ঞান হয়ে আছে। সারোয়ার সাহেব পলকহীন চোখে আ: বাতেন সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছেন। তন্দ্রা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আ: বাতেন সাহেবের দিকে তাকাল।
-এবার বলুন, বদের বাচ্চাগুলানের থেকে কত টাকা ঘুষ খেয়েছেন। আপনার সব কারিশমা আমি জেনে ফেলেছি। এবার আমার কারিশমা আপনি জানবেন। বলে ফেলুন ঝটপট।
-জ্বি, আমি মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছি।
-ওরে আমার সোনার ছেলেরে...। এই কয়টা টাকার লাইগা আমার পরাণ পাখিডারে এমন কইরা মারলেন? আপনারে অহন জোড়ে একটা থাপ্পর মারতে ইচ্চে করতাছে আমার। ইচ্চে করলে আমি দুর্গম কোন থানায় আপানার ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করতে পারি কিন্তু তা করব না।
-না, ওনারে আমি মাফ কইরা দিমু তবে একটা শর্তে। বলল আশফাক।
-কি শর্ত? আপনার সব শর্ত মানতে রাজি আমি। আ: বাতেন সাহেবের চোখে জল। তিনি জীবনে প্রথম বারের মতো ঘুষ খেয়ে ধরা পরেছেন। ইজ্জত হারানোর চিন্তায় তিনি অস্থির হয়ে আছেন।
-আপনি এক গ্লাস পাতলা গু খাইবেন। তবেই আপনাকে মাফ করে দিমু।
-এ্যা...? আ: বাতেন সাহেব কখনো কল্পনাও করেনি যে, তাকে এরকম একটা শাস্তি দেওয়ার কথা কেউ চিন্তা করতে পারে। বিশ বছরের পুলিশি চাকরী জীবনে সে এমন ভয়াবহ শাস্তির কথা কানেও শুনেনি কোনদিন। তিনি বেশ কবার ওয়াক ওয়াক শব্দে বমি করার চেষ্ট করলেন।
-ওয়াক করে কোন লাভ নাই, পাতলা গু আপনের খাওন লাগবই। পাঠান সাহেব...।
-জ্বি, বলুন। পাঠান সাহেব এগিয়ে এলেন আশফাকের কাছে।
-বাজারে জামাল গোটা নামে এক ধরণের বিচি পাওয়া যায়। আপনি দুইটা বিচি কিনে এনে গুড়া করে চানাচুরের সাথে আ: বাতেন সাহেবকে খাওয়াবেন। দুই তিন মিনিটের মধ্যে আশা করি ওনার পাতলা পায়খানা শুরু হবে। সেই পাতালা পায়খানা থেকে ওনাকে যত্ন করে মেগা সাইজের কফির মগ দিয়ে এক মগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন, পারবেন না?
পাঠান সাহেব সারোয়ার সাহেবের মুখের দিকে তাকালেন। সারোয়ার সাহেব আ: বাতেন সাহেবের অসহায় মুখের দিকে একবার তাকিয়ে হ্যা সূচক হাসি দিলেন। পাঠান সাহেব সগৌরবে বললেন- পারব, অবশ্যই পারবো।
আশফাকের মুখে শাস্তির বর্ণনা শুনে সারোয়ার সাহেব হাসলেন। তারপর তন্দ্রার দিকে তাকিয়ে বললেন-
-থানার পিছনে আমার ভাড়া নেয়া একটা বাসা আছে। আপনারা চলুন সেখানে রেস্ট নেবেন। তার আগে জামিনের কাগজগুলো আমাকে দেন। আচ্ছা..., এত দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করলেন কিভাবে?
-আপনার ফোন পেয়ে প্রথমেই জামিনের ব্যবস্থা করেছি। তারপর এই এলাকায় এসে ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা বাবাসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। ও হ্যা, আমাকে ফোন করে জানানোর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। চলুন এবার ওঠা যাক। তন্দ্রা জামিনের কাগজগুলো ওনার হাতে দিল।
- জ্বি, চলুন।
-আমরা কিন্তু আপনার বাসায় কাল সারাদিন থাকব।
-জ্বি, অবশ্যই থাকবেন কিন্তু সারাদিন কেন?
-আগামীকাল জোসনা রাত্রি। গাজীপুরের গজারি বনে দুজন জোসনা দেখব। অবশ্য চাইলে আপনিও আমাদের সঙ্গি হতে পারেন।
-না না, ইচ্ছে থাকলেও সময় হবে না আমার। চলুন ওঠি এবার।
-জ্বি, চলুন।
-স্যার...। সারোয়ার সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো আশফাক।
-জ্বি, বলুন। ও হ্যা, আপনাকে অযথাই কষ্ট দেয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যান্ত লজ্জিত ও অনুতপ্ত।
-বদের বাচ্চার শাস্তিটা কিন্তু হওয়া চাই। ওর শাস্তি না হলে.....।
-আপনি ভাববেন না। ওনার শাস্তি আমি দাড়িয়ে থেকেই দেব। পাঠান সাহেব সকাল বেলাতেই জামাল গোটার ব্যবস্থা করবেন। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। কাল একবার এসে শাস্তির প্রথম পর্বটা দেখে যাবেন। অনেক রাত হয়েছে, চলুন এবার । সারোয়ার সাহেব কনস্টেবল পাঠান সাহেবের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কথা বলার পর আশফাক আর তন্দ্রাকে সাথে নিয়ে ওনার বাসার উদ্দেশ্যে থানা থেকে বেড়িয়ে পড়লেন।
চলবে........
©somewhere in net ltd.