![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন চাকরি পেয়েছি। অফিসে যাবার তারা। দেরি যাতে না হয়, সে জন্যে একটু আগেই বের হই। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। স্টেডিয়ামের সামনের মোড়ে। পাশেই পুলিশ বক্স। একজন অল্পবয়সী পুলিশের পিছু পিছু হেঁটে আসছেন সত্তর ঊর্ধ এক ভদ্রলোক। পুলিশটিকে মিনতির মত করে কী যেন বলছেন। কিন্তু পুলিশ তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। পুলিশ বক্স পর্যন্ত গিয়ে কিছুক্ষণ পর নিরাশ হয়ে ফিরে এলেন। এসে দাঁড়ালেন আমার পাশেই। ভদ্রলোক একেবারে ঘেমে গিয়েছেন। খুব মায়া হল। আমি আর একটু কাছে গিয়ে বললাম, “ দাদু কী হয়েছে?”
দাদু বলাতে খুশি হলেন মনে হল। তারপর তিনি যা বললেন, তা হচ্ছে তার গাড়ির ড্রাইভার ট্রাফিকের হাত উঠানো না দেখতে পেয়ে গাড়িটা একটু এগিয়ে দিয়েছিল। তাই পুলিশ কাগজ নিয়ে নিয়েছে। তার কথা হচ্ছে ফাইনটা যদি স্পটে নেয়ার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে কোন সমস্যা ছিল না। ফাইন দিয়ে কাগজ নিয়ে নিতাম। ড্রাইভার ভুল করেছে, তার জন্যে গাড়ির কাগজ নিয়ে নেয়া কোন যৌক্তিক ব্যাপার হল? এখন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিবে। জরিমানার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সেই রশিদ নিয়ে যেতে হবে মোহম্মদপুরে। আমাকেই দৌড়াতে হবে। ড্রাইভারটা নতুন। ও এসব পারবে বলে মনে হয় না। তিনি আরও জানালেন যে, তার একটি মাত্র মেয়ে। স্বামী সন্তান নিয়ে কানাডায় থাকে। এর মধ্যে তার ড্রাইভার মোড়টা ঘুরিয়ে গাড়ি এনে থামাল আমাদের পাশে। ভদ্রলোক একটু হেসে বিদায় নিলেন।
অল্পক্ষণ পরে আমার বাস এল। বাসে বসে ভদ্রলোকের ঘর্মাক্ত মুখটা মনে পড়ল। নৈতিকতার বিচারে ট্রাফিক পুলিশকে দোষ দিতে পারছি না। তবে এক্ষেত্রে ভদ্রলোকের বয়স বিবেচনা করে আরও একটু মানবিক হওয়া যেত না কি? পুলিশতো নিজেদের মানুষের বন্ধু বলে থাকে। দাদা-নানার বয়সী মানুষটাকে সেই বন্ধুত্ব দেখানো যেত। তাছাড়া দুর্ঘটনা, লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি ছাড়া অন্য যে কোন ট্রাফিক আইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে জরিমানা রসিদের মাধ্যমে স্পট থেকে নেয়ার ব্যবস্থা করলে অসুবিধা কথায়?
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: পুলিশ হবে মানুষের বন্ধু ? আপনি ঠিক কোন দেশের কথা বলছেন ? বাংলাদেশ হলে বলব, এদের বন্ধুত্ব আমার একেবারে দরকার নেই, শুধু মাত্র শত্রুতা করে ফাসিয়ে না দিলেই, আর গুম খুন না করলেই আমরা খুশী।
আর, আপনার চিন্তার কোন কারনই নেই, আমি মোটামুটি ৯৯% নিশ্চিত যে ঐ ড্রাইভার স্পটেই কাজটা সেরে ফেলেছে । পুলিশ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে সামান্য কিছু ঘুষ খেয়েছেন মাত্র ।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব পুলিশই বন্ধু; সমস্যা হলো, টাকা লেনদেনের পর বন্ধুত্ব থাকে না।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪০
নতুন বলেছেন: পুলিশ যদি টাকা না খেয়ে তাকে ফাইন করে থাকে তবে সেটা খুবই ভালো। ( কারন এইরকমের ঘটনা ঘুষ দিয়েই মিটিয়ে ফেলাই নিয়ম এখন)
ট্রাফিক আইন ভঙ্গকরে থাকলে তাকে জরিমানা করবে পুলিশ।
এবং টাকা আদায়ের ব্যাপারটা ঐ জায়গা থেকে যতবেশি দুরে করা যাবে ততকম দূনিতি হবে।
আমি ট্রাফিক পুলিশ বা কোন পুলিশের জরিমানা এবং আদায় করার সুযোগ এক সাথে দেয়ার পক্ষে না। তাতে দূনিতিই বাড়বে।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: পুলিশ মানুষের বন্ধুই তো ( কাগজে কলমে ) ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনি ভুল লিখেছেন-না অামি ভুল পড়েছি?
" সেবাই পুলিশের ধর্ম"
"পুলিশ জনগনের বন্ধু"-অাপনি অাবার কোন বন্ধুর কথা বলছেন?