নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের অপ্রত্যাশিত পার্থিব প্রাপ্তির পরিণাম

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৫

মানুষ জীবনের যে কোন পর্যায়ে তার প্রত্যাশার থেকে প্রচুর অর্থের অধিকারী হতে পারে, কখনো অকল্পনীয় ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে, আবার কখনো যোগ্যতার চেয়েও বড় পদের ভার নিজের উপর পড়তে পারে,দৈবক্রমে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাও দুয়ারে হাজির হতে পারে।

এমন সময়ে অধিকাংশ মানুষই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।ফলে, ন্যায় নীতি ও মনুষ্যত্ব জ্ঞান হারিয়ে আচরণে বন্য হিংস্র প্রাণিতে পরিণত হয়ে ওঠে।ক্রমাগত এমন ঔদ্ধত্য আচরণের ফলে একটা সময় তার চারপাশের মানুষের মনে তার প্রতি ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার উদ্ভব হতে থাকে।এতে ঝড়ের গতিতে উত্থান মানুষটা একটা সময় জনবিছিন্ন হতে থাকে। এক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস হীনতা জেগে বসে ।তখন অর্থ ক্ষমতা ও পদ থাকলেও সে আর এসবের মধ্যে সুখ খুঁজে পায় না।জীবনটাকে তার কাছে অন্তঃসারশূন্য মনে হতে থাকে। তখন তার প্রকৃত উপলব্ধি জ্ঞান ফিরে আসলেও মানুষের অন্তরে আর পুনরায় প্রবেশের সুযোগ থাকে না।পরিশেষে এমন মানুষের সমাজে আবির্ভাব ঘটে শুধুই একটা পদার্থ রূপে।

যারা প্রাজ্ঞ ও অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ তারা পার্থিব প্রাপ্তির এই সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে আরও ধিরস্থিরসম্পন্ন ও বিনয়ী মানুষ হয়ে ওঠে।কারণ, তাদের মধ্যে এই নশ্বর জীবন ও জগতের গতি প্রকৃতির জ্ঞান থাকার কারণে জগতের এই পার্থিব প্রাপ্তি কখনোই মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার থেকে বড় হয়ে উঠতে পারেনা। ফলে,জীবনের কোন এক পর্যায়ে জগতের পার্থিব অর্জন ও মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা মিলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে মহান হয়ে ওঠেন।পৃথিবী থেকে প্রস্থানের পর এরা হয়ে ওঠেন জ্বলজ্বলে এক ধ্রুবতারা,আপামর মানুষের আদর্শ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বলেছেন মানুষকে নিয়ে। সাধারণ তাই হয়। তবে মহান মানুষ পৃথিবীতে বেশি নয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪১

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এই অল্প মানুষদের জন্যই এই পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রয়েছে ।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে অনেক দামি কিছু কথা বলেছেন। আমি এতটা পারিনা, একদম নিজের ভাষায় কথা বলি। কিন্তু আপনার সার কথা কতটা ধরতে পেরেছি আমি নিজেও ক্লিয়ার না। শুরুর কথা দিয়ে শুরু করি। মানুষ উপরে উঠলে নিচের সব কিছুকে ছোট করে দেখে। এটাই সমস্যা।

জীবন এবং সমাজের প্রয়োজনে মানুষকে বড় হতে হয়। বিশেষ করে আমি এখানে বৈষয়ীক বড় হওয়াটা বোঝাচ্ছি। বৈষয়ীক হওয়া খারাপ বিষয়না। যদি না মানুষটা প্রতিটা মানুষের জায়গায় দাড়িয়ে ভাবতে জানে। সমাজে উচু তলার মানুষ গুলো যেমন নিচু তলার মানুষের কোন কিছু সহজ ভাবে নিতে জানেনা তেমনি কথিত মেধাবী গুলো নিরক্ষরকে সহ্য করতে পারেনা। তাহলে দেখা গেলো ভালো মন্দ হওয়া বিষয়টা বেশি টাকা বা কম শিক্ষার ব্যপার নয়। ব্যপার হলো সে কিভাবে বড় হয়েছে কোথায় বড় হয়েছে।একটা মানুষের মন মানসিকতা গড়ে উঠে পরিবার থেকে। সেই পরিবার ধনী হোক আর গরীব ,মুর্খ্য হোক আর জ্ঞানী। দুই পারে ভুল শিক্ষা দিতে কিংবা সঠিক শিক্ষা দিতে।

যেমন আমি সম্পদের পিছে ছুটি। আমার এই সম্পদ আমার বিলাষীতার জন্য নয়। এই সম্পদ দিয়ে কোন মানুষের হাসি দেখতে আমি মজা পাই। কারো জন্য কিছু করে তার হাসি মুখ দেখার মত নেশা আমার কাছে আর কিছু নেই। আমার প্রয়োজনের বাইরে আমার নিজের কিছু নেই। একটা গাড়ির জায়গায় দুটো গাড়ি আমি রাখিনা, একটা বাড়ি জায়গায় দুটো বাড়ি আমি চিন্তা করিনা, আমার ভালো লাগে কর্মসংস্থান বাড়াতে। পক্ষান্তরে যেই মানুষটা প্রচন্ড শিক্ষিত হয়ে নিজেকে সিকে তুলে বসে আছে মানুষ দুনিয়া ছেড়ে তাকে দিয়েও দুনিয়ার মানুষের কি উপকার হবে? কেউ যদি বলে আমি এই নশ্বর দুনিয়াতে কিছু চাইনা। বসে বসে কিছু জ্ঞানী কথা ছাড়বো মানুষের জন্য তাতেই চলবে, আসলে কি চলবে?

মানুষ কাকে বলে? দুনিয়াতে জন্ম নেয়ার পরেই যত গুলো চরিত্র আপনি পাবেন তার প্রতিটা চরিত্রের যথাযত ব্যবহারের নামই মানুষ। আপনার বাড়ির পাশের বাজারে যেই জেলেটা বড় মাছ বিক্রি করতে এসে ফেরৎ গেল সামর্থবাণ ক্রেতার অভাবে এবং সেই জেলের ঘরে সেদিন যদি খাবার না জোটে তার দায়ভার ও আপনার। নশ্বর পৃথিবী বলে সব ছেড়ে দেয়ার নাম যেমন জীবন নয় তেমনি প্রকাশনা দিয়ে জ্ঞানের বই বিলি করার নাম কিন্তু প্রতিভা নয়। প্রতিটা মানুষ তার প্রতিটা চরিত্রের দায় শোধ করা পর্যন্ত সে অসম্পুর্ন।

জানিনা আপনার পোষ্টের সাথে আমি কতটা সঙ্গত কথা বলেছি। না বললেও কোন অসুবিধা নেই।

শুভ কামনা

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: শার্দূল ২২ ভালো বলেছেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৪

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: ভাই, এতো সুন্দর করে আমার মনের কথাগুলো বলেছেন যে, আপনার ভেতর দিয়ে লেখাটি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেছে । আমিও তাই বিশ্বাস করি, সুন্দর কথা লেখা হল প্রতিভা, আর চরিত্রে ধারণ করার মধ্যে লুকায়িত জীবনের মাহাত্ম্য। অনেক অনেক শুভকামনা ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.