![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে আজীবন কেউ কখনো মন হতে ভালবাসতে পারবে না,আবার আজীবন মন হতে ঘৃণাও করতে পারবে না।
বাঙ্গালীর কথা বলার বিষয়ের অভাব নাই। খালি একটা কিছু পেলেই হল, আমার মত আজাইরা পোলাপাইন কিছু না কিছু একটা লিখবেই। সবার সাথে আমার ব্যতিক্রম হল, সবার মত আমার লিখা খুব সুন্দর কিংবা তথ্যবহুল হয় না, লাইক, শেয়ার পরে না! তারপরেও কিতা করাম, না লিখলে কেমন জানি লাগে।
এইবারের ফেবুর গরম খাদ্য দেখছি “সমকামিতা”। আমার কিছু ঘনিষ্ঠ সমকামী বন্ধু ছিল। আগেই বলে রাখি, মনের ঘনিষ্ঠতা, বন্ধুর মত, শারীরিক নহে। বেশ কৌতূহল বসতই তাদের সাথে মেশা। জানতে পারলাম, ছোট বেলায় বড় কারও দ্বারা শারীরিক নির্যাতন, কিংবা বর্তমান দরিদ্রতার কারণে, কিংবা কোন সঙ্গী না পাওয়ার কারণেই সখ হতে স্বভাব।
ফেবু হতে জানলাম চিকিৎসা বিজ্ঞান এক হলেও সমকামিতা নিয়ে দুই পক্ষের হয়ে দুই কথা বলে। আমেরিকাতে সমকামী বিবাহ বৈধ। তাতে আমাদের পেটে কি ভাত জুটবে? অন্তত আমার পেটে জুটবে না।
তবে মজা পেয়েছি যখন অনেকে এই পদক্ষেপ কে সাহসী, যুগের উপযোগী, যথার্থ, ভালবাসার জয় কিংবা বিকৃত, ইয়া নাফসি ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে দেখে।
আমি সঠিক তথ্য জানিনা, তবে সমকামী বিবাহের বৈধতা নিয়ে আন্দোলন অনেক দিনের। এর কারণ হল সমাজে এইসব Taboo বা নিষিদ্ধ ধরা হয়। তাই তারা সামাজিক ভাবে নিজেদের স্বীকৃতি পেতে আন্দোলনে যায়। একজন, দুইজনে-তো আর আন্দোলন হয় না। তাই এই সমকামী মানুষে সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারণেই আন্দোলন সফল হয়েছে, অনেক জায়গার মত আমেরিকাতেও। একই রকম অনেক গুলো বা একই মতের অনেক গুলো মানুষ মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে কোন কিছু আদায় করার ঘটনা এই প্রথম নয়। ফিলিস্তিনর একীভূত আন্দোলন কিংবা রোহিঙ্গাদের আন্দোলন যদি সফল হয়, তবে আমাদের অনেকের ভালো লাগবে, কিন্তু সমকামিতায় আমার কেমন জানি একটা খটকা লাগছে।
আমাদের দেশে এমন অনেক খবর পড়েছি যাতে নাতি নানী, দাদী কিংবা দাদা নাতনী কে নিয়ে নাই হয়ে যাওয়া। ভারতে অনেকবার শুনেছে বাবা তার মেয়েকে.................. কিংবা ইউরোপ-আমেরিকাতে...............। বলতে চাইনা সব, কল্পনা করে নিন, না পারলে একটু গুগোল মামুকে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করেন। অনেক কিছুই পাবেন, বিজ্ঞানের কল্পকাহিনীকেও হার মানাবে। আমি এইসব কে বলি “মুক্তচিন্তা ও আধুনিকতার কল্পকাহিনী”।
“ইউরো ট্রিপ” সিনেমায় দেখেছিলাম নগ্ন মানুষের সমুদ্র সৈকত, কিংবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফী এর বদৌলতে নগ্ন মানুষদের চার্চ। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বুঝলাম, যে আমারা সবাই জানি নারী কিংবা পুরুষের দৈহিক কাঠামো। তাহলে কাপড় পরার দরকার কি? তাছাড়া মানুষ ছাড়া আর কেউতো কিছুই পরেনা। আর জন্ম কি কাপড় পরেই হয়? আর নগ্ন কোন বাচ্চাকে দেখলে কোন সমস্যা নাই, বড়দের দেখলেই যত সমস্যা। আমি মনে মনে বললাম, কথা সত্য, তবে তোমাদের তরফ থেকে।
আরও একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি, অনেকের মতে পতিতালয় গুলো নাকি আমাদের সমাজ রক্ষা করছে, ধর্ষণ এর হার কমাচ্ছে। যারা এইসব বলে আমার অনুমান এরা খুব আধুনিক। নারী পুরুষ সমঅধিকারে নিবেদিত প্রাণ। তাহলে, পুরুষের যাওয়ার পতিতালয় থাকলে, নারীরা কি দোষ করলো? আপনি গেলে দোষ, আপনার ..................... গেলে সমাজ বিনষ্ট? এইডা কেমন কথা? আর ধর্ষণ কমাতে যাবেন যখন, তবে লুকিয়ে কেন? সবাইকে সমাজ সেবার কথা জানান, পারলে সভা-সেমিনার করুন নিজের কাছের কোন নারীকে নিয়ে। আন্দোলনও করতে পারেন। এতে কি আর পুরো সমাজ পতিতালয় হবে নাকি? মুক্তমনা হবে। বাক এর মতই শারীরিক স্বাধীনতা বাড়বে। তাছাড়া পতিতালয় গুলোর প্রাচীর তুলে দিলে সবাই সেখানে যেতে আগ্রহী হবে; তেঁতুল তত্ত্বানুযায়ী। (এমন একটি ঘটনা “পারফিউম” সিনেমার শেষের দিকে দেখেছিলাম।) আর এক দিন, দুই দিন কিংবা বহু দিন যাবার অভ্যাস কি তিন বছরের শিশু দের ধর্ষণ হতে রক্ষা করবে? নাকি জৈবিক তাড়নায় তাড়িত হয়ে কাম কাজের পরিমাণ বাড়বে? উত্তর যাইহোক, পতিতালয় বাড়ানো হউক, অনেকেই কি এখনও চাইবেন? লজ্জা কীসের। আমারাতো আমারাই।
যাইহোক, ভাবছি কবে এই উপরের শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে আধুনিকতার খোলসে, আর সামাজিক স্বীকৃত পেতে করবে আন্দোলন নানা যৌক্তিকতায়, পরে তা Successful। আচ্ছা, সেই Successful সমাজ কেমন হবে? আধুনিক নাকি আদিম?
আমি মূর্খ, জ্ঞ্যানহীন। আমার উত্তর গুলো আসলেই কেমন তা যাচাইয়ে সবার উত্তর দরকার।
©somewhere in net ltd.