নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় দায়মুক্তি দিবস উদযাপনের প্রস্তাবিত পদ্ধতি

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

কোনো একটি শুক্রবারে একটি খোলা মাঠে একজন ইমামের পেছনে গোটা জাতির প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ সহ সম্ভাব্য জনগণকে নিয়ে জুমুয়ার সালাত আদায় করা হবে।
এ, জাতীয় অনুষ্ঠানে মহিলারাও অংশগ্রহণ করবেন। মক্কা-মদিনা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মসজিদ সমূহে যে ধরণের পোশাক পরে মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে পুরুষদের সাথে অংশগ্রহণ করে থাকে, তেমনি পোশাক পরে এ অনুষ্ঠানেও মহিলারা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন। কেননা, মহিলারাও তাওবা-ইস্তেগফার, বাইয়াত ও সালাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অধিকার রাখেন। এ সব কাজে অংশগ্রহণ করে কল্যাণ লাভ করা মহিলাদের জন্যও জরুরী। উপরন্তু এসব কাজ থেকে মহিলাদেরকে বঞ্চিত ও বিরত রাখার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। অবশ্য যেসব মহিলাদের বিশেষ অবস্থাগত কারণে সালাত সাময়িকভাবে মওকুফ থাকে, তারা এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে ইমামের খুৎবা/ভাষণ শুনবেন এবং তাওবা-ইস্তেগফার ও শপথ গ্রহণ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সালাত চলাকালীন সময়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিশ্চুপ হয়ে চুপিসারে আল্লাহর যিকর করবেন।
সালাতুল জুমুয়ার ২টি পর্ব থাকে। (১) খুৎবা/ভাষণ, অনুশোচনা, পাপ মোচন ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা, উপদেশমূলক বক্তব্য ইত্যাদি। (২) নামায আদায়। কাজেই অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে শৃঙ্খলার সাথে কাতারবন্দী হয়ে খুৎবা/ভাষণ, ঘোষণা, সকল ধর্মের লোকদের উপযোগী উপদেশ ইত্যাদি শুনবেন এবং অনুশোচনা, প্রার্থনা ও শপথ অনুষ্ঠান বা স্বীয় ধর্মে নিষিদ্ধ নয় এমন সব কাজে অংশগ্রহণ করবেন। আর শুধুমাত্র নামাযের সময় নিজ নিজ স্থানে নিশ্চুপ থেকে মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবেন। নামায শেষে করণীয় পর্যায়ে যেসব কথা বলা হবে বা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেগুলোতে অংশ নিবেন। এ পর্যায়ে শ্রী কৃষ্ণের উপদেশটি স্মরণীয়। তিনি বলেছেন, যে কোনো ধর্মকে সঠিকভাবে চর্চার মাধ্যমে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
উল্লেখ্য যে, উক্ত দিবস পালনের বিস্তারিত নিয়ম-কানুন ও খুঁটি-নাটি বিষয় যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে সালাতুল জুমুয়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সমাপ্ত হবার পর এর আলোকে দেশের সকল মসজিদে এবং সকল মন্দির-গীর্জা-------সহ সকল উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া/প্রার্থনা অনুষ্ঠান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

এ অনুষ্ঠানে সবাই অংশগ্রহণ করবেন কেন?
প্রতিটি মানুষই পারিবারিক বা সামাজিক কোনো না কোনো পর্যায়ে দায়িত্বশীল। আর দায়িত্ব পালন করতে গেলে ত্রুটি-বিচ্যুতি হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। এজন্যেই বলা হয়ে থাকে যে, কোনো মানুষই ভুলের উর্দ্ধে নয়। সমাজের দূরাবস্থার জন্য সমাজের প্রতিটি সদস্যই কমবেশি দায়ী। যারা বিভিন্ন অপরাধে সরাসরি জড়িত তারাতো অবশ্যই অপরাধী। কিন্তু বাকীরা অপরাধীদেরকে সংশোধনের কাজে সক্রীয় না হবার কারণে কিংবা সংশোধনের কাজে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারার জন্যও তো কম দায়ী নন। আর সামাজিক দায়িত্ব পালনের কোনো সীমারেখা নাই। সমাজে যার অবস্থান যতো উপরে, সামাজিক দায়বদ্ধতা তার ততো বেশি। এজন্যে মহামানবেরা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থায়, সর্বোত্তম যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের পরও গর্ব ও অহংবোধে আত্মতৃপ্ত না হয়ে বরং বিনয় ও নম্রতা নিয়ে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিজেকে অত্যন্ত তুচ্ছ ও নগণ্য মনে করতেন এবং নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা ভিক্ষা চাইতেন। এ জন্যেই মহান নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৈনিক সত্তর বারেরও বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করতেন। মূলতঃ ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে মানুষের দুর্বলতা প্রকাশ পায় না বরং মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
তাই আমরা সবাই অর্থাৎ বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষ যে যে অবস্থানেই থাকি না কেন, নিজেদের উপর অর্পিত পেশাগত, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, দলীয়, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে কিংবা উচ্চ মান সম্মত না হবার দুর্বলতা রয়েছে, সে সবের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে ব্যক্তিগতভাবে ও দলীয়ভাবে ক্ষমা চাইবো।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন করা হবে?
শারীরিক ও মানসিক রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের জন্য এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, কবিরাজি, আকুপাংচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তেমনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইত্যাদির জটিল সমস্যা সমূহের জন্য প্রচলিত ও গতানুগতিক বিভিন্ন পদ্ধতির বাইরেও গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ এমন পদ্ধতি রয়েছে---যা গ্রহণ করলে অতি সহজেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার সাথে তুলনা করা হলে উক্ত (প্রস্তাবিত) পদ্ধতিকে হোমিও চিকিৎসার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তবে হোমিও পদ্ধতিতে সময় লাগে বেশি, অথচ এ পদ্ধতিতে সময় লাগবে অনেক অনেক কম। আর এ পদ্ধতি হলো “আধ্যাত্মিক পদ্ধতি”। এ পদ্ধতি বলেই যুলকারনাইন, নবী সুলায়মান এবং বনী ইসরাঈল প্রমুখ মহান ব্যক্তি ও জাতি বিশ্ব জয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ পদ্ধতির ডোজ বা মাত্রা কতটুকু ও বাস্তবায়ন কৌশল কিরূপ হবে, তা নির্ভর করবে কতো পার্সেন্ট জনগণ কতো পার্সেন্ট সাড়া দিল তার উপর। কেননা, এ পদ্ধতি কারো উপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়াকে সমর্থন করে না। এ আধ্যাত্মিক পদ্ধতি হলো অনেকটা অলিখিত সংবিধানের ন্যায়। পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে সংগতিপূর্ণ। পিছনের সব গ্লানি, ব্যর্থতা, হতাশা, নিরাশা ও ভয়-ভীতিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। তাই এ পদ্ধতি খুবই গতিশীল এবং অগ্রগতি ও সামনে এগিয়ে যাবার পথে সহায়ক।
শরীর, মন ও আত্মার উৎকর্ষ সাধনই শিক্ষার লক্ষ্য। আর এটা শান্তি, নিরাপত্তা এবং অগ্রগতির জন্যও অত্যাবশ্যক। আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনা থেকেই মন ও আত্মার পরিশুদ্ধি ও উন্নতি সাধিত হয়ে থাকে। যার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। আর ধর্মীয় উপলব্ধি আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনার ধারক।
অণু-পরমাণু থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের প্রতিটি কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থেরই ধর্ম রয়েছে। ধর্ম ছাড়া কোনো পদার্থই স্বীয় পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে না। ধর্ম ছাড়া কোনো পদার্থ, পদার্থই নয়। যেমন- চুম্বকের ধর্ম আছে, বিদ্যুতের ধর্ম আছে, পানির ধর্ম আছে। এ সব ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য ছাড়া চুম্বক চুম্বক হতে পারে না, বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ হতে পারে না, পানি পানি হতে পারে না। তদ্রূপ মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিছু বিশ্বাস-আচরণ বা ধর্ম না থাকলে মানুষ প্রকৃত মানুষ হিসাবে পরিচিত হতে পারে না। বাস্তবিক পক্ষে মানুষের জীবনের প্রতিটি বিশ্বাস, কাজ ও আচরণের সাথে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক চেতনার সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলেই প্রকৃত সফলতা লাভ সম্ভব। মূলত এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে উন্নত-অনুন্নত বিভিন্ন দেশে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, প্রার্থনা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থকে মূল্যায়ন করা হয়।
তাই সকল ব্যক্তি ও দলগুলোর সংশোধন এবং প্রত্যেক ব্যক্তি ও দলকে মানব কল্যাণে পেরেশান করে তুলতে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক চেতনাকে লালন ও বিকশিত করতে হবে অবশ্যই। আসলে এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রকৃতপক্ষে ধর্মের সঠিক জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ অনেক ধার্মিক লোকের পক্ষ থেকে বিকৃতভাবে ধর্মের উপস্থাপন অনেক লোকের ধর্ম বিদ্বেষী হবার অন্যতম কারণ। আবার অনেক লোকের জিদ ও হঠকারি মনোভাব এবং বিভিন্ন প্রকার লোভ ধর্মের আসল তত্ত্ব বোঝা থেকে বিরত রেখেছে। এ দু’টো বিষয়ের সফল মোকাবেলা করতে পারলে দুনিয়ায় ধর্মহীন বা অধার্মিক কোনো লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
বর্তমানে যেসব কারণে প্রায় প্রতিদিনই বড় বড় নেতা-নেত্রীরা পরস্পরকে উদ্দেশ্য করে দোষারোপ করে চলেছেন, সেসব অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যে, শত্রুকে বন্ধুতে রূপান্তর করার জন্যে, সকল ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনে, দেশের সকল নাগরিককে অন্যায় ও দুর্নীতির প্রভাবমুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সক্রীয় করার জন্যে এবং সকলের মধ্যে স্বদেশ-প্রেম, দায়িত্বানুভূতি, কর্তব্যনিষ্ঠা জাগ্রত করে স্বনির্ভর ও সক্রীয় জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর উপযোগী করার জন্যে জাতিকে আধ্যাত্মিক চেতনা বলে বলীয়ান করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই—দেশ-বিদেশের বর্তমান সার্বিক প্রেক্ষাপট এবং পারস্পরিক দোষারোপের প্রাবল্য এটাই প্রমাণ করছে। এ জন্যেই আমরা যথাসম্ভব দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক জনগণকে নিয়ে একটি প্রার্থনা সভা বা সালাতুল জুমুয়ায় অংশ নিয়ে আমাদের সকলের অতীতের সকল অপরাধের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইবো এবং ভবিষ্যতে সুন্দর পথে চলার জন্য শপথ ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবো এবং প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে গোটা জাতিকে এতে অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা করবো।
প্রস্তাবিত দায়মুক্তি দিবস পালন ও শরীয়া আইন
আমরা যে দিবস পালনের কথা ভাবছি, সেখানে নিজেদের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া ও অপরের অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া এবং ভবিষ্যত জীবনকে সুখময় ও আনন্দদায়ক করে তুলতে প্রয়োজনীয় কাজ করার শপথ নেয়াটাই প্রাধান্য পাবে। এর মাধ্যমে ইসলামী শরীয়া আইন চালু হয়ে যাবে—এমনটা মনে করার কোনো অবকাশ নাই। কেননা, শরীয়া আইন বাস্তবায়নের জন্য যে প্রেক্ষাপট বা পরিবেশ দরকার, সেটা এখনো তৈরি হয়নি। বস্তুত সেই প্রেক্ষাপট বা পরিবেশ তৈরি হবার পরই শরীয়া আইনের বাস্তবায়নে আগ্রহীগণ শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিবেন কি না—এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন। আর উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে পরে কোন পদ্ধতিতে তা করবেন, তারও কৌশল তারা নির্ণয় করবেন।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইসলামী শরীয়া আইনে নির্দিষ্ট পরিমান চুরির শাস্তি হলো ‘হাত কাটা’। তবে চুরির অপরাধ যথাযথ ভাবে প্রমাণিত হবার পর শাস্তি প্রয়োগের আগে দেখতে হবে যে, চোর তার মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করতে না পারার কারণে চুরি করেছে কি না! যদি মৌলিক চাহিদা পূরণের অভাবে চুরি করে থাকে—তাহলে তাকে এ শাস্তি দেয়া যাবে না। বরং তার এবং তার উপর নির্ভরশীলদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা সরকারকে আগে করতে হবে এবং চোরকে সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এতোসব করার পরও যদি কেউ অভ্যাস সুলভ বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা জনিত কারণে চুরি করে (অন্যের জীবনকে বিপন্ন করে তুলে,) তাহলে তো তাকে কঠিন শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ন্যায়-ইনসাফের অপরিহার্য দাবী। আর তাই তখনই তার উপর শরীয়া আইন কার্যকর করা হবে। এভাবে শরীয়ার সবগুলো আইনই কার্যকর করার আগে সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট ও ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে শরীয়া আইন কায়েম বা প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের দৃষ্টিভংগী নয়। এ জন্যই নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মাক্কী যুগে তাঁর বিরোধী মহলের পক্ষ থেকে তাঁর চাচা আবু তালিবের মাধ্যমে সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের জোরালো আহ্বান সত্ত্বেও (উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায়) নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটা গ্রহণ না করে প্রত্যাখ্যান করেন। আবার পরবর্তীতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির পর মদীনায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাস্তবিক পক্ষে প্রস্তাবিত দিবস পালনের মাধ্যমে আমি এমন একটি পরিবেশ তৈরির কাজের সূচনা করতে চাই—যে পরিবেশে জনগণ সম্মান জনক ভাবে তাদের চিন্তা-চেতনার আলোকে তাদের আদর্শ নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.