নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিক-নাস্তিক-মুরতাদ-ধর্মদ্রোহী ও সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গ

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২২

এ মহাবিশ্বের সব কিছুর সৃষ্টি ও পরিচালনার পিছনে একজন কারিগর আছেন বলে আস্তিকেরা স্বীকার করে। তবে বিভিন্ন জন তাঁকে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করে থাকে। যারা নাস্তিক, মুরতাদ বা ধর্মদ্রোহী হিসাবে স্বীকৃত তারাও বিপদে-আপদে-মুসীবতে পড়লে চুপিসারে একমাত্র আল্লাহকে ডাকে। প্রতিটি মানুষের স্বভাবের মধ্যেই আস্তিক ও ধার্মিক হবার প্রবণতা বিদ্যমান। কিন্তু এ প্রবণতাকে জাগিয়ে তোলার জন্যে যে ধরণের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ও চেষ্টা-যত্ন পাওয়া দরকার, তার কতোটা কয়জন পেয়েছে? আমি একজন আস্তিক ও ধার্মিক হিসাবে নাস্তিক-মুরতাদ-ধর্মদ্রোহীদের প্রতি বোঝানোর যে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল, তার কিছুই পালন করতে পারি নি। এমনকি এধরণের কারো সাথে আমার সরাসরি কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত হয় নি। তাই তাদের কাউকে কটাক্ষ বা আঘাত করে কথা বলা সমিচীন মনে করি না। যাদেরকে নাস্তিক-মুরতাদ-ধর্মদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, তারা অনেকেই জানার অভাবে অজ্ঞতা বশতঃ ধর্মীয় দৃষ্টিতে অনেক অমার্জনীয় অপরাধ করে বসেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানের অপর্যাপ্ততা, অতি বাড়াবাড়ি এবং ধর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনাকে ঐসব ধর্মত্যাগীগণ যুক্তি হিসাবে দাঁড় করান। তবে ঐসব ধর্মত্যাগী মুরতাদগণকেও আবার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রান্তিক মূহুর্তে ধর্মকে স্মরণ করতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ না হলেও যেহেতু বিভিন্ন মাধ্যমে নাস্তিক-মুরতাদ আছে বলে জানা যায়, সেহেতু আমি ধর্মের প্রকৃত রূপ ও চেহারা নিয়ে দৃষ্টান্তসহ বৈজ্ঞানিক উপায়ে তাদের সামনে উপস্থিত হতে চাই।
এক সময়ে পৃথিবীতে একটিমাত্র ধর্ম ছিল। পরবর্তীতে বিকৃত হয়ে অনেকগুলো ধর্মে রূপান্তরিত হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ধর্মের নামে অনেক অধার্মিক কাজ চারিদিকে প্রচারিত হচ্ছে। ফলে অনেক বিবেকবান ও রুচিবান বোধা মহল ধর্মের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তাই ধর্ম বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ধর্মের নামে কুসংস্কার সমূহ চিহ্নিত করে ধর্মের আসল পরিচয় বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই। কেননা, ধর্ম জোর করে চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। এ কাজে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে ব্যর্থ ও নিরাশ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নাস্তিক-মুরতাদ বলে সম্বোধন করতে চাই না। আমি আস্তিক-নাস্তিক-মুরতাদ নির্বিশেষে সকল মানুষেরই প্রকৃত কল্যাণ সাধনে কাজ করতে চাই।
আস্তিক লোক মানেই নৈতিক চেতনা ও আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী। ফুলের সুবাস যেমন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে সকলকে বিমোহিত করে, তেমনি আধ্যাত্মিক শক্তি সকল মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করে। আর আধ্যাত্মিকতার এমন একটি স্তর রয়েছে, যেখানে পৌঁছলে পরে ব্যক্তি সকল ধর্মের সকল লোকের কাছেই আপন হয়ে সকলের সম্পদে পরিণত হয়ে যায়। তাঁর কাছ থেকে সবাই উপকৃত হয়। তিনি সকল মানুষেরই কল্যাণ করতে চান। তাইতো হযরত শাহজালাল (র), মঈনুদ্দীন চিশতি (র), মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) প্রমূখ ওলী-আওলিয়া বলে খ্যাত মনীষীদের জীবদ্দশায় তাঁদের কাছে সকল ধর্মের লোকেরা কল্যাণ ও সহযোগিতা লাভের জন্য যেত। অনুরূপ তাঁদের ইন্তেকালের অনেক পর এখনো তাঁদের মাজারসমূহে সকল ধর্মের লোকেরা কল্যাণ লাভের আশায় গিয়ে থাকে। আমি আধ্যাত্মিকতায় উঁচু মাপের না হলেও আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনা থাকায় পেশাধারী মনোভাব পরিহার করে নিঃস্বার্থভাবে সকল ধর্মের সকল মানুষেরই প্রকৃত কল্যাণের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
দুনিয়ায় যত মন্দ, অপরাধী ও দোষী মানুষ আছ, তোমাদের চিন্তা ও ভয়ের কোনো কারণ নেই। মন্দকে ভালোতে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা আধ্যাত্মিক সিস্টেমে রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের মাঝেই কিছু না কিছু গুণ আছে---যেটাকে লালন করলে বা উৎকর্ষ সাধন করলে এটা দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এর দৃষ্টান্ত দিয়াশলাইর কাঠির মতো। দিয়াশলাইর একটি কাঠির ডগায় সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকা আগুন প্রজ্বলিত করে দুনিয়ার প্রতিটি বস্তুর সাথে সংযোগ স্থাপন করে দিলে সারা দুনিয়াকে জ্বালিয়ে শেষ করে দিতে পারে। আমি প্রতিটি মানুষের মধ্যে প্রকাশ্য ও ঘুমিয়ে থাকা সুপ্ত গুণগুলোকে জাগিয়ে তুলে তাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে সারা দুনিয়াকে আলোকিত করে দিতে চাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুনিয়াকে আলোকিত করার জন্য নতুন কোনো দল গঠনের দরকার আছে বলে মনে করি না। বরং যেসব দল রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বিদ্যমান গুণগুলো ভালোভাবে লালন ও বিকশিত করতে পারলে পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগ্রন্থে কিছুটা ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। আর সেসব ভবিষ্যদ্বাণী আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে সত্যে পরিণত হতে চলেছে—অন্তরচক্ষু ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আধ্যাত্মিক লোকদের কাছে তা মোঠেই গোপন নয়। অতএব এ মহাসত্যের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা বোকামী বলে অচিরেই প্রমাণিত হবে। আর এ কাজে যারাই আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে থাকবে শীঘ্রই তাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে ইনশাআল্লাহ্‌!
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর অগ্রসর-অনগ্রসর বহু রাষ্ট্রে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে বা ধর্মগ্রন্থ মোতাবেক পন্থায় শপথ গ্রহণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ বা জীবনের টার্নিং মোড়ে ধর্মগ্রন্থের আলোকে কাজ করে থাকেন। এটাকে তারা সাম্প্রদায়িক ও সেকেলে মনে করেন না।
কাজেই আমাদের পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে জাতীয় বিপর্যয়ের এ মূহুর্তে সকল দল ও মতের লোকেরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় প্রার্থনা দিবসে যোগদান করে নিজেকে এবং জাতিকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ সাম্প্রদায়িকতার পর্যায়ে পড়বে না এবং এ কাজে হীনমন্যতা বোধের ন্যুনতম কোনো কারণ নেই।

আমার আধ্যাত্মিক সাধনার প্রেক্ষাপট
আমি আপনাদের নিকট সম্পূর্ণ অচেনা-অপরিচিত একজন ব্যক্তি। তাই আমার বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে সম্পূর্ণ অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংক্ষেপে আমার খানিকটা পরিচিতি তুলে ধরছি। আমার শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম একজন নীরব অথচ সার্থক উঁচু মাপের ওলী আল্লাহ ছিলেন বলে তাঁর পরিচিত আধ্যাত্মিক জগতের সকলের প্রবল ধারণা। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুরের হযরত শাহ সূফী মুহাম্মদ ইবরাহীম খান নক্সবন্দী-মুজাদ্দিদী (র)- এর সুযোগ্য খলীফা ছিলেন। আমার আব্বা আধ্যাত্মিকতা চর্চায় অনেক উচ্চ স্তরে অবস্থান করা সত্ত্বেও আধ্যাত্মিকতাকে তিনি পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন নি। বরং মহান শিক্ষকতাকে তিনি পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। আমার আব্বা ছোট বেলা থেকে আমাকে তাঁর মতো করে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে আমার নানীর নানা ছিলেন সিলেট বিভাগের প্রখ্যাত জমিদার, প্রবল আধ্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন মরমী কবি দেওয়ান হাছন রাজা। আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় প্রভাবিত উক্ত পরিবারের সুযোগ্য উত্তরসূরী আমার মরহুমা মাতাও অত্যন্ত আল্লাহ প্রেমিক আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। বাল্যকালে তিনি আমাকে বিপুল সংখ্যক ওলী-আওলিয়া ও নবী-রাসূলের জীবনী এতো বেশি শোনাতেন যে, মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষা লাভের সময় পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে এতো বেশি জানার তেমন সুযোগ হয়নি। মা-বাবার পক্ষ থেকে আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং আরো অনেক আল্লাহ প্রেমিক মানুষের সংস্পর্শে এসে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যথাসম্ভব আধ্যাত্মিক সাধনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আধ্যাত্মিকতাকে আমি পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে রাজী নই। বরং মানবতার কল্যাণে এটাকে কাজে লাগাতে চাই।
বিনিময় বা পুরস্কার
আমার একাজের বিপরীতে আমি কারো কাছে কোনো প্রকার বিনিময় বা পুরস্কার কামনা করি না। পুরস্কার চাই একমাত্র আল্লাহর কাছে। দুনিয়ার কোনো প্রকার পদ-পদবী আমার কাম্য নয়। বরং পেশা হিসাবে যে ছোট চাকরি নিয়ে আছি, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। কোনো প্রকার পদ-পদবী ছাড়াই সীমাহীন সীমাবদ্ধতার মাঝে ক্ষুদ্র অবস্থানে থেকেও পূর্ণ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সঠিক কর্মপন্থা নিয়ে কাজ করলে পেশাগত সফলতার পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্যও উল্লেখযোগ্য কিছু করা সম্ভব, এটা আমি প্রমাণ করতে চাই—যাতে করে সকল মানুষই সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসে।
সকলের প্রতি আমার আহ্বান
দেশকে বর্তমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এবং পারস্পরিক দোষারোপের পরিবেশ থেকে সবাইকে মুক্ত করার জন্য একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে সার্থক ভূমিকার মাধ্যমে সরকারকে এবং বিরোধী দলকে সাহায্য করতে চাই। কিন্তু আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারি না। ফলে আমার পক্ষে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবেলা করা রাজনৈতিক ভাবে সম্ভব নয়। তাই রাজনীতির পরিবর্তে আধ্যাত্মিক উপায়ে অবস্থার পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই। আর তারই অংশ হিসাবে সকলের উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় দায়মুক্তি দিবস’ বা ‘জাতীয় শপথ দিবস’ বা অনুরূপ কোনো দিবস পালনের সরাসরি সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই। কিন্তু যেহেতু আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা, সেহেতু যে কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করতে হলে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ কাজের অনুমতি ও উৎসাহ দেয়ার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগ বিভিন্ন মাধ্যমে আবেদন জানানোর জন্য দেশের সর্ব স্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, এখনো পর্যন্ত এ কাজে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমি একেবারেই একা। আমার কোনো দল নেই, কর্মী নেই, পরামর্শ দাতা নেই, অফিস নেই। কাজেই আপনারাই আমার সহকর্মী, আপনারাই আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। আমি যেহেতু নিজেকে সহ সকল মানুষেরই উন্নতি, সংশোধন, কল্যাণ ও উপকার করতে চাই এবং কাউকেই আমি শত্রু মনে করি না। তাই আপনারাও সকলের সংশোধন, কল্যাণ ও উপকারের কাজে আমার সহকর্মী হয়ে আমার সাথে এগিয়ে আসবেন—এ প্রত্যাশা করি। আপনাদের পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশি, সহকর্মী এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাদের সাথেই আপনাদের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সবাইকে এ কাজে নিয়োজিত করার চেষ্টা করুন এবং তাদের কাজের তদারকী নিজ উদ্যোগে করতে থাকুন। এভাবে আমরা সম্মিলিতভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রফুল্ল মনে এগিয়ে যাই শান্তির পথে, মুক্তির পথে, কল্যাণের পথে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আমার এ আহ্বান।
আমার সাথে যোগাযোগের পদ্ধতি
আমার আহ্বানের সাথে যারা একমত হয়ে কাজ করতে আগ্রহী তারা দ্রুত বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সারা দেশের ১৬কোটি মানুষের কাছে এ আহ্বান পৌঁছিয়ে দিয়ে তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন এবং আপনাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, দায়িত্বশীল ও নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে ১৪দলীয় জোট, ২০দলীয় জোট এবং অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ‘জাতীয় দায়মুক্তি দিবস’ পালনে এগিয়ে আসতে ও তৎপর হতে উৎসাহিত করুন।
আমার এ আহ্বান ও বক্তব্যের ব্যাপারে আপনাদের অনেক প্রশ্ন ও জানার অনেক কিছু থাকতে পারে। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আপাততঃ আপনাদের সকল প্রশ্ন স্মরণ রাখুন অথবা লিখে রাখুন। সুযোগ পেলেই আপনাদের প্রশ্নসমূহ জানানোর পদ্ধতি বলে দিব এবং এ সবের সন্তোষজনক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্! এ মূহুর্তে মেহেরবানী করে আপনারা আমার সাথে সরাসরি কিংবা ফোন, চিঠি অথবা অন্য কোনো উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করবেন না। কেননা, আগেই বলেছি আমার কোনো অফিস বা স্টাফ নাই, ভাড়া করা বাসায় মেহমানদারি বা জনসংযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাই। কর্মস্থলে বাইরের কারো সাথে সাক্ষাৎ বা যোগাযোগ করা বা পেশাগত দায়িত্বের সাথে সম্পর্কিত কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা সমীচীন মনে করি না। তাই আপনাদেরকে আমার সাথে যোগাযোগের সুযোগ আপাতত দিতে পারছি না বলে দুঃখিত। কাজেই আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা না করে নানাবিধ উপায়ে গণসংযোগ অব্যাহত রাখুন এবং ‘জাতীয় দায়মুক্তি দিবস’ পালনের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকুন। প্রয়োজন মতো আমিই আপনাদের সামনে আসার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ! আপাতত আল্লাহ্‌ চাহে তো প্রতি শুক্রবারে অত্র ওয়েব সাইটে আমার কিছু কিছু বক্তব্য আপনাদের সামনে দেয়ার চেষ্টা করবো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.