নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য করণীয় (১ম পর্ব)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

সন্ত্রাস আর জঙ্গি তৎপরতায় সারা জাতি আজ উদ্বিগ্ন! শুধু সারা জাতিই নয়, সমগ্র বিশ্বই আজ স্তম্ভিত ও পেরেশান। সকল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পেছনে স্থানীয় সমস্যার পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে বলে প্রায় সবাই একমত। বিভিন্ন নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অনেকেই বিভিন্ন ধর্মের নাম ব্যবহার করে থাকে। অথচ এসব সন্ত্রাসীদের মুখে ধর্মের দোহাই দেয়া মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের মুখে ধর্মের নাম ব্যবহারের কোনো বৈধতা নেই, তাদের মুখে এটা মানায় না, এটা তাদের মুখে শোভনীয় নয়। কেননা, সকল ধর্মের ধার্মিক লোকেরাই এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো ধর্মেই সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার কোনো স্থান নেই। শুধু তাই নয়, বরং সকল প্রকার বৈষম্য, সন্ত্রাস, যুদ্ধ, অস্ত্রের মহড়া ও শান্তি বিনাশী সকল তৎপরতা বন্ধ করার জন্যই মূলত ধর্মের আগমণ হয়েছে।

কেউ শুধু মুখে ধর্মের নাম নিলেই প্রকৃত ধার্মিক হয়ে যায় না। বরং ধর্ম একটি অনুশীলন বা আমল বা প্র্যাকটিসের বিষয়। এজন্যে জান্নাত বা স্বর্গে যাওয়ার জন্যে ধর্ম-বিশ্বাসের সাথে আমল বা কর্মকে পবিত্র কুরআনে শর্ত হিসাবে জুড়ে দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে ধর্মীয় বিধানের চর্চা ও অনুসরণ করলেই ধার্মিক হওয়া যায়। কাজেই ধর্ম বিরোধী কাজ করে ধর্মের শ্লোগান দিলেই কাউকে ধার্মিক বলা এবং এবং এজন্যে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে দেয়া বিবেক সম্মত ও ন্যায়ানুগ হতে পারে না। এ রকম অন্যায় কাজ চলতে থাকলে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এতে করে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার আসল চিকিৎসা হয় না। মানুষকে শান্তিপ্রেমিক ও চরিত্রবান এবং মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে হলে সত্যিকার আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম চর্চা অপরিহার্য।

কেউ স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আর্মি বা কোনো বিশেষ পেশা কিংবা বিশেষ শ্রেণির পোশাক পরে কোনো অপরাধ করলে ঐ পেশা বা শ্রেণির সকল লোকদেরকে ঐ অপরাধে অপরাধী মনে করা মোটেই উচিত বা ন্যায়সঙ্গত নয়। ঠিক তেমনি কেউ কোনো অপরাধ করে ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, ক্রিস্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম বা অন্য কোনো ধর্মের শ্লোগান দিলে সে শ্লোগান আদৌ ধর্মীয় শ্লোগান হিসাবে গ্রহণযোগ্য ও বিবেচিত হওয়া উচিত নয়। প্রকৃতপক্ষে এসব শ্লোগানদাতাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। সেটা বের করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পন্থা বের করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.