![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষক
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়
১। শাসক শ্রেণিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পূর্ণ আন্তরিক হতে হবে।
২। অস্ত্রধারী ব্যক্তি যে দলেরই হোক না কেনো, তাকে পাকড়াও করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
৩। কোনো ব্যক্তি, দল এমনকি সরকারের পক্ষেও গায়ের জোর প্রদর্শন এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না।
৪। বাঁকা ও ভ্রষ্ট পথে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে পিতামাতাসুলভ, বন্ধুসুলভ ও শিক্ষকসুলভ আচরণ দিয়ে সুপথে ও কল্যাণের পথে ফিরিয়ে আনারও উদ্যোগ নিতে হবে।
৫। বিভক্তি ও বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে গোটা মানব গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবার কৌশল নির্ণয়ের জন্য নিষ্কলুষ প্রকৃত বুদ্ধিজীবী ও প্রতিভাবান লোকদের মেধাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
৬। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত ধর্ম বিশেষজ্ঞ ও আধ্যাত্মিক সাধকদের সহযোগিতায় সর্ব স্তরের মানুষের অন্তরে যথার্থ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত করতে হবে।
৭। মনের সংকীর্ণতা পরিহার করে ক্ষমা ও উদারতার নীতি গ্রহণ করে বেশি বেশি মানুষকে পক্ষে এনে শুভাকাঙক্ষী বানানোর কৌশল আয়ত্ত্ব করতে হবে।
৮। হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, দোষারোপ, বিভাজন ইত্যাদি বিস্তারকারী আচরণ ও কার্যক্রম পরিহারে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৯। অস্ত্র ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং বিকল্প পেশার সন্ধানে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
১০। অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি বন্ধ করতে হবে এবং অতীতে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর বিষয়াদির একটি সম্মানজনক সহজ সমাধানে আসতে হবে। এজন্যে একটি সর্বদলীয় ‘সংশোধন প্রয়াস’ বা ‘দায়মুক্তির অনুষ্ঠান’ বা ‘তাওবা অনুষ্ঠান’ করা যেতে পারে।
১১। অন্যকে ঘায়েল করার পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
১২। এসব উদ্যোগে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাস্তব কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩। দেশ ও জাতির জন্য যারা নানাভাবে অবদান রেখেছেন, দল ও মতের উর্দ্ধে উঠে তাদেরকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে।
১৪। দেশ ও জাতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতকারীদেরকে ও তাদের উত্তরসূরীদেরকে প্রয়োজনে সাংবিধানিক স্থায়ী মর্যাদা দেয়া যেতে পারে। যেমনভাবে ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এসব করণীয় বিষয় যেমনিভাবে বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে জরুরী, তেমনিভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। (সমাপ্ত)
©somewhere in net ltd.