নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটির জন্যে দুয়া’ করতে ইচ্ছে হয়

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

মেয়েটির জন্যে দুয়া’ করতে ইচ্ছে হয়
(১ম পর্ব)
আমার বড় মেয়ে মুহসানা চৌধুরী দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেয়ার পর রিজাল্টের আগেই তার বিয়ের প্রস্তাব আসে। প্রস্তাবটি এনেছিলেন সমাজের উঁচু পর্যায়ের আমার একজন আন্তরিক শুভাকাঙ্ক্ষী। মহান এ মানুষটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা আমার উচিত হবে না বলে মনে হলো। তা ছাড়া বর পছন্দের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় দেখা হয়ে থাকে বা দেখা উচিত, প্রায় সেসব কিছু এ বরের মধ্যে পাওয়ায় মেয়ের বয়স অনেকটা কম হওয়া সত্ত্বেও ঘনিষ্টজনদের সাথে পরামর্শের পর আল্লাহর উপর ভরসা করে নির্দ্বিধায় মত দিয়ে দিলাম। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় অনেকের নানা মন্তব্য হজম করতে হয়েছে। অনেক রকম সমালোচনা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সকল দিক বিবেচনায় আমার এ সিদ্ধান্ত আল্লাহর রহমতে ভুল প্রমাণিত হয় নি। ভবিষ্যতেও যাতে আমার হিসাব ভুল প্রমাণিত না হয়, সে জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ভিক্ষা কামনা করছি।
পড়ালেখার প্রতি ঝোঁক থাকার কারণে বিয়ের প্রতি মেয়েটির কোনো খেয়ালই ছিল না। বিয়েতে তার সম্মতি আদায় করতে তার মাতা আফসানা বেগমকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। অবশেষে অভিভাবকদের মতামতকে সম্মান দিতে গিয়ে মেয়েটি রাজি হয়। বর পক্ষ মেয়েটির লেখাপড়ার সুযোগ দিবেন বলে ওয়াদা করায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া কিছুটা সহজ হয়েছিল। আমাদের এ সিদ্ধান্ত কতোখানি সঠিক ছিল, তা বলার সময় এখনও পুরোপুরি আসে নি। তবে অনেক আত্মীয়-বন্ধু অভিজ্ঞতা ও সামাজিক বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে বেশ আগে থেকে বলা শুরু করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারটিতে যে বিষয়টি আমার ইচ্ছা ও দৃষ্টিভঙ্গীর বিপরীতে কাজ করেছে, সেটি হলো বরের বিদেশী হওয়া। অবশ্য সমাজের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী এটা অত্যন্ত লোভনীয় ও কাঙ্ক্ষিত বিষয় হলেও আমি এর ব্যতিক্রম। আমি ছোটবেলা থেকে কখনোই বিদেশ কাঙ্গাল ছিলাম না। এখনও আল্লাহর রহমতে নই। ভবিষ্যতেও এ ব্যাপারে কোনো চিন্তা বা আগ্রহ নেই। আল্লাহ আমাকে বাধ্য না করলে আমার বিদেশ যাবার ব্যক্তিগত কোনো পরিকল্পনা নেই। আমার যুবক বয়সে ইংল্যান্ড-কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সম্মানের সাথে যাওয়ার জোরালো ৬টি প্রস্তাব পেয়েও আমি সেগুলো আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী জনিত কারণে প্রত্যাখ্যান করি। এর মধ্যে ২টি পরিবার আমার ব্যাপারে তাদের দেয়া প্রস্তাব না রাখায় অভিমান করে তারা আমাকে অনেক বছর পর্যন্ত বয়কট করেছিলেন। পরে অনেক কষ্ট করে আমি নিজে তাদের সাথে সম্পর্ক পুণঃস্থাপন করেছি। আমার আদর্শ মা-বাবাও এ ব্যাপারে আমার সাথে পূর্ণ একমত ছিলেন। আর্থিক অনেক টানা-পোড়েন সত্ত্বেও নীতিগত কারণে এ দু’টি প্রস্তাব তাঁদেরকেও সিদ্ধান্ত থেকে নাড়াতে পারে নি। এ জন্যে আমার প্রিয় মা-বাবার জন্যে উপযুক্ত বিনিময় কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে। বাকি ৪টি প্রস্তাব আমার বাবা-মা পর্যন্ত পৌঁছতে দেই নি। বিদেশের ব্যাপারে আমার এ কঠোর দৃষ্টিভঙ্গী সত্ত্বেও আমার মেয়ের জন্যে প্রস্তাবিত বরের মধ্যে অন্যান্য অনেক কোয়ালিটি থাকায় এ বিষয়ে একটু শিথিলতা প্রদর্শন করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেই। ফলে ২৬/১২/২০১১ তারিখে মেয়ের ১৮বছর ১০মাস এক দিন বয়সে তাকে বিয়ে দেই।(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.