নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিজেকে নিয়ে অপ্রকাশিত, জীবনকে জানার চেষ্টা করা, শেখার মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন কিছু অর্জন করার পথচলা।\"

মছিউদ দৌলা

মছিউদ দৌলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যরাতের রেললাইন

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১২

পর্ব-১
ডিসেম্বর 20
সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মাঝেকার ঘটনা। শীতের সকাল ঘন কুয়াশা আসতে আসতে কাটছে। জনমানবের চলাচল বাড়ছে | মেঘের মাঝে উঁকি দিচ্ছে সূৰ্য | চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেল লাইনের পাশে মানুষের কিছু ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহের অংশ | সহজেই বুঝা যায় রাতে হয়তো ট্রেন দূর্ঘটনার ফল | স্থানীয় লোকজন পুলিশ কে জানায় | পুলিশ আসতে আসতে ৯টা | ততক্ষনে চারদিক রোদের আলো ছড়িয়ে গেছে | আর মানুষও ভীড় জমিয়ে ফেলেছে| এতক্ষনে বুঝা গেল একটা নারীর লাশ । কিন্তু এমন ভাবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন যে শরীরের কিছু অংশ পাওয়া যাচ্ছে না । লাশ মর্গে নিয়ে আসা হলো । সকাল পেরিয়ে রাত কিন্তু কেউ এলো না খোজ নিতে। লাশটা ওভাবেই পরে রইলো মর্গে | আর হ্যাঁ ধারনা করা হচ্ছে নারীর লাশের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে | লাশ পোস্ট মর্টেমে।

ডিসেম্বর ২২
পুলিশ স্টেশনে একটা ফোন এল | দেওয়ানহাট রেল লাইনের পাশে আরেকটি লাশ পাওয়া গেছে | পূর্বের ন্যায় ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় | সকাল ৯ টা প্রায় | পুলিশের কর্মরত অফিসার রূদ্র আসবেন ১০ টা নাগাদ | কিন্তু স্টেশন থেকে ফোন আসা মাত্রই ৯.৩০ টার মধ্যে স্পটে হাজির সে এবং তার ফুল টিম | আজকের লাশ ও চেহারা ছিন্ন বিছিন্ন | তবে আদ পাকা চুল দেখে খানিকটা আন্দাজ করা যাচ্ছে ভদ্র লোকের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে | তাকেও স্টেশনে আনা হলো | আশে পাশে বস্তির মানুষ গুলোকে জিজ্ঞেস করলে তারা দূর্ঘটনার কোনো শব্দ মাত্র শুনেনি বা অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি | দুপুর হতে চললো এখনো কেউ খোজ নিতে আসেনি | হ্যাঁ আগের লাশ ও ওভাবেই পরে আছে | অফিসার রুদ্র কি বুঝে লাশ পোস্ট মার্টামে পাঠালো । তার কিছু একটা খটকা লাগছে । ২ দিনের ব্যবধানে ২ টা ট্রেনে কাটা পরা। স্বাভাবিক লাগতো যদি কেউ খোজ নিতে আসতো। পোস্ট মর্টেম শেষে লাশ দুইটি পুর্বের ন্যায় চট্রগ্রাম মেডিকেলের মর্গে রাখা হলো। পোস্ট মর্টেম এর রিপোর্ট এখনো আসেনি।এর মধ্যে অফিসার রুদ্র বিভিন্ন জায়গায় খোজ নিয়েও হতাশ তেমন কোনো প্রমাণ পাইনি। না দূর্ঘটনার না কারো স্বজন হারানোর না কিছু |

ডিসেম্বর ২৫
পুর্বের ন্যায় আবার পুলিশ স্টেশনে ফোন । এইবার স্থান বটতলী রেল লাইন | অফিসার রূদ্র এর মাথায় আবার দুশ্চিন্তের চাপ | এইবার মৃতদেহ ১৮ থেকে ২২ বয়সী যুবতী | পর পর তিনটি ঘটনা কি শুধুই কাকতালীয় !!! না এটা তো হতে পারে না | অফিসার রুদ্র নিজ ক্ষমতা র বলে এবং নিজ কৌতূহলে ৩টি পোস্ট মোটাম রিপোর্ট বের করে ফেললো | আশ্চর্য র বিষয় পূর্বের দুটি র মৃত্যুর সময় একই দিন মানে প্রায় ৭ থেকে ৮ দিন আগে | আর শেষেরটি গতকালের | লাশ তিনটির ডি এন এ টেস্ট হলো | কিন্তু রিপোর্টে যা আসলো তা অকল্পনীয় | যুবতী মেয়েটির সাথে ভদ্র মহিলা ও ভদ্র লোকের ডিএন এ 90% মিলে গেছে | তার মানে???


তার মানে তারা একই পরিবারের সদস্য ? আর মৃত্যের কারণ রিপোর্টে এসেছে গলায় প্রচন্ড জোরে চাপে দম বন্ধ করে মৃত্যু | কিন্তু কোনো হাতের চাপ নেই | এই তো পরিকল্পিত খুন | এটা কি ঠিক কিছু বছর আগে আয়াত হত্যা কিংবা হাসান আলি হত্যার অন্য কোনো অধ্যায় | নিশ্চয় মনে আছে তাদের কথা | ছোট্ট শিশু আয়াত কে তারই প্রতিবেশী চাচ্চু টুকরো টুকরো করে আবার হাসান আলি যাকে তার পূত্র এবং পুত্রবধু মিলে নিংশস ভাবে | কল্পনার জগতে রুদ্র ঠিক হিসাব মিলাতে পারছে না | দুপুরে বাসা থেকে ফোন | ফোনের ওপাশে রূদ্রের ছোট্ট মেয়ে সিরাত |
সিরাতঃ আব্বু বাথায় আথবা না | একসাতে ভাথ খাবো |
রূদ্রঃ এইতো আম্মু আব্বু আসছি |
সিরাতঃ থিক আছে আব্বু তালাতালি আসো |
রূদ্র বাসার উদ্দ্রেশ্যে বের হতে যাবে এই সময় আরেকটা ফোন এলো পুলিশ স্টেশনে | ফোনটা এসেছে অন্য পুলিশ স্টেশন থেকে | একটি মিসিং ডায়রী লিখাতে এসেছে একজন |

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.