![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর বাংলাদেশ সম্পর্কিত সাধারন জ্ঞানের একটি বই পড়তে বসেছি।শেষ সেই ভার্সিটি ভর্তি পরিক্ষার সময় পরেছিলাম।মাঝে সময়ের অনেক তফাত।তখন যে প্রশ্নটাকে আসতেই পারে বলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে মুখস্ত করতাম আজ সেই প্রশ্ন গুলো কি আসলেই প্রশ্নে আসা উচিত কিনা?এটা জেনে আমাদের প্রজন্মের বা যিনি জানবেন তার লাভ কি? সেটা পর্যালোচনা করি। একটা প্রশ্ন সামনে এলো।
Bangladesh development bank তার অফিসার পদে নিয়োগের জন্য প্রশ্ন করেছিল।
"রুশনারা আলী ব্রিটেশ এর কোন এলাকার থেকে এম পি নির্বাচিত হয়েছেন?"
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে রুশনারা আলী এম পি নির্বাচিত হয়েছেন সেটা বাংলাদেশী হিসেবে জেনে রাখা ভাল।কিন্তু কোন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন এটা জেনে কি করবে এই ব্যাংকের পরীক্ষার্থী?
এরপর দেখলাম কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে যে,তার চয়েজের মাঝে সঠিক উত্তরটি নেই।
বই কোম্পানী দয়া করে চিন্তা করেছেন বেচারা পরীক্ষার্থী কতই না কষ্ট করে।আর সেই চিন্তা থেকে নিচে একটা সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন।
আচ্ছা পরীক্ষার্থী ও কি পরিক্ষার হলে এই ব্যাখ্যা দিয়ে আসবেন?
প্রশ্ন করা হচ্ছে চীনের প্রধানমন্ত্রী কত তারিখে বাংলাদেশে এসেছেন?
আচ্ছা উনি এসেছেন,কি তার নাম আর তিনি এসে কি কি ফায়দা আমাদের জন্য দিয়েছেন এগুলো জানা কি যথেষ্ট না।ইতিহাসের মত কে কোন সালে মারা পড়েছে সেটা না হয় জানার লজিক আছে কিন্তু চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আশার তারিখ টা একটা সাময়ীক বিষয় যেটাকে আমরা খবরের ভাষায় হার্ড নিয়েজ বলি।কিন্তু সেটাকে সফট নিওজ বানিয়ে বাচিয়ে রাখার উদ্দ্যেশ নিয়ে এই পরীক্ষার্থীদের কেন জিজ্ঞেস করতে হবে।
মূলকথা হচ্ছে,এই রকম অবান্তর আর অপ্রোয়জনীয় জ্ঞান দিয়ে জাতীর জন্য কি আশা করা যেতে পারে?যেখানে বাস্তব জ্ঞান থেকে থিওরিক এবং তাও এই লেভেলের থিওরিক জ্ঞান কে সামনে এসে জাতীকে একটি অপ্রোয়জনীয় দন্ড করার কি যুক্তি থাকতে পারে?
২| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১০
সুব্রত দত্ত বলেছেন: বিষয়টা অত্যন্ত স্বাভাবিক। চাকরির পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত প্রায় সবগুলো পরীক্ষাই নেয়া হয় প্রার্থী নির্বাচনের জন্য নয় বরং প্রার্থী বাতিলের জন্য। দেখা যায় ব্যাংক বা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় মোটামুটি বেশি পরিমাণে তবু তাতে আবেদনকারীর সংখ্যা থাকে লক্ষাধিক। এতজনের মধ্যে কয়েকশো প্রার্থী নির্বাচন করা কঠিন বিধায় পরীক্ষার প্রশ্ন যতটা সম্ভব অবান্তর করা হয়। কারণ, যেটা পড়া দরকার, যেটা জানা উচিত সেটা লক্ষাধিক আবেদনকারীরে মুখে উত্তলে পড়ে। এর সমাধান অসম্ভব নয় কিন্তু নিয়োগকর্তারা তার চেষ্টা করবেন না। সেটাই দুঃখের। আপনার পোস্টটা ভালো লাগলো।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দেখুন ভাই,ভাগ্য এক প্রকার ভালোই বলা চলে আপনার।কারণ হিসেব রক্ষকের পরীক্ষা দিতে গিয়ে বারাক ওবামার বৌ এর নাম কি এই প্রশ্ন শুনতে হয় নি।
বর্তমানে বেশিরভাগ চাকরীক্ষেত্রে দক্ষতা না দেখে পুথিগত বিদ্যা বেশি দেখে মনে হচ্ছে।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: এই অদ্ভুত শিক্ষাব্যবস্থায় পিষে ফেলছে অামাদের ক্রিয়েটিভিটিকে। যার ফলে এ দেশ থেকে মৌলিক গবেষণায় গুটিকয়েক অবদান দেখা যায়। লোকসংখ্যা ১৭ কোটি। ভাবা যায়।
৫| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০৩
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বেশি প্রার্থী যেখানে সেখানে এমসিকিউর বিকল্প নেই। কিন্তু তারও একটা মান থাকা উচিৎ। বেসরকারি ব্যাংকে ইংলিশ, গণিত, ব্যবসায় শিক্ষার উপর জোর দেয়। আর সরকারি ব্যাংকে জোর দিচ্ছে বাংলা সাহিত্য আর সাধারণ জ্ঞানের উপর। ফলাফল আমাদের সরকারি ব্যাংকাররা আসছেন ইতিহাস, সাহিত্য থেকে। তারা সার্ভিস দেবেন কি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পড়েই গলদঘর্ম হচ্ছেন। অনেকে আবার ধরেই নিয়েছেন তাদেরকে দিয়ে এগুলি হবে না। তাই সব ভুলে বিসিএস গাইড পড়তে থাকেন। এমন দৃশ্য আর কোন প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় কিনা জানি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯
জাহিদ হাসান বলেছেন: কথা সত্য। ইথিওপিয়ার রাজধানীর নাম কি, এটা জেনে এই দেশের মানুষের কাজ কি? অথচ এরকম প্রশ্নই আসছে।![:(](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_15.gif)