নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

।।৩৩ এবং ১৬ এর বিবাহ বার্ষিকী বন্ধ হোক-২।।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬




UNICEFএক এর রিপোর্টে দেখা যায় যে ২০-৪৯ বছরের মেয়েদের মাঝে থেকে ৭৪% মেয়ের বিবাহ হয়েছে ১৮ বছরের আগে এবং ৩৩% এর হয়েছে ১৫ বছরের আগে। আর এর ফলাফল হিসেবে সন্তান জন্মদানের সময়ে “মা” এর মৃত্যু হার আফ্রিকান দেশ গুলো থেকেও বাংলাদেশে অনেক বেশি।
এই রিপোর্ট টি করেছিলেনঃ “The fifth annual State of the World's Mothers report, published by the international charity Save the Children”

এটা শুধু সন্তান জন্মদানকালীন “মা” মৃত্যুর হার।এবার দেখা যাক “সাইকোলোজী” কী বলে এটা নিয়ে।মেয়েদের মনস্তাত্তিক অবস্থা ছেলেদের বয়সের তুলনাই ২ বছর বেশি এগিয়ে থাকে।তাই বিবাহের ক্ষেত্রে সাধারনত ৫/৬ বছরের বয়সের তফাত একটা আদর্শ পরিবার হতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সেই বয়সের তফাতটা যখন ১০/বা ১৫ কিংবা পুরুষের বয়সের অর্ধেক তখনই শুরু হয় সমস্যা। প্রথমত, আমরা খুব ভাল ভাবেই আমাদের সাধারন জ্ঞানে বুঝি যে,আপনি যখন একজন কে বন্ধু হিসেবে চিন্তা করবেন সেটা চিন্তা করার আগেই আপনাদের দু’জনের চিন্তার এবং মানসিকতার মিল খুজতে চেষ্টা করবেন।

সাইকোলোজিস্ট এরিক এরিক্সন এর মতেঃ ১৩ থেকে ১৯ বছরের সময়ে ছেলে কিংবা মেয়ে সবাই নিজেদের আইডেন্টিটি এবং সমাজে তাদের কর্তব্য কি সেটা বুঝতে চেষ্টা করে।যেমনঃ আমি কে? আমি কোথায় যাচ্ছি কিংবা কোথয় থেকে এসেছি?আমি আমার সমাজের কাছে কিভাবে উপস্থাপিত হচ্ছি? এবং তারা তাদের সেক্স আইডেন্টিটি খুজতে থাকে।একই সময়ে তারা সমাজের অবস্থান এর সাথে তাদের মতামত উপস্থাপন করতে শুরু করে তবে সেটা সন্দেহ নিয়ে যে আমার চিন্তা কি আসলে সঠিক?

এবার দেখা এই ১৬/১৭/১৮ বছরের মেয়েটির স্বামী কী চিন্তা করে এই একই সময়ে,
এরিক্সন এর মতে ;
ইয়ং এডাল্ট মানে ২০-৩৪ বছরের একটি ছেলে ঠিক তখন চিন্তা করে যে;আমাকে কি মানূষ ভালবাসে?
আমার কি আমার জীবন কারো সাথে শেয়ার করা উচিত? যখন তাদের পরিচয় তারা বুঝতে পারে তখন তারা নিজেদের জীবনে সফল হতে চেষ্টা করেন।নিজেরা পুর্নভাবে নিজেদের সামলে নিতে সামার্থ্য।
আর এই চিন্তা বয়সের সাথে পরিধি এবং চিন্তার অবস্থান পরিবর্তন হতে শুরু করে।আর যখনই ৩৪ থেকে ৩৫ এর অবতীর্ন হয় তখন তারা শুরু করেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু রেখে যেতে।নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে দেখতে এবং নিজের কাজের পর্যালোচনা করতে।

এই অবস্থাতে দুইজন দুই মেরুর চিন্তাশীল হওয়ার কারনে এখানে বুঝার ব্যাপার হচ্ছে যে,আমি যখন ৩৫ এ আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চিন্তা করি (যেখানে আমার স্ত্রী ও এর অন্তভূক্ত) আমার স্ত্রী নিজের পুতুল খেলাকে মিস করে কাঁদেন কিংবা তরকারীতে বেশি ঝাল হয়ে গেলে সেটা খেয়ে কেঁদে ফেলেন,আর আমি এটাকে খেয়ালীপনা চিন্তা করি।
শুরুহয় একটি ভালবাসাহীন অভ্যাসের বসবাস এবং ভালবাসার সন্ধানে শুরু হয় আরেকটি পরকীয়ার গল্প।যেখানে এই মেয়েটিকেই আবার দোষ দেই কিন্তু কেন এটা ঘটেছে সেটা আমরা কখনও ভেবে দেখা দরকার কিনা সেটা মনে করি না।


অনেকে বলেন যে মেয়েদের মননশীলতা পুরুরষের থেকে বেশি।তারা সব বেশি বেশি বুঝে।তারা সব মানিয়ে নিতে পারে।আচ্ছা সেই ভদ্রলোকের নিকট যদি আমি আবার প্রশ্ন করি যে জনাব; আপনার যুক্তিতে তো আপনার স্ত্রী আপনার থেকে বেশি পরিপক্ক চিন্তার অধিকারী কিংবা আপনার সমান।
তাহলে এবার আমাকে বলুন তো আপনি শেষ কবে আপনার এই পরিপক্ক স্ত্রীর বুদ্ধি নিয়ে কজ করেছেন?
আমি জানি করেন নাই।কারন যখনই আপনাকে আপনার স্ত্রী কোন পরামর্শ দিয়েছেন আপনি বলেছেন “তুমি মেয়ে মানুষ,এগুলো বুঝবা না” কিংবা “এত বেশি বুঝ কেন”।তাহলে এবার কি হল ফলাফল?
এর মানে আপনি শুধু যখন “টাটকা” খুজেন তখনই এটা আপনার জন্য প্রযোজ্য।কিন্তু যখন সিরিয়াল আপানার স্ত্রীর পাল্লায় তখন আর সে কিছু বুঝে না।বাহ! কি চমৎকার।

এবার আসব ধর্মীয় (ইসলাম) দৃষ্টিকোণে। তবে তার আগে সেই পোস্টের কিছু কমেন্টস দেখে নেই।

একজন লিখেছেনঃ “এখনকার ছেলেরা মনে করে ২২-২৩ বছর বয়সের নিচের মেয়েরা তাদের জন্য উপযোগী।তার বেশি বয়স হলে বুড়ি হয়ে যায়।তবে ১৬-১৭ বছরের মেয়ে ৩৩ বছরের ছেলে তো আর জোর করে নেয়না।তাদের উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়।যখন রেলমন্ত্রী বিয়ে করেছিল তখনতো আপনি কিছু বলেননি?”
ভদ্রলোক এর কথার মাঝেই তার জবাব নিহিত আছে। আচ্ছা ছেলেরা মনে করেন বলে কি কাজটা বৈধ?ছেলেরা মনে করেন কিন্তু এই মনে করাটা ঠিক না সেটাই তো আমার লিখার বিষয়বস্তু।
পুরুষ বোধায় বয়স হলে টাগড়া যুবক হয়? আর উভইয়ের সম্মতির কথা যখন এসেছে তাহলে তো এটা বূঝ ভাল করেই বুঝতে হয় যে ৫০% মানে ছেলের পক্ষ থেকে তো ঠিক।এবার মেয়ের দিকে আসলে একজন ১৫/১৬ বছরের মেয়ে তার এই বয়সে নিজের বিবাহ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মত মানসিকতা কতটুকু কাজ করতে পারে পরিবারের ইমোশোনার চাপ যেমন “ছেলে বিদেশ থাকে অনেক সুখে থাকবি” কিংবা “আমাদের গরিব ঘর টা বড় করে বানিয়ে দিবে জামাই আর তো ছোট/বড় ভাইকে বিদেশ নিয়ে যাবে” অথবা বয়স্ক লোক বঊকে বেশি ভালবাসে, মা” ইত্যাদি এর মাঝে?
তাই মেয়ে মতামত দিয়েছে বলেই এই বিয়েকে আপনি এই মেয়েটির প্রতি অন্যায় বলবেন না,সেটা বলার আগেও এই ব্যাপার গুলো ভেবে দেখে উচিত পারে না।
(চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে অল্প বয়সে (সরকার নির্ধারিত বয়সের নীচে) গর্ভধারণ মাতৃমৃত্যুর জন্য কত পার্সেন্ট দায়ী?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

পথিক৬৫ বলেছেন: আমার লেখার বিষয় বাল্য বিবাহ না।আমার লেখার বিষয় স্বামী এবং স্ত্রীর এর মাঝে বয়সের তফাত নিয়ে।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের রেলমন্ত্র বৃহস্পতির বরপুত্র।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: তাই বিবাহের ক্ষেত্রে সাধারনত ৫/৬ বছরের বয়সের তফাত একটা আদর্শ পরিবার হতে সাহায্য করতে পারে।

আপনার এই কথাটা ইসলাম সমর্থন করে না । কারণ আমাদের নবিজি , সাহাবি , তাবেয়ি , তাদের স্ত্রী আর তাদের বয়সের ব্যাবধান ছিল অনেক । ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী আপনি যে কোন বয়সে বিয়ে করতে পারেন ।

আপনার মন্তব্য আশা করছি ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

পথিক৬৫ বলেছেন: আগামীকাল এর শেষ পর্বে এই দিকটাই থাকবে।আশা করি আপনার জবাব পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.