নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

।।৩৩ এবং ১৬ এর বিবাহ বার্ষিকী বন্ধ হোক (শেষ পর্ব)।।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪


এবার ধর্মীয় দিকে যদি আসি;সেখানে অনেকে এভাবে লিখেছন যে “আল্লাহর রাসুল (সঃ) আয়েশা (রাঃ)কে তার ৯ বছরের কালে বিবাহ করেছিলেন।তো আমি করলে সমস্যা কি?’’
আপত দৃষ্টিতে এটা অনেক ভাল একটি যুক্তি।কিন্তু ভদ্র লোক কে প্রশ্ন করি এবার যে আয়েশা (রাঃ)কে বিবাহ করার পূর্বে হযরত খাদিজা (রাঃ) কে বিবাহ করেছিলেন।আর তখন রাসুল (সঃ) এর বয়স ২৫ আর খাদিজা (রাঃ) এর ছিল ৪০ বছর।তাহলে রাসুলের সুন্নত মানতে কি আপনি ২৫ বছরের সমইয়ে ৪০ কিংবা ৫০ এর কালে ৮০ বছরের কোন নারীকে বিবাহ করবেন?
করবেন না।কারন এই হাদীস মানলে যে ১৫/১৬ এর “টাটকা” মেয়ে পাবেন না যে সেই চিন্তা আপনার মাথায় ঘুরপাক করে।আল্লাহর রাসুল তার জীবদ্দশায় মোট ১১ টি বিবাহ করেছিলেন বলে জানা যায়। আর তার স্ত্রীদের মাঝে অনেকেই তার কাছাকাছি বয়সেও ছিলেন।আর তার বিবাহগুলি ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আদেশ।সেটা কখনও যেখানে গিয়েছেন সেখানে ইসলামকে প্রসারিত করতে আবার কখনও কোন অসহায় নারীকে রক্ষা করতে।

এক বর্ননায় এটাও পাওয়া যায় যে,হযরত আবু-বকর (রাঃ) এবং হযরত ওমর (রাঃ) আল্লাহর রাসুল এর মেয়ে মা ফাতিমা (রাঃ) কে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু আল্লাহর নবী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং কারন হিসেবে দেখিয়েছেন তাদের মাঝে এবং মা ফাতেমা (রাঃ) এর মাঝে বয়সের অনেক তফাতকে ।

এবার অনেকে বলেন এটাকে অন্যায় তো বলতে পারেন না।কারন আল্লাহর রাসূল একবার তো করেছেন।তার জবাবে এটাই বলা যথেষ্ট যে,সেই ১৪০০ বছর আগে যখন মেয়েদের জীবন্ত মাটি পুতে হত্যা করা হত শুধু মাত্র মেয়ে বলে,সেখানে ৯ বছর এর মেয়েকে বিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কোন আইন ছিল না।
কিন্তু আপনার বাংলাদেশে সেটা আছে যে ১৮ এর আগে মেয়েদের বিবাহ হওয়া অন্যায়।তাই আপনি এটা সেই দৃষ্টিতে করতে পারেন না।এবার বলবেন ধর্মীয় আইন আগে।ভাই তবে বলি ইসলাম ধর্মেই বলা হয়েছে “তুমি যে রাষ্ট্রেই থাক না কেন,সেই রাষ্ট্রের আইন তোমার ততক্ষন অব্দি মানা ফরয,যতক্ষন আল্লাহর হক এর উপর হস্তক্ষেপ করা না হয় ,যাতে সেখানের স্থানীয় শান্তি বজায় থাকে”।

শেষ একটা যুক্তি দিয়ে এই পর্ব শেষ করি; চাচা যদি চাচীকে তালাক দিয়ে থাকেন সেই চাচীকে ভাতিজা বিবাহ করতে পারবেন।এবার ধরুন আপনি একই কাজটি করলেন।আপনার আর আপনার চাচীর মাঝে বিয়ের আগেও কোন সম্পর্ক ছিল না। খুবই সাধারন একটা বিবাহ আপানার আর আপানার সাবেক চাচীর সাথে। কিন্তু ভেবে দেখেন আপানার সমাজ আপনাকে কি বলবে? সমাজ কি এটা বলবে না যে,”যে,ভাতিজার সাথে প্রেম ছিল বিধায় চাচা জেনে গিয়ে তালাক দিয়েছে আর এখন ভাতিজা বিবাহ করেছে?” অবশ্যই বলবে।কারন এটা জায়েজ হলেও “তালাকের মত না হওয়া বেশি ভাল আর হলে কারন থাকতে হয়” টাইপের জায়েজ। কারন এইকাজটি সুন্দর দেখায় না।

বৈধতার লিমিট মানে এই না যে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু নয়।এই ধরুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি ৩৫ বছরের মহিলা ২২ বছরের ছেলেকে বিয়ে করে ব্যাপারটা মানুষ এর কাছে দৃষ্টিকটু লাগবে অবশ্যই?
আবার ৫৫ বছরের বুড়া ২০ বছরের মেয়ে বিয়ে করা হালাল, কিন্তু আমাদের বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে বিষয়টা ভালোভাবে নেওয়া হয় না।আর এটা না নেয়ার অনেক কারন আপনার তো বিকল্প উত্তম জিনিস আছে, আপনি কেন এরকম স্টেপে যাবেন?

আর তাই কোরআন আর হাদিসের বর্ননা দিয়ে ৩৩ আর ১৬ বছরের মেয়ের বিবাহ এবং বছর ঘুরতেই একটি সন্তান সহ তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীকে যুক্তিযুক্ত করার কোন সুযোগ দিয়ে নিজেও এই সুযোগ নেয়ার যে আর যুক্তিযুক্ত সুযোগ থাকল না,সেটা কি বুঝা গেল?
শেষ কথার দিকে যদি আসি,শুরুতেই বলতে হবে আমার লিখার প্রধান কারন শুধু ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়ের বিবাহই নয়,স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সের তফাতটা অনেক বেশি হলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেটাও। ।আর কেন এই তফাত টা হওয়া উচিত না সেগুলো। আধুনিকতার ছোয়া নিয়ে বিবাহের আগে অবৈধ সম্পর্ক কে এড়িয়ে পুরুষের উচিত ২৫ এর পরেই দ্রুত সময়ে বিবাহ করা।তবে এই বিবাহের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা এবং প্রতিষ্ঠার সমস্যা থাকে আর সেটা দেখার কাজ রাষ্টের। ধর্মীয় মাসয়ালা আর আধুনিকতাকে দায়ী করে এই জাতীয় বিবাহকে ন্যায় করতে চেষ্টা না করা উত্তম।

১৬/১৭ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করে অনেকে আবার দাবী করেন চাইলে স্কুলে যেতে পারবে।কিন্তু যখন ৩৩ এর মানুষ বিবাহ করে প্রথম চিন্তার ফসল হিসেবে বছর যেতেই সেই ১৬ এর কোলে তুলে দেয়া হয় আরেকজন।যাকে দেখার জন্য এই মেয়েটি তৈরি না। কিংবা যদি ২০ আর ৫০ ও হয় কিছুদিন পর যে পরকিয়ার গল্প শুরু হয় সেই গল্পে এই শিশুটি স্থান না পেলেও ১৬ কোটি মানুষের দেশে বেড়ে গেল আরো একজন যারও কিনা ভবিষ্যত অনেকটা অন্ধকার হিসেবে লিখিয়েই এই ধরায় আগমন।তাই একটি সুষ্ঠ জাতী প্রতিষ্ঠা করতে বাল্য বিবাহের পাশাপাশি স্বামী এবং স্ত্রীর এর বয়সের তফাত রেখে বিবাহও বন্ধ হোক।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। আমাদের
দেশের কিছু বদমাইস চরিত্রহীনরা বহু বিবাহ
করে একটা হাদীস ব্যবহার করে হাদীসটাকে
কলংকীত করেছে। যারা ইসলামের কোনও
নিয়ম কানুনই জানেনা। কিছু অজ্ঞ পাপীদের
কারনে ইসলামের সুক্ষ হাদীস গুল বিকৃত
হচ্ছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.