![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা যেখানে থাকতেন সেই মহল্লাতে একদিন বিবাহের অনুষ্ঠান ছিল।তাকেও সেই বিবাহে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করার সময় নিজের পরিহিত যে পোশাক ছিল সেটা আর পরিবর্তন না করে তিনি তারা বাড়িতে পরিহিত সেই পোষাক নিয়েই অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন।পোশাক গুলো একটু পুরাতন ছিল।গোছানো কিংবা অনেক ময়লাযুক্তও ছিল।
তিনি অনুষ্ঠান স্থানে অংশ নেয়ার পর কেহ তাকে স্বাগতম জানাতো দূরে থাক কেন তাকে খাবারে টেবিলেও ডাকল না।এমন কি তিনি শুনতে পাচ্ছিলেন যে সেখানের মানুষ তাকে নিয়েই কথা বলছিল যে,এই মহল্লাতেই এত বড় গুণীজন থাকেন।ইত্যাদি। কিন্তু তাদের পাশে থাকা ব্যক্তিকেই তারা মূল্যয়ন করল না। অথচ সবাই তারই আগমনের অপেক্ষায় বসে ছিল।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অনুষ্ঠান স্থান ত্যাগ করলেন এবং তার বাড়ীতে ফিরে আসলেন।বাড়ীতে এসে তিনি নতুন,পরিস্কার,সু-ঘ্রান আর জমকালো পোষাক পরিধান করে আবার বিবাহের অনুষ্ঠান স্থলে ফিরে এলেন।
এবার তিনি গেট থেকে ডুকতেই “নাসিরুদ্দিন হোজ্জা এসেছেন” বলে চারদিকে একটা ডাক পরে গেল। তাকে স্বাগতম জানিয়ে তাকে খাবারের টেবিলে নিয়ে যাওয়া হল এবং সবাই তার আশে পাশে সম্মানের সাথে দাঁড়িয়ে থাকল।নাসিরুদ্দিন হোজ্জা এর সামনে যখন খাবার দেয়া হল তিনি হাতে খাবার নিয়ে “খাও! হে আমার জমকালো পোষাক খাও।এইসব খাবার তোমার” বলে তার পোষাকে পকেটে তিনি খাবারগুলো ডুকাতে থাকলেন।
আশে পাশের লোকজন সম্মানী একজন মানুষ থেকে এমন কাজ দেখে অবাক হয়েই জানতে তাকে প্রশ্ন করলেনঃ
“হুজুর আপনি কি কোন দিনও দেখেছেন যে পোষাক খাবার খায়?”
হো্জ্জা জবাব দিলেনঃ
“আমি একটু মাত্র আগে আমার পুরাতন পোষাক পরিহিত অবস্থায় এখানেই ছিলাম।আপানাদের আশে পাশেই ঘুরছিলাম।কিন্তু আপনাদের কেহ আমার ডাকা তো ভাল কথা একটা সালাম ও দেন নাই।আর আমি যখন এই জমকালো পোশাক পরিধান করে আবার ফিরে এসেছে এর পর কি ঘটছে সেটা আমরা সবাই দেখেছি।তাই এই খাবার কি এই পোশাকের জন্য না? আর যদি তাই হয়, তবে এই খাবারের অধিকার কি শুধু এই পোশাকেরই নয়?”
সবাই তাদের ভুল বুঝতে পারল।
কোন কোন বর্ননায় এটি হযরত শেখ সাদী (রঃ) এর ঘটনা ও বলে থাকেন।
বাস্তবতাঃ আমাদের পরিহিত পোশাক আর সুভাস আমাদের সমাজের স্থান ঠিক করে দেয়।তাই আমরা যেখানেই যাই কিংবা থাকি না কেন সেখানের অবস্থার আলোকে আমাদের গুছিয়ে চলা উচিত।
তবে হা,আমাদের সমাজের এই পোশাকের মর্যাদাটা এতবেশি যে, আমরা আসল সুন্দর্যকেই আবার ভুলে গিয়েছি।এমন কি আসল সুন্দর্যকে ভুলে পোশাকের সুন্দর্য বাড়াতে ব্যস্ত। যা হওয়া উচিত না।।
১২ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
পথিক৬৫ বলেছেন: হা হা হা।উনি যদি সেদিন ময়লা কাপড়ে না যেতেন আজ এই গল্প হত না।।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
ঢাকার লোক বলেছেন: একই গপ্পো নাসিরুদ্দিন এবং শেখ সাদি উভয়ের নামে চালু আছে, কাজেই এগুলোর সত্যতা সন্দেহমুক্ত নয়, সে যাই হোক ভালো, যথাসম্ভব সুন্দর ও পরিস্কার কাপড় পড়া বিশেষত কোনো দাওয়াতে, অনুষ্ঠানে সবারই চেষ্টা করা উচিত। সুন্দর কাপড় পড়া সম্পর্কে এক এক সাহাবার প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন "আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সুন্দর থাকা প্রছন্দ করেন।"
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
পথিক৬৫ বলেছেন: তিনি শিক্ষা দিতেই গিয়েছিলেন।আর যারই হোক না কেন এই গল্প শিক্ষা তো বাস্তব।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"লেখক বলেছেন: হা হা হা।উনি যদি সেদিন ময়লা কাপড়ে না যেতেন আজ এই গল্প হত না।। "
-এসব পুরানো গল্প, এগুলোর মুল্য নেই আর
১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫১
পথিক৬৫ বলেছেন: পুরান চান ভাতে বাড়ে।এগুলোর শিক্ষা এখনও বিদ্যমান ভাইয়া।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সুন্দর
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শেখ সাদীর নামে প্রচারিত গল্পটাই বহুল প্রচলিত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
নাসির উদ্দিন ইডিয়ট ছিলো, ময়লা কাপড় পরে বিয়ে বাড়ী যাওয়া উচিত হয়নি