![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
ধারা ৩২ : সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়িত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তথ্য উপাত্ত ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।
শাস্তি : ১৪ বছরের জেল বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড।
দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের দেশের টেলিভিশন গুলোতে যে ইনভেস্টিগেট মূলক সিরিজ গুলো হয়, এগুলোর ভবিষ্যত কি?
যেমন ধরুন তালাশ কিংবা ৩৬০ ডিগ্রি কিংবা ফাঁদ। এই প্রোগ্রাম গুলোর মূল কর্মই হচ্ছে ভেতরের গল্প বের করে আনা। যেখানে আপনাকে নানান কৌশলে, নানান চরিত্র ধারন করতে হবে। আর সেগুলো আপনাকে লোক সামনে আনার জন্য নিশ্চয়ই সেটা ধারন করতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যিনি অপরাধী তিনি কি লাইট, ক্যামেরা, একশন এর মাধ্যমে তার অপরাধ স্বীকার করবেন? করার কথা তো নয়!
আমরা আগেও দেখেছি আমাদের সমাজের সরকারী থেকে ব্যক্তিগত সব পর্যায়ের এই অনুসন্ধানী রিপোর্ট এর মাধ্যমে অনেক অসঙ্গতি তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীর সাথে মিলেও অনেক রিপোর্ট বের করে আনা হয়েছে। এমন অনেক কিছু আছে যা পুলিশ পারে নাই, সেটা এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা করে দেখিয়েছেন।
পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাস কার্যক্রম থেকে শুরু করে সিলেট জেলের সেই আয়নাবাজীর রিপোর্টও কিন্তু এই গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমাদের সামনে এসেছে।
তাহলে কি দেশে অনুসন্ধান সাংবাদিকতা নাই হয়ে যাবে?
এবার আসি ব্যক্তি পর্যায়ে। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজে আর একটি বড় মিডিয়া। দেশের সিলেক্টেড মিডিয়ার উপর থেকে যখন মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা আর টিকে নেই, তখন সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের এখন অব্দি অনেকটা আস্থা টিকিয়ে রেখেছেন।
অনেক অপরাধের ঘটনা আমরা এই মিডিয়ার মাধ্যমে পেয়েছি। যেমন ধরুন সিলেটের রাজন হত্যা।
কিন্তু নতুন এই আইনের মাধ্যমে সিলেটের সেই রাজন হত্যার হত্যাকারীকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। রাজনকে নয়। রাজনের হত্যাকারীও এই বলে মামলা করবেন যে, আমার স্বায়িত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডুকে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তথ্য উপাত্ত ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করেছে।
বিজ্ঞগন বলবেন যে, আদালত তো সেটা বিবেচনায় নিবেন। জি হাঁ! নিবেন অবশ্যই। কিন্তু তার আগের ভোগান্তি?
তাহলে আমরা এটা ধরে নিতে পারি যে, বাংলাদেশে ইনভেস্টিগেট সাংবাদিকতা ধীরে ধীরে থমকে যাবে। বড় বড় মিডিয়া গুলো তাদের পলিসি পরিবর্তন করে মাঠে টিকে থাকলেও নাগরিক সাংবাদিকতার কোমড় ভেংগে যেতে পারে নতুন এই আইনের মাধ্যমে।
এই আইনে লাভবান হবেন কে?
নতুন এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধী সুযোগ নিবেন আর তাতে তিনি লাভবান হবেন। তিনি যখন তখন কোন অন্যায় করলেও সেটার আর মানুষের সামনে আসবেন না।কারন কেউ ১৪ বছর জেলে যেতে চাইবেন না অবশ্যই!
আবার সরকারি দপ্তর গুলোর যে অপকর্ম গুলো মাঝে মাঝে আমাদের সামনে আসত সেটা আর আসবে না। উদাহরন বলা যেতে পারে, আপনি একটি প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করেন। আপনি দেখলেন সরকারী আর বেসরকারী চক্র মিলে প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। আপনি চাইলেন তাদের এই কর্মের গোপন ভিডিও তুলে লোক সম্মুখে নিয়ে আসবেন। পকেট থেকে মোবাইল খানা বের করলেন। কিন্তু হঠাৎ আপনার এই ১৪ বছরের সাজার কথা মনে পরে গেল। আপনি মোবাইলটি পকেটে রেখে নিজেই গোপনে চলে গেলেন। কিংবা ভিডিও করলেন তবে সেটা শাস্তির ভয়ে মুছে দিলেন।।
ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অবজ্ঞা আর শাস্তির মুখে দাড় করিয়ে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা। কেমন যেন বেমানান হয়ে গেল না?
তার দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে কর্তা ব্যক্তিদের কাছে আবেদন থাকবে যে, দইয়া করে এই আইনটিকে আবার বিবেচনা করুন। দেশের আইন যেন হয় দেশ বান্ধব।। ধন্যবাদ।।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
আটলান্টিক বলেছেন: এই আইন বেশিদিন ঠিকবেনা
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রতিটি জিনিসের মত এই আইনের ভালো-খারাপ দুটি দিকই আছে। দেশের গোপনীয় তথ্যসমূহ বাইরে চলে গেলে দেশেরই ক্ষতি। এটাও ভেবে দেখার বিষয়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
পথিক৬৫ বলেছেন: সেটাকে এভাবে বর্ননা করে না। এখানে সাংবাদিক দের বেধে দেয়া হইয়েছে
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার সমালোচনা শুনতে চাহে না
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেদের ৯ বছরের অপকর্ম ধামাচাপা দেবার ঠুনকো প্রচেষ্টা এই কালা কানুন!
দু:খজনক
সংবিধানের তথ্য জানার মৌলিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে এই কাল আইন!
বাতিল করা হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
শামচুল হক বলেছেন: চিন্তার বিষয়