নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভোনীল, (পঞ্চদশ পর্ব)।( ব্লগার রিম সাবরিনা জাহান সরকারের গল্পের ধারাবাহিকতায়)।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

আগের পর্বগুলো পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করার অনুরোধ রইলো।ধন্যবাদ।
নভোনীল (১-১৪ পর্ব)
পর্বগুলো লিখেছেন যথাক্রমে শ্রদ্ধেয় ব্লগার রিম সাবরিনা জাহান সরকার,পদ্মপুকুর,মেঘশুভ্রনীল,খায়রুল আহসান,আখেনাটেন,পুলক ঢালী,নিয়াজ সুমন, কবিতা পড়ার প্রহর, মনিরা সুলতানা ,বিলুনী, ঢুকিচেপা, মোঃ মাইদুল সরকার, কল্পদ্রুম ও ফয়সাল রকি প্রমুখ।

আগের পর্বের শেষ লাইনঃ মৃনকে ফোন করবে কি না সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না নভো।

দ্বিধা,শংকা,আকুলতা,হতাশা যুগপৎ গ্রাস করেছে তাকে। ভেবেছে অপরাধীকে খুঁজে বের করে তারপর যোগাযোগ করবে মৃণের সাথে।কিন্তু মৃণের কাছ থেকেও দূরে থাকতে পারছে না সে। মৃণ গতকাল এসেছিলো। সেও অধীর হয়ে অপেক্ষা করে আছে। অবশেষে সে ফোন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো।

পানসে চা পান করতে ভালো লাগছিলো না মৃণের। অলিন্দে পাতা চেয়ারে হেলান দিয়ে উদাস দৃষ্টিতে রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিলো সে। হঠাৎই তার মোবাইলে রিং হয়। অপরিচিত নম্বর। কল রিসিভ করেই হ্যালো বলে সে। ওপাশ থেকে কোনো কথা শোনা যায় না। শুধু জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই নিঃশ্বাস মৃণের পরিচিত। চোখ বেয়ে অশ্রুধারা নেমে আসে মৃণের। কিছুক্ষণ কেউ কোনো কথা বলে না।এরপরই কলটি কেটে দেয় নভো।

মৃণের কণ্ঠে হ্যালো শোনার পর এক অদ্ভূত বিহ্বলতা গ্রাস করে নভোকে।তার অনেক কিছুই বলার ছিলো।কিন্তু কিছুই বলতে পারে নি। কিছুক্ষণ ফোন হাতে বসে থাকে সে।একবার ভাবে মৃণকে আবার কল করবে।কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হয়, “নাহ! এখনো অনেক কাজ বাকি।“ ফোনটা বন্ধ করে রাখে সে।তার ধারণা মৃণ আবার কল করবে তাকে। এখন সে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

পার্থদার কাছ থেকে খবরটা শুনে চরম মাত্রায় মন খারাপ হয় নভোর। কোনো না কোনো ক্লু তো পাওয়া যাবেই। সেই মোটর সাইকেল আরোহীর কথা মনে হয় তার।সে তার নাম জানলো কী করে? তাছাড়া শারীরিক গড়ণটাও তার পরিচিত মনে হয়।কোথায় যেন দেখেছিলো তাকে এমনটা মনে হতে থাকে নভোর।কোথায় দেখেছে? ক্যাম্পাসে? নাকি অন্য কোথাও? মনে করতে পারে না সে। মোটর সাইকেলটি চলে যাবার আগে তার নম্বর প্লেটটি দেখতে পেয়েছিলো সে।যদিও সবটা নয়।কিন্তু আবার দেখলে চিনতে পারবে।লাল রঙের মোটর সাইকেল।নম্বর প্লেটে লেখা ঢাকা মেট্রো ল ২৪-৩৫……. ।৩৫ এর পর সে আর কিছু দেখতে পায় নি। এতসব কিছু চিন্তা করতে করতেই সে ছবিগুলো নিয়ে বসলো। মোট চারটি ছবি। একটাকে আরেকটার ওপর-নিচে রাখলে তা একটি এ-৪ সাইজের কাগজে রূপ নেয়।হয়তো একটা কাগজে দুটো ছবি প্রিন্ট করে তা মাঝখান দিয়ে কাটা হয়েছে। ইপসনের ফটো পেপার। এসব কাগজে সিরিয়াল নম্বর দেয়া থাকে আবছা জলছাপের মাধ্যমে। একটা কাগজ আলোর কাছে ধরতেই নভো দেখতে পেল আবছাভাবে লেখা S041667 । যাক একটা ক্লু অবশেষে পাওয়া গেল। সে ফোনটা আবার চালু করেই জাকারিয়া ভাইয়ের কাছে ফোন করে। তাকে অনুরোধ করে খুঁজে দেখতে নীলক্ষেতের কোথাও এই সিরিয়াল নম্বরের ফটো পেপার বিক্রি করা হয়েছে কি না গত কয়েক দিনে ।

তারপর সে অনেকক্ষণ ভালো করে আবার দেখে ছবিগুলো।জাকারিয়া ভাই বলেছিলো আনকমন ফেস। ডাউনলোড করা ছবি হতে পারে এটা। তাই নভো একবার মেসের এক রুমমেটের কম্পিউটারের সাহায্যে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ দিয়ে দেখে। ফলাফল দেখে সে আশাহত হয়। নাহ! এরকম কোনো ছবি গুগলে নেই। তাহলে হয়তো অপরাধী অথবা অপরাধীর একান্ত পরিচিত কারো ব্যক্তিগত ছবি এটা। ক্লু পাওয়া গেল না কোনো। আয়নার সামনে ফোন রেখে আয়নার প্রতিবিম্বের ছবি তোলা হয়েছে। সে হঠাৎ খেয়াল করলো আয়নার ওপরের বাম দিকের কোনায় একটা লেখার উলটো প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। একটা সাইনবোর্ডের ছবি সেটা। লাল রঙের। উলটো করে লেখা শব্দটা পড়তে চেষ্টা করলো নভো। ‘কলিকাতা’ । বাকিটুকু ছবিতে নেই। কিন্তু নিচের অংশ পড়তে গিয়ে দেখতে পেল সেখানে ঠিকানা লেখা। ‘শনির আখড়া’ । মনে মনে হাসে নভো। “শনির আখড়াই বটে।ওখান থেকে শনি চালান করে দিয়েছে আমার আর মৃণের জীবনে।“ স্বগতোক্তি শোনা যায় নভোর কন্ঠ থেকে। একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জাকারিয়া ভাইয়ের ফোন এলো আবার। এত তাড়াতাড়ি ফোন পেয়ে বিস্মিত হয় নভো। জাকারিয়া ভাই খোঁজ পেয়ে গেছেন। বেশি খুঁজতে হয় নি বলে সময় কম লেগেছে। দোকানদার বললো এক মোটর সাইকেল আরোহী তার কাছ থেকে কাগজ কিনে নিয়ে গেছে। দোকানে সিসি ক্যামেরা আছে। চাইলে দেখাতে পারে।কিন্তু দোকানদার গরিমসি করছে। জাকারিয়া ভাইয়ের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। তখনই বাসে করে নীলক্ষেত চলে আসে নভো।জাকারিয়া ভাই দোকানেই ছিলেন। দোকানদারকে কিছু ঘুষ দিতেই দোকানদার সিসিটিভি ফুটেজ দেখায়।সেখানে নভো দেখতে পায় হেলমেট পরিহিত এক লোক এসে কাগজ কিনছে,ঠিক সেই মোটর-সাইকেল আরোহীর মতো গড়ণ তার। কাগজ কিনেই সে রাস্তায় পার্ক করা তার মোটর সাইকেল স্টারর্ট দিয়ে চলে যায়।সেই লাল মোটর-সাইকেল। নভোর আর বুঝতে বাকি থাকে না। মোটর-সাইকেল আরোহীকে খুঁজে পেলেই সব জট খুলে যাবে। তার আগে একবার ছবির ঠিকানায় যেতে হবে।

জাকারিয়াকে সাথে নিয়ে শনির-আখড়ায় যায় নভো। রাস্তার পাশেই একটি ভবনের দোতলায় সেই লাল রঙের সাইনবোর্ডটি দেখতে পায় সে। রাস্তার ওপারেই পাশাপাশি দুটো ভবন। ছবিতে আয়নার বামে সাইনবোর্ড। তাই ডানদিকের ভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। সেখানকার দোতলার কলিংবেল টিপতেই দরজা খুলে দেয় এক লোক।তার চেহারা দেখে আশান্বিত হয় নভো। ছবির সেই লোকটি দরজা খুলে দিয়েছে। তাকে ছবিটি দেখায় নভো। ছবি দেখে লোকটি আকাশ থেকে পড়ে। সে এই কাজ করে নি। তবে ছবিটি সে চিনতে পারে। এটা তার প্রাক্তনের সাথে তোলা । এটা সে তার এক বন্ধুকে শেয়ার করেছিলো মেসেঞ্জারে ।সেই প্রাক্তনের মাথার জায়গায় মৃণের মাথা জুড়ে দেয়া হয়েছে। সে দুঃখ প্রকাশ করে। তার বন্ধুর ঠিকানাও সে দিয়ে দেয়।পুরান ঢাকার সূত্রাপুর। এক মুহূর্ত দেরি করে না নভো।জাকারিয়া কে নিয়ে চলে যায় সূত্রাপুর। ঠিকানা অনুসারে এক বাড়িতে ঢোকে তারা। ঢুকতে গিয়েই গ্যারেজে সেই পরিচিত মোটর সাইকেল দেখতে পায় তারা।অর্থাৎ সেই আরোহীকে হয়তো এখন বাড়িতেই পাওয়া যাবে। সেই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের কলিং বেল টেপা মাত্রই দরজা খুলে গেল। দরজা খোলার পরই তার পাশে দাঁড়ানো লোকটিকে দেখে বাকরূদ্ধ হয়ে যায় নভো।যেন ভূত দেখেছে। একটু পরেই ধাতস্থ হয়ে নভো দরজার সেই লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বলে, “বাশার তুই!!”

বাশার নভোর পরিচিত। মাধবীর চাচাতো ভাই। রাজশাহী থাকাকালে দেখা হতো। কথা হতো।বাশার এই কাজ করেছে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় নভোর। বাশারও অস্বীকার করে সবকিছু। তখন নভো তাকে পুলিশের ভয় দেখায়। এরপরই তার মুখ খুলে যায়। সবকিছুর পেছনে আছে মাধবী। মাধবীর কথাতেই সে এসব কাজ করেছে। কথাটি বিশ্বাস করতে পারে না নভো। সে কতদিন ধরে ভালোবাসে মাধবীকে।মাধবীও সেটা জানে।তাহলে তার সাথে এমনটা কেন করলো মাধবী? মাধবী কি তাকে ভালোবাসে? যদি বেসেই থাকে তাহলে সরাসরি বললেই হতো।এভাবে অন্যের জীবন নষ্ট করে কেন? সেদিন দুপুরের পরই মাধবীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে ডেকে তার সাথে কথা বলে নভো। মাধবীও সবকিছু অস্বীকার করে শুরুতে। কিন্তু যখনই নভো বাশারের প্রসঙ্গ তোলে,তখন মাধবী কান্নায় ভেঙে পড়ে। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক রাকিবের সাথে প্রেম করতে আগ্রহী ছিলো সে। কিন্তু রাকিব তার প্রেমে সাড়া দেয় নি। একদিন মৃণ্ময়ীর সাথে স্যারকে কথা বলতে দেখে মাধবী।চরম মাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয় সে। তার এই ঈর্ষা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে যখন সে মৃণ্ময়ীকে নভোর সাথে দেখে। মাধবীর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় নভো। মাধবীকে ভালোবাসতো সে। তার এই কাজের ফলে তার মনে মাধবীর জন্য আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।সেখানে জন্ম নেয় তীব্র ঘৃণা। মাধবীকে কিছু না বলেই চলে আসে সে।

মাধবীর সাথে কথা শেষ হবার পরই নভো আকুল হয়ে যায় মৃণের সাথে বলার জন্য।একবার ভাবে তাকে ফোন করবে।পরক্ষনেই আবার ভাবে নাহ! ফোন করবে না তাকে। সরাসরিই দেখা করবে।“ বহু যুগ পার হয়ে গেছে তাদের মধ্যে দেখা হয় না।

সকাল বেলা নভোর ফোন পাওয়ার পর থেকেই আনমোনা হয়ে আছে মৃণ। সারাদিন সে অস্থিরতার মধ্যে কাটিয়েছে।ভেবেছে নভো তাকে আবার ফোন করবে। সে সারদিন একটি বারের জন্যেও তার ফোনকে হাতছাড়া করে নি।কিন্তু অপেক্ষা শুধুই বেড়েছে। সে নিজেও ফোন করেছে সেই নম্বরে।বন্ধ পেয়েছে প্রতিবার।বিকেল বেলা তার অলিন্দে সে বসেছিলো। উদাস দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে ছিলো রাস্তার দিকে। দিনের আলো তখনো ফুরিয়ে যায় নি। নরম-কোমল রোদে ছেয়ে আছে আকাশ। হঠাৎ দূরে দেখতে পায় সকালের ছেলেটার মতো একটি ছেলে এগিয়ে আসছে তার বাড়ির সামনের রাস্তা ধরে। ঠিক নভোর মতো দেখতে। সকালের ছেলেটা নভো ছিলো না।এও হয়তো নভো না।মনে হতে থাকে মৃণ্ময়ীর।কিন্তু ছেলেটা তার বাড়ির সামনে এসেই থেমে গেল।মৃণ্ময়ী চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দেখে। দেখতে পায় ,সেই নীল জিন্স আর সাদা টি-শার্ট পরে নিচে দাঁড়িয়ে আছে নভো। মুখভর্তি হাসি নিয়ে হাতের ইশারায় মৃণ্ময়ীকে নিচে ডাকছে সে।

(চলবে)

বিঃদ্রঃ ১৪ তম পর্বে লেখাটি একটি রহস্যের দিকে চলে যায়।তাই রহস্য উন্মোচনের দিকে বেশি দৃষ্টি দেয়ায় হয়তো প্রেমের গভীরতা বা মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন গল্পে বেশি আসে নি। শ্রদ্ধেয় ব্লগার জনাব মাইদুল সরকার এর অনুরোধে গল্পটি লিখেছি।আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি কখনো প্রেমের গল্প কিংবা রহস্য গল্প লিখিনি। গল্পে তা-ই লিখেছি যা আমার সাথে ঘটলে আমি করতাম। যদিও আমি প্রথমেই পুলিশের কাছে যেতাম। যেহেতু নভোই রহস্য উন্মোচনে ব্রতী হয়েছে,তাই একজন ছাত্রের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকুই রেখেছি গল্পে।আরো জটিল হলে এমন কিছু করতে হতো নভোকে যেখানে পুলিশের প্রবেশাধিকার আছে, তার প্রবেশাধিকার নেই। এই গল্পে রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে একটা ভজঘট হয়েছে। না এটা গল্প হয়েছে,না প্রতিবেদন ! যতটুকু আবেগ মিশ্রিত লেখা বা কাব্যিকতা দরকার ছিলো তা আমার শব্দগত সীমাবদ্ধতার জন্য আনতে পারিনি। তাছাড়া বিস্তারিত বর্ণনার জন্য গল্পও বড়ো হয়ে গেছে।এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এরকম গল্প এটাই প্রথম আমার দ্বারা। তাই ভুলত্রুটি থাকা অসম্ভব কিছু নয়।থাকলে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।ধন্যবাদ।


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার কাছে এই কাহিনী ইন্তারেষ্টিং মনে হয়ছে?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লাগে নি।প্রেম,দ্বন্দ্ব, টানাপড়েন। ঘুরে ফিরে এসবই। প্রেমের ক্ষেত্রে এর বেশি কিছু লেখার থাকে না।তাই প্রেমের গল্প আমার ইন্টারেস্টিং লাগে নি কখনোই।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

ফটিকলাল বলেছেন: এই সিরিজের আগের গুলো পড়তে হবে। তাহলে ঘটনাগুলো পুরোপুরি বুঝতে পারবো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আগের লেকখাগুলো পড়ে দেখবেন অবশ্যই।এটা ২০ পর্বে শেষ হবে।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মুরাদ বেগ বলেছেন: এ পর্বেও শেষ হলোনা!
আগেন সবগুলো পর্ব পড়েছি সেখানে প্রেম ছিলো কিন্তু আপনার পর্বে রহস্য পেয়ে ভালো লেগেছে কেননা আমি রহস্য গল্প পছন্দ করি। আপনাকে ধন্যবাদ পর্বটি লেখার জন্যে এবার আরেকজন লেখক পরের পর্ব শুরু করলেই বোধহয় গল্পের ইতি হবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। এই গল্পটি বিশতম পর্বে শেষ হবে। সুতরাং আরো পাঁচজন নতুন লেখক যুক্ত হবেন এখানে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি প্রতিভাবান মানুষ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: শুধু ভালো না, চমৎকার হয়েছে।
গত পর্বের ক্লু এবং চলমান সমস্যগুলো দুর্দান্তভাবে সলভ করেছেন। দারুণ হয়েছে গল্প।

আমার মনে হচ্ছে ব্যক্তিজীবনে আপনি পুলিশ/সিআইডি।

মাইদুল ভাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা যুগিয়ে গল্পটি এভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার চমৎকার লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি।
"আমার মনে হচ্ছে ব্যক্তিজীবনে আপনি পুলিশ/সিআইডি।"
আমি এই দুটোর কোনোটিই নই,বরং আমি এখনো পেশাগত জীবনে প্রবেশ করিনি।। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জট খোলা তত্ত্বের প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি এখানে। কতটুকু পারলাম জানি না। আমি ওনার শার্লক হোমসের ভক্ত।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধেয় মাইদুল ভাইয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।এধরণের গল্প এই প্রথম লিখলাম আমি। এক নতুন জগতের সূচনা তিনি করে দিয়েছেন আমার জন্য।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা ফুটবল টিম যদি বাংলাদেশ ফুটবল টিমের সাথে ম্যাচ খেলতে আসে, তাহলে বাংলাদেশ টিমের খেলাম মান বাড়বে, কিন্তু ওই দুই টিমের খেলার মান কিছুটা পড়ে যাবে স্বাভাবিকভাবেই। আপনার আগের গল্পগুলোর সাথে এটা মেলাতে গেলে আমার ওই উদাহরণটাই মনে পড়লো।

আপনাকে ধন্যবাদ, সাথে ব্লগার মাইদুল সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি অন্তত দুজনকে এই সিরিজে যুক্ত করেছেন, অথচ এর আগে আমি কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানালেও কেউ পাত্তা দেয়নি X(( কি দুঃখ, কি দুঃখ! এখন দেখা যাক, এটার পরবর্তী নাটাই কে ধরেন!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এভাবে পাশে থাকলে ভালো লাগবে।এই ধরণের ধারাবাহিক গল্প আমি আগে লিখিনি।তাই এটাতে একটা অপূর্ণতা আমার নিজেরই ছিলো।এই ধারার গল্প আরো বেশি পড়তে হবে এখন মনে হচ্ছে।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি যেন হঠাৎ এই পোস্ট দেখে মুগ্ধ ও স্তব্দ। কারণ গতকালই মাত্র তমাল ভাইকে বললাম লিখতে।প্রথমেতো লিংকই কাজ করছিলনা পরের লিংক কাজ করেছে ততক্ষণে মনে হয় উনি নিজেই গল্প খুঁজে পেয়েছেন।

এত দ্রুত সবকটি পর্ব পড়ে সুন্দরভাবে রহস্যের সমাধান করে ১৫ তম পর্ব পাঠকের সামনে নিয়ে এসেছেন ভাবতেই অবাক লাগছে।

আপনি যেহেতু গল্প লিখেন সব ধরনের গল্পই লিখতে পারবেন বলে আমার ধারনা ছিল এবং সেটা প্রমাণিত হলো।

সার্কল হোমস আমারও প্রিয়।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করায় আপনার সেই গুনটি আবারও প্রকাশ পেল।

+++++++++++

৥ পদ্ম পুকুর- এ পর্যন্ত ০৩ জনকে এ গল্পে যুক্ত করাতে পেরিছি। যারা যুক্ত হলেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা। দেখা যাক কেউ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন না অনুরোধের ঢেকি গিলেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার ২য় লিংক দেয়ার আগেই আমি সব পর্ব পড়ে নিয়েছিলাম। এরপর সারাদিন ভাবনা ও গবেষণা।এরপর রাতে একটা কাঠামো দাড় করালাম।রক্ত মাংস কম পড়েছে।তাই গল্পটা একটা ভালো গল্পের মতো হয় নি মনে হচ্ছে।অনেকটা প্রতিবেদন।তাও পুরোপুরি না। আপনাদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি জানি না। তারপরও এই বিখ্যাত সিরিজে যুক্ত করায় আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
১৫ তম পর্বটি আসলেই জটিল। কারণ রহস্যের সমাধনই এই পর্বের মূল উপজীব্য ।

তাই রোমান্টিক সংলাব বা আবহের কোন সুযোগ নেই। সেটি বিবেচনায় নিয়েই ভাল করেছেন আপনি।

প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং পাঠকও আশা করি আনন্দিত।

এই গল্পটি ব্লগে বা বাংলাদেশ একটি রেকর্ডের জন্ম দিবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে জেনে ভালো লাগছে। বিশ জন আলাদা লেখক।আসলেই অনন্য রেকর্ড এটা।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। সব পর্বই আবেগ আর স্বপ্নে ভরপুর থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই প্রত্যেক লেখকই স্বাধীন। এই গল্পে একটি নুতন মাত্রা যোগ হলো এই পর্বটি রহস্য গল্পের রূপ নিয়ে আবির্ভুত হয়েছে, যেখানে, কনান ডয়াল, হেডলী চেজ,ইয়ান ফ্লেমিং,আগাথা ক্রীষ্টি,জেমস রলিন্স আর কিরিটী রায়ের সৌরভ পাওয়া যায় যেটা অন্য কোন পর্বে নেই। আপনি সমাপ্তীতে এসে আবারো প্রেম ভালবাসার সুযোগ উন্মোচন করেছেন পরবর্তি লেখকের জন্য।
সুন্দর একটি পর্ব উপহার দেওয়ার জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ রইলো।
ভাল থাকুন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে লিখতে গিয়ে আগের গুণী লেখকগণের চমৎকার লেখাগুলো মাথায় ঘুরছিলো। বারবার মনে হচ্ছিলো গল্পের মান পড়ে যায় কি না।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

স্থিতধী বলেছেন: আপনার উছিলায় আমি আজকে সময় নিয়ে আগের চৌদ্দটা পর্ব পড়ে আসলাম যাতে আপনার লেখা পর্বটা বুঝতে পারি । এই ব্লগে আজ প্রথম আমি এতগুলো ফিকশন ধারার লেখা একসাথে পড়লাম । রিম সাবরিনা আপু গল্পটাকে যেখান থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন সেখান থেকে প্লটটাকে অনেক ভাবে ঘোরানোর সুযোগ ছিলো । প্লটটাকে একবার প্রেমের আঙ্গিনায় ঢুকিয়ে দেওয়ার পর এটার পরের পর্বগুলো অনেকক্ষন ধরে শুধু প্রেমের পুকুড়েই হাবুডুবু খাচ্ছিলো । ফলে আপনি এক নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে যা লিখেছেন আমিও অনেকটা একইরকম অনুভব করছিলাম। তাও ভালো টানাপোড়ন টাকে একটু খানি অন্য চেহারা দেন ব্লগার মাইদুল সরকার, ফলে গল্প একটা অন্য দিকে মোড় নেয়। আর সেই মোড়টাকে একটা দারুন এক পর্বে খুব নান্দনিক দক্ষতায় গতিময়তা দিয়ে দেন ব্লগার ক্লপদ্রুম। ফয়সাল রকি ভাই ও তাতে আরো একটু জট পাকান । এই পর্বে এসে আপনি একটা কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন ; রহস্যের জট খোলার দায়িত্ব । এটা ঠিক আপনার যে লেখনী দক্ষতা, আপনি আরেকটু ডালপালা মেলিয়ে জটটাকে খুলতেও পারতেন। লেখা বড় নয়, আমি বরং বলবো ছোট হয়েছে । আপনি আরেকটু সময় নিয়ে লিখলে বোধ করি জট খোলার ব্যাপারটা আরো থ্রিলিং হতো। তবে তারমানে এই না যে আপনার প্রথম রহস্যধর্মী লেখা হিসেবে এটা খারাপ হয়েছে। মোটেও খারাপ হয়নি, আসলে বেশ ভালোই হয়েছে ।

আমি আমার নোয়াখালীর রক্ত ব্যাবহার করার চেষ্টা করে এই গল্পে একটা প্যাঁচ লাগিয়ে দেবো ভাবতেছিলাম। কিন্তু আপনি এই নভো নামক ছোকড়াটিকে গল্পের শেষে হাসিমুখে এনে দাড়া করিয়ে দিয়ে আমার সেই প্যাঁচ লাগানোর ভাবনাটিকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিয়েছেন। ছেলেটা যদি একটি গোমড়া - গম্ভীর মুখে এসে হাজির হতো তাহলেই প্যাঁচটা আমি লাগিয়েই দিতাম মাইরী! :P ;)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আসলে আমি আরো কিছু জট পাঁকাবার চিন্তাভাবনা করেছিলাম প্রথমে। কিন্তু যা চিন্তা করেছি সেগুলো সমাধান করতে গেলে নভোকে একজন ফরেনসিক এক্সপার্টের সাহায্য নিতে হতো আবার পেশাদার গোয়েন্দার মতো আচরণ করতে হতো।এটা একজন ছাত্রের জন্য অতিরঞ্জন হয়ে যাবে বলে মনে হয়েছে আমার। কারণ অনুমোদিত সংস্থা ছাড়া ফরেনসিক সাহায্য আর কেউ পায় না।তবে প্রথমে যদি জটটা আমি নিজে লাগাতে পারতাম তাহলে আমি এদের জীবন নরক করে দিয়ে বহু ঘাটের জল খাইয়ে তারপর সমাধান করতাম। এক্ষেত্রে ক্লু নিতে হয়েছে আগের পর্ব থেকে।

জট লাগানোর জায়গা শেষ হয়ে যায় নি এখনো। কেউ কারো অতীত জানে না। অতীত নিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন ইচ্ছা করলে। ক্লু কিন্তু একটা ধরিয়ে দিলাম। বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লেখাটা আলোচিত পাতায় ও নির্বাচিত পাতায় দেখে ভাল লাগলো।

গল্পের প্রয়োজনে গল্প এগিয়ে যাবে । দেখা যাক সামনে কি ঘটে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এটা দেখে আমিও আনন্দিত হয়েছি। আরো পাঁচ পর্ব আছে।দেখা যাক কোনদিকে মোড় নেয় ঘটনা!!

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:



রহস্য উম্মোচন ভালো লেগেছে । গত পর্বে রকিকে বলেছিলাম ...

"মনে হচ্ছে এই দুষ্টচক্রের কাজটা মাধবী করাচ্ছে । সে নোভোকে লাইক করে তাই জেলাসি থেকে এটা করছে । "

তমালের সাথে আমার ভাবনা মিলে গেলো :)


২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমারো এমনটা মনে হয়েছে যখন মৃণ্ময়ীকে মাধবী এসে রাকিব স্যারের কথা বললো নিজে যেচেই। ব্যাপারটা আমার কাছে "ঠাকুরঘরে কে রে?" " মা আমি কলা খাই না।" এমনটা মনে হয়েছে।রহস্য উন্মোচন ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৬

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: তাক লাগিয়ে দিলেন মশাই। ছুড়ে দেয়া টেনিস বল এখন বিশাল স্নো বল হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগে। আপনি চারা লাগিয়েছিলেন। সেটা এখন গাছ হয়ে যাচ্ছে।আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.