নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী।কূপমণ্ডুকতা ঘৃণা করি।ভালোবাসি সাহিত্য।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

বলার মত কিছুই নই আমি।একজন মহামূর্খ।

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণ: মাওয়া ঘাট এবং ইলিশ বিড়ম্বনা

০৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২০




ছবিসূত্র: prothomalo.com

পড়াশোনার কারণে আমাকে ছয় বছর বরিশালে থাকতে হয়েছিলো। সেই ছয় বছরের কোনো এক বছরের ঘটনা এটি। আমি গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। ছুটিটা বেশ ভালোই কেটে যাচ্ছিলো।এত সুখ সহ্য হচ্ছিলো না কেন যেন।তাই ভূতের কিল খেলাম নিজে যেচে। আমাদের বাড়ির গাছে সেবার আম হয়েছিলো অনেক।এক সকালে বাবা এক ব্যাগ আম গুছিয়ে নিয়ে আমাকে বললেন,

"যা। তোর ফুফুর বাড়িতে দিয়ে আয়।"

আমি বললাম, "আচ্ছা যাচ্ছি।"

ভাবলাম তখনই তাড়াহুড়ো না করে দুপুরে খেয়ে ধীরে সুস্থে রওনা দেব।কিন্তু সেদিন দুপুরে এমন ঘুম দিলাম যে সন্ধ্যা হয়ে গেল। রাতের বেলা বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন আমি তখনো বাড়িতে।ছোট ভাইবোনের সামনে এমন ধমক দিলেন আর রাগারাগি করলেন যে আমার আর সহ্য হলো না। "আমি আর থাকবো না এখানে (অনেকটা আমি তো ভালা না, ভালা লইয়াই থাইকো টাইপের সিদ্ধান্ত)।" বলেই রওনা দিলাম বরিশালের পথে।

প্রথমে উল্লেখ করে নিই, বরিশালে যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ,আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী মাধ্যম লঞ্চ।তাই বেশির ভাগ সময়ে আমি লঞ্চেই যাতায়াত করেছি। ইমার্জেন্সি অবস্থা হলে তখন বাসে যাতায়াত করতাম। যেদিন বাবার ওপর অভিমান করে বের হয়ে গেলাম, সেদিন রাত নয়টা বেজে গিয়েছিলো। লঞ্চ সব ছেড়ে চলে গেছে। সরাসরি বাসও নেই তখন। পোস্তগোলা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে আছি।তখন রাত দশটা।বিভিন্ন রুটের বাসের দালাল এসে জিজ্ঞাসা করছে, "কই যাইবেন?" একজনের বাসও বরিশাল যাবে না। একটু ভয় করতে লাগলো। মনে হচ্ছিলো "বাবার অভিশাপ লাগছে মনে হয়। এভাবে চলে আসাটা ঠিক হয় নি।" একবার মনে হলো ফিরে যাই।পরেই আবার মনে হলো, নাহ! যাবো না।সবাই হাসবে।আমার সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এর মধ্যে আবার বাবা ফোন দিলেন। ভাবলাম দুবার ফিরে আসতে বললেই চলে যাবো। কিন্তু বাবা একবারও বললেন না।উলটো সহজে কিভাবে যাবো সেই কৌশল বাৎলে দেয়া শুরু করলেন। মেজাজ গেল বিগড়ে। যেভাবেই হোক বরিশালই যাবো পণ করলাম।কিন্তু পণ করলেই তো হবে না।উপায়ও থাকতে হবে।বরিশালের বাস পাচ্ছি না। ঠিক করলাম, কোনো একটা বাসে উঠে মাওয়া পার হয়ে কাওড়াকান্দি নেমে যাবো। ওপারে গেলেই বরিশালের বাস পাওয়া যাবে। এই প্ল্যান কাজে দিলো। ঘন্টাখানেকের মধ্যে মাওয়া চলে এলাম। কিন্তু দেখলাম ঘাটে প্রচুর ভিড়। আমার বাসের সিরিয়াল ৪৭ নম্বরে। কী আর করার! তখন লঞ্চও নেই।

ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীত অনেক গাওয়া হলো। ভূমিকা অনেক বড়ো হয়ে গেল।এবার আসল ঘটনায় আসি।রাত ৯ টায় বের হয়ে এগারোটা নাগাদ মাওয়ায় এসে পৌছেছি।রাতের খাবার খেয়ে বের হইনি।খিদেয় পেট চো চো করছে ।মাওয়া মানে আগেকার মাওয়া। এখন আর মাওয়াতে ঘাট নেই। সেটা শিমুলিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে। মাওয়া ঘাটে ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছি। বাসের সিরিয়াল ৪৭।আমার উদ্দেশ্য ওপারে যাওয়া।তাই বাস থেকে নেমে গেছি।কিছুক্ষণ আগেই একটা ফেরি মিস করেছি। তখন ফেরী পাড় হতেও আড়াই ঘন্টা লাগতো। তাই আমার হাতে আড়াই ঘন্টা সময় ছিলো। ঘুরে বেড়াচ্ছি, এর মধ্যেই এক হোটেলের দালাল রীতিমতো আমার হাতের বাহু চেপে ধরলো।

"ভাই। বইয়া যান। এক্কেরে অরজিনাল পদ্মার ইলিশ। খাইয়া সারাজীবন মনে রাকবেন।"

বলতে বলতেই আমাকে প্রায় টেনে চুলার পাশে নিয়ে গেল। সেখানে একটা কড়াইয়ের পাশের ট্রে-তে থরে থরে অনেকগুলো ইলিশ মাছের টুকরো সাজানো ছিলো। সাইজে বেশ বড় এবং মশলা মাখানো। কয়েকটার মধ্যে ডিম আছে আবার। আমি সেদিকে তাকাতেই দালাল সাহেবের চোখে পড়লো সেটা।

"এইযে ভাই। ডিম অলা মাছ।অহনই ভাইজ্জা দিবো।বিতরে বসেন।"

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "পিস কত কইরা বাই?"

উত্তর পেলাম " দেড়শো ট্যাকা।অরজিনাল পদ্মার ইলিশ।দাম বেশি।"

দাম শুনেই উলটো দিকে ঘুরে হাটতে শুরু করলাম। তখন সেই লোক এসে বললো,

"বাই। রাগ করেন ক্যা? আপনে একশো দিয়েন।রাইত বেশি। কাস্টমার নাই। আপনের লাইগ্যা কমাইলাম।নইলে এই দামেই বেচি।"

ধুপ করে দাম দেড়শো থেকে একশোতে নেমে আসায় একটু খটকা লাগলো। একটা চান্স নিলাম।

বললাম "পঞ্চাশ দিমু। দিলে দাও।নাইলে গেলাম গা।"

সে না-সূচক মাথা নাড়তেই আমি হাটা শুরু করলাম। ভাবলাম খাবো না।দাম বেশি কিন্তু একটু পরেই আমাকে অবাক করে দিয়ে দালাল সাহেব ডেকে বললো,

" আর দশটা ট্যাহা দেন বাই।আমি চাইয়া নিলাম।"

কী আর করার! ষাট টাকায় ভাজা ইলিশ মাছ খেতে রাজি হয়ে গেলাম। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মাছ ভাজতে দেখে সেই মাছটাই যেন আমার প্লেটে আসে সেটা নিশ্চিত করলাম। কিন্তু বাটিতে যা এলো সেটা দেখে আমার আক্কেলগুড়ুম হয়ে গেল। বাটিতে সেই মাছের টুকরো। সাথে একেবারে কুচকুচে কালো সয়াবিন তেল আর তার মধ্যে ডুবে আছে একটা শুকনো মরিচ। ষাট টাকায় এর চেয়ে বেশি আর কী দেবে! ভেবে নিয়ে খেতে শুরু করলাম। কিন্তু খেতে বসে মনে হলো, অরজিনাল পদ্মার ইলিশ তো দূরের কথা! এখানে ইলিশ মাছের স্বাদ, ঘ্রাণ কিছুই নেই। তাও খেতে থাকলাম। কিন্তু বিপত্তি এলো এর একটু পরেই।

দালাল সাহেব হন্তদন্ত হয়ে দৌড়তে দৌড়তে এসে বললো, "

বাই। বাই। আপনের বাস গেলো গা।ফেরিতে উইট্টা যাইতাছে।"

সে জানতো না আমি বাস ত্যাগ করেছি। তাও বললাম,

" বাই।গুইন্না দেখছি। সিরিয়াল ৪৭ নাম্বার।"

"আরে বাই ট্যাহা দিয়া সাইড কাইট্যা ডুইক্কা গেছে মিয়া।ঘাটের অবস্তা জানেন না তো কিছুই।"

আমার প্রতি লোকটার উৎকণ্ঠাকে স্বাগত জানিয়ে আমি তার সাথেই উঠে গিয়ে দেখতে লাগলাম বাস যাচ্ছে কিনা। কিন্তু খুশি হবার বদলে দেখলাম তার মুখটা কালো হয়ে গেল। এখন আপনার হয়তো জিজ্ঞাসা করতে পারেন তার মুখ কালো কেন হয়ে গেল? আমি তো তার পরিকল্পনা মতোই কাজ করেছি। আসল ব্যাপার হলো, আমি প্লেট হাতে নিয়েই বাইরে বের হয়ে এসেছি।সেটা তার চোখ এড়ায় নি। তার মুখ কালো দেখে বললাম,

" আহারে বাই, বাসটা গেল গা। কী আর করমু? খাইয়াই যাই!" বলে ভেতরে চলে গেলাম।

ইলিশ মাছ দিয়ে গরম ভাত খেয়ে বিল মিটিয়ে বাইরে চলে এলাম। আমার মেজ চাচার মুখে আরিচা ঘাটের এই জালিয়াতির গপ্পো শুনেছিলাম। লোকজন প্লেট হাতে দৌড় দেয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে নাকি এই জালিয়াতি অনেকটা কমে গিয়েছিলো। মাওয়া ঘাটেও এই জালিয়াতি হয় এটা জানতাম না। তবে সেদিন চাচার গপ্পের অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছিলো।

বাইরে বেরিয়ে দেখলাম ঘড়িতে প্রায় পৌনে বারোটা বাজে। এখন ফেরিতে উঠলেও ওপারে যেতে যেতে রাত আড়াইটা বাজবে। তখন বাস পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।মাইক্রোবাস পাওয়া যাবে।কিন্তু ডাকাতির ভয় উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই সকল নিশ্চিত হাসাহাসি উপহাসকে উপেক্ষা করে বাড়িতেই রওনা দিলাম। দু-ঘন্টার মধ্যেই বাড়িতে পৌছে গেলাম। বাবা-ই দরজা খুলে দিলেন। কোনো বাক্য বিনিময় হলো না। ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরের দিন সকালবেলা দেখলাম যে-ই আমার দিকে তাকায় সে-ই মুখ টিপে হাসে। শেষে আর না পেরে রাতে ঘটে যাওয়া আমার বীরত্বের গল্প বললাম সবাইকে। দেখলাম ছোটভাই একটু ইম্প্রেসড হয়েছে।কিন্তু ছোটবোন আর বাবা-মা এবার জোরেসোরে হাসছে। শেষে বাবা বলে বসলেন,

" ইলিশ খাওয়ার শখ জাগছে বললেই পারতা।এনে দিতাম। এত তেজ দেখিয়ে মাওয়া যাওয়ার কী দরকার ছিলো?"

(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
দারুন একটা টাটকা গল্প বেড়িয়ে এল ভাই। কাজ ফেলে রেখে- একটানে পড়লাম।

শেষেতো হাসি আটকে রাখতে পারলাম না। দারুন

০৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার ঘাটের ভাষা সম্পর্কিত পোস্টটা পড়ে মনে হয়েছিলো এটা লিখি। আমার এর আগে কয়েকবার রাগ করে বের হয়ে গিয়ে আবার দু-তিন ঘন্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসার রেকর্ড আছে। এজন্য আমার বীরত্বের ব্যাপারে কেউ পাত্তা দেয় নি। সবাই ধরেই নিয়েছিলো আমি ফিরে আসবো।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: একসময় নিয়মিত বছরে অন্তত তিন/চারবার ঢাকা থেকে যশোর আসা যাওয়া করতে হতো। ফেরি ঘাটের মজার গল্প আমারও আছে। ভাবছি কোন এক সময় সময় করে লিখবো।পোস্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।

ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় তমাল ভাই।
শুভ কামনা সতত।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই। ঘাটের গল্পগুলো বিড়ম্বনার হলেও এর মধ্যে আলাদা মজা থাকে। আপনার গল্পটি লিখে ফেলুন। পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনিও ভালো থাকবেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ইসিয়াক ভাই।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩০

সোহানী বলেছেন: হাসতে হাসতে শেষ। এভাবে বীরত্ব এর জলান্জলি দেয়া ঠিক হয়নি।

তবে ঘাটের হোটেল ওয়ালাদের দৈাড়াত্ব অনেক শুনেছি। আমরা কিছুদিন বরিশাল ছিলাম বাবার চাকরীর সূত্রে। লঞ্চ বা স্টিমারে বেশ ক'বার যাতায়াত করেছিলাম। আমার প্রিয় জার্নির একটি এ জার্নি। রাতে স্টিমারের ছাদে আকাশের তারা দেখিয়ে দিতেন বাবা, কালপুরুষ বা সাত সতীনের তারার গল্পগুলো তখনই শুনেছিলাম।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী আপু। একগুঁয়েমী করে বীরত্ব জলাঞ্জলী না দেয়াটা বোকামি হতো। তখন বাস পেতাম না। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে যেতে হতো। আর রাতে ডাকাতি হয় অনেকসময়। তাই রিস্ক নেই নি। কিন্তু বাড়ির লোক তো সেটা বুঝতে চায় না। এর আগেও রাগ করে বের হয়ে গিয়ে দুই-তিন ঘন্টা পরে বাড়িতে ফিরে আসার রেকর্ড আছে। তারা এটাকে তেমনই একটা কিছু মনে করেছে।
লঞ্চের জার্নি আসলেই চমৎকার। আমি প্রায়ই ডেকে যাতায়াত করতাম। ডেকে জায়গা না পেলে সোজা ছাদে চলে যেতাম। সেখানে শুয়ে আকাশ দেখতাম।পূর্ণিমা রাতের রূপ খুবই ভয়ংকর। লঞ্চ ভ্রমণ নিয়ে আমার একটা লেখা আছে ব্লগে। সময় পেলে পড়ে নেয়ার অনুরোধ রইলো।
https://www.somewhereinblog.net/blog/Mostafiztomal/30310937

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হারানো ইজ্জতের কি অবস্থা তমাল ?
সবার গল্প পড়ে আমার যে কি পরিমাণ ইচ্ছে হচ্ছে যেতে সেইসব বেড়ার দোকানে ইলিশ খেতে। বিক্রমপুরের মেয়ে হয়েও ঘাটের ইলিশের অভিজ্ঞতা নাই :( ইজ্জত যায়যায়।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু। আমার এই ইজ্জতভ্রষ্ট হওয়া নতুন কিছু না। আগেও রেগেমেগে বের হয়ে গিয়ে দুই-তিন ঘন্টা ঘুরি ফিরে বাড়িতে আসার রেকর্ড আছে। সেদিন সবাই ধরেই নিয়েছিলো আমি চলে আসব। তাই বাবা বাদে সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো।বাবা শুধু দরজা খোলার জন্য জেগে ছিলেন।
ঘাটের ইলিশের অবস্থা এখন ভালো না।শুধু নামটাই আছে।মান পড়ে গেছে একেবারে। অস্বাস্থ্যকর পোড়া তেলের ব্যবহার বেশি। অনেক সময় ঠিকমতো ভাজেও না। স্বাদও দিনদিন কমছে। তবে হাতেগোনা কিছু দোকানের মাছটা ভালো হয়।কিন্তু সেগুলো ঘাট থেকে একটু দূরে। তবে মাছের ঘ্রাণ পাবেন না।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। গেলে যেন কপালে ভালোটাই পড়ে।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫

কুশন বলেছেন: বহু বছর মাওয়া যাই না। ইলিশ খাই না। এবার দেশে গেলে মাওয়া যাবো। ইলিশ খাবো।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে স্বাগত জানাই আমার ব্লগে।একই সাথে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। কঅরোনার ঝামেলা শেষে অবশ্যই দেশে আসবেন। আপনার স্বপন পূরণ হোক।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৮

জুন বলেছেন: মাওয়া আমার আম্মার দেশ, পদ্মায় বিলীন হওয়া মাওয়া নিয়েও তারা আজীবন গর্ব করে গেছে। আমরাও অনেকবার বেড়াতে গিয়েছি সেখানে আত্নীয়দের বাগান বাড়িতে, কিন্ত ঘাটে বসে মাছ খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। আপনার কাহিনি পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। হোটেলের ঐ চতুর লোকগুলোর দেশ কি মাওয়া??

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জুন আপু। মাওয়া, আরিচা, গোয়ালন্দ ঘাটের ইলিশ একটা ঐতিহ্যের নাম। ঘাট রখন আর মাওয়ায় নেই। সেটা স্থানান্তরিত হয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িতে চলে গেছে। চতুর লোকগুলোর বাড়ি কোথায় জানি না।তবে বেশির ভাগ লোকের বাড়িই শরীয়তপুর, শিবচর, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, লৌহজং,মুন্সীগঞ্জ এসব আশেপাশের এলাকায়। এদের ভাষায় প্রমিত, আঞ্চলিক, সাংকেতিক ভাষার অদ্ভুত মিশ্রণ থাকে।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মজার গল্প।
আপনার আব্বা দেখি বেশ রসিক মানুষ ।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই। আমার বাবা আসলেই বেশ রসিক মানুষ।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: মাওয়া ঘাট যখন মাওয়া ঘাট হয় নাই তখন গিয়েছি অনেক বার।ঘাট হওয়ার পর একবারও যাওয়া হয় নাই।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কামাল ভাই। আপনি বহু আগের কথা বলছেন। এখন আর মাওয়ায় ঘাট নেই। সেটা শিমুলিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে। মাওয়াতে কিছু মালবাহী যানবাহন যাতায়াত করে এখন।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি বরিশালের পোলা বিধায় আমাকেও এই পথ মাড়তে হয়েছে
তবে আপনার মতো বুদ্ধিমান না হবার কারনে ইলিশের টাকা মিটিয়ে
দিয়েও ইলিশের স্বাদ নিতে পারিনাই। প্লেট ফেলে্ই বাস ধরতে দৌড়!
কিন্তু হায় বাস কই তুই !! প্রতারিত হলাম মাওয়া ঘা্টে !!

তপনদাদাকে এই ঘটনা বলতে চেয়েছিলাম, আপনি এখানে থাকলে
আওয়াজ দিয়েন!!

০৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: : আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নুরু ভাই। এই বুদ্ধি পেয়েছি আমার চাচার গপ্পো থেকে। বাস থেকে লঞ্চই ভালো আসলে। বরিশাল যাওয়ার জন্য। আপনি একটা পোস্ট দিয়ে দেন এ ব্যাপারে। ব্রিজ হয়ে গেলে এই গল্পগুলো থাকবে না আর।

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৩২

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার বীরত্বের গল্প জেনে গেলাম।
হোটেলে খাওয়ার সময় যে এমন ধোকা দেয়া হয়, এটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ঢুকিচেপা ভাই। এই ব্যাপারটা বন্দরে, ঘাটে, বাস স্টেশন, রেল স্টেশনে হয়। এখানকার লোকগুলো সবাইকে ধরে না। এরা দেখে বুঝতে পারে কোনটাকে ধরলে লাভ আছে।

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রতিটি ঘাটেই হোটেলগুলোতে এরকম প্রতারণা হতো এখনো হচ্ছে তবে সেটা সময়ের পরিক্রমায় কমে এসেছে। গল্পটি মজা লেগেছে। তবে আপনার বীরত্বকে আপনি নিজেই জলাঞ্জলি দিলেন।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনাকে স্বাগত জানাই আমার ব্লগে। এখন মানুষ জেনে গেছে তাদের এসব প্রতারণা সম্পর্কে। আর তাই কমে যাওয়াটা অবশ্যম্ভাবী। জলাঞ্জলি না দিলে তো বিপদে পড়ার সম্ভাবনা ছিলো। :D :|

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা দারুন মজার ঘটনা। মানুষ এত বাটপারি করে ক্যান বুঝি না।

ভালো থাকুন পালানোর চিন্তা কইরেন না আর।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমি শুনেছি একপিস মাছ নাকি ৩-৪ জনের জনের কাছে বিক্রি করে এরকম প্রতারণা করে। এগুলো করে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে। আমি তো পালাই নাই। রাগ করে চলে গেছিলাম। :D :D

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদিন মাওয়া গিয়েছিলাম, বিকেলে রওয়ানা দিয়ে পৌঁছতে সন্ধ্যা প্রায়, আর কী কুয়াশা ছিলো, ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি। ছেলে দেখি কাঁপতেছে। মাত্র দশ মিনিট ছিলাম নদীর ধারে। ইলিশ খাওয়া আর হলো না। কিন্তু দুই ছেলেরই ইচ্ছে সেখানে গিয়ে ইলিশ খাবে। আল্লাহ রিযিক রাখলে ইনশাআল্লাহ যাবো কোনো একদিন।

ছেলেরা তো রাগ করে পালাতে পারে। কিন্তু মেয়েরা পালাইবো কী পালাইবার আগেই ইলিশ খাইবো দূরে থাক্ ডর খাইয়া বইয়া থাকে।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মাওয়ার ওখানটায় নদী অনেক প্রশস্ত।এপার-ওপার সহজে দেখা যায় না।যদিও মাঝখানে চর আছে।তাই ওখানে এমনিতেও অনেক বাতাস থাকে। মাওয়া অংশে নদীর পানিতে ঢেউও অনেক বেশি থাকে এজন্য। বর্ষায় এত ঢেউ হয় যে দেখলে ভয় লাগে।
আপনার ও আপনার ছেলেদের জন্য শুভকামনা রইলো। সময় করে চলে যাবেন একদিন।ওখানে এখন পর্যটন স্পট গড়ে উঠছে আস্তে আস্তে।সুযোগ সুবিধাও বাড়ছে।
বন্দর এলাকায় বহু ধরণের মানুষের আনাগোনা থাকে।তাই সেখানে মেয়েদের জন্য রাতের বেলা মোটেও নিরাপদ না।তাই ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
ফিরতি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

কুশন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে স্বাগত জানাই আমার ব্লগে।একই সাথে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। কঅরোনার ঝামেলা শেষে অবশ্যই দেশে আসবেন। আপনার স্বপন পূরণ হোক।

কিছু টাকা পয়সা জমিয়ে একেবারে দেশে চলে আসবো। এই ইচ্ছা আমার।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। ফিরতি মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আহা আমার যে মাওয়া ঘাটে ইলিশ ভাজা খাওয়া হলোনা, হবে কিনা তাও জানিনা।

জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা পড়ে ভালাই লাগলো।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই। চলে যাবেন সেখানে সময় করে একদিন। এখন বেশি সময় লাগে না সেখানে যেতে। জ্যাম হয় না আগের মতো।
এরকম রাগ করে বের হয়ে গিয়ে ফিরে আসার ঘটনা আরো আছে। B-)

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্প বেশ জমে ছিলো।
মাঝে মধ্যেই রকম গ্যারাকলে পরতে হয়। আপনি শেষ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সেই সাথে পরিবারের লোকজনও কিছুটা বিনোদন পেয়েছে। ;)

০৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এই বিনোদনের রেশ এখনো আছে। আমি বাড়িতে রাগারাগি করলে এখনো বাবা বলে "যাও মাওয়া থেকে ঘুরে আসো।" B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.