![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর তার আওয়ামী লীগ (যেই দলের হর্তাকর্তা এখন মাহবুবুল আলম হানিফ আর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম!) যে নজিরই রাখুক, স্থানীয় ভাবে পরাজিত সকল আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাদের বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বী, অর্থাৎ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একাধিক ক্ষেত্রে পরাজিত প্রার্থীরা বিজয়ীদের জন্য সংবর্ধনারও আয়োজন করেছেন। সর্বোত ভাবে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, নগরের উন্নয়নে কোন আপোস নয় কোন দলাদলি নয়, মিলেমিশে কাজ না করলে নগরের অধিবাসীরাই কষ্ট পাবে।
স্থানীয় পর্যায়ের এই চিত্রের বিপরীতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, তার প্রার্থীদেরকে জনগণ ভোট দেয়নি, তাই ঈদের পর জনগণকে লোডশেডিং এর প্র্যাকটিস করানো হবে। বিদ্যুৎ না থাকলে কেমন লাগে তা তাদেরকে টের পাওয়ানো হবে। আওয়ামী লীগকে ভোট না দেয়ার ফল তাদেরকে ভোগ করানো হবে।
আগেও বলা হয়েছে, আবারও বলছি, একটি নির্বাচিত ও সভ্য প্রধানমন্ত্রী কীভাবে এ কথা বলতে পারে তা আমাদের অজানা। প্রকৃতপক্ষে পদে পদে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে যে সে ও তার সরকার আদৌ বৈধ ভাবে নির্বাচিত কোন সরকার নয়। একটি বৈধ ভাবে নির্বাচিত সরকারের নেতা কোন অসভ্য দেশেও এভাবে বক্তব্য রাখতে পারে না।
সারা দেশকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা যখন এই হুমকি দিল, তখন দলীয় পোষ্য গণমাধ্যমকে দেখা যাচ্ছে হেফাজতে ইসলামীর নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে। একটি অঞ্চলের একদল মানুষকে ব্যাক্তিগত ওয়াজ মাহফিলে তিনি কী বক্তব্য দিয়েছেন তার ভিডিও বের করে এনে বারবার গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচারিত হচ্ছে, সবার সামনে পুরো দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রীর সেই বেয়াদবি ঘোষণা তার ভগ্নাংশেও প্রচারিত হচ্ছে না।
পোষ্য গণমাধ্যম কি ভাবে এগুলো করে তারা মানুষের মন ফেরাতে পারছে? তারা কি নির্বাচনের ফলাফল দেখে না? বিএনপি ও তার সহযোগীদের নিয়ে যে পরিমাণ অপপ্রচার ও মিথ্যাচার এবং আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রচারে যে রাখঢাক তারা করে, সেগুলো যদি মানুষ বিশ্বাসই করত, তাহলে নির্বাচনের ফল ফাইভ নীল হয় কী করে? আর ফাইভ নীল তো সবে শুরু, সামনে তো আরও বহু নীল বাকি আছে। পোষ্য মিডিয়ার কি বোঝা উচিত না তারা যে মিথ্যা বলতে বলতে বলতে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছে?
©somewhere in net ltd.