নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

েমাজােম্মলরক্স

েমাজােম্মলরক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রোজায় হৃদরোগীদের করণীয়





১/ হৃদরোগীরা কি রমজান মাসে রোজা রাখতে পারেন ?



=হ্যাঁ, রোজা রাখতে পারেন, তবে ওষুধের মাত্রার কিছুটা পরিবর্তন করতে হয়।



২/ রোজায় শরীরের স্বাভাবিক কী কী পরিবর্তন হয়?



=রোজায় শরীরে সঞ্চিত চর্বি ভেঙে শক্তি উৎপাদন হয়, তাই শরীরের বাড়তি চর্বি কমে যায়। রোগীর দুর্বলতা কমে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। ওষুধের মাত্রা কম লাগে।



৩/ রোজায় কী কী সমস্যা হতে পারে?



=রোজায় বুক জ্বালাপোড়া, বাতব্যথা, পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস রোগীর রক্ত-সুগার কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, রোগীর রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।



৪/ রোজায় বুকব্যথা বা জ্বালাপোড়া করলে কী করতে হবে?



=রোজায় কখনও কখনও হঠাৎ বুক জ্বালাপোড়া, বুকব্যথা হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে অথবা ভাজা খাবার বেশি খেলে এসিডিটি বাড়ে, বুকজ্বালা বা বুকব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এন্টাসিড বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু বুকব্যথা তীব্র হলে ও ওমিপ্রাজল ওষুধে না কমলে, প্রচুর ঘাম হলে বা বমি হলে তাড়াতাড়ি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে অথবা যে কোনো কার্ডিয়াক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে যোগাযোগ করে ইসিজি বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সাপেক্ষে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।



৫/ রোজায় কি ওজন বেড়ে যেতে পারে?



=হ্যাঁ, রোজায় ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি কেউ সেহরি ও ইফতারে অধিক পরিমাণে ও অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খায়। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের একটি অন্যতম কারণ। তাই অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাদ্য, মিষ্টি, কোমল পানীয় পরিহার করে অধিক পরিমাণে শাকসবজি ও ফলের রস খেতে হবে।



৬/ রোজা অবস্থায় হৃদরোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়লে অক্সিজেন, ইনহেলার ব্যবহারে কোনো ক্ষতি আছে কি?



=রোজা অবস্থায় হৃদরোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়লে প্রয়োজনে অক্সিজেন ও ইনহেলার লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। ইনহেলারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করে এমন ইনহেলার ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।



৭/ রোজা অবস্থায় হৃদরোগীদের বুকে ব্যথা হলে স্প্রে ব্যবহারে করণীয় কী?



= রোজা অবস্থায় হৃদরোগীদের বুকে ব্যথা হলে এবং প্রয়োজনে নাইট্রেট জাতীয় স্প্রে ব্যবহারের প্রয়োজন হলে তা নেয়া যেতে পারে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবেন।



৮/ রোজা অবস্থায় হৃদরোগীদের ডায়াবেটিস থাকলে ইনসুলিন নেওয়ার নিয়ম কী?



=ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিননির্ভর হলে সেহরির আগে ও প্রয়োজনে ইফতারির আগে ইনসুলিন নিতে পারেন।



৯/ রোজা অবস্থায় হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ইকো, ইটিটি, ইসিজি পরীক্ষা করা যায় কি?



= রোজা অবস্থায় হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ইসিজি, ইকো করতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু ইটিটি যেহেতু শ্রমসাধ্য ও প্রচুর ঘাম হতে পারে তাই রোজা রাখা অবস্থায় অধিক কষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙার পর সন্ধ্যার পরে ইটিটি করা যেতে পারে।



১০/ রোজা অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করালে রোজা নষ্ট হয় কি?

= সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হবে না, এমনকি রক্তদান করলেও রোজা ভঙ্গ হবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.