নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবসময় দুটো শব্দকে বরাবরই গুলিয়ে ফেলি।শব্দ দুটো হলো , ১।আত্মানুভূতি (Ego ) এবং ২।আত্মসম্মান (Self-respect)।আসুন জেনে নেই এই দুটো শব্দের মধ্যে পার্থক্য কি ? এবং নিজেকে আরো পরিষ্কার রাখুন।
#আত্মানুভূতি (Ego ) কি?
আমার মতামত হলো , আত্মানুভূতি (Ego ) হচ্ছে নিজেকে সর্বোচ্চ/সর্বোৎকৃষ্ট মনে করা।এটা এমন এক অনুভূতি যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় বেশি উৎকৃষ্টতর(Superior) মনে করায়।এটা আপনার মুক্ত মনকে খুলে প্রকাশে বাঁধা দেয় এবং নিজেকে এতো ভালো মনে করতে শেখায় যে অন্যের ব্যক্তিত্ব কে আপনি গ্রাহ্য করেন না এবং তাদের মতামত(Point of views) কে অবহেলা করেন।এটা একটি অস্বাস্থকর মনোভাব।যখন আপনি আপনার চেয়ে একটু ভালো ব্যক্তিত্ব কে দেখেনে তখন তাকে ঘৃনা করতে শুরু করে দেন এবং নিজের আইডিয়া এবং অনুভূতি প্রকাশে সবসময় উঠে দাঁড়ান।আপনার মতামতের সাথে অন্যর মতামত না মিললে আপনি রেগে যান এবং তর্ক করেন।সর্বদা নিজের সাথে এঁটে থাকেন।
#২।আত্মসম্মান (Self-respect)।আসুন কি ?
অপরদিকে , আত্মসম্মান (Self-respect) হচ্ছে নিজের মূল্য এর পাশাপাশি অন্যর মূল্যকে অনুধাবন করতে পারা।আপনি কখনোই তর্কে জড়াবেন না বা নেতিবাচক কথায় রেগে যাবেন না।নিজের ভুলটা ধরার চেষ্টা করবেন অন্যদের ভুলটা না ধরে।আপনি আত্ববিশাসী , নীতিবান এবং সৎ।আপনি যখন কারো সম্পর্কে কিছু বলেন ভালো কিছু বলবেন।নিজের প্রতি আপনার বিশ্বাস এতোটাই বেশি যে অন্যদের উটকু সমালোচনায় আপনি থোড়াই কেয়ার করেন।আপনি শুধু সামনে দেখেন এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত।
সেই সূত্র ধরে একটা উদাহরণ টানছি , একটা চার বছরের ছেলে আপনার কাছে এলো এবং আপনার সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক কথা বললো।আপনি কি তখন ছেলেটির কথা শুনে মন খারাপ করবেন অথবা রাগ করবেন কি ? আমার মনে হয় না।কারণ , আপনি আপনার সম্পর্কে নিশ্চিত এবং অবশ্যই আত্ববিশ্বাসী সেই চার বছরের ছেলেটির তুলনায়।এখানে আপনি আপনার “আত্মসম্মান (Self-respect)” কে প্রকাশ করলেন।কিন্তু যদি আপনার সহপাঠী বা সহকর্মী আপনার সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা বলে তখন কি করবেন ? তখন আসলে কি ঘটে? এই সময় আপনি আপনার “আত্মানুভূতি(Ego)” কে প্রকাশ করবেন এবং সেটাই সাধারনত আমরা করে থাকি।এখানে আপনি আপনাকে সমালোচনা(Criticize) করার ফলে দুটো হ্মেত্রে দুটো দিক প্রকাশ করার পার্থক্য দেখতে পেলেন।কিন্তু আমার মতামত হচ্ছে , আপনি আপনার আত্ববিশ্বাসকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যান যাতে করে চার বছরের ছেলেটির হ্মেত্রে যে মনোভাব আপনি দেখিয়েছন ঠিক তেমনি আপনার সহপাঠী বা সহকর্মীর প্রতিও দেখান।আপনার “আত্মসম্মান (Self-respect)” কে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যান যেখানে “আত্মানুভূতি (Ego )” অদৃশ্য হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.