নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

Mahesh Babu

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২০

সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও যার স্বম্পর্কে কখনোই লিখিনি তিনি হলেন ভারতের একজন সুবিখ্যাত অভিনেতা মাহেশ বাবু (Mahesh Babu)।পারিবারিক নাম মাহেশ ঘট্টামানেনি।দহ্মিন ভারতীয় লোকেরা তাকে বলে প্রিন্স।উচ্চতায় তিনি ৬ফিট , আবার অনেকের মতে ৬ফিট ১ ইঞ্চি।বাবার নাম কৃষ্ণ ঘট্টামানেনি।তার বাবা অভিনেতা হবার সুবাদে মাহেশ মাত্র চার বছর বয়সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।তার অভিনয় জীবন শুরু হয় নিদ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।যা মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে।এরপর ১৯৯৯ সালে রাজাকুমারাডু নামক চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম নায়ক হিসেবে সিনেমার পর্দায় আবির্ভূত হোন।

এরপর ২০০৩ সালে ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ওক্কাডু তে তাকে একজন তরুন কাবাডি খেলোয়াড় এর ভূমিকায় দেখা যায়।সিনেমাটি ছিলো সেই সময়ের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা।২০০৫ সালে আতাডু সিনেমায় অভিনয় করার মাধ্যমে তাকে অন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যায়।এবং এই সিনেমাটিও ছিলো তেলেগু সিনেমার সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা।এমনকি সিনেমাটি পোল্যান্ডেও পোলিশভাষায় পোসজুকিয়ান নামে মুক্তি দেয়া হয়।যা সেই সময়ে আয় করে প্রায় ১০৪ লাখ রুপি।২০০৬ সালে পকিরিতে অভিনয় করেন এবং ছবিটির প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হয় ৭ম আইআইফা আওয়ার্ড এ দুবাইয়ে।
এটিও একটি ব্লকবাস্টার সিনেমা ছিলো।যা পরে তামিল , হিন্দী এবং কানাডিয়ান ভাষায় পূনঃনির্মিত হয়।২০১১ সালে তার অভিনীত দোকুদু সিনেমাটি একই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি দেয়া হয়।সিনেমাটি আয় করে প্রায় এক বিলিয়ন রুপি শুধু তাই নয় এই ছবিটি সম্পর্কে লস এঞ্জেলেস টাইমস পত্রিকায় শিরোনাম ছিলো “The biggest hit you’ve never heard of” ।
২০১৪ সালে তিনি একটি মনস্তাত্বিক সিনেমা নেনোক্কাডিনে অভিনয় করেন।হিন্দিতে “এক কা দম” নামে ছবিটি ড্যাবড হয়েছে।সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিস থেকে তুলে আনে ১.২৩ মিলিয়ন ডলার।এছাড়া তার অভিনীত বক্স অফিসে সাড়া জাগানো ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মুরোরী(২০০১) , বিজিনেসম্যান (২০১২) এবং শিথামা ভকিতলো সিরিমাল্লে চেট্টু(২০১৩)।যার সবগুলো সিনেমায় মুটামুটি আমার দেখা। 
তিনি এই পর্যন্ত সাতটি রাজ্য নন্দী পুরষ্কার , চারটি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা-তেলেগু, তিনট সিনেমা পুরষ্কার এবং একটি দহ্মিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছেন।তিনি বেশ কিছু পণ্যের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে রয়েছেন।তিনি থামস আপ এর জাতীয় শুভেচ্ছা দূত।ইন্ডিয়া টাইমস গ্রুপ পরিচালিত অনলাইন সমীহ্মায় তিনি “টাইমস মোস্ট ডিজার্বাল মেন ২০১৩” তে সবচেয়ে আকর্ষনীয় পুরুষ হিসেবে নির্বাচিত হন।এছাড়া ২০১৩ সালে ব্যবসা ম্যাগাজিন ফোর্বস পরিচালিত “ফোর্বস ইন্ডিয়াস ১০০ সেলিব্রেটির ১০০ তে ৩১ তম” নির্বাচিত হন।যার পিছনে রয়ে গেছিলেন ঋত্বিক রোশান এবং শাহরুখ খানের মতো বড় বড় স্টার। এমনকি দহ্মিন ভারতীয় আরেক সুপারস্টার প্রভাসের জনপ্রিয় এবং ব্যয়বহুল ঐতিহাসিক সিনেমা বাহুবলী’র রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে মাহেশ বাবুর “শ্রীমানঠুডু” সিনেমাটি।আর তার সিনেমার গানের কথা নাইবা বললাম।যেখানে বাহুবলী ছবির নির্মান ব্যায় ছিলো ২৫০ কোটি রুপি অন্য দিকে শ্রীমানঠুডু নির্মাণ ব্যয় ছিলো ৫২ কোটি রুপি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.