নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ। তাই সাধারণের মাঝেই ডুবে থাকতে ভালোবাসি।

মি. বিকেল

লেখক ও অভিনেতা

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরো একজন আবরার হতে চাই না, মা খুব কষ্ট পাবেন

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৩:২২



আরো একজন আবরার হতে চাই না, মা খুব কষ্ট পাবেন(কিন্তু আবরারেরা বারবার ফিরে আসবে)

আমি কি ভারতবিদ্বেষী? হ্যাঁ, আমি ভারতবিদ্বেষী। কিন্তু এই বিদ্বেষের কারণ কি জানেন তো? কিছু কিছু কথাবার্তা শুনে বা দেখে জার্নালিস্ট হবার ইচ্ছে যাকে খুব, দুটো কলম লিখতে ইচ্ছে করে। আবার মনে হয় আমরা প্রতিবেশি, এসব ঘৃণা করা ছেড়ে দেই। ওরা নিজেদের ব্যাপারটা নিজেরা নিজেরা ঠিক করে নিতে পারবে একদিন। আবার সময় সময় কড়া সমালোচনা করে প্রতিবেশিকে আঘাত করতে ইচ্ছে করে। কারণ, কোথাও না কোথাও আমি নিজের দেশটার পর যে দেশকে খুব আপন ভাবি এবং ভালবাসি সেটা হলো “ভারত”। একসময় মনে হত, জীবনের বাকি সময়টা কলকাতায় কাটিয়ে দিবো। ওখানেই তো আমাদের জাতীয় কবি নজরুল বড় হয়েছিলেন। ওখানে আছেন প্রিয় সব মানুষ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী, বঙ্কিমচন্দ্র, সুনীল, সমরেশ থেকে শুরু করে বর্তমানের অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন্ধতী রায় আরো কত প্রিয় মানুষ।

কলকাতার বাংলা কিছু মুভি দেখে বেড়ে উঠা একটা মানুষ আমি। তাঁদের অভিনয় যে আমার কত ভাল লাগে তা এই এক অনুচ্ছেদে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যাইহোক, এসব কেন বলছি? ভারত হুট করে মুসলিমবিদ্বেষি হয়ে গেছে এজন্য কি? না, তা নয়। আসলে সাম্প্রদায়িক চেতনার উত্থান এত বড় আকারে ভারতে প্রকাশ পাবে সেটা কখনো ভাবিনি। "এ্য প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া" - পড়ার পর কিছুটা ইঙ্গিত পেয়েছিলাম মাত্র, কিছুটা বুঝেছিলাম ভারতীয় সমাজের ভাবধারা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা। কিন্তু ই.এম. ফর্স্টার কে বুঝিনি, বুঝলে হয়তো পরীক্ষায় দুই নম্বর বেশি পেতাম। কংগ্রেস কি? অথবা মুসলিমলীগ কি? কেন দুটো দলের প্রয়োজন পড়েছিলো? এখনও খুব বেশি বুঝিনা। যে খবরটি “মাই ডে” ফেসবুক অপশনে শেয়ার করেছি সেটার হুবহু হেডলাইন হচ্ছে,

“মুসলিম বিশ্ব থেকে ভারতে বছরে যায় ১২০ বিলিয়ন ডলার, তবুও ভারত কেন মুসলিমবিদ্বেষী?”
- সূত্রঃ ঢাকা লাইভ টুয়েন্টি ফর ডট কম

এই টাকাটা কি মুসলিম বিশ্ব ভারতকে দয়া করে দেয়? উঁহু! একদম না। তারা কাজ করেন, তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে এই টাকা আয় করেন। পাশাপাশি বাস্তবতা হচ্ছে এই বিশাল অঙ্কের টাকা পেতে গেলে একটা বিশাল পরিসরের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন পড়ে। সেটা ভারতকে মুসলিম বিশ্ব করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। তবুও এই খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এজন্য প্রথমেই নিজে জার্নালিস্ট হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছি। হিসেব হওয়া চাই হাতে কলমে, তবেই না বিশ্বাসের প্রশ্ন আসে।

"Every year, more than $55bn are transferred to India from the Gulf countries, and more than 120 billion annually from all Muslim countries. Indians (mostly Hindus) are treated well in these countries,"
- Kuwait-based activist Abdur Rahman Nassar tweeted.

এটা কিন্তু সরাসরি আল-জাজিরা থেকে নেওয়া। না মানে, আমি কিছু শেয়ার করেছি আর সেটা প্রমাণ করার জন্য এই দুপুররাতে গোগল সার্চ দিয়ে চোখের ঘুম হারাম করছি আসলে তা নয়। কিছু কি-নোট দেই? তাহলে আপনারা কি কি করছেন একটু ফ্ল্যাশব্যাকেও যেতে পারবেন।

● Ravish Kumar
● Kanhaiya Kumar
● Kunal Kamra
● Arnab Goswami
● Tejasvi Surya
● Asaduddin Owaisi
● Sadhguru
● JNU

নাম কয়েকটা উল্লেখ করলাম, কিছু বাদও পড়ে গেলো। ভারত নিয়ে কথা বলছি অথচ এই নামগুলো জানিনা! আশ্চর্য! তবে এটা সত্য যে, এই নামগুলো একসাথে লেখা যায় না। সারাদিন জি-নিউজ আর “জীবন মানে জি-বাংলা” করলে চলবে দাদা? একটু NDTV-ও দেখুন। কুনাল কে নিয়ে একটু সমস্যা থাকতেও পারে সেক্ষেত্রে “Akash Bannerjee” অথবা “Druv Rathee” অথবা “The Wire” ইউটিউব চ্যানেলগুলো দেখুন। আমরা লিঞ্চিং বুঝি না, তাবলীগি জামাত বুঝিনা, দিল্লীতে শাহরুখ কে চিনি না। আমরা কোন খবর-ই রাখি না। দিল্লীতে হিন্দুরা মারা গেছেন, সেটা যেমন স্বীকার করি। পাশাপাশি এটাও জানি, মৃতের অধিকাংশ মুসলিম। ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের পোড়ানো হয়েছে। আমরা জানি না, বিজেপি দলের নেতা, কাকে গুলি মারতে বলেন? আমরা জানিনা এই ধরণের হেইট স্পিচ কোন মুসলিম নেতা বলেছিলেন যে, আমরা পনেরো শতাংশ হলে কী হবে তবুও পুরো ভারতের জন্য যথেষ্ট হবো। আমরা জানিনা, দিল্লীর শাহীনবাগে আপনাদের প্রশাসনের সহযোগীতায় সবার সামনে উন্মুক্ত হয়ে কে গুলি করেছিলো? তাকে কেন একটি হিন্দু সংস্থা পুরষ্কার দিলো! আমরা তো, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নাম-ই জানিনা, যিনি দিল্লীর বিধানসভায় ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসন পেয়েছেন। উনি কিন্তু গলায় সাধারণ মাফলার পেঁচিয়ে চলেন, ধর্ম-ধর্ম খেলা নিয়ে নয়। আমরা তো চন্দ্রিল বাবুকেও চিনি না, তিস্তা চুক্তি কি বুঝি না। পদ্মা এলাকায় থাকি তো, শুধু দেখি পদ্মা নদী আর পদ্মা নেই! ওটাকে ডেজার্ট বা মরুভূমি বলা যায়, নদী নয়। চারদিকে শুধু ধূলো উড়াউড়ি করে। তাই পদ্মা মরুভূমিতে ইলিশও তেমন পাওয়া যায় না, আর বাঙালী নারীর রুপ ঝকঝকেও দেখায় না।

এত হিন্দু-মুসলমান আমরা বাংলাদেশীরাও খেলি না, যে খেলা খেলছেন। আমাদের রবীন্দ্রনাথে সমস্যা নেই, বা হিন্দিতে। সমস্ত ভারতীয় চ্যানেল দিয়ে আমাদের টিভি এন্টেনা ভরা। এখন এমন একটা অবস্থা যে, মায়ের পেট থেকে পরেই ছোট্ট বাচ্চাটা হিন্দিতে বলে উঠে, “মেরা দেশ মোহান”। আমাদের নজরুলেও সমস্যা নেই বা উর্দুতে। উর্দু নামে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা বিভাগ আছে উর্দু শেখা ও উর্দু সাহিত্য চর্চার জন্য। আমাদের সংস্কৃতি বিভাগও আছে। কিন্তু এসব নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমরা বাঙালী, বাংলার জন্য জীবন দিয়েছি। মাতৃভাষা তো, কিছু মানুষ অন্য ভাষার অণুপ্রবেশ চাননি। আর চাইবেন বা কি করে! আলাদা ভাষা মানে আলাদা ডিসকোর্স। আবার ইংরেজিটাও ছাড়তে পারিনি। আমার মতে- বাঙালীরা এই ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে ভাল ইংরেজি জানেন।

আর কি বলবো দাদা! বেশি বললে তো আবরার হয়ে যাবো। সাবধানে থাকুন, আশি শতাংশ হিন্দু মানুষগুলো তারা তাদের নিজেদের দেশেই না কি বিপদে আছে। চিন্তার বিষয়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আবরার হতে যেও না। মা বাবা অনেক কষ্ট পায়। ভাইবোন কষ্ট পায় । দেশ আজ চেতনাবাজদের দখলে।

২| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়লাম কিন্ত কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা বোঝলাম না।

৩| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি যা লিখেছেন, পড়লে বুঝতে কিছু বুঝতে পারবেন?

৪| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি সম্ভবতঃ তাড়াহুড়া করে পোষ্টটা দিয়েছেন, সেজন্যে আপনার বক্তব্য গুছিয়ে দিতে পারেন নাই। যাই বলতে চান, পরিস্কার করে বলাই ভালো। স্ব-বিরোধিতা থাকলে পোষ্টের মুল্য কমে যায়। একবার বলেছেন, আমি কি ভারতবিদ্বেষি? হ্যাঁ, আমি ভারতবিদ্বেষি।

আবার বলেছেন, আমি নিজের দেশটার পর যে দেশকে খুব আপন ভাবি এবং ভালবাসি সেটা হলো “ভারত”।

পুরো লেখাটা পড়ে কনফিউশান আরো বেড়ে গিয়েছে! :((

৫| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বে‌শিরভাগ বাঙা‌লি পড়া‌শোনা ক‌রে শি‌ক্ষিত না হ‌য়ে ধা‌র্মিক হ‌য়ে যায়। দুঃখজনক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.