নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রিডম অব স্পিচ কি এখনো বুঝিনি!

০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১০




যে কোন হত্যাকাণ্ড অপ্রত্যাশিত। ব্লগার রাজীব হায়দার এর হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা যারা ক্ষুদ্র থেকে বড় পরিসরে ব্লগিং করে থাকি সবাই দুঃখিত। তার প্রতি অন্য ব্লগারদের অনুভূতি দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। সত্যি বলতে এমনটি হওয়া উচিত হয়নি। দেশে তো একটা আইন-কানুন বলে কিছু একটা আছে, সেটাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অবশ্য এই হত্যাকাণ্ডের পর বিচার কতদূর এগিয়ে ছিলো সেটার প্রতি আমার ব্যক্তি কৌতুহল ছিলো না। কেন ছিলো না? সেটাও বুঝতে পারি না। আজও না।

কিন্তু আমি সেসময় তার লেখাগুলো খুব গুরুত্বের সাথে পড়েছি। বুঝার চেষ্টা করেছি। তিনি যা লিখেছিলেন সেটা যদি "ফ্রিডম অব স্পিচ" হয়, বা সমালোচনা হয়, বা এতে তিনি যদি মুক্তমনা মনের অধিকারী হিসেবে গণ্য হোন তাহলে একটা প্রশ্ন মনে জাগে সেটা হলো, "তবে কটুক্তি ও গালি-গালাজ কাকে বলে?" এবং কটুক্তি/গালিগালাজ ও ফ্রিডম অব স্পিচের মধ্যে পার্থক্য কি? এই প্রশ্নটা বারবার মাথায় পাক খেয়ে গেছে। তবে আমার এই কথার দ্বারা তার হত্যাকাণ্ডকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছি না। বরং "ফ্রিডম অব স্পিচ" কি? সেটা জানার কৌতুহল ব্যক্ত করছি। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এই অতীত বারবার অনেকে টেনে আনছেন। চেষ্টা করছেন বাংলাদেশে একেবারেই "ফ্রিডম অব স্পিচ" নেই, আমি অন্তত সেটা মানতে নারাজ। অনেকটা ব্যহত হচ্ছে বললেও স্বীকার করতাম, কিন্তু একেবারেই নেই কথাটি আমি স্বীকার করতে চাইনি কখনো। আজও চাই না। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা যথেষ্ট সাহস নিয়ে ফিল্ডে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন, এবং কিছুটা সত্যর ছিটেফোঁটা হলেও বেঁচে আছে আজও আমাদের নিউজপেপারে পাতায় পাতায়। খুঁজে দেখুন, পাবেন।

বাংলাদেশ এখনো কোন দেশের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেয়নি বলে আমার বিশ্বাস, এবং এখনো স্বপ্ন দেখি সব ঠিক হয়ে যাবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষ।
আমিও আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী হতে চাই।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: "ফ্রিডম অব স্পিচ" বলতে কটুক্তি ও গালি-গালাজ হতে পারে না ।
..............................................................................................
জ্ঞান ও যুক্তি দিয়ে কোন বিষয়ের বিরোধিতা করা যায় বা
সত্য ও তথ্যকে সামনে রেখে শালীন প্রতিবাদ আথবা সমালোচনা
করা চলে ।

................................................................................................
সব বক্তব্যর প্রতিবাদ বা সমালোচনা করতে হবে এমন মানসিকতা সুস্হ নয় ।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫১

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্য মুগ্ধ করে দেবার মত। ভালবাসা নিবেন।


ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পকেটে রগকাটার যন্ত্র বহন করেন তো সব সময়?

০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

মি. বিকেল বলেছেন: পোস্ট দেখে ট্যাগ লাগানো আপনাদের মত মানুষদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। লেগে থাকুন, অভ্যাসটি চলে গেলে তখন অবসর ভাল লাগবে না।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবার মত প্রকাশের সমান অধিকার থাকা উচিত। যুক্তি দিয়ে খন্ডন না করে হত্যা কেন করবে।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

মি. বিকেল বলেছেন: আমি জানতে চেয়েছি যে, "ফ্রিডম অব স্পিচ" আপনার মতে কি?

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মমিনরা হিন্দু দের ফেসবুক আইডি হেক করে কাবা শরীফ বা কোরান সম্পর্কে যা লিখে আমার মনে হয় কোন বিবেক বর্জিত মানুষের পক্ষে ও লেখা সম্ভব না।রাজীব হায়দারের আইডি কয়েকবার হেক হয়।ঐ সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখালিখি হয়।
হঠাৎ আপনি এই বিষয়ে লিখার প্রেরনা কোথা থেকে পেলেন।”তবে কটুক্তি ও গালি-গালাজ কাকে বলে?”সেগুলো না লিখলে বুঝব কেমন করে কোনটা কটুক্তি বা কোনটা গালি গালাজ।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

মি. বিকেল বলেছেন: আমি জানতে চেয়েছি যে, "ফ্রিডম অব স্পিচ" কি? উত্তর আছে? উত্তর না দিয়ে বাইপাস ডিবেট/আর্গুমেন্টে মেতে উঠবেন না।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৯

আশরাফ২০২০ বলেছেন: নুরুলইসল০৪০৬
আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে মমিনঅরা ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এসব করে।বর্তমান কালে যে কারো ফেসবুক আই ডির কোন বিষয় নিয়ে আপত্তি উঠলেই বলে আইডি হ্যাক হইছিল।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফ্রিডম অফ স্পিচ যে যার সুবিধা মত সংজ্ঞায়িত করে আমাদের দেশে। সরকারের এক রকমের দৃষ্টিভঙ্গি। বক্তাদের অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি। তবে মুখ দিয়ে আঘাত করা অনেক সময় হাতে আঘাত করার চেয়েও ক্ষতিকারক। বন্দুকের গুলি যেমন একবার বের হয়ে গেলে আর ফেরানো যায় না একই কথা মুখের কথার ক্ষেত্রেও। তাই আমাদের কথা বলার আগে বুঝে শুনে বলা উচিত।

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

রাশিয়া বলেছেন: ব্লগে ফ্রিডম অফ স্পিচ মানে হল উদাসী স্বপ্ন টাইপ ব্লগারেরা আল্লাহ্‌ তায়ালা, নবীজি, মুমিন বান্দাদের নিয়ে রসাত্মক সব গালাগালি দেবে, আর মুমিন বান্দাদেরকে সেইসব সহ্য করে যুক্তিপূর্ণ (!!!) প্রতিবাদ করতে হবে। একদল মূত্রমনা আবার আবার উদাসী স্বপ্নদের সাপোর্ট দেবে এই বলে "উনি তো কোরআন হাদিসের বাইরে কিছু বলেননি, পারলে সেইভাবে উত্তর দেন"। যেন উদাসী স্বপ্নেরা একেকজন কুরআনে এক্সপার্ট হয়ে কোরআন হাদীসের বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করতে ব্লগে এসেছে।

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, পশ্চিমা বিশ্বের "বাক স্বাধীনতা"-র ধারনার সাথে আমাদের উপমহাদেশের বাক স্বাধীনতার ব্যাপক পার্থক্য আছে। মনে রাখা জরুরী যে, বাক স্বাধীনতার চর্চা করলে তার প্রতিক্রিয়ার (পজিটিভ বা নেগেটিভ, কিংবা দুটোই) জন্যেও বক্তব্যদানকারীকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আইন করে, প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত করা অসম্ভব সুতরাং অনেক ক্ষেত্রেই সেটা ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিগত দায়িত্বের উপরও বর্তায়। কোন একটা স্বাভাবিক (ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করে) প্রশ্নও কারো কারো ক্ষেত্রে বা এমনকি কোন গ্রোত্রের ক্ষেত্রেও অসম্মানজনক, মানহানিকর হতেও পারে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় আইন, দেশ বা ক্ষুদ্র প্রশাসনিক ক্ষমতার আলোকে তার স্বাধীনতার মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। বিষয়গুলো অনেক গভীরে ভেবে দেখার মতো।

উপমা বলতে গেলে বলা যায়, একটি সমাজের বা দেশের সকল ব্যক্তির শতভাগ (?!) বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অসম্ভব যখন পরিবারের বড় সদস্যদেরকেও সব কথা বলা যায় না (স্থান, কালভেদে তা ভিন্ন হতে পারে)। আশা করছি আমার ভাবনা/যুক্তির দৃষ্টিকোণ বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.