নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোর্চ: Photo by form PxHere
মনে হয়, মনের রহস্য ভেদ করা বেশি জরুরী। যে সমাজের গঠন আমাদের "Crippled" করে ছেড়েছে। যে সমাজ ক্রমাগত বুঝিয়ে চলেছে "Negligence" -এর মানে কী! পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুরা যাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে, করছে। সেসব ব্যক্তিরা নিজের কাছেই "More Than A Mystery" নয় কি! তাদের নিজেকে ভিক্টিম মনে করা সহী নয় কি!
"Traceless" কোন এক জঙ্গলে সারাদিন হাটাহাটি করে পুনরায় নিজেকে পূর্বের অবস্থানে ফিরে পাওয়া অসহায়ত্বের যে প্রকাশ তা থেকে কত কত লাশের চিরকুট সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেলেও আমাদের বুঝি হুঁশ হবে না। আমরা ফতোয়া দেবো... আত্মবিশ্বাসী হবার জন্য, আত্মপ্রত্যয় নতুন করে গড়ার জন্য আরো কিছু উক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করবো; কিন্তু পথ দেখাবো না। যে গভীর কুয়োর মধ্যে অন্ধকারের যে জীবন তা থেকে মুক্তির কোন গান গাইবো না। দিনশেষে "Victim Blaming" - ছাড়বো না দাদা!
আমার এক শ্রদ্ধেয় বড় ভাই (নাম উল্লেখ করছি না) খুব সুন্দর করে কিছু কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় একদিন লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, "এই যে ভুল করে হোক বা ছলের বশে বা অনিচ্ছাকৃত কিছু Approaches অন্য কে করা ঠিক নয়। কি জানি তিনি বা সে ব্যক্তি ঐ সেই তথাকথিত Approach কে সহী মনে করে বসে স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করে। এতে করে দুই পক্ষেরই ক্ষতি...(বাংলায়)।"
আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক একদিন শেষমেশ লিখেই ফেললেন, "সম্পর্ক জটিলতায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছেন কিন্তু এ বিষয়ে কোন আলোচনা হচ্ছে না।" মানে মোট আত্মহত্যার একটি বৃহত্তর গড় বাংলাদেশে হচ্ছে শুধুমাত্র সম্পর্ক জটিলতায়। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি।
এসব চারপাশে চলছে, দেখছি। মন্তব্য কম বেশ কিছুদিন শুধু এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করলাম। "Brainstorming" করতে করতে এক পর্যায়ে মনে হলো, "এই সমস্ত লোকের ভাগ্য আমার হাতে নেই, নাহ্, নেই কোন নিয়ন্ত্রণ। তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিজীবনে কি করবেন? আর কি করবেন না! সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি স্রেফ আমার আমল-নামার হালনাগাদ করতে পারি। আমি আমার দেওয়া কথাগুলো অন্তত রাখতে পারি। এবং নিশ্চয় আমি আমাকে বিচারও করতে পারি।"
অসীম মাপকাঠিতে মহাপাপী না হয়ে বরঞ্চ সাধারণ বাছ-বিচারে নিজের অবস্থান ঠিক করা উচিত। সেই হিসেবে আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কোন "Approach" করি নাই যা আমি রাখতে পারবো না। এমন কোন প্রমিজ করি নাই যা শেষবেলায় গিয়ে ভাঙতে হয়।
সেটা ছোটবেলায় খেলার সাথী হোক বা একটু বড় হয়ে রঙীন চশমার সুন্দরীরা একসময় জীবনে থাকে না। কিন্তু একবার যে হারায় সে কিন্তু ঠিকই বুঝে যায় যে, বারবার প্রিয়তমা! তোমাকে হারাতে চাই না। একটা ভয় কাজ করে। তখন বাস্তবতা ছেড়ে বরং একটু "Skeptic" হওয়া সহী নয় কী! হয়তো নয়...
কিন্তু বড় ধরণের এই সব কমিটমেন্টে সাহস লাগে। জীবনে অন্তত একটা সময় আসে তখন আর "Skeptic" হওয়া যায় না। সমস্যার মুখোমুখি হয়ে সেটা ফেইস করা যে সত্যিকারের সমাধান তা বুঝে আসে।
সৌমিত্র বাবুর বেলাশেষে মুভির একটি জনপ্রিয় ডায়ালগ মনে পড়ে যাচ্ছে, "হাতের উপর হাত রাখা সহজ নয়, সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়।"
কিছু মানুষ অসম্ভব সুন্দর। অবশ্যম্ভাবী ভাবে কিছু মানুষ তাদের ফুটপ্রিন্ট আমাদের জীবনে রেখে যান। আমি মনে করি, সেটাও সুন্দর। অস্বীকার করতে চাই না কিন্তু এই কিছু মানুষ কে আমি শুধু কয়েকটি সংখ্যা ছাড়া বেশি জায়গা দিতেও চাই না। হোক সেটা বাস্তব জীবনে বা হৃদয়ে।
আর সত্যিকারের মানুষটি আসার পূর্বে এমন মানুষদের সাথে স্রষ্টা কেন পরিচয় করিয়ে দেন তাও বুঝে আসে না। এই কিসমত ক্যানেকশন বেজায় জটিল। আর যখন সত্যিকারের মানুষটিও জীবনে এসে যায় তখন তাকেও ভুল মানুষ বলে মনে হয়। ঠিক যেন, সব অঙ্ক একই সূত্র দিয়ে করবার এক বৃথা চেষ্টা।
দিনশেষে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিরচেনা উক্তি বারবার মনে পড়ে যায়, "আমার হারিয়ে ফেলার কেউ নেই, কাজেই খুঁজে পাওয়ারও কেউ নেই, আমি মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি, আবার খুঁজে পাই" - হুমায়ূন আহমেদ স্যার।
বাকি কথা থাক ডায়েরির পাতায়। নতুবা ফেসবুকের এই নীল পাতার সাথে ডায়েরির পাতাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে
আপনি চাইলে আমার ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন: https://backspace-journal.com
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
পড়তে ভালো লেগেছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২৪
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: মালদ্বীপ । পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য । দুরবীন বাংলা । Maldives । DURBEEN BANGLA