নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ। তাই সাধারণের মাঝেই ডুবে থাকতে ভালোবাসি।

মি. বিকেল

লেখক ও অভিনেতা

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কনজিউমার বিহেভিয়ার (Consumer Behavior) সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

২১ শে মে, ২০২২ রাত ১:২৮



“Consumer Behavior” সম্পর্কে মোটামুটি কমবেশি আমরা সবাই অবগত। Consumer Behavior সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে গেলে আমাদেরকে অবশ্যই তিনটি বিষয়ে খুব গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করতে হবে,

১. Concept
২. Importance
৩. Factors

একটি উদাহরণের সাথে শুরু করা যাক, ধরুন আপনি একটি দোকানে গেলেন। উক্ত দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আপনি হয়তো খোঁজ করছেন “ডাল” -এর জন্য। কিন্তু উক্ত দোকানে হরেক রকমের ডাল আছে এবং দামের মধ্যে পার্থক্যও আছে। এখন যেহেতু আপনি ভালো মানের “ডাল” খেতে চান এবং ব্যাজেটও চিন্তায় রেখেছেন সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে, “ডাল তো আমি নেবো? কিন্তু এত হরেক রকমের ধরণ আর কোম্পানির মধ্যে কোন কোম্পানির এবং কোন ধরণের ডাল নেবো?”

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন সময়ে আপনার পূর্ববর্তী ভালো অভিজ্ঞতা আপনাকে নির্দিষ্ট কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট রকমের “ডাল” কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেন? কারণ, উক্ত দোকানে চাই বহু ধরণের ডাল থাকুক কিন্তু কোন একটি কোম্পানি আপনার ব্যাজেট এবং প্রোডাক্টের মানের ব্যাপারে খেয়াল রেখেছে বলে আপনার মনে হয়। তাই আপনি নিশ্চিন্তে সেই “ডাল” কিনে নেন। তাই নয় কি?

তাই একজন ক্রেতা হিসেবে আপনি সবসময় মাথায় রাখেন যে, কোন সময় কোন কোম্পানি/ব্রান্ড এবং কোন প্রোডাক্ট আপনার জন্য ভালো।

এই নিয়ে একটি বিখ্যাত উক্তি আছে,

“Take care of consumer needs, the consumer will return, will take care of your needs.”

কোম্পানি এবং কনজিউমার (ভোক্তা): কোম্পানির দিক থেকে দেখলে, যদি কোনো কোম্পানি আপনার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হোন তাহলে তার ভোক্তা সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই কোম্পানি চেষ্টা করেন ভোক্তাদের প্রয়োজন মেটাতে সর্বোচ্চ ভালো মানের প্রোডাক্ট দেওয়া।


Customer Vs Consumer

কাস্টমার এবং কনজিউমার এক বিষয় নয়। কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট কেনা অবধি তার ভূমিকা থাকে। কিন্তু কনজিউমার (ভোক্তা) হলেন তিনি, যিনি উক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। বিষয়টি পরিষ্কার করার স্বার্থে একটি উদাহরণ টানা যেতে পারে, ধরুন আমি একটি স্মার্টফোন কিনে সেটা আমি আমার ছোট ভাই কে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়ে দিলাম।

এখানে আমি হলাম “কাস্টমার” এবং আমার ছোট ভাই হচ্ছে “কনজিউমার” । আরো ভালো করে বলা যায়, যেকোনো প্রোডাক্টের ফাইনাল ইউজার যিনি শুধুমাত্র তাকেই আমরা কনজিউমার বলবো। আগের উদাহরণে যদি স্মার্টফোনটি আমি আমার জন্য কিনতাম তাহলে সেখানে আমি নিজেই কনজিউমার। শুধু কাস্টমার নই।

তাই এক প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে একাধিক কাস্টমার থাকতে পারেন কিন্তু কনজিউমার কিন্তু একজন।


Consumer Behavior -এর সংজ্ঞা

“Consumer behaviour is the study of how individual customers, groups, or organizations select, buy, use and dispose of ideas, goods and services to satisfy their needs and wants.”

উপরে উল্লিখিত সংজ্ঞায় বেশ কিছু কথা বলা হচ্ছে। একজন কাস্টমার বা একটি দল বা একটি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কি কি বিষয়ে ভাবছেন? কেন ভাবছেন? কোন ধারণাটা বদলে যাচ্ছে বা যেতে পারে। পাশাপাশি একটি প্রোডাক্ট কীভাবে তাদের সন্তুষ্ট করে তুলছে। আর এই নিয়ে যে পড়াশোনা সেটাকেই আমরা “Consumer behavior” বলবো।

মার্কেটার কি প্রত্যাশা করছেন? তারা প্রত্যাশা করছেন,

“Marketers expect that by understanding what causes consumers to buy particular goods and services, they will be able to determine which products are needed in the marketplace, which is obsolete, and how best to present the goods to the customers.”

মার্কেটার বা কোম্পানি এই বিষয়ে খুব ভালো ধারণা রাখেন যে, ভোক্তা কেন তাদের-ই প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন? কেন করবেন? এছাড়াও কোন কোন বিষয়াদি একজন কনজিউমারের জন্য ভালো হচ্ছে না। নতুন কি ধারণা মার্কেটপ্লেসে নিয়ে আসা যায়? নতুন আইডিয়া আনলে সেটা টেঁকসই হবে কিনা? এবং কীভাবে বিজ্ঞাপন দিলে উক্ত প্রোডাক্টটি সঠিক কাস্টমার অবধি পৌঁছাবে? ইত্যাদি। তবে এখানে একটি বিষয় বেশ ভালো করে তারা লক্ষ্য করেন, কনজিউমারের আইডিয়া যা তাদের নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট কিনতে বাধ্য করে।


Consumer Behavior বুঝা জরুরী কেন?

১. Modern Philosophy: এক্ষেত্রে দেখা হয়, একজন কনজিউমারের (ভোক্তার) ঠিক কি কি বিষয় প্রয়োজন এবং কীভাবে সেসব সরবরাহ করে তাদের সন্তুষ্ট করা যায়। Consumer Behavior জানলে খুব সহজেই ক্রেতাকে প্রোডাক্ট ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলা যায় এবং প্রতিযোগীদের সাথে লড়াই করে মার্কেটে টিকেও থাকা যায়।

২. Consumer Behavior helps in achieving marketing goals: “সার্ভাইভ”, “প্রোফিট”, “টার্গেট” বা “গ্রো” এসব ইংরেজি শব্দের সাথে আমাদের পরিচয় আছে। কিন্তু আপনার যখন একটি কোম্পানি আছে তখন এসব আমলে না নিলে মার্কেটপ্লেসও আপনাকে আমলে নেবে না। এজন্য হলেও Consumer Behavior সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকার দরকার আছে। বিশেষ করে যখন প্রতিযোগীদের কথা মাথায় আসে।

৩. Improve performance in the entire distribution network (Dealers & Salesman): একটি কোম্পানিকে অবশ্যই এই দুটো ফিল্ডে চমৎকার নিয়ন্ত্রণ থাকা খুব দরকার। কারণ আপনার প্রোডাক্ট কনজিউমারের হাতে যেতে যেতে এই দুই বিষয় মাঝখানে এসে পড়ে যায়। Consumer Behavior যদি এনারাও ভালো করে বুঝতে পারেন তবেই উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট ভালো চলবে।

৪. More relevant marketing program: Consumer Behavior জানলে পরেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার প্রোডাক্টের মূল্যায়ন কেমন হচ্ছে। ঠিক কি পরিমাণ প্রোডাক্টের জন্য মার্কেটপ্লেসে আপনার জায়গা আছে। আর বিজ্ঞাপন দিলেও টার্গেট কনজিউমার ঠিক কারা তা বিবেচনায় নিয়ে সুন্দরভাবে বিজ্ঞাপনটি দিতে পারবেন।

৫. Adjusting marketing program over-time: কোনো প্রোডাক্ট মার্কেটে তবেই দীর্ঘস্থায়ী হবে যখন প্রতিযোগীদের কথা বিবেচনায় রেখে আপ-টু-ডেট করার মানসিকতা থাকবে। উল্লেখ্য, নোকিয়া কোম্পানি বাজার ছেড়েছে কেন যদি বলা হয় তাহলে খুব সহজেই তার উত্তর এখানে পেয়ে যাবেন।

৬. Predicting marketing trend: মার্কেটে সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানতে Consumer Behavior সম্পর্কে জানতে হবে। বুঝতে হবে কোনটা থ্রেট আর কোনটা চ্যালেঞ্জ।

৭. Consumer differentiation: আপনার কনজিউমার এক ধরণের নয় এবং এটা মাথায় রাখা।

৮. Retention of consumers: ক’জন পুনরায় আবার আপনার প্রোডাক্ট কিনতে ফিরে এসেছেন?

৯. More competitive advantages: প্রতিযোগীদের ভালো করে বুঝতে পারছেন। কাস্টমার-ই সব।

১০. Developing new products: প্রয়োজনে নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করুন।

১১. Dynamic nature of market: মার্কেট পরিবর্তন হলে আপনাকেও পরিবর্তন হওয়া জরুরী।


Factors of Consumer Behavior

মোট ৫টি ফ্যাক্টর Consumer Behavior জানতে কাজে লাগে,

১. Psychological Factors
২. Social Factors
৩. Cultural Factors
৪. Personal Factors
৫. Economic Factors

এই পাঁচটি ফ্যাক্টর সম্পর্কে যদি আপনি দূর্দান্ত ভালো ধারণা রাখেন তবে খুব সহজেই Consumer Behavior সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে এক অনুচ্ছেদে আমার জন্য ব্যাখ্যা করা একটু কঠিন। পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে, “Psychological Factors” । এটার মধ্যেও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। আমি পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম,


Psychological Factors depend on,
১. Motivation
২. Perception
৩. Learning
৪. Attitude এবং ৫. Beliefs

এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অনুরোধ রইলো। কারণ এসব মাপকাঠি হলো Consumer Behavior ভালো করে বুঝার জন্য। আপনি যদি সমস্ত ফ্যাক্টর এবং এসবের ডিটেলিং সম্পর্কে অবগত হোন তাহলে মার্কেটপ্লেস আপনার জন্য। আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

আপনি চাইলে আমার ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরেও আসতে পারেন: https://www.backspace-journal.com

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২২ ভোর ৫:৪৫

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো বিষয় ,তবে


বাংলাদেশের বাইরে প্রযোজ্য

২২ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৫

মি. বিকেল বলেছেন: বাংলাদেশের বাইরে কেন প্রযোজ্য? অনুগ্রহ করে যদি একটু বলতেন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কনজিউমার বিহেভিয়ার এমন একটা বিষয় যে এর উপরে দুই-চারটা পিএইচডি শেষ করে ফেললেও শেষ হবে না। সেখানে এতটুকু পোষ্টে "বিস্তারিত জানুন" লেখাটা কেমন লাগছে।

আপনার ডোমেইন অথরিটি পোষ্টে কমেন্ট করেছিলাম। এপ্রুভ না করবার কারণ জানতে পারি কি?

২২ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মি. বিকেল বলেছেন: টাইটেল বা শিরোনাম ভুল হয়েছে। আমি এটা স্বীকার করছি।

Domain Authority পোস্টে মন্তব্য করে থাকলে সম্পাদক রিভিউ নেবেন। এরপর আমি পাবো। ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা।

৪| ২১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বইয়ের নিয়ম কানুন আরা বাস্তব একদম আলাদা।

২২ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৮

মি. বিকেল বলেছেন: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে/কলেজে BBA/MBA ক্লাসে এই বিষয় পড়ানো হয়। ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: বইয়ের নিয়ম কানুন আরা বাস্তব একদম আলাদা।

যত সময় বিষয় গুলি আত্মস্থ করা না যায়, তত সময় এমনই মনে হয়। এই থিউরি গুলি বাস্তব জীবন থেকেই নেওয়া। এসব নিয়ে পড়াশুনা করলে দেখবেন একটা একটা উদাহরণ ধরে ধরে আপনি প্রমান করতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.