নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘পাঠান’ সিনেমা ও হিন্দি ভাষা নিয়ে এত আপত্তি কেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭



আমি ধরেই নিচ্ছি যে, এই প্রশ্নটি আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। অথবা, দুটো বাক্য লেখার জন্য হলেও তো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের খুব প্রয়োজন পড়ে; অস্বীকার করা যায় না। সত্যি বলতে, আপত্তি থাকার প্রয়োজন নেই তো। আমাদের মধ্যে অনেকেই হিন্দি বোঝেন, কেউ কেউ তো বলতেও পারেন। সুতরাং একটি সিনেমা (যা কিনা হিন্দি ভাষার) বাংলাদেশে মুক্তি পেলে কি এসে যায়!

অনেকেই ইতিমধ্যে অনলাইনে ‘পাঠান’ সিনেমার পাইরেটেড কপি নিশ্চয় পেয়ে গেছেন বলে অন্তত আমার ধারণা। সেখান থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিচ্ছেন কিছু লাইক, ভিউয়ার পাওয়ার আশায়। আমি পারলে হয়তো আমিও সেটাই করতাম। মানে মন্দটা কি? লোকজন তো দেখছে!

রাতদিন এক করে আমরা বাঙালীরা ‘পাঠান’ সিনেমার রিভিউ লিখছি যাতে কিছু পাঠক পাওয়া যায়। এই লোভ তো আমার মাঝে প্রবল। কিন্তু লেখাটা কিন্তু হিন্দি তে লিখছি না। হয় বাংলায়, নয়তো ইংরেজিতে। এখন এই ইংরেজিতে লেখার দরুণ ‘Colonized Mindset’ বলে আমায়/আমাদের গালি-ও দিতে পারেন কিন্তু বাংলার চেয়ে ইংরেজিতে আয় বেশি হচ্ছে। সুতরাং গালিটা বোধহয় হজম করা যায়। অথবা, এই যে আমরা ইংরেজি ভাষা শিখছি তার একটা অনুশীলন হয়ে যাচ্ছে বলে পার পাওয়া যেতেও পারে।

কিন্তু একটি মজার বিষয় লক্ষ্য করেছেন? ‘পাঠান’ সিনেমা যথাক্রমে তামিল, তেলেগু ভাষায় ড্যাবিং করা হলেও বাংলায় করা হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তো মুক্তি পেয়েছে! তাহলে? এর উত্তর হলো, বাঙালীরা এখন হিন্দি জানেন এবং যেহেতু তিনি হিন্দি জানেন সেহেতু তিনি উর্দুও জানেন। কারণ এই দুই ভাষার ‘মা’ কিন্তু একজন।

উর্দু-হিন্দি দুটি ভাষাই ইন্দো-ইরোনীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তভুক্ত। দুটি ভাষাই সংস্কৃতির অপভ্রংশ খাড়িবুলি থেকে উৎপন্ন হিন্দুস্তানি ভাষার দুটি ভিন্ন লিখিত রূপ। হিন্দুস্তানি ভাষা ফারসি প্রভাবিত আরবি হরফে লিখলে তা উর্দু। আর হিন্দুস্তানি ভাষা দেবনাগরি লিপিতে লিখলে তা হিন্দি। উর্দু ভাষা আরবি-ফারসি শব্দবহুল আর হিন্দি ভাষা সংস্কৃত শব্দ বহুল। ভাষাগোষ্ঠী হিসেবে হিন্দি-উর্দু কে একই ভাষা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং হিন্দি-উর্দুর ভাষাগত বিভাজনটি কৃত্রিম।

ব্যাপারটা পরিষ্কার তো? আরো বিশাল ইতিহাস জোর করে লেখার বা জানাবার অন্তত আজ আমার কোন ইচ্ছে নেই। দৈনিক যুগান্তরে জয়া ফারহানা ‘হিন্দি ফিল্ম বোঝেন, উর্দু শেরও তবে বাংলা বোঝেন না’ শিরোনামে একটি ঝরঝরে লেখা উপহার দিয়েছেন। একটু গুগল সার্চ দিতে হবে এই যা!

ভাষা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব কেয়ামত পর্যন্ত শেষ না হলেও, বাংলা ভাষা কে বাঁচানোর এই যে এত আপ্রাণ চেষ্টা কেন? সব জায়গায় বাংলা ভাষার উপস্থিতি থাকতেই হবে কেন? একটু হিন্দি, একটু উর্দু আর একটু বাংলা থাকলে সমস্যা কোথায়? অনেকটা বর্তমান সময়ের রিমিক্স গানগুলোর মত শোনাবে। মজা না?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য (ওপার বাংলায়) এক বক্তিতায় বলছেন, মা বলছে, সবাই খেতে এসো। খাবার লাগিয়ে দিয়েছি…। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোথায় লাগালে? কার গালে? কার টেবিলে?

বাংলা ভাষার নতুন নতুন শব্দ গ্রহণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এই পরিবর্তন যুগ যুগ ধরে আবর্তিত হয়ে আজ এইখানে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু পরিবর্তন মানেই বিভৎসভাবে পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করা উচিত নয়/গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মনে রাখবেন, এই ভাষা-ভাষা করে আমাদের একটি বায়ান্ন পর্যন্ত আছে। আজ সেটা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

হ্যাঁ, ইংরেজি ভাষার মত করে আমাদের বাংলাটা এখনো শিল্পে পরিণত হতে পারেনি। কিন্তু বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মত দলও তো সৌদি আরবের মত দলের কাছে হেরে নাকানি-চুবানি খেয়েছিলো। ভারতের দুর্দান্ত ক্রিকেট টিম বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের কাছে এক দিনের ম্যাচে প্রায় ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হতে চলেছিলো। ওটাকে অবশ্য আমরা ‘বাংলা ওয়াশ’ বলে থাকি।

সুতরাং এখনো আমরা সবাই চুপ করেই আছি, ‘কলম যুদ্ধ’ শুরু হয় নি। আমরা তার প্রয়োজনও বোধ করছি না। আমি ঠুনকো হলেও ‘Snowball Effect’ থেকে রক্ষা পেলেই হলো। তারপর ‘পাঠান’ অথবা ‘পাঠা’ যা ইচ্ছে আমদানি করুন। ধন্যবাদ

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নতুন বলেছেন: আমার মতে আসলে মানুষের উচিত আমদানী যতটা সম্ভব কম করা বরং উতপাদন করার চেস্টা করা।

আর পাঠান পুরাই একটা পপর্কন মুভি, এটা আনা নিয়ে এতো বিতর্কের কি কারন বুঝতে পারলাম না। যারা আনতে চাইছে তাদের নিজেদের ব্যবসার লাভের জন্যই আনতে চাইছে, দেশ বা জাতীর কল্যানের জন্য তারা কস্ট করছে না।

আরেকটা জিনিস হলো এটা নিয়ে বিতর্ক করছে তাদের বেশিরভাগই সম্ববত সিনেপ্লেক্স ছাড়া অন্য হলে পাঠান দেখতে যাবেনা।

আমরা বাংঙ্গালীরা ক্যাচাল করতেই বেশি পছন্দ করি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

মি. বিকেল বলেছেন: "আমরা বাংঙ্গালীরা ক্যাচাল করতেই বেশি পছন্দ করি।" - আপনার এই কথাটি কোথাও না কোথাও সত্য বলে টের পাচ্ছি।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: একাধিক ভাষা জ্ঞান গৌরবের ব্যাপার । ভাষা হিসাবে বাংলা টিকে গেছে এবং তা খুব শক্ত ভাবেই । আমাদের একটা বইমেলা হয় যা গর্বের বিষয় । আমাদের প্রকাশনাও কম নয় । আমি হিন্দি উর্দু নিয়ে আপত্তি করিনা কারন আমাকে দেশের বাইরে পড়াশুনা আর চাকরি করতে গিয়েই এই দুই ভাষা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বলতে হয়েছে ।

এই যে আপত্তি যা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার । অপরকে খুব সহজে আক্রমন করতে এই হিন্দি অস্ত্র ব্যাবহার হয় ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

মি. বিকেল বলেছেন: তাহলে উর্দুতে আমাদের ঠিক কি সমস্যা ছিলো?

হ্যাঁ, আমি নিজেও কোরিয়ান, ফ্রাঞ্চ, জার্মান ভাষা শেখার চেষ্টা করছি।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৬

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক দেশের সিনেমা দেশের মানুষ দেখছে। আর হিন্দি সিনেমা দেশের মানুষ দেখছে চল্লিশ বছরের উপর, সেটা যেভাবেই হোক।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

মি. বিকেল বলেছেন: অনলাইনে তো মানুষ ব্লক করা আইপি-তে গিয়ে বাজে ভিডিও দেখছে। সেটাও নূন্যতম ২০ বছরের বেশি ধরে।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষের অজান্তেই এক ভাষা আরেক ভাষার মধ্যে ঢুকে যায় আর এভাবেই ভাষার বিবর্তন ঘটতে থাকে। ইংরেজীর মধ্যেও আজকাল প্রচুর বাংলা, হিন্দি, স্প্যানিশ ঢুকছে। পাঠান মুভি নিয়ে ইদানিং যে ক্রেজ শুরু হইছ, এটা না দেখলে আর হচ্ছে না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

মি. বিকেল বলেছেন: আচ্ছা

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলায় একটা কথা আছে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চালানো। সমস্যা এখানে ভাষা বা অন্যদেশি চলচ্চিত্র নিয়ে নয় সমস্যা নিজের যে ঘাটতি আছে নিজের যে বিদ্যাবুদ্ধির কমতি প্রতিভা নামক বস্তুর বিন্দুমাত্র নাই তা প্রকাশ হয়ে যাবে। আমাদের দেশের যারা নির্মাতা এরা একটা কথা বলে তা হলো অর্থ আর টেকনলোজির কমতি তাই তারা হাতি ঘোড়া মারতে পারছে না। এদের কষ্ট করে ভারতের দক্ষীনে পাঠিয়ে দিলে বুঝতো কমতির মধ্যে থেকেও কি করে বলিউড কে টক্কর দেয়া যায়। ঘটে নাই সোয়া ছোটাক তেল ভাব দেখায় তেল মিলের মালিক এটাই হলো আমাদের দেশের নির্মাতাদের অবস্থান। জায়েদ খান নামের অসভ্য প্রতিভাহীন তার উতকৃষ্ট উদাহরণ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

মি. বিকেল বলেছেন: যথার্থ বলেছে্ন... ধন্যবাদ

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পাঠান সিনেমা টা তীমন আহামরি কিছু না। এর চেয়ে বেশি ভাল সিনেমা ওদের আছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

মি. বিকেল বলেছেন: জানতাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.