নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডার্ক সাইকোলজি (পর্ব - ০৩) – Selective Hearing

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩



ভীড়ের মাঝে বস্তুনিষ্ঠ খবর পাওয়ার জন্য আমরা নির্দিষ্ট কিছু চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে থাকি। আমরা সেটা শুনতে থাকি, দেখতে থাকি, এবং এভাবেই আমরা ভীড় থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। আমরা সবাই কমবেশি মনে করি যে, আমরা যে চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছি তার ‘Accuracy’ রেট শতভাগ না হলেও আপেক্ষিকভবে অন্য চ্যানেলগুলোর চেয়ে ভালো। অন্যান্য উপস্থাপকদের চেয়ে অন্তত এক কদম এগিয়ে।

এখানে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আপনি তথ্যের ক্ষেত্রেও নির্বাচিত কিছু চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন অথচ এরই অল্টারনেটিভ হাজারো মতান্তরে লাখো তথ্যের প্রবাহ বিদ্যমান আছে; যেসব আপনি আন-সাবস্ক্রাইব করেছেন অথবা, শুনছেন না। কারণ আপনি সেসব শুনতে বা দেখতে কমফোর্টেবল অনুভব করেন না। অথবা, সেসব তথ্যের সাথে আপনার দর্শন ফিট করে না।

যদি গুগলে সার্চ দেন, “I can do it!” দেখবেন, সার্চ ফলাফলে আপনাকে এই সংক্রান্ত গান, সিনেমা, ব্লগ, উক্তি দেখাচ্ছে; যা আপনাকে ইতিবাচক দিকে প্রভাবিত করবে। এখন এর উল্টো “I can't do it anymore!” সার্চ দিলে গুগল মামাও আপনাকে উল্টো পথে নিয়ে যাবে মানে নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত করবে।

চারপাশে এখন অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেল আছে। অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে। রেডিওর গুরুত্ব কিছুটা কমলেও ‘পডকাস্ট’ নামক নতুন জনরা আমাদের অনেককিছু রোজ রোজ জানাচ্ছে, শেখাচ্ছে। এছাড়াও তথ্যের বিশাল প্রবাহ আমাদের সোশ্যাল ফিডে ঘোরাঘুরি করছে। আর যত তথ্য আপনার কাছে আছে সে অনুপাতে আপনার হাতে ক্রসচেক করার সময় থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে একদিকে গুজব ছড়াচ্ছে ভয়ানক ভাবে এবং অন্যদিকে অর্ধ-সত্যে বিষাক্ত হচ্ছেন।

নির্বাচিত তথ্য ক্রমান্বয়ে আপনাকে একচোখা করে তুলবে। আপনি এক কেন্দ্রিক চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার দুনিয়াটা সীমাবদ্ধ হতে শুরু করবে। আপনি যা মানছেন বা দেখছেন বা যে ন্যারেটিভ কে মনে মনে গ্রহণ করেছেন তার উল্টো কিছু হলেই রেগে যাবেন, ক্ষোভে ফেটে পড়বেন। ‘Extremist’ কেউ রাতারাতি হয় না, এরাও গ্যাসলাইটিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন এবং একসময় আপনাকে বিশ্বাস করাতে বাধ্য করেন।

“২০১৮ সালে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন হয়নি।” অথবা, “২০১৮ সালে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি!” – দেখুন এই দুটো ন্যারেটিভ ই মিথ্যে। এছাড়া ‘নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র’ একটি ভুয়া শব্দ। মানে এরচেয়ে ননসেন্স কিছু আর হয় না। আমার একজন প্রিয় স্যার ‘সত্য’ নিয়ে একটি কথা বলেছিলেন যে, “Truth is very Narcissistic.”, যখন সত্য সামনে আসে তখন মিথ্যের আর কোনো জায়গা থাকে না।

নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে আমরা ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইন্ডেক্স’ ও ‘রিপোটার্স উইদ আউট বর্ডারস্’ এ আমাদের অবস্থান তলানিতে। তবুও আপনি ‘BTV’ -ও দেখুন এবং ‘BBC’ -ও দেখুন। জরুরী নয় আপনাকে ‘Euro-Centric’ হতেই হবে অথবা, বেগুণ চাষে ভালো ফলন – এর মধ্যে একটি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে হবে। আপনার মুঠোফোনে অপশন আছে যে, কে আপনাকে কখন কি বলতে পারবেন! কোন চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন এবং কোনটা করবেন না! এই নোটিফিকেশন অন-অফ করতেও শিখুন।

একচোখা মানুষ শুধুমাত্র তর্কেই ভয়ানক নন, এরা জীবনের প্রায় বহুক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। এরাই সেই এক্সট্রিমিস্ট যারা বড় হতে হতে একদিন বটগাছে রুপান্তরিত হয়ে যান। মিথ্যের বটগাছ; যার প্রত্যেক শাখা-প্রশাখায় মিথ্যের জঞ্জাল।

ডার্ক সাইকোলজিতে সিলেক্টিভ হেয়ারিং ঠিক এভাবেই কাজ করে। মানে, উপরোক্ত ন্যারেটিভের মধ্যে আপনি যে দল ঘেষা সে দলের দিকে কোন মন্তব্য যাচ্ছে তা গ্রহণ করবেন এবং সেটা সত্য হওয়া জরুরী নয়। ওটা ক্রসচেক করার জন্য আপনি আরো দুটো ডকুমেন্টারি দেখবেন না। আপনি বাকি বক্তা/লেখক/ব্লগার বা একাডেমিক এর কথা শুনবেন না।

পুনরায়, প্রাক্তন সম্পর্কে কেউ ভালো কথা বলে? বা প্রাক্তন সম্পর্কে কেউ ভালো কথা শুনতে চায়? চায় না… কারণ তাকে ছেড়ে দেবার কিছু কারণ দরকার। এবং সেটা যদি একচোখা না হয় তাহলে একজন ব্যক্তি তার অন্যায় কে জাস্টিফাই করবে কি করে বলুন? সব সম্পর্কেই ভালো সময় বলেও কিছু থাকে। তাই নিজের জায়গা কে জাস্টিফাই করার জন্য তিনি নির্বাচিত কথা শুনবেন বা জানতে চাইবেন। ভুল খুঁজে বেড়াবেন।

একইভাবে একজন ব্যক্তি তার ‘Conspiracy Theory’ কে প্রতিষ্ঠা করার জন্যও এই একচোখ ব্যবহার করেন; যে চোখ তার দর্শন, রিসার্চ, বিশ্বাস, সন্দেহ, অভিযোগ, এজেন্ডা কে সাপোর্ট দেয়।

বলুন, বলতেও দিন তবে শোনার ক্ষেত্রে সাবধানে থাকুন।

ছবি: RedBubble

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দিনকে দিন প্রযুক্তির দাসে পরিণত হচ্ছি, কিন্তু এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি??

অফটপিকঃ আমার মনে হয় আমরা এই দেশের ৯০% এর অধিক মানুষ জন্মগত ভাবেই দলকানা। আমরা প্রথমে নিজেদেরকে নিজেরাই একটা দলের লোক বলে ট্যাগ দেই, তারপরে কেউ যদি সেই দলের পক্ষে বলে তার সাত খুন মাফ, আর যদি বিপক্ষে বলে তার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে তারপর ছাড়ি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

মি. বিকেল বলেছেন: বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দিনকে দিন প্রযুক্তির দাসে পরিণত হচ্ছি, কিন্তু এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি??

আত্মনিয়ন্ত্রণ

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। কমেন্ট এবং লাইক না দিলে গর্হিত অপরাধ হবে। এই ব্লগে এখন এধরণের লেখা প্রায় আসেনা বললেই চলে। ভবিষৎতে এ রকম আরো লেখা পাবো বলে আশা রাখি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ। আগামীতেও এমন লেখা দেবার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

আমি ইউনুস আলী বলেছেন: শোনার ক্ষেত্রে সাবধান থাকলেও আমাদের অবচেতন মন কখনো সখনো সব থেকে বেশি প্রচারিত জিনিস বিশ্বাস করে নেয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

মি. বিকেল বলেছেন: এমন হলে ক্রসচেক করে ফ্যাক্ট বের করতে হবে।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ২০১৮ না, বাংলাদেশে ৭৫ এর পরে আজ পর্যন্ত কোনো সঠিক নির্বাচন হয়নি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

মি. বিকেল বলেছেন: সেটা আমার আলোচ্য বিষয় ছিলো না।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




কারণ আপনি সেসব শুনতে বা দেখতে কমফোর্টেবল অনুভব করেন না। অথবা, সেসব তথ্যের সাথে আপনার দর্শন ফিট করে না।

এটা সত্যি, যেটাতে কমফোর্টেবল ফিল করি বা যেটা ভাবনার সাথে যায়, সেটাই বেশি শোনা বা দেখা হয়।
জানার জন্য উল্টোটাও দেখি কিন্তু কম।

আপনি যা মানছেন বা দেখছেন বা যে ন্যারেটিভ কে মনে মনে গ্রহণ করেছেন তার উল্টো কিছু হলেই রেগে যাবেন, ক্ষোভে ফেটে পড়বেন।

মাঝে মাঝে উল্টোটা আই মিন ভিন্নমত শোনা, দেখা আব বোঝার চেষ্টা করি, কারণ ওখান থেকেও শেখার আছে এমনকিছু যা সম্পর্কে হয়তো কোন ধারণাই ছিলো না।

প্রাক্তন সম্পর্কে কেউ ভালো কথা বলে? বা প্রাক্তন সম্পর্কে কেউ ভালো কথা শুনতে চায়? চায় না… কারণ তাকে ছেড়ে দেবার কিছু কারণ দরকার।

ব্রেকাপের অনেক কারণ হতে পারে, নট অলওয়েজ বিদ্বেষ নিয়ে হবে।
সেই ক্ষেত্রে একে অপরের সম্পর্কে কেনো খারাপ বলবে!
আফটার অল দুজনের অনেক গুড মেমরিজ থাকে একসাথে।
অনেক সময় রেস্পেক্টফুল ব্রেকআপ হয় এবং পরস্পর সম্পর্কে ভালো মনোভাব প্রকাশ করে, ভালো বলে।

বলুন, বলতেও দিন তবে শোনার ক্ষেত্রে সাবধানে থাকুন।

ওয়ান্ডারফুল!!! এরকম লেখা পড়ে আরাম পাই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

মি. বিকেল বলেছেন: ব্রেকাপের অনেক কারণ হতে পারে, নট অলওয়েজ বিদ্বেষ নিয়ে হবে।
সেই ক্ষেত্রে একে অপরের সম্পর্কে কেনো খারাপ বলবে!
আফটার অল দুজনের অনেক গুড মেমরিজ থাকে একসাথে।
অনেক সময় রেস্পেক্টফুল ব্রেকআপ হয় এবং পরস্পর সম্পর্কে ভালো মনোভাব প্রকাশ করে, ভালো বলে।


লেখাতে আরো যত্ন নেওয়া উচিত ছিলো। যাকগে, সিলেক্টিভ হেয়ারিং এবং ডার্ক সাইকোলজিতে মানুষ যেমন আচরণ করে। আপনি যা বলেছেন তা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: যে যেটা শুনতে চায় সেটাকেই সে সত্যি মনে করে।যেমন শেখ হাসিনা ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে ছিলো,এটাকে অনেকে সত্যি মনে করতো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

মি. বিকেল বলেছেন: হ্যাঁ, এই ন্যারেটিভ এখনো প্রচলিত আছে। সত্য কি জানি না।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


যারা এসব থিউরীর জন্ম দেয়,উনারা ম্যানিপুলেশনের লিডে থাকলে তা থেকে বাঁচার উপায় নেই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

মি. বিকেল বলেছেন: একদম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.