নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নানার চোখে কি আমি সেরা ছিলাম, নাকি নিকৃষ্ট?

৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ২:১৬



আমার নানা পৃথিবীতে আর নাই। তিনি চলে যাবার খুব বেশিদিন হয়ও নাই। আবার আমি নাতি-নাতনীদের মধ্যে তার কাছে খুব স্পেশ্যাল কেউ ছিলাম বলে তো আমার মনে হয় না। সত্যি বলতে, আমি আমার নানা কে খুব একটা মিসও করি না।

কিন্তু আমার নানা তার মৃত্যুর পর মোট আটজন নাতির মধ্যে আমাকে তারা জানাযা পড়াবার জন্য ওসিয়ত করেছিলেন (মাদ্রাসায় পড়া জারি রাখা শর্তে)। একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাওয়া যায়, তিনি আমাকে অন্যদের চেয়ে তূলনামূলক কম মেধাবী এবং ভবিষ্যতেও কম সফল বিবেচনায় ঐ ওসিয়ত করেছিলেন; যা আমার মোটেও পছন্দ হয় নাই।

কারণ যারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তারা সর্বোচ্চ কি হতে পারে? কোন প্রতিষ্ঠানের আরবী ভাষার শিক্ষক অথবা, কোন মসজিদের ঈমাম। এর বেশিকিছু তো মাথায় আসছে না। তাই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাটা আমার জন্যও অযোক্তিক হয়ে দাঁড়ায়। আমি কলেজে পড়াশোনা শুরু করি এবং উক্ত ওসিয়ত থেকে মুক্তিও পাই।

নানার কিছু গভীর পর্যবেক্ষণ আমাকে সময় সময় ভাবায়,

১. একদিন আমাকে হিন্দি গান টেলিভিশনে (9XM চ্যানেল) দেখতে দেখে বললেন, “তোকে ঠিক বুঝি না। তুই মাদ্রাসায় পড়িস, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িস আবার হিন্দি গানও শোনিস!”

২. একদিন আমার বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিলো। নানা এতে মোটেই আগ্রহ দেখালেন না। আমার বিয়ে নিয়ে নানা মাত্র একটি উক্তি শোনান, “...marriage is a legalized prostitution.”।

আমার নানার এই সর্বশেষ উক্তি বুঝতে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হয়েছে। কারণ এর আগে আমি শেক্সপিয়র, জর্জ বানার্ড শ বা দুই একজন লেখক/লেখিকার নাম জানলেও ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট কে তো আর চিনতাম না, জানতাম না।

এরচেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, বিয়ে প্রতিষ্ঠানকে ইংরেজি সাহিত্যের বড় বড় কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক বহু সমালোচনা করেছেন। জানা যায় ‘শ’ একজীবনে তাঁর বউয়ের সাথে কখনো বিছানায় যাননি। তারা আলাদা আলাদা বিছানায় ঘুমাতেন।

কেন জানিনা, আজও নানা আমার কাছে প্রাসঙ্গিক। একজন স্কুল মাস্টার এতবড় স্টেটমেন্ট দিলেন কীভাবে? নাকি স্রেফ মুখস্ত কোন উক্তি! না, তাহলে আমার বিয়ে ব্যাপারে কথা বলার সময় এটা কেন বললেন?

আজ এই প্রশ্ন তাকে খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু উত্তর তো আর পাওয়া যাবে না। তাছাড়াও, নানার কাছে আমি কি সবার চেয়ে উৎকৃষ্ট ছিলাম? নাকি সবার চেয়ে নিকৃষ্ট ছিলাম? নাকি অদৌ কেউ ছিলাম-ই না! সত্যিটা আমি ঠিক জানি না।

আসলে জীবনে যতই আমরা জ্ঞান অর্জন করি, অভিজ্ঞতার কাছে বারবার হেরে যেতে হয়। আর আমি দুঃখিত নানা! আমি নিজ ইচ্ছায় আপনার দেওয়া ওসিয়ত পালন করি নাই, করতে চাই নাই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: নানার চোখে আপনি কি সেটা আসল বিষয় না।আপনি যা আপনি তাই।নিজের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখুন।নিজের চিন্তা চেতনার বিচার বিশ্লষণ করতে শিখুন।যুক্তি প্রমান তথ্য দিয়ে সবকিছু বিচার করুন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যা বলেছেন তা সত্যিই গভীর এবং অর্থপূর্ণ। নিজের চোখে নিজেকে দেখা এবং নিজের চিন্তা-চেতনা দ্বারা বিশ্লেষণ করা আত্ম-সচেতনতার এক অনন্য পথ। আমরা প্রায়ই অন্যের দৃষ্টিকোণ দ্বারা নিজেদের মূল্যায়ন করি, কিন্তু নিজের মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের উপর দৃঢ় থাকা অত্যন্ত জরুরি। যুক্তি, প্রমাণ এবং তথ্য দিয়ে বিচার করা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিকে আরও সুসংহত করে তোলে।

আপনার মন্তব্য আমাদের সকলকে আত্ম-পরিচয়ের গুরুত্ব এবং নিজের প্রতি সত্য থাকার মূল্য স্মরণ করিয়ে দেয়।

২| ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়ে আপনাকে বিসিএস ক্যাডার হতে হবে এমন কোন কথা ছিলো না। আবার মাদ্রসায় পড়ে আপনাকে ইমাম সাহেব হতে হবে এমন কোন কথা ছিলো না। আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামের মসজিদে যে প্রথম ইমাম ছিলেন তিনি ইমামতি ছেড়ে দিয়ে টেইলারি কাজ করেন ও জমি জমা দেখাশুনা করে। তিনি কৃষি কাজ ও করেন। ভবিষৎ এ তিনি সফল ব্যাবসায়ীও হতে পারেন।

আমি ইসলাম ধর্মের লোক নাকি হিন্দু ধর্মে এটা বলব না। আপনাকে এটা বলত চাই যে মৃত্যু একটি চরম সত্য। আপনি আমেরিকার রষ্ট্রপতি হলেও ‍মৃত্যু বরন করতেন আর ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব হলেও মৃত্যু বরণ করতেন। মৃত্যুর পর যেহেতু ভালো ও খারাপ কাজে যেহেতু হিসাব দিতে হয় সেহেতু ধর্ম কর্ম করেন। মৃত্যুর পর উপর ওয়ালা আপনাকে শান্তি দিবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা এবং পেশা নির্বাচনে বৈচিত্র্য এবং স্বাধীনতা আমাদের সমাজের জন্য অপরিহার্য। মাদ্রাসা শিক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন পেশায় সফল হতে পারেন, যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন যে ইমাম সাহেব টেইলারি কাজ, জমি জমা দেখাশুনা এবং কৃষি কাজ করে থাকেন। এটি দেখায় যে শিক্ষা এবং জীবনের পথ সবসময় বহুমুখী এবং পরিবর্তনশীল।

আপনি যে মৃত্যুর কথা বলেছেন, তা সত্যিই একটি চরম সত্য। মৃত্যু সকলের জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। আমাদের কর্ম এবং বিশ্বাস আমাদের জীবনের পথ নির্ধারণ করে এবং অনেকে বিশ্বাস করেন যে মৃত্যুর পরে আমাদের কর্মের হিসাব দিতে হয়। আপনার মন্তব্য আমাদের সকলকে জীবনের মূল্য এবং মৃত্যুর পরের বিশ্বাসের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।

৩| ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

শায়মা বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন কার কাছে আমি ঠিক কেমন ছিলাম।

আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাওয়া আরও কঠিন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার প্রশ্নটি সত্যিই অনেক গভীর। আমরা প্রায়ই অন্যের চোখে নিজেদের প্রতিচ্ছবি খুঁজি, কিন্তু নিজের আত্ম-পরিচয় নিজের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। আমাদের নিজেদের মধ্যে দিয়ে যাওয়া প্রতিটি অভিজ্ঞতা, আনন্দ, দুঃখ, সাফল্য এবং ব্যর্থতা আমাদের যে ব্যক্তিত্বে গড়ে তোলে, তা অনন্য। নিজেকে চেনা এবং নিজের মূল্যবোধ অনুযায়ী জীবন গড়ে তোলা এক অবিরাম যাত্রা।

আপনি যেমন বলেছেন, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাওয়া কঠিন, কিন্তু এই খোঁজাখুঁজির পথেই আমরা নিজেদের সম্পর্কে নতুন নতুন দিক আবিষ্কার করি এবং নিজেদের সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করি। আপনার মন্তব্য আমাদের সকলকে আত্ম-অনুসন্ধানের গুরুত্ব এবং নিজের প্রতি সত্য থাকার মূল্য স্মরণ করিয়ে দেয়।

৪| ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মানুষের সাথে মানুষের পরিচয় হওয়ার পর একজন মানুষ অন্য একজন মানুষ সম্পর্কে বরাবরই একটা ধারনা তৈরী করে নেয়। এই পরিচিত হওয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, হতে পারে সেটা সামনা-সামনি কথা বলে, হতে পারে সেটা আর্ন্তজালে, হতে পারে সেটা ফোনে কথা বলে কিংবা কোন লিখার মাধ্যমে। আবার ধারনা তৈরী হওয়ার পেছনেও দু'পক্ষেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। যেমন যার ব্যাপারে ধারনা নেয়া হচ্ছে তিনি নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করছেন বা অন্য কেউ (তৃতীয় পক্ষ) তাকে কিভাবে তুলে ধরছেন আর যিনি ধারনা তৈরী করছেন তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান, শিক্ষা, কি ধরনের পরিবেশে বড় হয়েছেন এই সব ভ্যারিয়েবলের একটা বেশ প্রভাব থেকে যায়। এক কথায় পুরো বিষয়টিই বেশ জটিল বুঝতেও আমার যথেষ্ট সময় নিতে হয়েছে।

ব্যক্তিগতভাবে, এই বয়সে এসে আমি আর এখন এগুলোকে খুব বেশী গুরুত্ব দেই না কারন বিষয়গুলোর অনেকটাই আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। তবে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বরাবরই চেষ্টা করেছি নিজের দায়িত্বটুকু যতটা সম্ভব পালন করার জন্য। হোক সেটা বন্ধু-বান্ধব, মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান কিংবা স্ত্রীর প্রতি। তারা কিভাবে সেটা মূল্যায়ন করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ তবে আমি চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যমত। তারপরেও সবাই যে সমান খুশি হবেন তা নয়, সেটা সম্ভবও নয় আর তাই এ নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামাই না।

সব সম্পর্কেই একটা সীমবদ্ধতা থাকে কিংবা থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়। সমস্যা হলো আমরা বাংলাদেশীরা ক্ষেত্র বিশেষে সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জ্ঞাণ কম রাখি। খুব সম্ভবত সেটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের অনেকেই একজন আরেকজনকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেলেন তার বেতন কত? বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে এই বিষয়টি বেশ চোখে পড়ে। সবাই একরকম নয়, তাপরেও সমস্যাগুলো বেশ পরিষ্কারভাবে আমার কাছে ধরা দেয়। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই অনেক গভীর এবং চিন্তা-প্রেরণামূলক। মানুষের পরিচয় এবং ধারণা তৈরির প্রক্রিয়া জটিল এবং বহুমাত্রিক। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং পরিবেশ তার ধারণা গঠনে প্রভাব ফেলে। এই বিষয়টি বুঝতে সময় নেওয়া স্বাভাবিক।

আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আপনার সততা এবং আত্ম-সচেতনতা প্রশংসনীয়। নিজের দায়িত্ব পালনের প্রতি আপনার অঙ্গীকার এবং সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আপনার উল্লেখ করা বিষয়গুলো আমাদের সমাজের জন্য একটি মূল্যবান আলোচনার বিষয় হতে পারে। আপনার মন্তব্য আমাদের সকলকে সম্পর্কের গভীরতা এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ভাবতে উৎসাহিত করে।

৫| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৬

করুণাধারা বলেছেন: শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট কোনটাই নয়, আমার মনে হয় আপনি নানার চোখে আপনি তাঁর সব অন্য সব নাতিদের মতোই ছিলেন। উনার জানাজার নামাজ পড়ার ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন আপনাকে। ‌ হতে পারে আপনাকে এজন্য যোগ্য মনে হয়েছিল উনার। আপনি ওসিয়ত পূরণ করতে পারেননি। এটা নিয়ে আপসেট হবার কিছু নেই। দুনিয়াতে সব কাজ সব সময় করা সম্ভব হয় না।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, তা অনেকের জন্য সান্ত্বনা এবং শিক্ষা হতে পারে। প্রিয়জনের চোখে আমরা সবাই বিশেষ কিছু, এবং তাঁদের আশা এবং ওসিয়ত পূরণের চেষ্টা করা আমাদের জন্য গৌরবের। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে আমরা সেই আশা পূরণ করতে পারি না, এবং এটি স্বাভাবিক। আপনার মন্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবনে সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে এবং আমাদের উচিত নিজেদের উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া।

আপনি যে বোঝাতে চেয়েছেন যে দুনিয়াতে সব কাজ সব সময় করা সম্ভব নয়, তা সত্যি এবং এটি আমাদের সকলকে মেনে নেওয়া উচিত। আমাদের উচিত আমাদের সেরা চেষ্টা করা এবং যা ঘটে তা মেনে নেওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.