নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈষম্যের বিরুদ্ধে মিলেনিজেনের যুদ্ধ ঘোষণা
প্রথম প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২৪
প্রেক্ষাপট
ছোটবেলা থেকে একটি পুরো প্রজন্ম বাংলাদেশের রাজনীতির বিভৎস সংস্কৃতি দেখতে দেখতে বড় হয়েছে। এই তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বেশি ‘ক্ষমতা’ কেন্দ্রিক। একবার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে যে-ই পেয়েছে, সে-ই কিন্তু আর ক্ষমতা থেকে নামতে চায়নি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে চায়নি; ইতিহাস সাক্ষী। ক্ষমতার জন্য বর্তমান বাংলাদেশে এমন কোনো দল নেই যাদের হাতে রক্ত নেই। এরা ক্ষমতার জন্য বারবার সাধারণ মানুষদের ব্যবহার এবং তাদের চাওয়া-পাওয়া ও অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রজন্মের মনোভাব
এই প্রজন্ম বড় হয়েছে রাজনীতিকে ঘৃণা করে। আরো স্পষ্ট করে বলা উচিত, তথাকথিত রাজনীতিকে এই প্রজন্ম ঘৃণা করে। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রজন্মকে ঘিরে অনেক কটু কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এরা এই গতানুগতিক এবং তথাকথিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে মানুষের স্বার্থে অন্তত ৩টি সফল আন্দোলন করতে সক্ষম হয়েছে (একটি চলমান)। অনেক রক্ত বাহিত হয়েছে বা হচ্ছে। অথচ, এদের নিকট প্রজন্ম এদেরকে কতবার অথর্ব, নিষ্ক্রিয়, ঘরকুনো, অনলাইন যোদ্ধা ইত্যাদি বলে নিজেদের সুপিরিয়র ভেবে আরাম পেয়েছে।
মিলেনিজেনের সংজ্ঞা
প্রথমত, এই প্রজন্ম রাজনীতির সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই প্রজন্ম আন্দোলন কীভাবে করতে হয় তা নতুন করে শিখিয়েছে। আমি এই প্রজন্মের নাম দিচ্ছি ‘মিলেনিজেন (Millenigen)’। মানে মোটাদাগে দুই প্রজন্মের একটি অংশ। মিলেনিয়াম প্রজন্মের শেষের অংশ এবং জেন জি প্রজন্মের শুরুর অংশ।
রাজনীতির সংজ্ঞা পাল্টানোর উপায়
আমার মতে, বেশিরভাগ মিলেনিজেনরা কোনো বিশেষ দল সমর্থন করেন না, অন্তত কট্টরপন্থী নয়। গতানুগতিক এবং তথাকথিত কিছু রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন তো করেই না এবং এই সংখ্যা বর্তমানে বেড়েই চলেছে। এজন্যই দেখবেন, সরকার পক্ষ এদের মধ্যে দলীয় সূত্র খুঁজে বের করার বহু চেষ্টা করলেও শেষমেশ মোটাদাগে বড় কোনো সূত্র বা লিংক খুঁজে পায়নি। মানে যেটা নেই, সেটা খুঁজে পাবেন কীভাবে?
মিলেনিজেনের বৈশিষ্ট্য
১. রাজনীতিতে সচেতন নাগরিকের ভূমিকা: চারপাশে যা চলছে সে সম্পর্কে অবগত থাকা। যতদূর সম্ভব বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তথ্যগুলো সবার সাথে শেয়ার করা। এটাও তো একধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার। গত এক যুগে নাটকীয়ভাবে শুধুমাত্র ফেসবুকে যে বিকল্পধারার অবতারণা তার গ্রাফ যদি লক্ষ্য করা যায় তাহলে চমকে উঠতে হয়। বর্তমান বাংলাদেশে তথ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে সামনে এসে খুব বেশি সুবিধা কেউ করে যেতে পারবে বলে আমার মনে হয় না; সম্ভব নয়।
২. কমন ইন্টারেস্টের জায়গা তৈরি করা: ফেসবুকীয় গণতান্ত্রিক মডেল অধিক গণতান্ত্রিক হলেও এই প্রজন্ম এই ‘Overloaded Information’ এর মধ্যেও এক ধরণের কমন আগ্রহের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সত্য এটাও যে, এরা একে অন্যের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িত থাকলেও দিনদিন বরং কমন আগ্রহের জায়গা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরা একে অন্যের সাথে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে শক্রুতে পরিণত হয় নাই, উল্টো এরা চেক এন্ড ব্যালেন্স ততক্ষণ অবধি করছে যতক্ষণ অবধি মীমাংসা না হয়। মজার বিষয় হচ্ছে, এতে করে এদের পড়াশোনাও করতে হচ্ছে।
৩. প্রশ্ন করছে: এদের নিকট প্রজন্ম ঠিক যতটা দাসত্বের প্রমাণ দিয়েছে মিলেনিজেন ঠিক ততটাই গণতান্ত্রিক অধিকার চাচ্ছে, প্রশ্ন করছে, সিস্টেমকে বারবার চ্যালেঞ্জ করছে। আরো কঠোরভাবে যদি বলা যায় তাহলে প্রায় রোজ দুর্নীতি নিয়ে, লুটপাট নিয়ে, দারিদ্রতা নিয়ে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে, টাকা পাচার নিয়ে, চাকুরী নিয়ে, অব্যবস্থাপনা নিয়ে অক্লান্ত প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। এই দলে যারা আছে অধিকাংশই শিক্ষিত। অন্তত আমাদের তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত। একটি অন্যায় ঘটলে হাজারো কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প ও স্যাটায়ারে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। শুধু ফেসবুক হলেও হত, এদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ করছে ন্যায় ও ন্যায্যতার জন্য। প্রয়োজনে কেউ মনে রাখুক বা না রাখুক এরা জীবন পর্যন্ত দিচ্ছে।
৪. নেতৃত্ব দেবার সাহসী মনোভাব: সর্বশেষ চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে একটি শব্দ বেশিরভাগ রাজনীতিবিদরা বুঝছেন না। অন্তত টেলিভিশন ও অনলাইন টকশোতে বসা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষগুলো। এই আন্দোলনে একটি আলোচিত শব্দ ‘সমন্বয়ক’। ভালো করে আবার পড়ুন, ‘সমন্বয়ক’, নেতা নন। মানে হলো, গণতান্ত্রিক মডেলে এরচেয়ে ভালো শব্দ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কি হতে পারতো আমার জানা নেই। কেন ‘নেতা’ শব্দ নেতিবাচক তা নিয়ে আলাদা প্রবন্ধ হতে পারে কিন্তু সমন্বয়কারী কখনোই নেতার মত করে ব্যক্তি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারেন না। একইসাথে একজন সমন্বয়কারীর অনুপস্থিতিতে আরেকজনের সেখানে দাঁড়িয়ে যাওয়া ‘নেতা’ শব্দের তুলনায় কম ভারি এবং অধিক গণতান্ত্রিক।
৫. নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগ: এদের মধ্যে কমন আগ্রহ আছে কিন্তু এরা কীভাবে নেটওয়ার্কিং করছে বা যোগাযোগ করছে তার নির্দিষ্ট কোনো প্যাটার্ন নেই। অন্তত আমি ব্যর্থ কারণ এরকম কোনো প্যাটার্ন আমি খুঁজে পাইনি। কিন্তু এরা যে যেখানে আছে সেখান থেকে সে তার অংশটুকু করছে। বাহ্যিকভাবে মনে হতে পারে, এখানে কোনো ‘ডট’ আছে এবং তা কানেক্ট করা সম্ভব। না, কানেক্ট করা সম্ভব না। দীর্ঘদিনের ডায়ালগে এদের মধ্যে শেয়ারড কিছু মূল্যবোধ তৈরি হয়েছে। সুতরাং যখন এরা কথা বলছে তখন মনে হতে পারে যে, এরা একে অপরকে ‘Echo’ করছে; যা ভুল।
৬. বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: কোটা সংস্কার আন্দোলন তো সরকারি চাকুরীর জন্য। কিন্তু এই আন্দোলনে এমন কিছু ছেলে-মেয়ে যোগদান করেছে যারা হয়তো বাংলাদেশে সরকারি চাকুরীর ফর্ম পর্যন্ত উঠাতেন না। ‘উঠাতেন না’ – এমন বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। মানে এই আন্দোলন কোনোভাবেই শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়। এটাই তো সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এটাই তো বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ভাই শহীদ হয়েছেন। তারা কি চাইছিলেন?
তারা কি চাইছিলেন সেটা তো আমি জানি না। কিন্তু চাকুরী পেলেও আমরা সবাই তো আর পাবো না। আমাদের মধ্যে হয়তো ৩-৫% শতাংশ সরকারি চাকুরী পাবেন। কিন্তু বাকিদের কি হবে? ওরা এদেশের সন্তান নয়? ওরা খুব সম্ভবত চেয়েছিলেন যে, কোনভাবে একসাথে সবাই দাঁড়ানো যায় না! এমন কোন সংস্কার কি নেই যা শুধুমাত্র ৩% শতাংশের জন্য নয় বাকি ৯৭% শতাংশের জন্যও কাজ করবে!
(উল্লেখ্য, এই প্রবন্ধ অপূর্ণ কারণ আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা খুবই কম রাখি। আর আমারও সরকারি চাকুরী না হলেও এক জীবন চালানোর মত দক্ষতা আছে।)
Also Read It On: বৈষম্যের বিরুদ্ধে মিলেনিজেনের যুদ্ধ ঘোষণা
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩১
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনি মিলেনিয়াল প্রজন্মের সদস্য। আপনার অভিজ্ঞতা এবং মতামত আমাদের প্রবন্ধের মূল বক্তব্যের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত, এবং এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।
আপনার রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকার ইচ্ছা এবং দেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করার বিষয়টি আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই মনোভাবের প্রতিফলন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমর্থন আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার সমর্থন আমাদের আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে।
আপনার আশা যে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, তা আমাদের সকলেরই কাম্য। আপনার মতামত এবং সমর্থন আমাদেরকে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
আশা করি, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর এবং ন্যায্য বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: এরা এই ভাবে শিবিরের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে এটা ভাবিনি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৩
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার উদ্বেগ বুঝতে পারছি। তবে, আমার প্রবন্ধে যে প্রজন্মের কথা বলা হয়েছে, তারা মূলত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদের আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নয়, বরং এটি একটি সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
আমাদের প্রজন্মের অনেকেই রাজনীতির প্রচলিত ধারা থেকে দূরে থাকতে চায় এবং নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে সমাজের জন্য কাজ করতে চায়। তাই, তাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট দলের সাথে যুক্ত করা সঠিক হবে না।
আশা করি, আপনি আমাদের প্রজন্মের উদ্দেশ্য এবং সংগ্রামের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে পারবেন।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: মূলত এরা শিবিরের প্রডাক্ট।দেড়শ জনের কমিটিতে একজনও হিন্দু বা বামপন্থী নাই।এতেই প্রমান হয় এরা সাম্প্রদায়িক শক্তি।জামাত শিবির হেফাজত বা ইসলামী দলগুলি ছাড়াএমন কোন সংগঠন নাই যেখানে হিন্দু নাই।মোট জনসংখ্যার ৭% হিন্দু।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৪
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার উদ্বেগ এবং প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আমার প্রবন্ধে যে প্রজন্মের কথা বলা হয়েছে, তারা মূলত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদের আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নয়, বরং এটি একটি সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। তবে, এই প্রজন্মের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো সকল প্রকার বৈষম্য দূর করা এবং একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, এবং মতাদর্শের মানুষ রয়েছে, যারা একসাথে কাজ করছে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: মিলেনিজেনরা ভীতু। এরা কোনভাবে টিকে যাওয়াকেই সাফল্য হিসেবে দেখে। কেউ রাজাকার বলে গালি দিলে জবার দেওয়ার আগে খোঁজে - নিজের পরিবারের কেউ মুক্তিযোদ্ধা আছে কিনা!
জেনজি রা সেরকম নয়। তাদেরকে রাজাকার বলে গালি দিলে তারা ক্ষেপে যায়। পালটা জবাব দেয় - আমরা চার কোটি রাজাকার যদি অস্ত্র নিয়ে নামি, আপনার টিকবেন?
এসব রাজাকারদের দেখে হতাশ হয়, তাদেরকে এক কথায় এরা বাতলের খাতায় ফেলে দেয় এই বলে - জাফর ইকবাল চুদি না!
এদের সাথে চলে মিলেনিজেনদের তুলনা?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৬
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতা আমাদের আলোচনাকে আরও গভীর করে তুলেছে। তবে, আমি কিছু বিষয় পরিষ্কার করতে চাই।
প্রথমত, মিলেনিজেন এবং জেন জি প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। প্রতিটি প্রজন্মের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিক্রিয়া থাকে। মিলেনিজেনরা হয়তো কিছু ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক এবং চিন্তাশীল হতে পারে, যা তাদের ভীতু বলে মনে হতে পারে। তবে, এটি তাদের দুর্বলতা নয় বরং একটি ভিন্ন ধরণের শক্তি।
দ্বিতীয়ত, জেন জি প্রজন্মের সাহস এবং তৎপরতা প্রশংসনীয়। তারা সরাসরি এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যা তাদের দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।
তবে, উভয় প্রজন্মেরই একটি সাধারণ লক্ষ্য রয়েছে: একটি ন্যায্য এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাদের পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য একই।
আশা করি, আপনি আমাদের প্রজন্মের বিভিন্ন দিক এবং তাদের সংগ্রামের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৩৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার জন্ম আশির দশকের প্রথমার্ধে, সে হিসেবে নিজেকে "মিলেনিয়াল" গ্রুপের সদস্য বলেই মনে করি। আপনার উল্লেখিত বেশীরভাগ তথ্যই সত্য বলে মনে হয়েছে। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বা সে অর্থে এ ধরনের বিষয়ে যুক্ত থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার কখনোই ছিলো না আজও নেই। তবে বরাবরই দেশের জন্য এমন একটা শাসন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করেছি যেখানে সাধারণ জনগণের ইচ্ছে বা আকঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।
এ বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম থেকেই আমি সক্রিয় ছিলাম, সে হিসেবে নিজেকে আমি এই আন্দোলনের একজন সহযোদ্ধা বা সহযোগী বলতে গর্ব বোধ করি। যদিও এই আন্দোলন ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন স্বার্থ রক্ষা করে না তদুপরি জেন-জি এর দাবী বা চাওয়া-পাওয়াগুলো আমার কাছে সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর আমারও সন্তান রয়েছে তদুপরি এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থণ জানিয়েছি। আশা করি নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। এতটুকুই চাওয়া আর এতটুকু বাস্তবায়ন হলে তাতেই আমি খুশি। এর চেয়ে বেশী কিছু বা পাওয়ার নেই। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এই কামনাই থাকবে আমৃত্যু। ধন্যবাদ।