নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম প্রকাশ: ১২ আগষ্ট, ২০২৪
‘কুযুক্তি/কুতর্ক’ বা ‘লজিক্যাল ফ্যালাসি (Logical Fallacy)’ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত তবে সেটা আরো একটি কুযুক্তি/কুতর্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য নয়। ‘স্ট্র ম্যান (Straw Men)’ ফ্যালাসি নিয়ে আমি ইতোপূর্বেই লিখেছি। বর্তমানে এই স্ট্র ম্যান ফ্যালাসির ব্যবহার করা হতে পারে আরো একটি কুযুক্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কারণ যারা লজিক্যাল ফ্যালাসি সম্পর্কে অবগত তাদের হাতেই কিন্তু তৈরি হতে পারে শক্ত ন্যারেটিভ।
গণহত্যাকে সামগ্রিকভাবে কীভাবে একটি সাধারণ দূর্ঘটনা হিসেবে দাঁড় করানো যেতে পারে? গণহত্যাকে ছোট করে দেখানোর মাঝে তো কোন মহত্ব নাই। ‘গণহত্যা’ শব্দটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
এখানে পক্ষ-বিপক্ষের কোন মতামত থাকতে পারে না। আগে ‘গণহত্যা’ মেনে নিয়ে তারপর ব্যক্তির বাক-স্বাধীনতাকে শুভেচ্ছা জানানো যেতে পারে। ‘গণহত্যা’ যিনি মানছেন না তার সোজা উত্তর হলো ঐ ব্যক্তি গণহত্যা যিনি করেছেন এবং ঠিক করেছেন তার সমর্থক। মানে পরোক্ষ গণহত্যাকারী দলের অংশবিশেষ।
‘গণহত্যা’ শব্দ ব্যাখ্যার পূর্বেই একাধিক কুযুক্তি দিয়ে এটাকে ঢেকে ফেলা হচ্ছে একাধিক লজিক্যাল ফ্যালাসির সাহায্য নিয়ে। এখানে স্পষ্টত আমি চার ধরণের লজিক্যাল ফ্যালাসি খুব বেশি লক্ষ্য করছি তবে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি ও ভয়ানক।
১. Red Herring Fallacy: একাধিক অপ্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গের অবতারণা যেসবের সাথে গণহত্যার কোন সংযোগ খুঁজে পাবেন না। আমরা যেটাকে আদর করে বলি, ‘লাইলাতুল গুজব/গুজব’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজকের এই দিনে যে সরকার গণহত্যা সাধন করেছেন এবং দেশত্যাগ করেছেন তাকে নিয়ে বেশি চিন্তার মধ্যে মানুষকে রাখা।
তিনি পালানোর পর দেশ আর ভালো নাই, দেশ চলবে না। পাশাপাশি তার বিকল্প কেউ জন্মায় নাই, ছাত্রদের আন্দোলন বৃথা, ছাত্ররা বিকল্প হতে পারবেন না। আর এজন্যই যিনি এখনো ক্ষমতা পান নাই তার ‘ভ্রু'টা’ এত অদ্ভুত কেন? তিনিই কি তবে বিকল্প? ইত্যাদি এসব প্রশ্নে ব্যস্ত রাখা। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন এর সাথে গণহত্যার দূরদূর পর্যন্ত কোন সম্পর্কই নাই।
এছাড়াও বাহ্যিক বা ভিনদেশের আক্রমণ হতে পারে এই ভয়ে সারাক্ষণ গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। যেমন, ‘গণহত্যা’ সম্পাদন করার পর বাংলাদেশে ভারতীয় ‘র’ এজেন্ট এসেছে এমন গুজব কে দুপুর রাতে প্রচার চালিয়ে মানুষকে অত্যাচার করা। তাও রাতের পর রাত, ভিন্ন ভিন্ন গুজব দিয়ে মানুষের ঘুম কেড়ে নেওয়া।
সারাক্ষণ তাকে অনলাইনে এটেশনশান ধরে রাখার জন্য একের পর এক মিথ্যা তথ্যে ভরপুর করে দেওয়া ও এক শ্রেণীর লোক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগে যাওয়া। এখানে দেওয়া কোন তথ্যের সাথে গণহত্যার দূরদূর পর্যন্ত কোনরুপ সম্পর্ক নাই। এমনকি আগের গণহত্যা পরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতে ভুলে যাওয়া। প্লাস, এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গারও বিচার হতে না দেওয়া।
কারণ গুজব যত বাড়বে এবং তা একসময় অভদ্রতারও একটা সীমা থাকে সেটাকেও পেরিয়ে গেলে গুটিকয়েক মানুষগুলো আর কারো পক্ষেই কথা বলবেন না। এই গুটিকয়েক মানুষ কারা? এই গুটিকয়েক মানুষগুলো হলো তার ঘেঁষা দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে, তার ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে, তার ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে সারাক্ষণ আওয়াজ তোলেন যারা। কিন্তু বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এদের সংখ্যা খুবই কম।
এই ফ্যালাসি শেষ হয়, যিনি গণহত্যা করেছেন তিনি কিন্তু তার দেশে অনেক আর্থিক উন্নয়ন করেছেন। আমি যদি স্বীকারও করে নিই, জিরো দুর্নীতি দিয়ে বিশাল উন্নয়ন তাহলেও গণহত্যা জাস্টিফাই (ন্যায়) করা যায় না।
২. The Ad Hominem Fallacy: গণহত্যা করার পর এ বিষয়ে যারা আওয়াজ তুলছেন তাদের সরাসরি আক্রমণ করা। যেমন, বাংলাদেশে বর্তমান গণহত্যার কারণ হচ্ছে ‘CIA এজেন্ট (আমরা)’, এরা বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন যুক্তরাষ্ট্র কে দিয়ে দেবে, এরাই বিশ্বাসঘাতক, এদের জন্যই এই আন্দোলন হয়েছে, এই আন্দোলন না হলে তো এত মানুষ মরতো না! ইত্যাদি।
প্রথমত, গণহত্যার সাথে এসব অভিযোগের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা নাই। দ্বিতীয়ত, এখন যদি আমাদের উপর এই অভিযোগও পুরোপুরি মাথায় নিই তাহলেও ‘গণহত্যা’ জাস্টিফাই (ন্যায়সঙ্গত) করা যায় না। আন্দোলন করা বাংলাদেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। ফরহাদ মাজহার, মানস চৌধুরী, সলিমুল্লাহ সহ প্রমূখ সাহেবের এখানে কিচ্ছু করার নাই। এঁরা মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা করবে স্বীকার করে নিলেও ‘গণহত্যা’ কিন্তু তার জায়গা থেকে একপা নড়বে না। এসবের কোনকিছুর সাথে গণহত্যার সম্পর্ক নাই।
অতীতের কোন একটি হত্যাকান্ড কে সামনে নিয়ে আসা। অতীতে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের কুকর্ম কে বড় করে দেখানো। এখন অতীতে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলোও যদি তাদের কুকর্ম স্বীকার করেন তবুও এই ‘গণহত্যা’র সাথে এসবের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা নাই। মানে ওরা ১০০ জন মানুষকে মেরেছে তাই আমরা ১,০০০ জন মানুষকে মেরেছি! হ্যালো? মানুষের জীবন স্রেফ কোন সংখ্যা নয়। যদিও সেই সংখ্যা নিয়েও আমাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আশ্চর্য! এরা সবাই মানুষ! না মনস্টার!
৩. The False Dilemma Fallacy: এই ফ্যালাসি বা কুযুক্তি সাদা/কালো, হ্যাঁ/না বাইনারী অপশন দেয়। জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং স্থিতিশীল পরিবেশ দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাদের কে কিছু মানুষকে হত্যা করতে হয়েছে। কিন্তু আপনি একটি পুরো গ্রুপ ছাত্রজনতার ও সাধারণ মানুষকে সমানভাবে হত্যা করেছেন। চিন্তা করুন, এমন দেশ যেখানে প্রাণের চেয়ে জমিনের মূল্য বেশি। মানে এমন অদ্ভুত সার্বভৌমত্ব কে চায়? যেখানে কোন মানুষই থাকবে না! আমি যদি এই যুক্তিও মেনে নিই তবুও ‘গণহত্যা’ খারিজ করে দেওয়া যায় না। ‘গণহত্যা’ স্বীকার করে তারপর এসব বলা উচিত।
এছাড়াও পুরো বিষয়কে অতি সরলীকরণ করে তোলা। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে রোড এক্সিডেন্টে-ই তো এরচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়! অথবা, জমির জের ধরে দুই দল লেগে একে অন্যকে হত্যা করে। ননসেন্স, এর সাথে গণহত্যার সম্পর্ক কি? রোড এক্সিডেন্ট হলে সে-ই রোড/রাস্তা ঠিক করতে হবে, গাড়ি ও ড্রাইভার যাচাই-বাছাই করতে হবে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর দুই দল আজীবন লেগেই থাকে এবং ওদের নিরাপত্তা ও ন্যায় দেওয়া একমাত্র দায় সরকারের প্রশাসনের।
মানে বাংলাদেশে মানুষের জীবনের দাম এত কম! ইচ্ছে হলো তো ওপেন ফায়ার করে ১,০০০+ মেধাবী ছাত্রকে মেরে ফেললাম! অসংখ্য আহত। কিন্তু এসব অতি সাধারণীকরণ করলেও ‘গণহত্যা’ ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় এড়ানো যায় না। মানুষের পারসেপশন খুব দ্রুত পাল্টানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবাই স্রোতের সাথে ভেসে যায় না!
৪. The Appeal to Emotion Fallacy: উপরের কোন কুতর্কে না পেরে সর্বশেষ কার্ড হচ্ছে ভিক্টিম কার্ড। এক ধরণের সার্বক্ষণিক চাপ, দ্রুততা এবং মানুষকে গৃহযুদ্ধের ভয় দেখানোর ফলে মানুষের মনোযোগ বিঘ্নিত হতে বাধ্য। ফলে এরা গণহত্যা নিয়ে কম বরং এই সার্বক্ষণিক চাপ ও ভয়ের খেলায় চিন্তিত হয়ে পড়বেন। কি হলো? কি হবে? এখুনি হচ্ছে না কেন? কোন দল ক্ষমতা পাবে? পেলে কি কি করবে? ইত্যাদি।
আমি এই প্রশ্নগুলো অনেকের কাছে পেয়েছি কিন্তু এই মনোযোগ বিঘ্নিত করেও গণহত্যার দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এসবের সাথে গণহত্যার কোন সম্পর্ক নাই! কিন্তু সার্বক্ষণিক একদল আপনাকে এই চাপে রাখবে যাতে ঘটে যাওয়া গণহত্যা আপনি মনে ভুলে যান।
আর কিছুতেই কিছু না পারলে ভিক্টিম কার্ড চালিয়ে দেওয়া। এসমস্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ‘CIA’ করেছে। তারা চায় বাংলাদেশে ঘাঁটি বেধে ভারতকে তাদের মত করে শাসন করা অথবা, ভারতকে এগিয়ে যেতে না দেওয়া। আমি যদি এসবও মেনে নিই তাহলেও ‘গণহত্যা’ কিন্তু গণহত্যার জায়গা থেকে একপা নড়বে না, নড়ানো সম্ভব নয়।
আরো অনেক লজিক্যাল ফ্যালাসি চলমান। ‘গণহত্যা’ কে জাস্টিফাই (ন্যায়সঙ্গত) আস্তে আস্তে করা হচ্ছে। একই সাথে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবনকে টুল বানানো হচ্ছে। তাদের সমস্ত ক্ষতির স্বচ্ছ তালিকা নির্ণয় পূর্বক একটি আন্দোলন করলে বা অন্তত সেটা বর্তমান প্রশাসনের উপর ভরসা করলে আমার বিশ্বাস বিচার পেত।
এই যে গুজব, ওপার থেকে তথাকথিত সংবাদ মাধ্যম আপনাদের এই ক্ষতির হিসাবটাও রাখতে দিচ্ছে না, অপরাধীদের বিচারও করতে হয়তো দেবে না। এমতাবস্থায় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সকল সাধারণ হিন্দু মানুষের উপর আক্রমণের নিন্দা জানাই এবং তাদের ক্ষতির বিচার চাই। কিন্তু এই গুজব থেকেও আপনাদের কাছে মুক্তি চাই। সঠিক তথ্য দিন যেটা নিয়ে লড়াই করা যায়।
আমরা না পারছি গণহত্যার শিকার মানুষদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে। না পারছি সাধারণ কোন হিন্দু পরিবারে আগুন লাগিয়ে দেবার ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় এনে বিচার করতে। মাঝখানে একাধিক কুযুক্তি/কুতর্ক এবং গুজবে ভরা মানুষদের একমাত্র উপর আল্লাহ্ ন্যায় দিতে পারেন।
ছবি: Grammarly
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৮
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন যে গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কার্য। তবে, গণ আন্দোলনে যে হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেটাও অনেক সময় গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে যদি তা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালিত হয়।
একাত্তরের ত্রিশ লক্ষ লোকের হত্যাকাণ্ডকে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, তবে আমাদের ইতিহাসে এটি গণহত্যা হিসাবেই বিবেচিত। এটি আমাদের দায়িত্ব যে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করি এবং আন্তর্জাতিক মহলে এর স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাই।
যেকোনো হত্যাকাণ্ডই নিষ্ঠুর এবং নিন্দনীয়, এবং আমরা সকলেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। গণহত্যা বা গণ আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, উভয়ই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলেরই একসাথে দাঁড়ানো উচিত।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১৩
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে লেখা, চিন্তা উদ্রেককারী।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার প্রশংসা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি যাতে পাঠকরা নতুনভাবে চিন্তা করতে পারেন। আশা করি, এই আলোচনা আমাদের সবার মধ্যে আরও গভীর চিন্তার উদ্রেক ঘটাবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যাদের মাথায় সম্ভবত এই ৬০০-৮০০ মানুষের হত্যা জিনিটা কোন অনুভুতি জাগায় না।
তারা সম্ভবত কিছুটা সাইকোপ্যাথ বা সোসিওপ্যাথ স্পেক্টামের মাঝে আছেন।
অনেকেই আলোচনায় শেখ হাসিনার উন্নয়ন, দূরদশিতা নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করে। আমি কিছু মানুষকে দেখেছি তারা সরাসরি আয়ামীলিগের বেনিফিসিয়ারী না কিন্তু তাও শেখ হাসিনার ভক্ত এবং তারা এখনো তার প্রতি সহানুভুতিশীল।
এরা এই গনহত্যারকে সাভাবিক বানানোর চেস্টা করবে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০০
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ সত্যিই গভীর এবং চিন্তা উদ্রেককারী। কিছু মানুষ সত্যিই হয়তো এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি আমাদের সমাজের একটি বড় সমস্যা এবং আমাদের সকলেরই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং দূরদর্শিতা নিয়ে অনেকেই আলোচনা করেন, এবং এটি সত্য যে কিছু মানুষ তার প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারেন। তবে, কোনো উন্নয়নই গণহত্যার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আমাদের উচিত সবসময় মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো এবং যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
আশা করি, আপনার এই মন্তব্য আমাদের সকলকে আরও সচেতন করবে এবং আমরা সবাই মিলে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৩
কামাল১৮ বলেছেন:
গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত কার্য।
গন আন্দোলনে যে হত্যাকান্ড হয়েছে এটাকে গনহত্যা বলে না।তবে যেকোন হত্যা কান্ডই নিষ্ঠুর এবং নিন্দনীয়।
একাত্তুরে ত্রিশলক্ষ লোকের হত্যাকেও আমরা গনহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নাই।