নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী পোশাক নিয়ে বিতর্ক, কিন্তু ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে নীরবতা কেন?

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৯



ইসলাম একটি গণতান্ত্রিক ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে চিন্তা করা এবং প্রশ্ন করার স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের মতো করে ইসলামকে বোঝার, ব্যাখ্যা করার এবং ধর্মীয় বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার অধিকার রাখেন। তবে, ইসলাম কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ধর্মের রক্ষণাবেক্ষণের একচেটিয়া দায়িত্ব দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই, যারা ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী, সমাজে তাদের মূল্যায়ন বেশি হয়, কারণ তারা ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে সহায়তা করতে পারেন।

বাংলাদেশে ধর্মীয় আলোচনা ও সমালোচনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এখানে অনেক মানুষ ‘সংশয়বাদ’ (Skepticism) নিয়ে ভুগছেন, অর্থাৎ ধর্মীয় বিষয়ে তাদের মনে প্রশ্ন জাগছে। ইসলাম সংশয়বাদকে স্বাগত জানায়, কারণ এটি জ্ঞানার্জন ও গভীর চিন্তার পথ খুলে দেয়। তবে, এই সংশয়বাদকে ধর্মের মৌলিক অনুশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হবে।

ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর আদেশ পালন করা এবং নিষেধ বর্জন করা। অর্থাৎ, একজন মুসলিম ধর্মীয় বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন বা সংশয়ে ভুগতে পারেন, কিন্তু একই সঙ্গে নামাজ, রোজা, যাকাতের মতো মৌলিক ইবাদতগুলো পালন করা তার জন্য অপরিহার্য।

ইসলামে জ্ঞানী ব্যক্তিরা সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত। তারা সত্য, ন্যায় ও আলোর পথ দেখান। এদেরকে ইসলামী পরিভাষায় ‘আলেম’ বলা হয়। ‘আলেম’ শব্দটি আরবি ‘عَالِم’ (আলিম) থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘জ্ঞানী’ বা ‘জ্ঞানের অধিকারী’। একজন আলেম সাধারণত পবিত্র আল-কোরআন, হাদিস, ফিকহ (ইসলামী আইন) এবং অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন এবং এই জ্ঞান প্রচার ও শিক্ষাদানে সক্ষম হন।

তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, অনেক সময় আলেমদের দায়িত্ব অন্যরা পালন করার চেষ্টা করছেন—কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। এটি কখনো দায়বোধ থেকে করা হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এর ফলে ধর্মের অপব্যাখ্যা ছড়িয়ে পড়ে। যারা তুলনামূলকভাবে কম জানেন, তারা যদি সঠিক ব্যাখ্যা না পান, তবে তাদের দায়িত্ব হবে এই ঘাটতি পূরণে এগিয়ে আসা।

আমার ব্যক্তিগত মত, ইসলামকে ‘রক্ষা’ করার প্রয়োজন নেই; বরং ‘অপব্যাখ্যা’ থেকে মুক্তি দেওয়াই এখন জরুরি।

বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের পোশাক-আশাক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মনে হচ্ছে, এটিই যেন দেশের একমাত্র সংকট। এর পাশাপাশি ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো সামাজিক অবক্ষয়ও চলমান, যাকে কখনো কখনো রাজনৈতিক মোড়কে ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি: সমাজ ও রাষ্ট্র দুটি ভিন্ন সত্তা। সমাজ পরিচালিত হয় নীতি-নৈতিকতার ভিত্তিতে, আর রাষ্ট্র পরিচালিত হয় আইনের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ কি একটি ইসলামিক রাষ্ট্র? এখানে কি শরিয়াহ আইন প্রচলিত? উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলে ইসলাম কেন বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করবে?

ইসলামে শুধু নারীদের জন্যই নয়, পুরুষদের জন্যও কঠোর অনুশাসন রয়েছে, যা বাংলাদেশে আলোচনায় প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে। সামাজিক অবক্ষয়ে পুরুষদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, কিন্তু এটি স্বীকার করার প্রবণতা কম। ইসলাম কি তবে পুরুষদের অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিয়েছে? না, বরং ইসলাম পুরুষদেরও নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্বের আওতায় এনেছে। পুরুষেরা কি নারীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ইসলামের দৃষ্টিকোণে এটি অগ্রহণযোগ্য।

নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে। নারীদের প্রতি আমার অনুরোধ, যখন আপনাদের উপর ধর্মীয় অনুশাসন চাপানো হয়, তখন পুরুষদের জন্য ইসলাম কী বলে, তা তুলে ধরুন। এই আলোচনা কাউকে ক্ষতি না করে বরং সচেতনতা বাড়াবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে, তবে তা ইসলাম-বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু নয়।

নিচে পুরুষদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক অনুশাসন তুলে ধরা হলো, রেফারেন্সসহ:

১. বিনয়ী আচরণ: অহংকার বা দাম্ভিকতা ছাড়া চলাফেরা করা (কুরআন ১৭:৩৭, ৩১:১৮)।

২. দৃষ্টি সংযত করা: নারীদের প্রতি অবৈধ দৃষ্টি থেকে বিরত থাকা (কুরআন ২৪:৩০)।

৩. ভরণপোষণের দায়িত্ব: স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলদের ভরণপোষণ দেওয়া ফরজ (কুরআন ২:২৩৩, ৪:৩৪)।

৪. শরীর ঢাকার সীমা: নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা ফরজ, বাকি অংশ ঢাকা মুস্তাহাব (হাদিস: আবু দাউদ)।

৫. পোশাকের নিষেধাজ্ঞা: রেশমি কাপড় ও সোনার গহনা পরা হারাম (হাদিস: বুখারী, মুসলিম)।

৬. নারীদের অনুকরণ নিষিদ্ধ: পোশাক বা চালচলনে নারীদের অনুকরণ করা হারাম (হাদিস: আবু দাউদ)।

৭. নারীর অধিকার রক্ষা

(ক) সম্মান, শিক্ষা, সম্পদ ও উত্তরাধিকারের অধিকার নিশ্চিত করা (কুরআন ৪:১, ৪:৭)।
(খ) বৈবাহিক জীবনে সম্মতি ও মাহর প্রদান (কুরআন ৪:৪, ৪:১৯)।

(৮) দায়িত্ব

(ক) স্ত্রী ও কন্যাদের সঙ্গে সদয় আচরণ (হাদিস: “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম” - বুখারী)।
(খ) নারীর নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা (কুরআন ৪:৩৪)।
(গ) যৌক্তিক কারণ ছাড়া তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ (কুরআন ২:২৩১)।

ইসলামে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শরিয়াহ আইনে এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে:

ধর্ষণের শাস্তি

১. যিনা হিসেবে: বিবাহিত ধর্ষকের জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড (রজম)। অবিবাহিত ধর্ষকের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত ও এক বছর নির্বাসন (কুরআন ২৪:২)। শর্ত: চারজন সাক্ষী বা অপরাধীর স্বীকারোক্তি।

২. হিরাবাহ হিসেবে: সামাজিক অশান্তি সৃষ্টিকারী অপরাধ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড, ক্রুশবিদ্ধকরণ বা হাত-পা কেটে ফেলা (কুরআন ৫:৩৩)।

৩. তাজির: প্রমাণ (যেমন মেডিকেল রিপোর্ট) থাকলে বিচারকের বিবেচনায় কারাদণ্ড বা জরিমানা। অশালীন আচরণের জন্য বেত্রাঘাত বা কারাদণ্ড (তাজিরের আওতায়)।

ধর্ষণ প্রমাণে চারজন পুরুষ সাক্ষী লাগে, তবে আধুনিক প্রেক্ষাপটে ডিএনএ বা চিকিৎসা প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য। ধর্ষিতা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে তার কোনো শাস্তি নেই।

সহজ কথায়, ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি নারীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানোও নিন্দনীয়। পবিত্র আল-কোরআনে বলা হয়েছে, পুরুষ ও নারী উভয়েই দৃষ্টি নত রাখবে (২৪:৩০-৩১)।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কোনো পরিস্থিতিতেই—এমনকি নারী উন্মুক্ত পোশাকে থাকলেও—ইসলাম ধর্ষণকে ন্যায্যতা দেয় না।

ছবি: Grok-3

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: প্রথম বাক্যটির সত্যতা কোরান থেকে প্রমান দিন।ইসলামের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে এইসব কথা বলে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:০২

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে চাই। ইসলাম একটি গণতান্ত্রিক ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে চিন্তা করা এবং প্রশ্ন করার স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র আল-কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমরা জ্ঞানীদের কাছে জিজ্ঞাসা করো যদি তোমরা না জানো" (কুরআন ১৬:৪৩), যা প্রমাণ করে যে ইসলাম প্রশ্ন করার এবং জ্ঞানার্জনের স্বাধীনতাকে স্বাগত জানায়।

তবে, ইসলামের মূল শিক্ষা ও অনুশাসনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা বা অপব্যাখ্যা করা ইসলামকে ক্ষতি করতে পারে। তাই, ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

আরো বিস্তারিত জানুন: Click This Link

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বাংলাদেশে আলেপের বিচার সবার সমুখে করা হউক এবং তার শাস্তি সকল ধর্ষণকারীর উপর আরোপ হবে তার বিধান করা হউক।

আলেপের বিচার নিয়ে কেউ কথা বলে না; কারণ তার গায়ে উর্দি আছে; আছে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তকমা; সে রোজার দিনে ধর্ষণ করলেও তা প্রশাসনের কাছে বৈধ !
এখানে লিংক দেয়া হলো দেখতে পারেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:০৫

মি. বিকেল বলেছেন: বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলেপ উদ্দিনের মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তা অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যা সংবিধান এবং আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো ব্যক্তি, তার পদ বা পুরস্কারের কারণে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে এবং তা সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।

ইসলাম ধর্মেও ন্যায়বিচার এবং অপরাধের শাস্তি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ইসলামে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।

আপনার মন্তব্যটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে, তবে আমাদের সকলের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: ১. যিনা হিসেবে: বিবাহিত ধর্ষকের জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড (রজম)। অবিবাহিত ধর্ষকের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত ও এক বছর নির্বাসন (কুরআন ২৪:২)। শর্ত: চারজন সাক্ষী বা অপরাধীর স্বীকারোক্তি।

এটা নিয়ে অনেকেই কথা বলে। কিন্তু এটার বাস্তব প্রয়োগ যে সম্ভবনা সেটা বোঝে না।

শর্ত: চারজন সাক্ষী বা অপরাধীর স্বীকারোক্তি।

কয়টা ধর্ষনের ঘটনায় ৪ জন পুরুষ চাক্ষুস সাক্ষী ধর্ষনে পাওয়া যাবে?

দেশে অপরাধের জন্য যেই আইন আছে তার সঠিক প্রয়োগ হলেই যথেস্ট।

* সমাজে ইভ টিজিং যারা করে তাদের বাকী পুরুষেরা কিছু বলতে পারেনা। কারন তারা রাজনিতিক ভাবে ক্ষমতাশালী।

* ধর্ষন করে যারা তারা ধনী/ক্ষমতাশালী তাই সমাজের পুরুষেরাই সালীসের নামে বেশিরভাগ ঘটনা চাপা দিয়ে দেয়।

* পুলিশ/ ডাক্তার/উকিল বাকি সাহাজ্য টুকু করে ধর্ষনের বিচার না হবার জন্য।

* তারপরে সমাজে ঐ মেয়েকে নিয়ে চলে মুখোরোচক গল্প।

আমাদের দেশেই যদি বখাটেদের শুরু্তেই বন চটকানা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয় তবে ঝামেলা কমতে শুরু করবে।
সমাজে যদি ধর্ষনের বিচার প্রচলিত আইনেই হয় তবে অবশ্যই ধর্ষনের আগে সবাই শত বার ভাববে।

এখন যাদের ক্ষমতা আছে তারা আইন/আদালত নিয়ে ভাবে না। সমাজের বাকি দূর্বলদের কেয়ার করেনা।

এরা আমাদের সমাজের ইসরাইলীদের মতন মনভাব নিয়ে চলে।

আমাদের সমাজের পুরুষের এই ধজভঙ্গ রোগ লুকাতে তারা পর্দা দিয়ে নারীদের লুকিয়ে রাখতে চেস্টায় ব্যস্ত।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১৬

মি. বিকেল বলেছেন: ইসলামী আইনে যিনা (সম্মতিভিত্তিক ব্যভিচার) ও ধর্ষণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ধর্ষণ 'হিরাবা' (সামাজিক অশান্তি) হিসেবে বিবেচিত, যেখানে চার সাক্ষীর শর্ত প্রযোজ্য নয়; বরং ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য, মেডিকেল বা ফরেনসিক প্রমাণই যথেষ্ট। কিন্তু বাস্তবে ক্ষমতাশালী অপরাধীরা প্রভাব খাটিয়ে, পুলিশ-আইনজীবীর দুর্বলতা ও সমাজের নারীদোষারোপ সংস্কৃতির সুযোগ নেয়। এ সমস্যার সমাধান কঠোর আইনি প্রয়োগের পাশাপাশি পুরুষদের নৈতিক দায়িত্বশীলতা, নারী-পুরুষের সম্মানজনক সম্পর্কের শিক্ষা এবং বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতায় নিহিত। ইসলামের মৌলিক লক্ষ্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, যা অর্জনে আইন ও সমাজের মূল্যবোধকে সমন্বয় করতে হবে।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সময় উপযোগী চমৎকার লেখা ।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১৭

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম নারীদের সস্তা করে দিয়েছে।

২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:৪২

মি. বিকেল বলেছেন: ইসলাম নারীকে কখনো "সস্তা" করেনি, বরং প্রাক-ইসলামী যুগে নারী যখন পণ্য, জীবন্ত সমাধি ও অধিকারবঞ্চিত ছিল, তখন ইসলাম তাকে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছে: জন্মের অধিকার (সূরা ইসরা ৩১), শিক্ষা-সম্পদ-বিয়েতে সম্মতির অধিকার (সূরা নিসা ৪, ১৯), মাহরের মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা এবং মায়ের পদতলে জান্নাতের ঘোষণা (হাদিস)। নারীর প্রতি অবমাননা ইসলামে জঘন্য অপরাধ (৮০ বেত্রাঘাত বা মৃত্যুদণ্ড, সূরা নূর ৪, ২৪:২)। খাদিজা (রা.)-এর মতো ব্যবসায়ী নেত্রী, আয়েশা (রা.)-এর মতো বিদুষী বা ফাতিমা আল-ফিহরির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত ইসলামে নারীর ক্ষমতায়নের প্রমাণ। সমাজে নারী নির্যাতন ইসলামের ব্যর্থতা নয়, বরং এর অপব্যাখ্যার ফল; কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন করলেই এ সত্য উদ্ভাসিত হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.