নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সার্কাস: হত্যা, গুম ও জাতীয়তাবাদীদের নির্মূলের এক ব্যঙ্গাত্মক চিত্র

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫৩



(Disclaimer: এই লেখার কারণে যদি কারো হঠাৎ ‘স্মৃতিভ্রংশ’ হয়, রাজনৈতিক বিশ্বাসে ‘প্লট টুইস্ট’ আসে, অথবা তিনি নিজে ‘অদৃশ্য’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন, তার জন্য লেখক বা প্রকাশক কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না। ‘আয়নাঘর’-এর চাবি কোথায় পাওয়া যায় বা www.গুম.com ওয়েবসাইটটি সক্রিয় কিনা, সেই বিষয়েও আমার কোনো ধারণা নেই।)

বাংলাদেশের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে আওয়ামী লীগের ‘অস্কার-বিজয়ী’ পারফরম্যান্স নিয়ে আজকের প্রবন্ধ। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতার ডায়লগ মুখস্ত করা নায়ক-নায়িকারা পর্দার পেছনে সাজান ‘গুম-হত্যার’ প্লট টুইস্ট! ১৯৭২ থেকে ২০২৪—এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিটি অধ্যায়ে রহস্য, অদৃশ্য হওয়ার ম্যাজিক, আর তদন্তের নামে কৌতুক চলমান ছিলো। চলুন, ফ্ল্যাশব্যাকে একটু চোখ বুলাই:

(ক) ঐতিহাসিক পর্ব: অদৃশ্য হওয়ার শিল্পের জন্ম (১৯৭২-১৯৯৯)

১. জহির রায়হান: ডিসঅ্যাপিয়ারিং অ্যাক্টের পথিকৃৎ (১৯৭২)

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক এই চলচ্চিত্রকার ১৯৭২ সালে মিরপুরের ১২ নম্বরে ‘অদৃশ্য’ হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের গুম সিরিজের প্রিমিয়ার হয়। ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই হয়ে গেলেন প্লট ডিভাইস! তদন্ত কমিটি বললেন: “বিহারিরা দায়ী”, কিন্তু বিচার? ওহ, সেটা তো সিক্যুয়েলের জন্য রিজার্ভ করে রাখা হলো!

কেউ কেউ দাবি করেন, তিনি গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, আবার অনেকে বলেন, “চলে গেছেন” - যেন একটা ভিন্ন গ্রহে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এই প্রথম ‘অদৃশ্য’ শিল্পের জন্ম!

২. শহীদুল্লাহ কায়সার: প্রি-সিক্যুয়েল (ডিসেম্বর ১৯৭১)

প্রখ্যাত সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুম হন। তার সন্ধানে গিয়েই ভাই জহির রায়হানও অদৃশ্য হন। কায়সার সম্ভবত রাজাকারদের দ্বারা হত্যা হয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো বিচার হয়নি। উল্লেখ্য, রাজাকারদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় পায়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশে এই কী আশ্চর্য সার্কাস!

৩. সিরাজ সিকদারের হত্যা: প্লট টুইস্ট (১৯৭৫)

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ক্রসফায়ার! পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সিরাজ সিকদার ১৯৭৫ সালে ‘পুলিশ হেফাজতে’ অবস্থায় হৃদরোগে মারা যান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফখরুদ্দিন আহমেদ প্রথমে স্বীকারই করেন সিরাজকে তার অফিসে আনার কথা! পরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু বলেন, “Yes, he has been killed... so what?” - কী দারুণ জবাবদিহিতা! স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাদের খতম করার এই খেলায় বঙ্গবন্ধুর পরিষ্কার অবস্থান!

৪. সালমান শাহ: সেলফি ডেথ নোটের রহস্য (১৯৯৬)

ঢালিউডের নায়ক ১৯৯৬ সালে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন ‘আত্মহত্যা’র নাটকীয় এক্সিট দিয়ে। পিবিআইয়ের ৬০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট বলছে: “স্ত্রী-প্রেমিকার টানাপোড়েনে আত্মঘাতী”। কিন্তু ভক্তরা বিশ্বাস করলেন না—“এটা তো কাবুলিওয়ালার টুইস্ট!”

আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায়, আবার রহস্যময় মৃত্যু! কী আশ্চর্য!

(খ) স্বর্ণযুগ: গুম-হত্যার মহাকাব্য (২০০৯-২০২৪)

৫. মান্নার মৃত্যু (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮): ফিটনেস বয়ের ‘রহস্যময়’ হৃদরোগ!

আমাদের প্রিয় চিত্রনায়ক মান্না, ঢালিউডের যাকে বলা হতো সংস্কারক এবং যাকে দেখে তরুণরা ফিটনেসের মন্ত্র শিখত, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পৃথিবীটাকে একটা বড়সড় ধাক্কা দিয়ে ‘হৃদরোগে’ মারা গেলেন। ভাবা যায়? যে লোকটা দিনরাত অ্যাকশন দৃশ্যে লাফাতেন, তার কিনা হার্ট অ্যাটাক! এই অবিশ্বাস্য ‘হৃদরোগ’ নিয়ে অবশ্য কম কথা ওঠেনি। খোদ তার পরিবার দাবি করেছিল, আরে না! এ তো চিকিৎসায় অবহেলা! একজন সুস্থ সবল মানুষ নাকি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেয়েই... ধ্যাত! সে এক এলাহী কাণ্ড!

এই মৃত্যুরহস্যের তদন্ত? উমম... একটা মামলা তো হয়েছিল বটে! পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের ছয়জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছিল কিছুটা! এমনকি ২০০৯ সালে সেই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুও হয়েছিল! কিন্তু তারপর? তারপর যা হয় আর কি! বিচার চলছে, মানে চলা উচিত ছিল আর কি! এখন সেই বিচার মহামান্য হাইকোর্টের এক স্থগিতাদেশের বরফে জমে আছে! গত দেড় দশক ধরে মামলাটা ওখানেই শীতনিদ্রায় আছে। তো ফলাফল কী দাঁড়াল? তদন্তের ফাইলটা খুব মোটা হলেও আসল বিচারটা এখনো ‘অন হোল্ড’!

মান্না শুধু একজন নায়ক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সিনেমার পর্দার ‘গণমানুষের নায়ক’। সমাজের অন্যায়-অবিচার নিয়ে কথা বলতেন, বাংলা সিনেমার দুর্দিনেও লড়ে গেছেন। তার এই সাংস্কৃতিক অবদান তাকে অমর করেছে। কিন্তু তার নিজের ভাগ্যে বিচার জুটল কি না, সেই প্রশ্নটা এখন হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছে।

তাই আমরা করুণ হেসে বলব, “হৃদরোগ? সে তো বুঝলাম! কিন্তু সেই মামলার বিচার? সেটা কোন গ্রহে আটকে আছে গো?” এক কথায়, মান্নার মৃত্যুতে বিচার হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আপনাকে আদালতের স্থগিতাদেশের কপি খুঁজতে হবে—সাধারণ মানুষের কাছে সেটা এখনো ‘শূন্য’ই বটে!

৬. সাগর-রুনি: ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের ভূত (২০১২)

সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যার পর তদন্ত শুরু হয় ‘হাউস অব কার্ডস’ স্টাইলে। ১২ বছরেও স্ক্রিপ্ট ফাইনালাইজ করা যায়নি! পুলিশ বলছে: “কিলাররা ইনভিজিবল ম্যান”। মিডিয়া হাউসের বক্স অফিসে হিট এই মামলা—দর্শকরা এখনো ক্লাইম্যাক্সের অপেক্ষায়!

তারা সমালোচনামূলক সাংবাদিকতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন - আর আওয়ামী সরকারের সমালোচনার পরিণতি? হত্যাকাণ্ড!

৭. ব্লগার হত্যার সিরিজ: ‘আইডিয়া কিলিং’ – সিজন (২০১৩-২০১৫)

আওয়ামী লীগের থ্রিলার সিরিজে আরেক সফল পর্ব! রাজীব হায়দার (২০১৩), অভিজিৎ রায় (২০১৫), ওয়াশিকুর রহমান (২০১৫), অনন্ত বিজয় দাস (২০১৫), নীলয় নীল (২০১৫) - একের পর এক মুক্তচিন্তা সম্পন্ন ব্লগাররা খুন হলেন। জঙ্গিরা দায় নিলেও, সরকার কীভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ হলো? ধর্মনিরপেক্ষতার চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগ বললেন: “নিজেদের লেখা নিয়ে সতর্ক থাকুন” - যেন অন্য কোনো দেশে বাস করছেন!

বিচার? হাহাহা, সেটা তো আওয়ামী সিনেমার পোস্ট-ক্রেডিট সিন!

৮. অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা: সত্য ও গল্পের দ্বন্দ্ব (২০১৬)

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে তার বাসার কাছে ছুরি মেরে হত্যা করা হলো। অপরাধ? তিনি গানের স্কুল চালাতেন, সাহিত্য চর্চা করতেন, আর বিশ্বাস করতেন—ধর্ম আর সংস্কৃতি একই মুদ্রার দুই পিঠ! উগ্রবাদীরা তাঁকে ‘ইসলামের শত্রু’ ঘোষণা করলেও, আসল শত্রু তো ছিল তাঁর সাংস্কৃতিক সাহস! এই মানুষটিই আবার গ্রামের মসজিদে টাকা দিতেন, রোজা রাখতেন, ঈদে গরিবদের মাংস বিলি করতেন। বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চার মূল্য এটাই—হাতের মুঠোয় গান, গলায় ছুরির দাগ!

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ‘লাইটনিং তদন্ত’ শুরু করে! প্রথমে ধরা পড়েন শিবির নেতা হাফিজুর রহমান। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো। রিমান্ডের মাঝেই হঠাৎ!—‘প্রাকৃতিক মৃত্যু’! কারণ? ‘জন্মগত রক্তস্বল্পতা’! মজার ব্যাপার, এই রোগটি ঠিক রিমান্ডের সময়েই অ্যাটাক করল! ডাক্তাররা বললেন, “ও তো থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছিল!” আমরা ভাবছি, থ্যালাসেমিয়া কি আদৌ কারাগারে ভর্তির আগে কোনো লক্ষণ দেখায়? নাকি রিমান্ডের স্ট্রেসে নতুন ডিজিজের জন্ম হয়?

পরবর্তীতে তদন্তে উঠে এলো—হত্যাকাণ্ডে জড়িত জেএমবি! আদালত সাজা দিলেন: ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন। কিন্তু প্লট টুইস্ট!—মূল অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান এখনো ‘ইনভিজিবল ম্যান’! পুলিশের ভাষ্য: “ও হয়তো মালয়েশিয়ায় চায়ের দোকান দিয়েছে!” আর যাদের ফাঁসি হলো, তাদের মধ্যে কয়েকজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেলেন—যেখানে পুলিশের গুলি ১০০% একুরেট, জঙ্গিরা ০%!

২০১৬ থেকে ২০২৪—৮ বছর পরও এই মামলার রায়ের অপেক্ষায় বসে আছে বাংলাদেশের ন্যায়বিচার! আসামিরা মারা গেছে, পালিয়েছে, আদালতের ফাইলে জমা হয়েছে শুধু তারিখ পরিবর্তনের আবেদন। পুলিশ বলছে, “আমরা তদন্ত করছি—গানের স্কুলের সিসি টিভি ফুটেজ পেলে শেয়ার করবো!”

এই হত্যাকাণ্ড আমাদের শিখিয়েছে: বাংলাদেশে বিচার চাইলে ‘অমর’ হতে হবে!

৯. হলি আর্টিজান: আকশন মুভির বাজে সিক্যুয়েল (২০১৬)

জঙ্গিরা বেকারিতে হামলা চালালে ২৯ জনের মৃত্যু। গোয়েন্দারা বললেন: “আমরা তো ডিজিটাল বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক খুঁজছিলাম! বিচারে ৭ জনের ফাঁসি হলেও, মাস্টারমাইন্ড ‘কাবুলিওয়ালা’ হয়ে গেলেন!

আসল প্রশ্ন: এত বড় হামলা ঢাকার হার্টে, কিন্তু গোয়েন্দারা কোথায় ছিলেন? ধর্মনিরপেক্ষতার পাহারাদাররা কি ঘুমিয়ে ছিলেন? নাকি ‘অজানা শক্তি’ সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল?

১০. শহীদুল আলম: ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’ ট্র্যাজেডি (২০১৮)

বিশ্বখ্যাত ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলম ছাত্র আন্দোলন কভার করার ‘অপরাধে’ গ্রেপ্তার! আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত ‘সরকারি নিরাপত্তা আইন’ ছিলো - যাতে কোনো সমালোচনা করা যাবে না। হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বিশ্বখ্যাত এই শিল্পী, আর আন্তর্জাতিক চাপে মুক্তি পেলেন।

আওয়ামী লীগের প্রগতিশীলতার কী দারুণ নমুনা!

১১. মেজর সিনহা: পুলিশের ‘বুলেট ড্যান্স’ (২০২০)

কক্সবাজারের রাস্তায় পুলিশের গুলিতে মেজরের মৃত্যু। তদন্তে বলেছে: “১৫ জন পুলিশ দোষী”। কিন্তু ডিরেক্টর কে? ওহ, সেটা তো ‘অজানা শিল্পী’! এই সিনেমার রিভিউতে দর্শকরা লিখেছেন: “প্লট হোল বেশি, লজিক জিরো!”

মেজর সিনহা মাদক নিয়ে তথ্যচিত্র বানাচ্ছিলেন, যাতে কক্সবাজারের ‘প্রভাবশালী’ অনেকেই জড়িত। আর হলেন খতম!

১২. মুশতাক আহমেদ: কারাগারে ‘হার্ট অ্যাটাক’ (২০২১)

লেখক মুশতাক আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ‘হৃদরোগে’ মৃত্যুবরণ করেন। ‘সরকারি নিশ্চয়তা’ অনুযায়ী তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশ্চর্যজনকভাবে, জামিন পাওয়ার কয়েক দিন আগেই তার মৃত্যু!

এই কোইনসিডেন্স তো অস্কারের যোগ্য! আওয়ামী লীগের জেলে আটকা ‘সমালোচকদের’ আরেক হাস্যকর পরিণতি!

১৩. দুর্গাপূজায় সহিংসতা: ধর্মনিরপেক্ষতার নাটক (২০২১)

২০২১ সালে কুমিল্লায় পবিত্র আল-কোরআন অবমাননার গুজবে দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা! আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার বাহারি নমুনা! সরকার শুধু বলে: “উসকানি দেওয়া হয়েছে” - কিন্তু কারা উসকানি দিল? কারা আগুন লাগাল?

বিচার? লোকেশন হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্য কোনো সিনেমার জন্য!

১৪. আয়নাঘর: আওয়ামী লীগের সিক্রেট চ্যাপ্টার (২০০৯-২০২৪)

গোপন এই সেটে ‘অদৃশ্য’ হওয়ার শুটিং হয়েছে বছরখানেক। ২০২৪ সালে সেটের লাইট জ্বলতেই দেখা গেল—এখানে তো একাধিক ‘গুম’ সিনের শুটিং হয়েছে! কিন্তু ডিরেক্টরের কাটিং রুমের কী (চাবি) খুঁজে পাওয়া যায়নি।

র‍্যাবের এই গোপন কারাগারে কত মানুষ অন্তর্ধান হয়েছে, তার হিসাব কে দেবে? আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার সবচেয়ে ভয়ানক এবং বিশ্বাসঘাতক চরিত্র!

(গ) গুম-রাজনীতির মহানায়কগণ: জাতীয়তাবাদীদের অদৃশ্যকরণ

১৫. ইলিয়াস আলী: রহস্যময় এক্সিট (২০১২)

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ২০১২ সালে ঢাকার বনানীতে গাড়িসহ উধাও! তার বিশেষত্ব? সিলেটে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, যেখানে আওয়ামী লীগের ভিত ছিল দুর্বল। ইলিয়াসের গাড়ি ও ড্রাইভার পাওয়া গেলেও, তিনি এখনো ‘মিসিং পারসন’!

কাকতালীয়ভাবে, ওই সময়ে সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তি বাড়তে থাকে! এক ঢিলে দুই পাখি!

১৬. চৌধুরী আলম: জাতীয়তাবাদী নেতার অদৃশ্যকরণ (২০১০)

বিএনপির আরেক নেতা চৌধুরী আলম ২০১০ সালে গুম হন। আওয়ামী লীগের বিরোধী কণ্ঠস্বর একে একে ফেলে দেওয়া হচ্ছে! আইনের শাসন? হাহাহা, সেটা তো আওয়ামী লীগের কাছে একটা হাস্যকর কনসেপ্ট! বিরোধী দলের নেতারা যেন ‘মিসিং পারসন’ ক্যাটাগরিতে নাম লিখিয়ে রাখেন!

(ঙ) আওয়ামী লীগের ‘গুম থিয়েটার’: জাতিসংঘের রেটিং-এ ৫ তারকা

জাতিসংঘের ১১৪ পৃষ্ঠার স্ক্রিপ্টে ফুটে উঠেছে—“বিক্ষোভকারীদের হত্যা করে লাশ গুম করুন” ডায়লগটি সরাসরি শেখ হাসিনার মুখ থেকে! ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া এই নির্দেশনা এতটাই ‘রিয়ালিস্টিক’ ছিল যে, দর্শকরা ভেবেছিলেন এটা কোনো অ্যাকশন মুভির ক্লাইম্যাক্স! বিশেষ এফেক্টস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ‘ক্রসফায়ার’, ‘হৃদরোগ’, এবং ‘অজানা ব্যক্তি’—যার জন্য জাতিসংঘের রিপোর্টে বিশেষ শুটআউট দেওয়া হয়েছে।

গুমের নির্দেশ দিয়ে হাসিনা নিজেই হয়ে উঠেছিলেন, ‘বেস্ট ডিরেক্টর ইন অ্যা ক্রাইম ড্রামা’! তার ‘ক্রিয়েটিভ টিম’ (র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই) এতটাই পারফেক্ট যে, ৭০০+ গুমের ঘটনায় কোনো ‘প্লট হোল’ ধরা পড়েনি!

গুম হওয়া নাগরিকদের জন্য আওয়ামী লীগের বিশেষ সুবিধা: ‘আয়নাঘর’! এই গোপন কারাগারে অতিথিদের জন্য রয়েছে অদৃশ্য হওয়ার লাক্সারি প্যাকেজ—যেখানে দরজার গ্রিল কাঠে বদলে ‘রহস্যের আবহ’ যোগ করা হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা হাঁপিয়ে উঠেছেন এই ‘সেট’ খুঁজতে গিয়ে, কারণ এখানে CCTV ফুটেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ডিলিট’ হয়ে যায়!

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গুম তদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে, যার কাজ হলো—জাতিসংঘের গাইডলাইন মেনে ‘তদন্তের নাটক’ মঞ্চস্থ করা! কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, “আমরা স্যাটেলাইট ইমেজ দেখব... কিন্তু ‘আয়নাঘর’ খুঁজতে গেলে মিরর লাগবে!”

১৫ বছরে ৭০০ গুমের তদন্ত করতে কমিশনের সময় লাগতে পারে আরও ১৫ বছর! কারণ, ফাইলের ভারে আদালতের আলমারি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি আছে!

যুক্তরাষ্ট্র বলছে: “গুমের তদন্তে আমরা পপকর্ন নিয়ে বসে আছি!” অন্যদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ‘বিচারহীনতার অস্কার’ পুরস্কারটি আওয়ামী লীগের নামে রিজার্ভ করেছে! কারণ, ৯৫% ক্ষেত্রে তদন্তের ফাইল ‘অন হোল্ড’ মোডে।

২০২৫ সালে আসছে ‘গুম: দ্য রিভেঞ্জ’! নতুন কমিশন গঠন হবে, নতুন প্রতিবেদন লেখা হবে, এবং পুরনো ফাইলগুলো আর্কাইভে ‘মমি’ হতে থাকবে! দর্শকদের জন্য বিশেষ সংবাদ: “আয়নাঘরের দরজা এখন অর্ধ-খোলা—কিন্তু ভেতরে কে আছে, তা বলা মুশকিল!”

বোনাস: গুমের জন্য আবেদন করুন: www.গুম.com

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩১

মি. বিকেল বলেছেন: শুধু সত্য, সত্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি লিখার জন্য।

প্রিয়তে রাখলাম যখন কেউ এর বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে এটা পড়তে দিবো।

আর রাজিব সাহেব, আর কত ঘুমাবেন? আপনার গুরু এখন খোয়ারে, এবার নিজের বিবেক বুদ্ধি একটু বাড়ান।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

মি. বিকেল বলেছেন: আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। সবসময় ভালো থাকুন।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: লীগ আমলে গুম, খুনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মী। অথচ আজ বিএনপি এই ইসূগুলোতে পুরোপুরি নিশ্চুপ। বিএনপির হাই কমান্ডের বর্তমান আচার আচরনে বোঝার উপায় নাই যে তারা দীর্ঘ ১৭ বছর তুমুল দমন নীপিড়নের মধ্য দিয়ে গেছে!! এই দেশ হয়ত আবারো একদিন আয়নাঘরের রাজত্বে ফিরে যাবে এবং এর জন্য শতভাগ দায়ী থাকবে বিএনপি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

মি. বিকেল বলেছেন: আমিও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং হতাশ হয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.