![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু দিন আগে একটা ভারতীয় বাংলা ছবি দেখেছিলাম, ছবির এড করতেছিনা, কিন্তু ছবিটি থেকে এদেশের জনগণ এবং নীতি নির্ধারকদের কিছু ব্যাপার বুঝার আছে, সেটা তুলে ধরতেই প্রাসঙ্গিকভাবে ছবিটির কথা বলছি-
ছবিতে দেখলাম একটি মেয়েকে তার অফিসের বস জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে, তাই মেয়েটি বসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আরেকটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিয়েছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মেয়েটির দুর্দিনে মেয়েটিকে চাকরি দিয়ে সাহায্য করেছিল। এর পরিচালক মেয়েটির সাথে ছলে বলে কৌশলে ভালোবাসার ভাব জমায় আর সেই অধিকার নিয়ে মেয়েটিকে প্রতিদিনই ধর্ষণ করতো, কিন্তু মেয়েটির সেটাকে তখন ধর্ষণ মনে করতো না, সেটা ছিলো ভালবাসার অধিকার্। আগের অফিসের বস আর বর্তমান পরিচালক দুইজনই কিন্তু মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে, কিন্তু দুইজনের মধ্যে পার্থক্য হলো- আগের বস ধর্ষণ করেছে জোরপূর্বক গায়ের জোর খাটিয়ে, আর বর্তমান পরিচালক করতেছে ভালবাসার অভিনয় করে মনের জোর খাটিয়ে, কিন্তু মেয়েটি বুঝতেই পারছিল না যে বর্তমান পরিচালক যে তাকে ভালবাসার কথা বলে প্রতিদিনই ধর্ষণ করে যাচ্ছিলো। অবশেষে মেয়েটি যখন বুঝলো যে পরিচালক ভালবাসার কথা বলে তাকে মূলত প্রতিদিন ধর্ষণই করে গেছে তখন মেয়েটির আর কিছুই করার ছিলো না, সব হারিয়ে মেয়েটিকে তখন আত্মহত্যার পথই বেছে নিতে হয়েছে।
প্রথমবার অফিসের বস মেয়েটিকে যখন ধর্ষণ করেছিল এরপরও কিন্তু মেয়েটির সমাজে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস ছিলো যে কারণে মেয়েটি আবারো বেঁচে থাকার এবং জীবনকে নতুনভাবে গড়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক তার বন্ধু সেজেই তাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করে গেছে আর যখনই মেয়েটি তা বুঝতে পেরেছে তখন কিন্তু আর বেঁচে থাকার মত সাহস আর মনোবলও মেয়েটির অবশিষ্ট রইলো না।
যে কারণে কথাটি বলা তা হলো- ছবিটির কাহিনীর সাথে আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির একটা মিল খুঁজে পাই। পাকিস্তান বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালে শোষিত ও বঞ্চিত করেছে, আর তাই দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে এদেশের মানুষ তাদের থেকে স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের দূর্দিনে ভারত তাদের নিজেদের স্বার্থেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, আর সেই সূত্রে বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে ভারত এখন তাদের রক্ষিতা (অঙ্গরাজ্য- বাংলাস্থান) মনে করে নিয়মিতই ধর্ষণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে, আর বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকরাও এটাকে ভারতের বন্ধুত্বের অধিকার মনে করে মেনে নিচ্ছে হাসিমুখে। সেখানে হয়তো লেন্দুপ দর্জির মতো বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদেরও কিছু স্বার্থ আছে। কিন্তু যেদিন বাংলাদেশ বুঝতে পারবে যে বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে ভারত এতদিন মূলত পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশকে ধর্ষণই করে গেছে, পার্থক্য শুধু এটুকু পাকিস্তান ধর্ষণ করেছে সরাসরি গায়ের জোর খাটিয়ে আর ভারত ধর্ষণ করেছে বন্ধুত্বের অভিনয় করে মনের জোর খাটিয়ে, সেদিন হয়তো ভারতের অঙ্গরাজ্য সিকিমের মতো (ছবির মেয়েটির মতো) বাংলাদেশেরও আর কিছু করার থাকবেনা।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান তাদের সবটুকু গায়ের জোর খাটিয়ে এদেশের মানুষের উপর নানা অত্যাচার নির্যাতন করে গেলেও এদেশের মানুষের সাহস আর মনোবলকে ভেঙ্গে দিতে পারেনি, কিন্তু ভারত বর্তমানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মন থেকে জাতীয়তার চেতনাটাই মুচে ফেলতে চাইতেছে, আর সেই পথে তারা অনেকটা সফলও হয়েছে বলতে হবে। পাকিস্তান ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষের উপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চেয়েও পারেনি, গুলি করে শহীদ করেছে সালাম, রফিক, জব্বারদেরকে। অথচ ভারত আজ অত্যন্ত সুকৌশলে বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে তাদের হিন্দি ভাষার গান ও চলচ্চিত্র সমূহ।
আর তাই এখন ভাষা দিবসে বাঙালি জাতিকে দেিখ মনের সুখে হিন্দি ভাষার গান শুনতে অথবা হিন্দি ভাষায় ফ্যাশন করে উর্দু ভাষার কৌসুলিদের গালি দিতে। বাংলাদেশের কনসার্ট গুলোতে এখন দেখি আয়্যুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিতের মতো বাঙালি শিল্পীরা বাংলা ভাষায় গান গেয়ে তালি পায়না, আর হিন্দি ভাষায় ভালবাসার রোমাঞ্চকর কথা বলে কিংবা বাঙালি বধুকে কিস করে মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন বলিউড অভিনেতারা। আড়ালে থেকে এসব দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে সালাম, রফিক, জব্বারের বিদেহী আত্মারা আর হাততালি দিয়ে বলতে থাকে- বাহ! আমাদের অনুপস্থিতিতে তো দেখছি বাঙালি জাতির দারুণ উন্নতি হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাকিস্তান বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালে শোষিত ও বঞ্চিত করেছে, আর তাই দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে এদেশের মানুষ তাদের থেকে স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের দূর্দিনে ভারত তাদের নিজেদের স্বার্থেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, আর সেই সূত্রে বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে ভারত এখন তাদের রক্ষিতা (অঙ্গরাজ্য- বাংলাস্থান) মনে করে নিয়মিতই ধর্ষণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে, আর বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকরাও এটাকে ভারতের বন্ধুত্বের অধিকার মনে করে মেনে নিচ্ছে হাসিমুখে। সেখানে হয়তো লেন্দুপ দর্জির মতো বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদেরও কিছু স্বার্থ আছে। কিন্তু যেদিন বাংলাদেশ বুঝতে পারবে যে বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে ভারত এতদিন মূলত পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশকে ধর্ষণই করে গেছে, পার্থক্য শুধু এটুকু পাকিস্তান ধর্ষণ করেছে সরাসরি গায়ের জোর খাটিয়ে আর ভারত ধর্ষণ করেছে বন্ধুত্বের অভিনয় করে মনের জোর খাটিয়ে, সেদিন হয়তো ভারতের অঙ্গরাজ্য সিকিমের মতো (ছবির মেয়েটির মতো) বাংলাদেশেরও আর কিছু করার থাকবেনা।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান তাদের সবটুকু গায়ের জোর খাটিয়ে এদেশের মানুষের উপর নানা অত্যাচার নির্যাতন করে গেলেও এদেশের মানুষের সাহস আর মনোবলকে ভেঙ্গে দিতে পারেনি, কিন্তু ভারত বর্তমানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মন থেকে জাতীয়তার চেতনাটাই মুচে ফেলতে চাইতেছে, আর সেই পথে তারা অনেকটা সফলও হয়েছে বলতে হবে। পাকিস্তান ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষের উপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চেয়েও পারেনি, গুলি করে শহীদ করেছে সালাম, রফিক, জব্বারদেরকে। অথচ ভারত আজ অত্যন্ত সুকৌশলে বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে তাদের হিন্দি ভাষার গান ও চলচ্চিত্র সমূহ।
সহমত।++
কিন্তু আমাদের মাথা বেচা কিংবা মাথা পচা চেতনার রাজনীতিবিদদের তা কে বোঝাবে?
সেখানেতো কেবলই আমার শির হে নত করে দাও - নীতি নিয়ে সারা বিশ্ব থেকে দেশটাকে একঘরে করে ফেলতেছে ক্রমশ!!!!!