নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম এ মুক্তাদির

এম এ মুক্তাদির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সময়।কম এ "বিতর্কিত নোবেলের তালিকায় শেখ হাসিনাকে চাই না" প্রবন্ধে লীনা পারভীন লিখেছেন-

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০

আমাদের সময়।কম এ "বিতর্কিত নোবেলের তালিকায় শেখ হাসিনাকে চাই না" প্রবন্ধে লীনা পারভীন লিখেছেন-
(আমাদের সময়.কম প্রকাশের সময় : 14/09/2017 -9:58
আপডেট সময় : 14/09/ 2017-9:58)
লীনা পারভীন : আলফ্রেড নোবেল ...শান্তিতে নোবেল দেবার বিষয়টি নিয়ে খুব একটা পরিস্কার কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে যাননি তাই নোবেল কমিটি বরাবরই এই পুরস্কারটি দিয়ে থাকেন তাদের নিজেদের বুঝ অনুযায়ী। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এ পর্যন্ত যতজনকে এই শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে তার প্রায় বেশীরভাগ পুরস্কারকেই বলা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিটা না হলেও বেশীরভাগ পুরস্কারই কোন না কোনভাবে বিতর্কিত হয়েছে।

সম্প্রতি সু চি’র নোবেল বাতিলের দাবির প্রেক্ষিতে নোবেল কমিটির ব্যাখ্যা স্মরণীয়। তারা সু চি’কে নোবেল দিয়েছিলো সে সময়ের অর্থাৎ, সে বছরের বিবেচনায়। আজকের সু চি’র কর্মকাণ্ড যতই অমানবিক হোক না কেন তারা সেটাকে বিবেচনায় আনতে রাজি নয়। ধিক্কার জানাই এই বিবেচনাকে।

মিখাইল গর্বাচেভ, শিমন পেরেজ, হেনরী কিসিঞ্জার, আল গোর, জিমি কার্টার, বারাক ওবামা, ড. ইউনূস, অং সান সু চি’র মত ব্যক্তিদের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে যে পরিমাণ তর্ক বিতর্ক চলছে সেটাই যথেষ্ট আমাদেরকে অনুমান করতে কাদেরকে এবং কোন বিবেচনায় শান্তিতে নোবেল দেয়া হয় এবং হচ্ছে। জানা যায় কিসিঞ্জারকে নোবেল দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সেই কমিটির দু’জন সদস্য পদত্যাগ পর্যন্ত করেছিলেন। খুব সরল বিবেচনায় গেলেও বলা যায় যে শান্তির ক্ষেত্রে যাদেরকে বিবেচনা করা হচ্ছে তাদের অবদান বিশ্ব মানবতার কোন উন্নতিতে লাগছে সে সম্পর্কে কেউই পরিস্কার নয়। যে যেই নীতির জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তাদের ক্ষমতাকাল শেষ হবার সাথে সাথেই সেসব নীতি বর্জনের তালিকায় চলে যাচ্ছে আবার কারও কারও বিষয় আরও মারাত্মক হয়ে দেখা দিচ্ছে। বারাক ওবামার কোন নীতিই এখন আর ট্রাম্পের আমেরিকায় রাখা হচ্ছে না। কিসিঞ্জারের নামে তো ডিকশনারীতে নেতিবাচক একটি গালিও যুক্ত হয়েছে। ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী নিয়ে আমাদের দেশেই রয়েছে বিরাট বিতর্ক।
বিতর্কিত হচ্ছে শান্তি পুরস্কার, কারণ সেটা ঝুলছে সু চি’র গলায়। আবারও প্রশ্নবিদ্ধ আলফ্রেড নোবেলের মহতী উদ্দেশ্য। এই যখন অবস্থা তখন আমাদের দেশে দাবি উঠেছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেবার। যুক্তি অকাট্য। তিনি যে প্রকৃতই একজন নোবেলের দাবিদার সে নিয়ে কোন তর্ক হতে পারে না।

একজন গর্বিত বাংলাদেশী হিসাবে, জাতির পিতার উত্তরসূরী হিসাবে এবং একজন অহংকারী বাংলাদেশী হিসাবে আমি চাই শেখ হাসিনাকে নোবেল কমিটির স্বার্থের কাছে বিক্রি করাটা কখনোই সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না। বরং নোবেল কমিটি যদি তাকে আগামীতে এই পুরস্কারের জন্য ঘোষণাও করে তাহলেও আমার চাওয়া হবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমার মত নোবেলের ইতিহাস ঘাঁটতে গয়ে বিতর্কের মাঝে শেখ হাসিনার নামটি দেখেও সন্দেহ না করে।
লীনা পারভীন: কলাম লেখক ও সাবেক ছাত্রনেতা।
তিনি ঠিকই বলেছেন । ভবিষ্যতে হয়তো ইয়াহিয়া খানকে (পাকিস্তান) মরনোত্তর নোবেল দেবার দাবী উঠবে, "তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আশ্রয় দিয়েছিলেন" এই কারণ দেখিয়ে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

বিলুনী বলেছেন: যারা চায়না হাছিনা নোবেল পাক তাদের পালেই হাওয়াটা লাগবে । দেখা যাক হাছিনার নোবেল ঠেকানো যায় কিনা । নোবেল কমিটি যাদের কথায় নাচে তারা কিন্তু কোন প্রস্তাব করেনি , এখন বুঝতেইতো পারছেন , তারা সুচি দের মত কাওকে বেছে নিবে সে ব্যপারে নিশ্চয়তা দেয়া যায় । অতএব দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই ।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ভবিষ্যতে হয়তো ইয়াহিয়া খানকে (পাকিস্তান) মরনোত্তর নোবেল দেবার দাবী উঠবে, "তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আশ্রয় দিয়েছিলেন" এই কারণ দেখিয়ে।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

তপোবণ বলেছেন: হাসিনা তো অনেক আগে থেকেই লবিংএ ছিলেন নোবেল পাওয়া যায় কিনা, চেষ্টার কোন ত্রুটি তিনি করেন নি এটা পেতে। এবার হলেও হতে পারে। ইরোদগানের স্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেখে যাবার পর হাসিনাও গিয়েছিলেন। মনে অনেক দ্বিধা নিয়েই গিয়েছিলেন বাট গিয়েছিলেন। তাকে নোবেলটা দেয়াই যেতে পারে। গুম খুনের মহারানী হিসেবে নয়, মায়া কান্নার জন্যই দেয়া যেতে পারে, অভিনয়ের জন্য দেয়া যেতে পারে।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

বিলুনী বলেছেন: হাসিনার প্রসংসার কথা শুনে অনেকের কান্নাকাটি শুরু হয়েছে দেখা যায় , তা বেশ ভাল , বুঝা যাচ্চে কে কোন তালের ।
কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হবেনা শুধু হতাশাই বাড়বে ।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার কারণেই যদি নোবেল বিবেচনা করাহয় তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারে দুটো ঘটনা ঘটবে | কোনোটাই তিনি পছন্দ করবেন না | ক্রনোলজিকালি ঘটনা দুটি:

১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবনের অন্যতম সমস্যাটা প্রথমেই প্রকট হয়ে উঠবে |উনিশ' আটাত্তরে রোহিঙ্গাদের বকাবাজি না করে আশ্রয় দিয়ে সাধ্যমতো সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় তার পিতা হত্যার ষড়যন্ত্রকারী স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর নোবেলের জন্য বিবেচনা করতে হবে| ভুলে গেছি "বিশ্ব বেহায়া" এরশাদও রোহিঙ্গাদের কখনো তার সময়ে আশ্রয় দিয়েছিলো নাকি | সেটা হলে এই "বিশ্ব বেহায়া" ব্যাক্তিকেও বিবেচনা করতে হবে নোবেল প্রাপ্তির জন্য এন্ড দেন প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষার জ্বালা হবে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর !

২. গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরুর পর, বিশেষ করে সিরিয়া আর জর্ডানের শরণার্থীদের ইউরোপ জুড়ে বিরোধিতার পরও নিজ দেশে জায়গা দেবার জন্য এঞ্জেলা মার্কেলের নাম খুবই জোরে শোরে চলে আসবে নোবেল প্রাইজ কন্সিডারেশনে | আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট্ গভর্নররা যারা ইসলাম বিরোধী তীব্র প্রোপাগান্ডার মধ্যেও এইসব শরণার্থীদের নিজ স্টেটে জায়গা দিয়ে এবং সম্মানজনক পুনর্বাসনের কাজটা সাফল্যের সাথে করে যাচ্ছেন তাদের নামও নোবেল প্রাপ্তির বিবেচনায় আসবে একের পর এক | তাতে প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাবার হাপিত্যেশ শুধু বাড়বে তাই নয় এতো বাড়বে যে ধারণা করি আরেকবার জন্ম না নিলে তার আর নোবেল শর্ট লিস্টে কখনো থাকা হবেনা |

বাংলাদেশের কেউ আরেকজন নোবেল প্রাইজ পেলে আমজনতার একজন আমিও খুশী হই | কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাবার অডটা এতো বেশি যে নিজে চোখে জিনিসগুলো দেখে যারা এখনই প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তাদের জন্য একটু নয় অনেক খারাপই লাগছে !

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১২

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ভবিষ্যতে হয়তো ইয়াহিয়া খানকে (পাকিস্তান) মরনোত্তর নোবেল দেবার দাবী উঠবে, "তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আশ্রয় দিয়েছিলেন" এই কারণ দেখিয়ে। - এটাকে সাধারণ ভাবে নিলে চলবে না । আসলে পাকিস্তান আশ্রয় না দিলে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হবার সুযোগ পেতেন না । ২৫শে মার্চ তিনি যখন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাথে যেতে রাজী হলেন না, তখন পাকিস্তান আশ্রয় না দিলে অবস্থাটা কেমন হতো ? আবার দেশ স্বাধীন হবার পর পাকিস্তান তাকে মুক্তি দেয় । এটাও একটা বিরল ঘটনা । তিনি পাকিস্তানের বেশ কিছু যুদ্ধবন্দীকে মুক্তিও দেন- এটা হয়তো তার কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.