নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবীর সাইফুদ্দিন কুতস: ইসলামের ইতিহাসের অজানা অধ্যায়

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬

ইসলামী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আব্বাসীয় খেলাফতের করুণ পরিনতির পরে ইসলামের পতাকা উচিয়ে ধরেছিলেন আল মালিক আল মোজাফফর সাইফুদ্দীন কুতস। তিনি ছিলেন মিশরের স্বল্পকালীন (এগার মাস) মামলুক সম্রাট।সম্রাট হওয়ার আগে তিনি ছিলেন বাহরী দাস এবং তার পূর্বে তিনি ছিলেন খোয়ারিজম সাম্রাজ্যের রাজা আলাউদ্দিন মুহাম্মদ (১২০০-১২২০) এর নাতি ও জালাল উদ্দিন মিনবুরনু (১২২০-১২৩১) এর ভাগ্নে।
প্রায় শতাব্দীকাল পর্যন্ত মধ্য এশিয়াসহ মুসলিম দুনিয়ার সর্বত্র হিংস্র বর্বর চেঙ্গিসখানের বংশধর তাতার-মোঙ্গোলদের ধ্বংসলীলা ও অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা ঠেকানোর কোনো শক্তি ছিল না। হালাকু খানের বর্বরতা ও নৃশংসতা ইসলামের কলঙ্কিত অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। তাতারী সয়লাব প্রতিহত করার কথা চিন্তা করা যেত না। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম শিক্ষা, রক্তপিপাসু শক্তিকে একসময় মিসরের মামলুক বাহিনীর কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করতে হয়। এ মামলুক তথা দাস রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এক মহিয়সী নারী শাজারাতুর দোরা। মিসরেও ‘মামলুক’ বা দাস রাজবংশের ইতিহাস এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মামলুকরা প্রধানত দুইভাগে বিভক্ত ছিল। যথা- বাহরি ও বুরজি। উভয় বংশের ৪৭ জন সুলতানের মধ্যে ২৪ জন বাহরি ও ২৩ জন বুরজি সুলতান রাজত্ব করেন। আইউবীয় সুলতান আল আস সালেহর বিধবা পত্মী শাজারাতুর ছিলেন মামলুক বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইতোপূর্বে বাগদাদের খলিফা আল মোস্তাসেমের হেরেমের একজন কৃতদাসী ছিলেন। অতঃপর তিনি সুলতান আস সালেহর অধীনস্থ হন এবং স্বল্পকাল পর সুলতান তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন।
শাজারাতুর মাত্র ৮০ দিন রাজত্ব করেন। তিনি নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেন ও জুমার খোতবায় তার নাম পাঠ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই সাম্রাজ্যের আমীররা মহিলা শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। অতঃপর তারা রাজ্যের প্রধান সেনানায়ককে (আল মোয়েজ ইজ্জদ্দীন) সুলতানের পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন। অবশেষে অনন্যোপায় হয়ে শাজারাতুর প্রধান সেনানায়ক আইবেকের সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হতে বাধ্য হন।
এভাবেই আইবেক বাহরি মামলুকদিগের প্রথম সুলতান নির্বাচিত হলেন। পরবর্তীকালে আইবেকের সঙ্গে শাজারাতুরের সাথে মতৈক্য হয়। মাত্র সাত বছর রাজত্ব করার পর সুলতানা শাজারাতুর তাকে হত্যা করেন এবং তিনি নিজেও নিহত হন। আইবেকের শোচনীয় মৃত্যুর পর তার ছেলে আলী (আল মুনসুর নূরুদ্দিন) ইবনে আইবেক সিংহাসনে আরোহণ করেন। আইবেকের রাজত্বকালেই কুতুজ (আল মালিক আল মোজাফফর সাইফুদ্দীন মামলুক রাজবংশের তৃতীয় সুলতান) বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। তিনি আইবেকের ছেলে মনসুরের অভিভাবক নিযুক্ত হন এবং রাজ্যের সমস্ত শক্তি ক্রমে তার হস্তগত হয়। মঙ্গোল নেতা হালাকু খানের বাগদাদ দখলের পর ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় খিলাফত বিলুপ্ত হয় এবং আশেপাশের সকল রাজ্য দখল করে মিশর দখলের হুমকি দেয়। অতপর মিশরকে সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং হালাকু খানের আক্রমন প্রতিহত করতে নাবালক আল মুনসুর নুরুদ্দিন কে সরিয়ে সাইফুদ্দিন কুতস পরিপূর্ণ ক্ষমতা নিজের হাতে নেন। কুতুজ ছিলেন অসামান্য সমরকৌশল ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অধিকারী। তিনি নির্বাসিত সেনা নায়ক বাইবার্স কে দেশে ফিরিয়ে আনেন। স্বীয় অধ্যাবসায়, সহিষ্ণুতা ও চরিত্র বলে কুতুজ সামান্য অবস্থা থেকে সুলতানের পদে অভিষিক্ত হন। তিনি বাহরি শ্রেণীর সুলতান। তিনি ভালবাসা ও সঠিকভাবে রাজ্য পরিচালনার মাধ্যমে মিশরের জনগনের আস্থা অর্জন করেন। অতপর তিনি মঙ্গলদের আক্রমন থেকে মিশরকে রক্ষার জন্য সবাইকে সংগঠিত করেন এবং তাদেরকে সাহস দেওয়ার জন্য হালাকু খানের প্রেরিত চারজন দূতকে শিরঃচ্ছেদ করে শহরের ফটকে টাঙ্গিয়ে রেখেছিলেন।তখনকার সময় মঙ্গলদের হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযোগ্য দেখে মুসলমানরা এতোটা ভীত ছিল যে এ ধরনের ঘটনা ছিল অকল্পনীয় এবং মঙ্গোল বাহিনীকে হারানো অসম্ভব।সাইফুদ্দিন কুতস আল্লাহর উপর ভরসা রেখে দৃঢ়তার সাথে ঘোষনা দেন যে মঙ্গোল/তাতারী বাহিনীকে তিনি একাই প্রতিহত করবো। তিনি মূলত এই ঘোষনার মাধ্যমে জিহাদে আকবর বা বড় জিহাদ তথা মনের কুপ্রবৃত্তি/ভয় এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন। সাইফুদ্দিন কুতস এর সৎ সাহস ও তাকওয়ার কারনে সভাসদ তাঁর সকল সিদ্ধান্তের সাথে একমত হন এবং যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহের জন্য তাদের অতিরিক্ত সম্পদ রাজকোষাগারে জমাদেন। এটাই ছিল জিহাদে আকবর বা বড় জিহাদের জয় লাভ। এর পর জিহাদে আসগর বা ছোট জিহাদ তথা তাতারী বাহিনীকে প্রতিহত/আক্রমনের উদ্দেশ্যে সৈন্যবাহিনী সুসংগঠিত করেন। তাঁর রাজত্বকাল ১২৫৯ থেকে ১২৬০ সাল পর্যন্ত। সিংহাসন লাভের আগেই তিনি আইউবীয় সুলতানের বিরুদ্ধে কার্কের যুদ্ধক্ষেত্রে যথেষ্ট রণনৈপুণ্য ও পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন।
এটি মনসুরা যুদ্ধ নামে খ্যাত, যা লুই নবমের সঙ্গে হয়েছিল। এরপর কুতুজের নেতৃত্বেই সংঘটিত সেই আইনে জালুত যুদ্ধ- যা ইসলামের ইতিহাসে এক চূড়ান্ত সংগ্রাম বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই যুদ্ধে কুতুজের সুদক্ষ সেনানায়ক বাইবার্স (আল মালিক আজ জাহের) অসামান্য রণনৈপুণ্যের পরিচয় দেন এবং মোঙ্গলদের বিপন্ন করে তোলেন। ফলে মোঙ্গলরা (তাতার) পরাজিত হয়। এই যুদ্ধে মঙ্গোল সেনাপতি কিতাবুক নাউয়েন সহ সকল তাতারবাহিনী নিহত হন। আইনে জালুত-নাসেরার নিকটবর্তী ফিলিস্তিনের একটি স্থানের নাম। ওই স্থানে সংঘটিত যুদ্ধ সুলতান কুতুজ ও বাইবার্সকে ইতিহাসে অমর করে রাখে। সুলতান কুতুজ এর মৃত্যুর পর বাইবার্স মিশরের সুলতান হন।এই যুদ্ধের পর মিসর কেবল তাতারদের আক্রমণ থেকেই রক্ষা পায়নি, এমনকি মামলুকদের হাতে তাদের শক্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এবং মামলুকরা তাদের একটার পর একটা দুর্গ অধিকার করে নেয়। তাই আইনে জালুত যুদ্ধকে ইসলামের ইতিহাসে এক চ‚ড়ান্ত ঘটনা বলে গণ্য করা হয়। তাতাদের বিরুদ্ধে আইনে জালুতে এই তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয় হিজরি ৬৫৮/১২৬০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর।


সূত্রঃ তাতারীদের ইতিহাস: ডাঃ রাগেব সারজানী , অনুবাদকঃ মোঃ আব্দুল আলীম

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৭

রবিন.হুড বলেছেন: মামলুক সালতানাত (আরবি: سلطنة المماليك‎‎ Sulṭanat al-Mamālīk) ছিল মধ্যযুগের মিশর, লেভান্ট, তিহামাহ ও হেজাজ জুড়ে বিস্তৃত একটি রাজ্য। আইয়ুবীয় রাজবংশের পতনের পর থেকে ১৫১৭ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের মিশর বিজয়ের আগ পর্যন্ত মামলুকরা ক্ষমতায় ছিল। সালতানাতের শাসকশ্রেণী মামলুক ছিল। মামলুকরা ছিল কুমান কিপচাক, সিরকাসিয়ান ও জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত দাস। মামলুকদের ক্রয়ের সময় তাদের অবস্থান সাধারণ দাসদের উপরে থাকত। অন্যরা অস্ত্র বহন বা নির্দিষ্ট কিছু কাজের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল না। সাধারণ মুক্ত মিশরীয় মুসলিমদের চেয়ে মামলুকদের সামাজিক অবস্থান উপরে ছিল। পরবর্তীতে পতন হলেও মামলুক সালতানাত একসময় মিশরীয় ও সিরীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌছায়।
মিশরের মামলুকরা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মামলুক শাসন কায়েম করে। কিপচাক ও অন্যান্য অনেক তুর্কীয় জনগোষ্ঠী থেকে সংগৃহীত দাস সৈনিকদের মধ্য থেকে এই শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দাসরা ছিল সিরকাসিয়ান ও জর্জিয়ানবংশোদ্ভূত। তবে বুরজি মামলুক সালতানাতে বলকান (আলবেনিয়ান, গ্রীক ,দক্ষিণ স্লাভিক) বংশোদ্ভূত অনেক মামলুক ছিল।
মামলুকরা সরাসরি সুলতানের তত্ত্বাবধানে দীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন। সুলতান তাদের জন্য নীলনদের রাওজা দ্বীপে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করে দেন। এখানে মামলুকরা সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ধর্মীয় ও আদর্শিক দীক্ষাও গ্রহণ করতেন।
মামলুকদের মধ্যে একে অপরের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সহপাঠীদের মধ্যে ছিল 'খুশদাশিয়া' বা সাথী সম্পর্ক। আর মনিবদের সাথে ছিল ছাত্র-উস্তাদ সম্পর্ক। মনিবরা তাদের মামলুকদের সাথে গোলামের মতো ব্যবহার করতেন না; বরং উস্তাদের জন্য ছাত্রের সাথে যেমন আচার ব্যবহার করা দরকার, সেভাবেই করতেন।
সময়ের সাথে সাথে মামলুকরা বিভিন্ন মুসলিম সমাজে শক্তিশালী হয়ে উঠে। মিশর ছাড়াও লেভান্ট, মেসোপটেমিয়া ও ভারতে মামলুকরা রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি অর্জন করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে সুলতানের পদ লাভ করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে স্থানীয় আমির বা বে হিসেবে তারা দায়িত্ব পায়। মিশর ও সিরিয়ায় মামলুকরা সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিল যা মামলুক সালতানাত (১২৫০-১৫১৭) বলে পরিচিত। আইন জালুতের যুদ্ধে মামলুক সালতানাত ইলখানাতের সেনাদের পরাজিত করে। ক্রুসেডারদের সাথে লড়াইয়ের মাধ্যমে ১২৯১ সালের মামলুকরা তাদেরকে সিরিয়া থেকে বিতাড়িত করে এবং ১৩০২ সালের মধ্যে ক্রুসেডের যুগ শেষ হয়।
ক্রয় করার পর মামলুকদের অবস্থান অন্যান্য দাসদের চেয়ে উপরে থাকত। অন্যান্য দাসদেরকে অস্ত্র বহন ও নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার অনুমতি ছিল না। আইয়ুবীয় রাজবংশের সময় থেকে মুহাম্মদ আলি পাশার সময় পর্যন্ত মিশরে মামলুকদেরকে “প্রকৃত শাসক” হিসেবে বিবেচিত হত। স্বাধীন মুসলিমদের চেয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা উপরে ছিল।

খোয়ারিজম সাম্রাজ্য (ফারসি ভাষায়: خوارزمشاهیان, Khwārezmšhāḥīān, খোয়ারিজম শাহগণ) একটি সুন্নি মুসলিম রাজবংশ পরিচালিত সাম্রাজ্য যা মধ্য এশিয়া এবং ইরানে রাজত্ব করেছিলো।এই রাজবংশ প্রথম দিকে সেলজুক শাসনকর্তাদের অধীনে রাজত্ব করলেও পরবর্তীকালে স্বাধীনতা অধিকার করেছিলো। ১২২০ সালে মঙ্গোল বাহিনী কর্তৃক খোয়ারিজমের পতনের পূর্ব পর্যন্ত এই বংশের ক্ষমতা বহাল ছিল।[৩] এই সাম্রাজ্যের পত্তন করেন আনুশ তিগিন ঘারাচাই যিনি সেলজুক সুলতানদের দাস ছিলেন। আনুশের পুত্র প্রথম কুতুব উদ্দিন মুহাম্মদ উত্তরাধিকারসূত্রে খোয়ারিজমের প্রথম শাহ হিসেবে ক্ষমতা লাভ করে।

• কুতুব উদ্দিন মুহাম্মদ ১০৯৭-১১২৭
• আলাউদ্দিন আজিজ ১১২৭-১১৫৬
• আরসলান ২ ১১৫৬-১১৭২
• সুলতান শাহ ১১৭২-১১৯৩
• আলাউদ্দিন তেকিশ ১১৭২-১২০০
• আলাউদ্দিন মুহাম্মদ ১২০০-১২২০
• জালাল উদ্দিন মিনবুরনু ১২২০-১২৩১
মঙ্গোল বাহিনীর হাতে আলাউদ্দিন মহাম্মদ পরাজিত হয়ে নিজ শহর থেকে পালিয়ে সাগরবক্ষে একটা দ্বীপে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই অযত্ন অবহেলা ও খাদ্যাভাবে ১২২০ সালে মৃত্যু বরন করেন।
আলাউদ্দিন মুহাম্মদের ছেলে জালাল উদ্দিন মিনবুরুন এর শহর মঙ্গোল বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে তিনি পালিয়ে যান এবং তার ভাগ্নে সাইফুদ্দিন কুতস সহ পরিবারের অনেকেই তাতারীদের হাতে বন্দি হন। সাইফুদ্দিন কুতসকে তাতারীরা মিশরীয়দের নিকট দাস হিসেবে বিাক্র করে দেয় এবং পরবর্তীকালে তিনি মিশরের মামলুক সম্রাট হয়ে তাতারীদের পরাজিত করেন। জালাল উদ্দিন কয়েক বছর পর সৈন্য যোগাড় করে তার শহর পুনরুদ্ধার করে এবং প্রতিবেশি কয়েকটি মুসলিম এলাকা দখল করে তাতারীদের মতো ধ্বংসযোগ্য চালায়। তার এই নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থা বোশদিন ধরে রাখতে পারে নি। মঙ্গোল বাহিনী জালল উদ্দিনের সাম্রাজ্য পূনরায় দখল করলে পালিয়ে যায় এবং এক গ্রামবাসীর হাতে মুসাফির বেশে চরমভাবে নিহত হয়।
তাতারীঃ তাতার ও মোগল বলতে ঐ সকল সম্প্রদায়কে বুঝায় যারা উত্তর চীনের জূবী হীম-শিতল মরু এলাকায় বসবাস করত। মোগল আসলে তাতারদের একটি শাখা গোত্র। অনুরূপ তুরকী, সুলজূকী ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠী তাতারদেরই অংশ। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন চেঙ্গীস খান। তারা মোগল নামেই পরিচিতি লাভ করেছিল। এদের রাজত্ব এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তারা পূর্বে কোরিয়া থেকে পশ্চিমে ইসলামী রাজ্য খাওয়ারিযম এবং উত্তরে সাইবেরিয়া থেকে দক্ষিণে চীন সাগর প্রর্যন্ত তাদের রাজ্যভুক্ত করতে সক্ষম হয়। যা বর্তমানে চীন, মোঙ্গলিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও সাইবেরিয়ার কিছু অংশ থেকে লাউস, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটানকে শামিল করে।কোন
কোন ঐতিহাসিক মনে করেন তাতাররা তুর্কীদেরই একটি বড় জনগোষ্ঠী। অন্যান্য গোত্র তাতারদের শাখা। ফলে তারা পুরো তুর্কী জাতিকে তাতার হিসাবে গণ্য করেন। অতএব মোগলরা তাতারদেরই একটি অংশ। বিশেষতঃ মানকূস (Manchos) জাতি। যেমনটি বর্তমানে চীনে তাদের অবস্থান। তুর্কী ঐতিহাসিকগণ বলেন, পূর্বযুগে আলান্জা খান নামে তাতারদের একজন বাদশাহ ছিলেন। তাতারখান ও মোগল খান নামে তার দু’জন সন্তান ছিল। যেমনটি আরবে মুযার ও রাবী‘আ দু’জন ব্যক্তির নামে দু’টি গোত্র পরিচিতি লাভ করে। এভাবে তাদের জীবন ইতিহাস চলতে থাকে। এক পর্যায়ে মোগল সম্রাট ইলাখান ও তাতার সম্রাট সুনজু খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে রূপ নিলে তাতার সম্রাট সুনজু খান বিজয় লাভ করেন। মোগলরা পরাজিত হয়। এতে পুরো ক্ষমতা চলে আসে তাতারদের হাতে। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যায়নি। যুগের পর যুগ ধরে যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। অবশেষে চেঙ্গীস খানের পিতা ইয়াসুকী বাহাদুর খান ক্ষমতা লাভ করেন।

https://at-tahreek.com/site/show/476

https://nobojagaran.com/mongol-race-a-history-of-conversion-from-fire-worshiping-tatars-to-islam/

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: উনি কি দাস ছিলেন?

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

রবিন.হুড বলেছেন: খোয়ারিজম সাম্রাজ্যের রাজা আলাউদ্দিন মুহাম্মদের ছেলে জালাল উদ্দিন মিনবুরুন এর শহর মঙ্গোল বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে তিনি পালিয়ে যান এবং তার ভাগ্নে সাইফুদ্দিন কুতস সহ পরিবারের অনেকেই তাতারীদের হাতে বন্দি হন। সাইফুদ্দিন কুতসকে তাতারীরা মিশরীয়দের নিকট দাস হিসেবে বিাক্র করে দেয় এবং পরবর্তীকালে তিনি মিশরের মামলুক সম্রাট হয়ে তাতারীদের পরাজিত করেন।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

রবিন.হুড বলেছেন: Click This Link

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ করে যাঁরা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁদের কাউকে নিয়ে কখনো কিছু লিখেছিলেন, নাকি শুধু রাজতন্ত্রের আমলের জল্লাদদের নিয়ে লিখছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.