নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখী হওয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে প্রত্যাশা কম করা। আপনার প্রত্যাশা যত কম সুখ ততো বেশি। একই রকম প্রাপ্তিতে সুখের পরিমান কম বা বেশি নির্ভর করে প্রত্যাশার উপর। ধরুন আপনি আপনি আশি ইউনিট ভালোবাসা পেলেন কিন্তু প্রত্যাশা ছিল একশ ইউনিট তবে আপনার দূঃখের শেষ নেই। যদি আপনার প্রত্যাশা হয় পঞ্চাঁশ ইউনিট আর ভালোবাসা পেলেন আশি ইউনিট তবে আপনার সুখের শেষ নেই, খুশিতে গদগদ। একই পরিমান প্রাপ্তিতে সুখ দূঃখ নির্ধারণ করে প্রত্যাশা। তাই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করলে বা প্রত্যাশা কম করলে সুখের শেষ নেই। অতিরিক্ত প্রত্যাশা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে কিন্তু সুখের সন্ধান দিবে না। এ বিষয়ে আল্লাহ তাওয়ালা পবিত্র কোরআনে সুরা তাকাসুর এ স্পষ্ট নির্দেশনা ও হুশিয়ারী দিয়েছেন। আমরা কতই না গাফেল যে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে দূঃখের সাগরে ভাসতে থাকি।
সূরা আত তাকাসুর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০২ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং রূকুর সংখ্যা ১। আত তাকাসুর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তাকাসুর শব্দটি আরবি: كثرة থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ প্রচুর ধন-সম্পদ সঞ্চয় করা। হযরত ইবনে আব্বাস ও হাসান বসরী তফসীর করেছেন। এ শব্দটি প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা অর্থেও ব্যবহৃত হয়। কাতাদাহ্ এ অর্থই করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ একবার এ আয়াত তেলাওয়াত করে বললেনঃ এর অর্থ অবৈধ পন্থায় সম্পদ সংগ্রহ করা এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করা
১।আল হা কুমুত তাকাছুর
(প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে।)
২।হাত তা ঝুর তুমুল মাকাবীর
(এমনকি তোমরা কবর পর্যন্ত পৌছে যাও।)
৩।কাল্লা ছাওফা তা’ লামুন
(এটা কখনও উচিত নয়, তোমরা শিগগিরই জেনে যাবে।)
৪।ছুম্মা কাল্লা ছাওফা তা’ লামুন
(অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা শিগগিরই জেনে যাবে।)
৫।কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইল মাল ইয়াকীন
(কখনই নয় ; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।)
৬।লা তারা উন্নাল জাহীম
(তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে )
৭।ছুম্মা লা তারা উন্না হা আইনাল ইয়াকীন
(অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য-প্রত্যয়ে,)
৮।ছুম্মা লা তুছ আলুন্না ইয়াও মা ইঝিন আনিন নায়িম।
(এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।)
ইবনে আবু হাতেম আবু বুরাইদার রেওয়ায়েত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ বনী হারেসা ও বনিল হারস নামক আনসারদের দুটি গোত্রের ব্যপারে এ সূরাটি নাযিল হয়। উভয় গোত্র পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে প্রথমে নিজেদের জীবিত লোকদের গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে। তারপর কবরস্থানে গিয়ে মৃত লোকদের গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে। তাদের এই আচরণের ফলে আল্লাহ্র এই বাণী নাযিল হয়। কিন্তু শানে নূযুলের জন্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাকে এই সূরা নাযিলের উপলক্ষ বলে মেনে নেবার সপক্ষে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না।
ইমাম বুখারী ও ইবনে জারীর হযরত উবাই ইবনে কা'বের একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেনঃ তাতে তিনি বলেছেনঃ "আমরা রসূলে করীম এর এ বাণীটিকে
“ বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকার আকাঙ্খা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া আর কিছু দিয়ে ভরে না। ”
কুরআনের মধ্যে মনে করতাম। এমন কি শেষ পর্যন্ত আলহাকুমুত্ তাকাসুর সূরাটি নাযিল হয়।"
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আল্লাহ'তালা কোরানে কিছু বলেননি, কোরানে যা লেখা হয়েছে, উহা আমাদের নবী( স: ) বলেছেন, কিংবা খলীফা ওমরের লোকজন বাইবেল কিংবা তোরাহ থেকে নকল করে আরবীতে লিখে দিয়েছে; তোরাহ লিখেছেন নবী মুসা ( আ; ) ও বাইবেল লিখেছে ঈষহা নবীর ( আ: )'ের সাগরেদেরা; এই পোষ্ট লিখেছেন আপনি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রত্যাশা কম করা: (১) বিয়ে শাদী করবো না (২) ঘরসংসার করবো না (৩) গাছে নীচে ঘুমাবো (৪) কেহ দিলে খাবো, না দিলে খাবো না। ফলাফল,সন্ন্যাসী কিংবা পাগল।