নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টীফেন হকিং এর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী ছিলেন বাংলাদেশের কৃতিসন্তান জামাল নজরুল ইসলাম

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

পশ্চিমা মিডিয়া ও বিজ্ঞানী সিন্ডিকেটের আড়ালে পড়ে ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম প্রধান পদার্থ বিজ্ঞানী বাংলাদেশের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড: জামাল নজরুল ইসলাম।


জামাল নজরুল ইসলাম (২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ - ১৬ মার্চ ২০১৩) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতত্ত্ববিদ। তিনি মহাবিশ্বের উদ্ভব ও পরিণতি বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত “দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স” তার একটি সুবিখ্যাত গবেষণা গ্রন্থ।

অধ্যাপক ইসলাম মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল অ্যান্ড ফিজিকাল সায়েন্সের গবেষক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।২০১৩ সালের ১৬ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তখন সে শহরের মুন্সেফ (বর্তমানে সহকারী জজের সমতুল্য) ছিলেন। তার বয়স যখন মাত্র ১ বছর তখনই তার বাবা কলকাতায় বদলি হন। জামাল নজরুল প্রথমে ভর্তি হন কলকাতার মডেল স্কুলে। এই স্কুল থেকে পরবর্তীতে শিশু বিদ্যাপীঠে। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যাপীঠেই পড়েন। পরবর্তীতে আবার মডেল স্কুলে ফিরে যান। কলকাতায় মডেল স্কুলের পর চট্টগ্রামে চলে আসেন। এখানে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন। এই ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তাকে "ডাবল প্রমোশন" দিয়ে সরাসরি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে নেয়া হয়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে পড়াশোনা করেন। এখানে পড়ার সময়ই গণিতের প্রতি তার অন্যরকম ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। অনেক অতিরিক্ত জ্যামিতি সমাধান করতে থাকেন। নবম শ্রেণিতে উঠার পর পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে গিয়ে ভর্তি হন লরেন্স কলেজে। এই কলেজ থেকেই তিনি সিনিয়র কেমব্রিজ ও হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজ পাশ করেন। এ সময় নিজে নিজে অনেক অঙ্ক কষতেন। বিভিন্ন বই থেকে সমস্যা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতেন যা পরবর্তীতে তার অনেক কাজে আসে। উল্লেখ্য, হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজে তিনি একাই কেবল গণিত পড়েছিলেন। এটা বেশ উচ্চ পর্যায়ের গণিত হওয়ায় সবাই নিতে চাইতো না। এ সময়ই গণিতের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। লরেন্স কলেজের পাঠ শেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তে যান। এখান থেকে বিএসসি অনার্স করেন।এই কলেজের একজন শিক্ষককে তিনি নিজের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই শিক্ষকের নাম "ফাদার গোরে"। গণিতের জটিল বিষয়গুলো খুব সহজে বুঝিয়ে দিতেন বলেই জে এন ইসলাম তার ভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। গোরে তার কাছে গণিতের বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইতেন, ইসলাম আগ্রহভরে তা শেয়ার করতেন। গোরের সাথে ইসলামের এই সম্পর্কের কারণ বলতে গিয়ে ইসলাম বলেন,

গণিতকে এমনিতেই অনেকে ভয় পেত। কিন্তু এটির প্রতিই ছিল আমার অসীম আগ্রহ, ঝোঁক। এ কারণেই বোধহয় তিনি আমাকে পছন্দ করতেন।

বিএসসি শেষে ১৯৫৭ সালে ইসলাম কেমব্রিজে পড়তে যান। কেমব্রিজের প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান থেকে ১৯৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এখান থেকেই ১৯৬০-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসসিডি (ডক্টর অফ সায়েন্স) ডিগ্রি অর্জন করেন।




১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ডে ডক্টরাল-উত্তর ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইসলাম কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট অফ থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে (বর্তমানে ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি) কাজ করেন ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। এখানে তিনি আইনস্টাইনের তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতেন এবং এই সূত্রে স্টিভেন হকিংয়ের সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে৷

১৯৭১ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভিজিটিং সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি কলেজ, কার্ডিফ (বর্তমানে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়) এর সায়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলে ফেলো ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং পরে রিডার পদে উন্নীত হন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনে অবস্থিত ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে ১৯৬৮, ১৯৭৩ ও ১৯৮৪ সালে ভিজিটিং সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

১৯৮১ সালেই তিনি চট্টগ্রামে ফিরে এসেছিলেন এবং এখানকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুই হাজার আটশো টাকা বেতনে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানেই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এক বছর অধ্যাপনা করার পরে পুনরায় বিদেশে যেতে চাইলে কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয় সিণ্ডিকেট থেকে ছুটি পাননি তিনি। ফলে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিদেশযাত্রা করেন জামাল নজরুল ইসলাম এবং পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব স্থায়ী বাড়ি-ঘর, জমি-জায়গা বিক্রি করে দিয়ে পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে চলে আসেন তিনি। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুনরায় কাজে বহাল করে এবং বেতন বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করে। ১৯৮৪ সালে ইসলাম বাংলাদেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক কোটা খালি না থাকায় তিনি গণিত বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং গড়ে তোলেন উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণাগার আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গাণিতিক ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্র বা রিসার্স সেন্টার ফর ম্যাথম্যাটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স (আরসিএমপিএস)। এখানেই তিনি ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসাবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।

জামাল নজরুল ইসলাম বই পড়তে ভালবাসতেন । তবে তিনি শখ হিসেবে গান শোনা ও ছবি আঁকার কথা বলেছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত সবচেয়ে প্রিয়। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই ক্যালকুলেটর ব্যবহারে তার অনীহা ছিল। গাণিতিক হিসাব মাথা খাটিয়ে করতে পছন্দ করতেন। তাই কম্পিউটারের ব্যবহারও তার কাছে ভালো লাগত না। এই অপছন্দের মূল কারণ অবশ্য অপ্রয়োজনীয়তা। তিনি বলতেন, কম্পিউটার তার কাজে লাগে না।

তার চিন্তার অনেকখানি জুড়ে ছিল দেশ ও সমাজের উন্নতি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ। নিজের আয় থেকে কিছু অর্থ জমিয়ে দরিদ্র ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া ১৯৭১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার এই পরোক্ষ অবদান ও পরবর্তীকালে দেশে ফিরে আসা থেকে তার দেশপ্রেমের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি বিদেশে পড়াশোনা করছে এমন সব শিক্ষার্থীকেই পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে আসতে উৎসাহিত করেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত লেখক ও শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশে ফেরার আগে জামাল নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ইসলাম তৎক্ষণাৎ তাকে দেশে ফেরার ব্যাপারে উৎসাহ দেন।

২০০১ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে একটি গুজব রটেছিল। বাংলাদেশেও এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় জামাল নজরুল ইসলাম গণিতের হিসাব কষে দেখান যে, সে রকম সম্ভাবনা নেই। কারণ, প্রাকৃতিক নিয়মে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ এক সরলরেখা বরাবর চলে এলেও তার প্রভাবে পৃথিবীর কোন ক্ষতি হবে না।

সংগীতের প্রতি অধ্যাপক ইসলামের বেশ আগ্রহ ছিল। তিনি বিশেষ করে গজল শুনতে ভালবাসতেন। রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতেরও তিনি ছিলেন অনুরাগী।কথাবার্তায় তিনি ছিলেন সদালাপী ও রসিক। গজলের আসর বসাতেন নিজ বাসায়৷ এছাড়া রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতের প্রতিও তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল৷

অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে আইনস্টাইনের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে সৃষ্টির রহস্য বোঝার চেষ্টা করেছেন। এই গবেষণায় সাফল্যের নিদর্শন তার গ্রন্থাবলী যা তাকে দেশে বিদেশ পরিচিত করে তুলেছিল।

দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স (১৯৮৩) - কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।জাপানি, ফরাসি, পর্তুগিজ ও যুগোস্লাভ ভাষায় অনূদিত হয়। The Ultimate Fate of the Universe.আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-১১৩১২-০.
ক্লাসিক্যাল জেনারেল রিলেটিভিটি (১৯৮৪) - ডব্লিউ বি বনোর এর সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করেন।
রোটেটিং ফিল্ড্‌স ইন জেনারেল রিলেটিভিটি (১৯৮৫) - কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত।
অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজি (১৯৯২)
কৃষ্ণ বিবর - বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত।
মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা এবং অন্যান্য প্রবন্ধ - রাহাত-সিরাজ প্রকাশনা।
শিল্প সাহিত্য ও সমাজ - রাহাত-সিরাজ প্রকাশনা।
স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ - কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। (স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত)।
দ্য ফার ফিউচার অফ দি ইউনিভার্স - এনডেভারে প্রকাশিত।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া






মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুনি মানুষটি দেশে তেমন একটা মুল্যায়িত হন নি।
আমার প্রবাসে বাংলাদেশী গুনীজন বইএ আমি উনাকে নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: তিনি যে হকিং-এর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী ছিলেন তার সমর্থনে কোন তথ্য দিলেন না। হকিং এবং প্রফেসর ইসলামের মূল কর্মক্ষেত্র একই (তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান)। হকিংয়ের বিষয়ে সবাই জানলেও প্রফেসর ইসলামের বিষয়টি বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানতে পারেন নাই। কারণ তাঁর প্রতি বাংলাদেশের মিডিয়া আর বুদ্ধিজীবী সমাজ মুখে কুলুপ এঁটে ছিল।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্টিফেন হকিং এঁর সাথে তুলনা করা সঠিক হয়নি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

রবিন.হুড বলেছেন: আসলে তিনি ‍অতুলনীয় । তিনি ছিলেন অবহেলিত।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

এহ্‌সান তপু বলেছেন: নিঃসন্দেহে স্যার একজন গুণী এবং প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন। আপনার লেখায় উনার কর্মস্থলের যে বিবরণ পেলাম , সেখান থেকে মনে হচ্ছে , উনি উনার রেগুলার কর্মময় জীবন চিটাগাং ইউনিভার্সিটি তে অতিবাহিত করেছেন ( বেতিক্রম : লেকচারার / লন্ডন সিটি ইউনিভার্সিটি ১৯৭৮-১৯৮৪). আমার কেন জানি মনে হচ্ছে স্যার একজন রকেট পাইলট ছিলেন যে কিনা সারা জীবন কাটিয়েছেন টু-সিটার সেসনা বিমান চালিয়ে।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি কি কি আবিষ্কার ও তত্ত্বের জন্য হকিং এর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী হয়েছেন?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: হকিং কে আপনি আমি যে তত্ত্বের জন্য চিনি তা জামাল নজরুল ইসলাম স্যার ১৯৮৩ সালে প্রকাশ করেছেন দি আলটিমেট ফেট অব দি ইউনিভার্স বইটিতে যা ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪২

মেহবুবা বলেছেন: অনেক পছন্দের একজন মানুষ কে নিয়ে লিখেছেন। ওনাকে পছন্দ করে ইংল্যান্ড এ প্রফেসর দম্পতি তাদের ছেলের নাম রেখেছিলেন জামাল।৷
তুলনা করা সমীচীন মনে হচ্ছে না। তবে শুনেছি স্টিফেন হকিংস জামাল নজরুলকে অনেক পছন্দ করতেন।
পোষ্ট প্রিয় তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ । পোস্টটি ইতিবাচকভাবে গ্রহন করার জন্য।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সোহানী বলেছেন: আসছি আবার।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: আর এলেন না যে?

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: তাই নাকি :-* তাইলে আমরা তার নাম শুনলাম্না ক্যানো !!

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

রবিন.হুড বলেছেন: যথাযথ মূল্যায়ন ও প্রচার হয়নি এই বাঙ্গাল মূলকের কৃতিসন্তানের তাই নাম শুনেন নি।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

পুলক ঢালী বলেছেন: ড:জামাল একজন প্রতিভাবান গুণী ব্যাক্তি ছিলেন কোন সন্দেহ নেই কিন্তু যে প্রশ্ন নিয়ে পোস্টটা পড়লাম সেটা পেলাম না পেলাম জীবনী। লেখাটা স্টান্টবাজীর মত মনে হচ্ছে কপি পেস্ট হতে পারে। পাঁচদিনের মধ্যে একটা মন্তব্যেরও জবাব নেই। বিরক্তিকর।
হকিং এর সমান নয় হকিং এর চেয়েও বড়। কোন তত্ত্ব আবিস্কার করে হকিং কে অতিক্রম করেছেন আশা করি লেখক জানাবেন। এটা ফেসবুক নয় ব্লগ। X((

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রবিন.হুড বলেছেন: জামাল নজরুল ইসলামের জীবনীই সবাইকে জানানোর উদ্দেশ্যে এখানে প্রচার করা হয়েছে। তথ্যের উৎস দেওয়া হয়েছে। আমার মতে তিনি স্টীফেন হকিংয়ের চেয়ে বড় বিজ্ঞানী কিন্তু যথাযথ মূল্যায়ন ও প্রচারের অভাবে তিনি পিছিয়ে আছেন সেই বিষয়টা বুঝাতে চেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.