নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাসেম বিন আবু বকর জনপ্রিয় উপন্যাসিক হয়েও কেন লেখক শিবিরে অপরিচিত?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬


বেস্ট সেলার বুক এর লেখক হিসেবে হুমায়ুন আহমেদ থেকে এগিয়ে আছেন কাসেম বিন আবু বকর। তাঁর লেখার মান মন্দ নয়। প্রতিটি লেখায় ইতিবাচক বার্তা আছে। তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম রিপোর্ট করে। তারপরও কেন লেখক শিবির দেশীয় গনমাধ্যম তাকে দাবিয়ে রেখেছে? বড় জানতে ইচ্ছে করে।


কাশেম বিন আবু বকর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী উপন্যাসিক যার উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে ইসলামকেন্দ্রিক প্রেম ভালোবাসা। তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন বই বিক্রেতা। ১৯৭৮ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ফুটন্ত গোলাপ লেখেন। উপন্যাসটি প্রকাশ পেতে এক দশকের মত সময় লেগে যায়। প্রকাশের পরে বইটি বেস্ট সেলারে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করার পরে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। তার উপন্যাস ঠিক উপন্যাস কিনা এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া বোর্ড থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন । ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলেও শেষ করতে পারেন নি। বাবার বড় সন্তান হওয়ার কারণে পারিবারিক চাপ ছিল।

ফুটন্ত গোলাপ পাণ্ডুলিপি লেখার পরে তিনি তা প্রকাশের জন্য প্রকাশক পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ১০০০ টাকায় বইটির স্বত্ব বিক্রি করে দেন। ফুটন্ত গোলাপের সাফল্যের পরে তিনি মোট ৭২ টি উপন্যাস রচনা করেছেন।

ফুটন্ত গোলাপ, আমিও মানু , তুমিও মানুষ, বিদেশী মেম, ক্রন্দসী পিয়া, কি পেলাম, প্রেমের পরশ, বিলম্বিত বাশর, প্রেম ও স্বপ্ন, তোমার প্রত্যাশায়, ভাঙা গড়া, পাহাড়ী ললনা, হৃদয়ে আকা ছবি, কে ডাকে তোমায়, মেঘলা আকাশ, অনন্ত প্রেম, শেষ উপহার, কলংকের ফুল, শহরের মেয়ে, ফুলেরকাটা, স্বর্ণ তুমি, হৃদয় যমুনা, বহু রুপিনী, বধুয়া, কামিনী কাঞ্চন, বিয়ের খোপা, পলাতকা, কালো মেয়ে, অমর প্রেম, আমি তোমার, ধনীর দুলালী, হঠাৎ দেখা, শরীফা, বিদায় বেলায়, আধুনিকা, জ্যোৎস্নারাতে কালো মেঘ, কোন বনের হরিণ, বিকেলে ভোরের ফুল, যেতে নাহি দেব, প্রেম বেহেস্তের ফুল কেউ, ভোলে কেউ ভোলে না, একটি ভ্রমর পাচঁটি ফুল, শ্রেয়সী, প্রেম যেন একসোনার হরিণ, প্রতিবেশিনি, অসম প্রেম, পল্লী বালা, অবশেষে মিলন, ভালোবাসি তোমাকেই, বিয়ে বিভ্রাট, চেনা মেয়ে, অবাঞ্চিত উইল, কাঙিক্ষত জীবন, তুমি সুন্দর, সংসার, বড় আপা, অচেনা পথিক, বালিকার অভিমান, বাসর রাত, অলোকিক প্রেম, মানুষ অমানুষ, প্রতীক্ষা, পথে পরিচয়, ধুমায়িত পথ, মেঘে ঢাকা মন, শ্রাবনী, নাফ নদীর বাকে, সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে, স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, প্রেমের ফসল, আজরাঈল(আ:) এর কান্না, বোরকা পড়া সেই মেয়েটি, প্রেম ।

বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গন এবং মূলধারার গণমাধ্যমে কাশেম বিন আবু বকর অনেকটা উপেক্ষিত ছিলেন। শহুরে শিক্ষিত পাঠক সমাজের কাছে তিনি প্রায় অপরিচিত নাম। তার উপন্যাসের প্রধান পাঠক গ্রামীণ মুসলমান তরুণ শ্রেণি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যেমন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ, মধ্যপ্রাচ্যের আরব নিউজ, মালয়েশিয়ার দ্যা স্টার ও মালয়মেইল, পাকিস্তানের দ্য ডন, ফ্রান্সের ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল, হাঙ্গেরির হাঙ্গেরি টুডেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোও তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়।


‍সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে



মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

মোগল বলেছেন: কালচারাল এচটাবলিসমেন্টের বিপরীত স্রোতের মানুষ বলেই দাবিয়ে রাখে

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি পঠিত বই হাইস্কুলের গেটের সামনে বিক্রি হওয়া, ১২ বছরের ছেলের ১৩ হাত ধোনের গল্প ওয়ালা চটি , লিখেছেন মহাজ্ঞানী রসময় গুপ্ত।

তার লেখার মান ও খারাপ না, তার সেলস এর সংখ্যা কাবিআব বা হুআ কে ছাড়িয়ে যায় অনেক অনেক গুণ। প্রতিটি লিখায় ইতিবাচক আলোচনা আছে, আছে পুরুষ এর আন লিমিটেড শক্তি এবং পৌরষত্তের বিবরণ!

এরপরেও তার লেখাকে আমাদের মিডিয়া গ্লোরিফাই করে নাই কেন??? এই প্রশ্নের উত্তর খোজা জরুরি।


আমাদের বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীর লিখা, জ্ঞান বিজ্ঞানের আকর, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ লাখ পিস বিক্রি হওয়া প্রথম বই- প্যারাটক্সিকাল মজিদ বা সাজিদ , লিখেছেন মহা জ্ঞানী বিজ্ঞানী ডঃ হযরত আরিফ আজাদ ( রাঃ)

অন্যদিকে মিচিও কাকু তার স্ট্রিং থিউরি বইটি সব মিলিয়ে বিক্রি করেছেন ১ লাখ পিস। অথচ দুনিয়ার সবাই মিচিও কাকুকে নোবেল দেয়, অথচ বিজ্ঞানী আরিফ আজাদ কে তলা দিয়েও গোনেনা। এই প্রশ্নের উত্তর ও আমাদের খুজতে হবে।

তাহলে আমরা দেখতে পাই- লোকালি হোক আর ইন্টারন্যাশ্নালি হোক আমাদের লেখক দের বই বেশি সেল হলেও আসলে তাকে সঠিক দাম দেয়া হয় না।

এই একই কারনে বিখ্যাত হালাল প্রেমের উপন্যাস লেখক কাসেম বিন আবু বক্কর এর লেখা কোটি কোটি সেল হলেও তাকে আসলে তেমন দাম দেয়া হয় না মিডীয়াতে।

আসলে মিডীয়া তো হারাম জিনিষ পত্রকে গ্লোরিফাই করে তাই এই অবস্থা আর কি।


তবে আশায় আছি, একদিন দেশের আফগানিস্তান এর মত ইসলামের সোনালি দিন আসবে, সেদিন কাসেম স্যারের মত হালাল লেখক দের কে মিডিয়া সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করবে।

জাজাকাল্লায় খায়রান

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

রবিন.হুড বলেছেন: তাঁর বই পড়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে সমালোচনা করুন।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: লেখক শিবিরে কোন লেখককে নিয়ে বেশি আলোচনা হবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে তার লেখার পাঠকেরা কোন শ্রেণী ভুক্ত সেটার উপর । কাশেম সাহেবের পাঠক শ্রেণীরা সমাজের উচ্চবিত্ত তো নয়ই, এমন কী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যেও বিলং করে না !
কোন লেখকের পাঠক শ্রেণী যদি সমাজের গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে না থাকে, কেবল মাত্র এক্সিস্ট করেই থাকে তাহলে সেই লেখকদের স্থান কেবল রেলস্টেশন বইয়ের দোকানেই থাকবে !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

রবিন.হুড বলেছেন: তালেবানের আদর্শ খারাপ হতে পারে কিন্তু ইসলামের আদর্শ সবার জন্য সব সময়ের জন্য অনুসরনীয়। কাশেম বিন আবু বকর তার উপন্যাসে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের তথাকথিত প্রেম-প্রীতির পাশাপাশি ইসলামিক আদর্শ প্রকাশ করলে বা শিক্ষনীয় কিছু বলে থাকলে তা বাংলাদেশে বসেই অনুসরণ করা যায় দেশকে আফগানিস্তান বানানো লাগবে না সাসুম ভাই।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: কাসেম বিন আবু বকর সাহেবের মত এত বড় লেখককে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করার লোক দেশে আসলে কমই আছে বলে আমার ধারনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

রবিন.হুড বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। যে দেশে গুনীদের কদর নাই সে দেশে গুনী জন্মে না।

আমরা দেশী ঠাকুর ফেলীয়া বিদেশী কুকুর নিয়ে ব্যস্ত।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: কাসেম বিন আবু বকর ? কে ইনি ?? বাপের জন্মে এই লেখকের নাম ধাম শুনি নাই !!! আর ব্লগ কি ফেইসবুল হয়ে যাচ্ছে যে দুই লাইনে প্রফাইল স্টাটাস দিয়ে ছাপিয়ে দিলেন ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৫

রবিন.হুড বলেছেন: কাসেম বিন আবু বকর এর মতো গুনী লেখক সম্পর্কে জানে না এটা আপনার ব্যর্থতা। আপনার মতো বিশেষজ্ঞ ব্লগারের নিকট থেকে ব্লগ লেখার নিয়ম জানতে নয় গুনী লেখককের সাথে আপনার মতো ব্লগারের পরিচয় করিয়ে দিতে এই লেখার অবতারনা।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: গ্রাম অঞ্চলে অত্যাধিক জনপ্রিয় লেখক ছিলেন কাসেম বিন আবু বাকার। উনার বই এখনো আমার কাছে অনেক সংগ্রহ আছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ বই পড়ার জন্য।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: সাসুম মহাশয় যথার্ত কমেন্টের মাধ্যমে আপনাকে প্রতি উত্তর দিয়েছেন !!

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনি কি জীবিত? এখনও বই লিখছেন?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: জানার চেষ্টা করছি।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওনার বই বড়েছি ৫/৬টি। ভালই লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ বই পড়ার জন্য।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

আরইউ বলেছেন:



ওনাকে সাহিত্যে নোবেল পুরুষ্কার দেয়ার তেব্ব দাবী জানাই। পোস্ট স্টিকি করা হোক। সাথে লেখককেও ঝুলানো হোক।



অন আ সিরিয়াস নোটঃ
আমি এই লেখকের বই পড়েছি। যতটুকু মনে পরে বেশ কয়েক বছর আগে সামহোয়ারইন বা সচলায়োতন এ এ বিষয়ে লেখালেখি-আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। আমি তখন ওনার লেখার সাথে পরিচিত ছিলাম না। কাউকে নিয়ে সমালোচনা করতে হলে তাকে জানতে হয়। তাই, ওনার ৫ টি লেখা আমি পড়েছিলাম।

ওনার লেখার ভাষা সহজ সরল। কিন্তু লেখায় গভীরতা ভয়ঙকর রকমের কম। ওনার সব লেখাই একমাত্রিক। ওনার লেখায় মোটামুটি বেশ ভালো ডোজের যৌন সুরসুরি আছে যা দিয়ে উনি গ্রাম ও মফঃস্বল এলাকার ছেলেপেলেদের আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন। একটা বাজার, একটা বিজনেস নিশ উনি চিন্হিত করতে পেরেছিলেন আর তাই ওনার বই বেশি বিক্রি হয়েছে। এখনকার এই হোয়াটসআপ, ভিডিও, আর সানি লিওনির যুগে উনি লিখলে মনে হয়না এতটা জনপ্রিয়তা পেতেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

রবিন.হুড বলেছেন: সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বইটির নাম হওয়া উচিৎ ছিল "হালাল প্রেম"। তাহলে তিনি যথাযথ মর্যাদা পেতেন বলে আমার ধারণা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

রবিন.হুড বলেছেন: নামে তেমন কিছু আসে যায় না। তার ইতিবাচক মেসেজগুলো গ্রহণ করা জরুরী।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ইসলামকেন্দ্রিক প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লেখেন বলেই এক শ্রেণীর পাঠক তার লেখা খুব পড়েন।
আমি সম্ভবতো উনার একটি বই পড়েছি।
গরীবের ছেলে, সৎ। ধনীর মেয়ে তাকে পছন্দ করে। মেয়ের বাবা ফেকরা বাজায়। ছেলেটি ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করে। পরে রিক্সা কিনে ভাড়াদেয়, বেবী টেক্সি কিনে ভাড়া দেয়। বিশাল ধনী হয়ে যায়।
এই টাইপের ছিলো।

আমার বাসায় কিছু বই আছে এবং আমি তা কিনে পড়ি দেখে একজন মাদ্রাসার ছাত্র বইটি আমাকে পড়তে দিয়ে ছিলো।
সহজ সরল লেখা। পরে আর কোনো বই তার পড়তে ইচ্ছে করেনি আমার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

রবিন.হুড বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম এবং শ্রেষ্ঠ ধর্ম তাই ইসলামের বার্তা সংশ্লিষ্ট বই শ্রেষ্ঠ হতেই পারে।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কে এই লোক, কই থেকে এলো, বাড়ি কোথায়, নাম কি উনার? উনার বই হুমায়ুন আহাম্মেদের চাইতেও বেশি বিক্রি হয়েছে? আশ্চর্য তো!!

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

অঙ্গনা বলেছেন: উনি কি সোফা গল্পের লেখক ?

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আচ্ছা।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওনার কোন বই না কি চার লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। নিশ্চয়ই পয়সাওয়ালা ভালো কামিয়েছেন।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩১

সাসুম বলেছেন: আসলে, আমাদের সময় অত্যন্ত মূল্যবান। ফালতু টপিকে লিখার জন্য সময় নস্ট করা অনুচিত। তাও আপনাকে মোটামুটি বলার চেষ্টা করি কেন কাসেম বিন আবু বক্কর সাহেব কে নিয়ে আমাদের এলিট সাহিত্য পাড়া যেটা আমাদের মধ্যবিত্তরা নিয়ন্ত্রন করে সেটাতে আলোচনা নেই কেন।

কাবিআব লেখালিখি করছেন সেই ১৯৮০ সাল থেকে এবং ২০১৫ সালের দিকে বয়সের কারনে ইস্তফা দেন। তার বইয়ের অনেক জনপ্রিয়তা এবং সমাজের একটা ক্লাসের কাছে উনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠতে পারে কাদের কাছে? আমাদের গ্রামের অবরোধবাসিনী ছেলে ( মাদ্রাসা পড়ুয়া ) এবং অবিবাহিত তরুণীদের কাছে। এই স্পেসিফিক ডেমোগ্রাফির ছেলেমেয়েরা উনার লেখার প্রেম খোজেন, হালাল ডেটিং খোজেন, হালাল যৌণতা খোজেন এবং সর্বোপরি সমাজ ও ধর্ম নামক ব্যারিয়ার তাদের কে যেভাবে অবরোধ করে রেখেছে তাদের মনোজাগতিক কামনা পূরনে সেটা পূরন করে দেয় কাবিআব এর হালাল যৌন সুরসুরি নামক প্রেম উপন্যাস।

বলা হয় তিনি তার উপন্যাসে ইস্লামি মূল্যবোধ, চেতনা এবং কালচার প্রচার করেন। আসলে সত্যি নয়। আমাদের কিছু সো কল্ড ওয়াজি মওলানা যেমন ওয়াজের নামে তীব্র সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, কুশিক্ষা এবং অপবিজ্ঞান এবং সফট পর্ন প্রচার করেন একই ভাবে কাসেম সাহেব ও ইসলামের মোড়কে সফট পর্ন তথা যৌনতা বিক্রি করেন।

কাসেব বিন আবু বকর এর নায়িকারা বোরকা পড়ে ডেটিং এ যায়, আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লা বলে কিস করে একে অপরকে, ওরা হারাম গায় না তবে উর্দু গজল গায় মন প্রাণ দিয়ে।

আমাদের গ্রামে গঞ্জে সমাজের চাপে থাকা মেয়েরা এবং মাদ্রাসার ছেলে গুলো তাদের অবদমিত যৌনতা প্রকাশ এর কোন যায়গা পায়না যৌক্তিক কারনেই এবং এই যায়গাটাতেই হিট করেছেন কাবিআব সাহেব।

ধর্মপ্রাণ মোসলমান দের বিয়ের আগে প্রেম, ডেটিং, যৌনতা একটা বিরাট ট্যাবু বাট আমাদের দেশের সিংহ ভাগ মোসলমান নামে মাত্র মোমিন বাট কাজে কর্মে চরম বাটপার এবং ফ্রড এবং তারা ধর্মের আলোকে যখন প্রেম ভালোবাসা করে সেটা কাবিআব সাহেব একদম চোখে আংগুল দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দেন।


কাবিআব বলেন, বিয়ের আগে বেগানা পুরুষের সাথে প্রেম হারাম তবে বোরকা পড়ে ডেটিং আরাম। তিনি তার প্রেমের উপন্যাসে লিখেন-শফিক বিসমিল্লাহ বলে শফিকুনের ঠোঁটে কিস করা শুরু করলো’, ‘আপনি শরিফ ঘরের মেয়ে। আপনার জন্য আল্লাহপাক আমাকে কবুল করুন। আমিন’, ‘সুবাহানাল্লাহ। আপনার মতো সুপুরুষ আমি জন্মের পর থেকেই আশা করেছিলাম’, ইত্যাদি রকম যৌন সুরসুরি মার্কা কথাবাত্রা যেসব ইসলামের একদম কোর থেকে চরম ভাবে নিষেধ করা আছে।

কাসেম বিন আবু বক্কর জনপ্রিয় লেখক, উনার বই অনেক বিক্রি হয়, উনি জীবনের শেষ মুহূর্তেও রয়ালিটি পেয়ে গেছেন তার লিখার। বাট সাহিত্য গুণ থেকে বিচার করলে , কাসেম বিন আবু বক্কর এর লিখা একতাল কাচা গু এর সমমান।

এই একই কারনে , বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই প্যারাটক্সিকাল মজিদ এর লেখক মিথ্যাবাদী, অপবিজ্ঞান চর্চাকারী, কুলেখক আরিফ আজাদ কে ইসলামের সিলসালাদার ধরা হলেও, দেশের বাজারে লাখো কোটি ভক্ত থাক্লেও তাদের বইয়ের কোন মুল্য নেই সময়ের বাজারে, সভ্যতার ইতিহাসে। সভ্যতার প্রগাঢ় প্রস্রাবের ধারায় এসব হারিয়ে যায়।

বাট টিকে থাকে হাজার বছর ধরে এরিস্টোটল, প্লেটো, ফুকো, শেইক্সপিয়ার থেকে শুরু করে আধুনিক কালের শিডনি শেল্ডন কিংবা ইউভাল নোয়া হারারি রা। মোট কথা, কোয়ান্টিটি কখনো সঠিকতার বিচার হতে পারেনা, একমাত্র কোয়ালিটিই হতে পারে সত্যের একমাত্র মাপকাঠি।


এই কারনে, লাখো কোটি বই বিক্রি করেও কাসেম বিন আবু বক্কর রা বাংলাদেশের সাহিত্য অংগনে একটা কলমের আঁচড় ও দিতে পারেন নাই।

একজন রুচিহীন সফট পর্ন লেখক কাসেম বিন আবু বকর দের মানুষ ভুলে যায়, অথচ মাত্র ২১ বছর বেচে থাকা সুকান্ত দের বাংলার সাহিত্য মনে রাখে যুগের পর যুগ! একজন হেলাল হাফিজ এক জীবনে মাত্র একটা কবিতার বই লিখেই অমর হয়ে থাকেন, অথচ কাসেম বিন আবু বকর রা হাজার বই লিখলেও শিল্প সাহিত্যের কোন উপকার ই হয় না।

দিনশেষে যোগ্যরাই টিকে থাকবে, যোগ্যদের নিয়েই আলোচনা হবে, হিপোক্রেট দের নিয়ে না।

কাসেম বিন আবু বকর একজন ধর্ম ব্যবসায়ী, ওয়াজকারী মওলানা যেমন জানেন কি করে ওয়াজ করলে বাজারে টাকা বেশি পাওয়া যাবে, আরিফ আজাদ বুঝে কি ভুয়া বিজ্ঞান শোনালে তার বইতে মানুষ দল বেঁধে সেটা কিনবে, কাসেম বিন আবু বকর আজ থেকে ৪০ বছর আগেই বুঝেছিলেন হালাল ইসলামের সাথে হারাম প্রেম আর যৌনতা খাওয়াতে পারলেই হিপোক্রেট বাংগালির কাছে বই বিক্রি করা যাবে।


তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

রবিন.হুড বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ মন্দ নয়। তবে আমি অনেক নাম করা সাহিত্যিকদের লেখায় যৌনতা পেয়েছি। তবে যত দোষ নন্দ ঘোষ।

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রবিন.হুড,



সাসুম এর করা দু'টো মন্তব্যই চমৎকার। তার ১৮ নম্বর মন্তব্যটিতে আপনার দেয়া শিরোনামের প্রশ্নটির বাস্তব উত্তর দেয়া আছে। অনেক মন্তব্যকারীই অনেকটা তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।।

আর সবচেয়ে বড় কথা, কোয়ান্টিটি কখনো গ্রহন যোগ্যতার মাপকাঠি হয়না, কোয়ালিটিই কেবল গ্রহন যোগ্যতা এনে দিতে পারে।
যেমন, নদীর জলরাশি সমুদ্রের জলরাশির তুলনায় পরিমানে নগন্য। কিন্তু পান করার জন্যে সমুদ্র নয় মানুষ নদ-নদীর জলই খোঁজে!

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপনার ঋণ কাশেম্বাই কখনো শোধ করতে পারবে না।

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩১

সোহানী বলেছেন: আমি পড়িনি উনার কোন বই তাই কিছু বলতে পারছি না। আপনার লিখার পড়ে কিছু ডাউনলোড করবো বলে ভাবছি।

২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: সেই বিচারে তো রসময় গুপ্ত সাহেবের লেখা বেস্ট সেলার। হুমায়ুন সুনিল এরা তো রসময় দাদার কাছে যা-তা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.