নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক রতি সোনা মানে একটা কুঁচ বীজ এর সমান স্বর্ণ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪


অতীতকালে এক রতি সোনা মাপা হতো যে মাপন দিয়ে তার নাম কুঁচ বীজ। বাংলাদেশে এর আঞ্চলিক নামগুলো হচ্ছে: রতি, রত্তি, কুঁচ, কইচ গোটা। কুঁচের আরও যেসব নাম আছে সেগুলো হচ্ছে চূড়ামনি, শাঙ্গুষ্ঠা, গুঞ্জা, সৌম্যা, শিখন্ডী, কৃষ্ণলা, অরুণা, তাম্রিকা, রক্তিকা, কম্ভোজী, ভিল্লিভূষণা, মাণচূড়া, চন্দন । আর কুঁচের সাদা প্রজাতিটির নাম হচ্ছে শ্বেতগুঞ্জা, ভিরিন্টিকা, কাকাদনী।

‘কুচ বরণ কন্যা তোমার মেঘ বরণ কেশ’ প্রাচীন কাব্য গাঁথার কথা আজও হয়তো কারো স্মৃতির আয়নায় কখনো কখনো ভেসে ওঠে। তবে ধন রত্ন, সোনা গহনা পরিমাপের জন্য যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত কুচ এখন অতি বিরল শ্রেনীর উদ্ভিদের কাতারে নাম লিখিয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় হারিয়ে গেছে অনেক দামি এই কুচ। শোধন করা লাল কুচ বা লাল গুঞ্জার দাম অনেক বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ জানান, কুচ এখন আর দেখা যায়না। আগে স্বর্ণকার বাড়িতে, আলমারির মাথায় সযত্নে লুকিয়ে রাখা নানির দাদির কৌটায়, ফেরিওয়ালার ঝুড়িতে যত্ন করে সাজানো এই কুচকে অনেকে ভাবতো রত্ন বা পাথর। ডিম্বাকৃতির এই ফল শুধু নিখুঁতই নয়, এর এক মেরুতে কালো একটা টিপ বসানো যেন। সেই টিপের মাপ এমন নিখুঁত, সব কুচের এক সমান। মাপলে সামান্যও এদিক-ওদিক হবে না।
কুচ লতা জাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। ইংরেজিতে জিকুইনিটই, কারবাস আই, ইন্ডিয়ান আইকনিক ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম আবরুস প্রিক্রাটোরিউস। আগে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব গাঁয়ের মাঠে-জঙ্গলে দেখা যেত। অনেক দিন হয়েছে যা আর বলতে গেলে দেখা যায় না। সাধারণত শুকনো মাটিতে জন্মায়। লতা অন্য গাছ বেয়ে ওঠে। ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। লতার রং সবুজ। লতা চিকন। মূল লতা আধা ইঞ্চির মতো মোটা হয়। লতার আধাফুট দূরে দূরে একটা করে গিঁঠ। প্রতিটি গিঁঠের গোড়া থেকে একটা করে পাতা বের হয়। কুচের পাতা চিরল-চিরল। তেঁতুলের পাতার মতো দেখতে। তবে তেঁতুলের পাতার চেয়ে কিছুটা বড়। বোঁটা বহুপত্রক। প্রতিটি পাতা আধা ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতা সবুজ রঙের, পাতলা।
কুচের ফুল শীমফুলের মতো দেখতে। তবে আকারে কিছুটা বড়। ফুল সাদা রংয়ের। দুটো পাঁপড়ি আছে। দুই পাঁপড়ির মাঝখানে বাঁকানো কিশোর থাকে। পাপড়ির ভেতর দিকে বেগুনির রংয়ের ছোপ আছে। ফুল গুচ্ছকারে বের হয়। অর্থাৎ মঞ্জরি বহুপুষ্কক। কুচের ফল দেখতে প্রায় দেশি শীমের মতো। চ্যাপ্টা। আকারে শীমের চেয়ে বেশ ছোট।
কাঁচা ফল সবুজ রংয়ের, খোসা পুরু। পাকা বা শুকনো ফল কালচে ধূসর। ফলের ভেতর চার-পাঁচটা কুচ পাশাপাশি সাজানো থাকে। আমরা কুচ বলতে যা বুঝি, তা মূলত এর বিচি। বাংলাদেশে দু’জাতের কুচ দেখা যায়। সাদা আর লাল। লাল কুচ বাংলায় সর্বাধিক পরিচিত। কুচের বিচি ডিম্বাকৃতির। বিচির একটা মেরুতে কালো ফোঁটা আছে। কালো ফোঁটা বাদে বাকিটুকু লাল অথবা সাদা।

১ ভরি = ১৬ আনা= ১১.৬৬ গ্রাম = ১ তোলা = ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী প্রবর্তিত একটি রৌপ্য মূদ্রার ভর
১ আনা= ৬ রতি = ০.৭২৮ গ্রাম
১ রতি = ১ কুঁচ বীজ = ০.১২১৪ গ্রাম
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

সোনালি কাবিন বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
তবে লেখাটা কপি-পেস্ট মনে হল।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন এই কুঁচ বীজ দেখতে পাওয়া যায়না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

রবিন.হুড বলেছেন: আমি এক রতি স্বর্ণ চাই না একটা কুঁচ বীজ চাই।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গ্রামের বাড়ীতে আছে এ গাছ। ছোটবেলা কত খেলেছি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

রবিন.হুড বলেছেন: কুঁচ গাছের সন্ধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে একটা কুঁচ বীজ উপহার দিলে কৃতার্থ হবো।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

এম ডি মুসা বলেছেন: কেমন আছেন বহুদিন পরে দেখলাম?

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: ছেলে বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। নানা বাড়ি গেলে এই কুচ সংগ্রহ করে কত খেলা করেছি। বিশেষ করে গ্রামে মা চাচিদের কে দেখেছি স্বচ্ছ নারিকেল তেলের বোতলের মধ্যে রাখতে। তাদের ভাষ্য ছিল নারিকেল তেলের মধ্যে কুচ রাখলে নাকি তেল অনেকদিন ভাল থাকে।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার বারান্দায় বে কয়েকটি কুচের বীজ ফেলেছিলাম টবে সাদা লাল মিলিয়ে। তার থেকে চারা এবং শেষে সেগুলিতে লালা আর সাদা কুচও ধরে ছিলো।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

রবিন.হুড বলেছেন: এখনো কি আছে?

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

আজব লিংকন বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাসায় চন্দনের গাছ আছে। আলমিরাতে কাচের বোলে এক বোল লাল বীজ সো-পিচ হিসেবে রাখা আছে। দারুণ সুন্দর লাগে দেখতে।।

অনেক সুন্দর লিখেছেন। লিখাটা পরে একটা গান মনে পরে গেল, "কৃষ্ণ প্রেম করবো বলে ঘুরে বেড়াই জনম ভরে। ও প্রেম করবো বলে ষোল আনা, এক রতির স্বাধ মিটলো না রে... ঘুরে বেড়াই জনম ভরে।।"
কৃষ্ণ প্রেম করবো বলে

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

রবিন.হুড বলেছেন: দুই পিছ কুঁচ বীজ আমাকে সংরক্ষণ করার সুযোগ দিন।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০

জটিল ভাই বলেছেন:
জেনে ভালো লাগছে। এই বীজগুলো আমারও ভীষণ প্রিয় ♥♥♥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.