![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা তিন কলিগ গত প্রায় ৫ মাস যাবত অফিসিয়াল প্রোগ্রামে বিদেশে অবস্থান করছি। এই সময়টুকুতে কিছুটা ভিন্নতা আনার জন্য বিভিন্ন উপলক্ষ্য খুজে বের করে বাইরে খেতে যেতাম। উপলক্ষ্য অনুযায়ী খাওয়ার বিলটা কে দিবে সেটা ঠিক হতো আর পর্যায়ক্রমিক হতো। দেশে ফিরবার আর কয়েকটা দিন বাকী। তাই একদিন ঠিক করলাম আমরা বাইরে খেতে যাব; কে খাওয়াবে সেটাও ঠিক হল (পর্যায়ক্রমে যারা বাকী ছিল তাদের মাঝে একজন)।
খেতে বসেছি আমাদের পছন্দের একটি রেষ্টুরেন্টে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা প্রত্যেকেই একই মেনু অর্ডার করলাম। বসে বসে খাবার আসবার অপেক্ষা করতে লাগলাম। এর মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিছুক্ষণ পরে খাবার সার্ভ করল; খেতে শুরু করলাম। এর আগেও আমরা এই মেনুটি পছন্দ করে খেয়েছি। খাওয়া শুরু হবার কিছুক্ষণ পরেই আমার দুই কলিগই খাবারের প্রশংসা শুরু করল। প্লেটের প্রতিটি আইটেম নাকি আজ বেশি ভাল হয়েছে অন্যদিনের তুলনায়। আমি চুপচাপ খাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম ঘটনা কি!!
আজ যে কলিগ খাওয়াবে ঠিক হয়েছিল এখানে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পর্কে একটু বলতে হয়। ওর যেটা আছে বা করবে সেটাই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভাল ভাববে এবং আশেপাশের সবাইকে সেটা ভাবার চেষ্টা করাবে। একদিন আলোচনাতে মাছের ব্যপারে বলতে যেয়ে পাঙ্গাস মাছ সবচেয়ে মজার স্বাদের মাছ বলে দিল। আমরা ভিন্নমত পোষণ করতেই বলে উঠল যে আমরা আসল পাঙ্গাস মাছই খাইনি; যদিও পছন্দটা একেকজনের আলাদা। আর অপর কলিগ ছিল বয়সে ছোট। তাই ও পারতপক্ষে তর্ক-বিতর্কে জড়াত না। কিন্তু সে ও ছিল খুব চালাক।
তাই প্রথমজনের খাবার ভাল বলার ব্যাপারটা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও দ্বিতীয়জন ঠিক কি কারনে খাবারের এত প্রশংসা করছিল আমার বোধগম্য হচ্ছিল না। কারন একই খাবার আমরা আগেও অনেকবার খেয়েছি। যাইহোক খাবার চুপচাপ এনজয় করলাম। খাওয়া শেষ হতেই আমার একটা জরুরী কল আসল। আমি খাবার টেবিল থেকে উঠে রেষ্টুরেন্টের বাইরে যেয়ে কথা বলা শুরু করলাম। কথা শেষ করে রেষ্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকতেই আবিষ্কার করলাম একটা অপ্রিতিকর অবস্থা। যে কলিগের আজ খাওয়ানোর কথা ছিল, খাবারের বিল অন্যজন দিয়ে দিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, দেশে ফিরবার আগে আমার দুই কলিগেরই একবার করে খাওয়ানোর কথা চলছিল আমাদের মাঝে। একজনেরটা বাধ্যতামূলক আর অপরজনেরটা স্বেচ্ছামূলক (খাওয়ালে আমাদের ওকে জন্মদিনের গিফট দিতে হবে)। তাই আমরা কেউই ওর খাওয়াটা খেতে তেমন একটা উৎসাহিত ছিলাম না।
যার বিল দেওয়ার কথা ছিল ও খুব ক্ষুব্ধ আর রাগান্বিত যে অপরজন কেন বিল দিল। অন্যজন বলে চলছিল যে আমারও তো খাওয়ানোর কথা ছিল। ততক্ষণে আমার কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল কেন দুইজনই খাবারের এত প্রশংসা করছিল। কে যে কাকে গোল দিল ব্যাপারটা আপেক্ষিক!!! কিন্তু আমরা মনে-মনে মন কলা খেয়ে বসে আছি।
আমি ওদের সিনিয়র হওয়াতে দুইজনকেই বুঝাতে বুঝাতে বাসায় ফিরলাম আর মনে মনে হাসলাম……যদিও আমার খুব জোরে হাসতে ইচ্ছে হচ্ছিল…
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষয়টা বুঝি নি কী হলো।
খাবারের শেষে বিল পেয়ে 'লেট'স শেয়ার' বলে নিজের ভাগের টাকাটা বিলের প্লেটে ফেলে দিতে হবে। কোনো ট্যুর ডিউটিতে গেলে আগেই ঠিক করে নিতে হবে, সবকিছু সেন্ট্রালি একজনে খরচ করবে, যা সবাই সমান ভাগে ভাগ করা হবে। তা না করলে অনেক সময় অনেক জটিলতা ও মন কষাকষি হয়। একজন খাোয়ানোর সময় ১০ ডলার খাওয়াবে, অথচ অন্যেরটা খাওয়ার সময় একাই ১০ ডলার খাবে। ঘটনার সূত্রপাত এভাবেই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৯
মুসেবিমৌ বলেছেন: এখানে কম বা বেশী খাওয়ার ব্যাপারটা ছিলনা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে একটা চাতুরতা ছিল। আমিও বিদেশের এই পদ্ধতিটা পছন্দ করি কিন্তু আল্প সময়ের জন্য এসে বিদেশের এই নিয়মটা মেনে চলা যায়না। অভ্যাস আর রীতিনীতি হঠাত করে পাল্টানো যায়না।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখার বিষয়টা ইন্টারেষ্টিং নয়।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২০
মুসেবিমৌ বলেছেন: I think you should see "Rashomon" movie by a Japanese director. Don't be judgemental quickly.
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
কামাল৮০ বলেছেন: সাধারন ঘটনার সাদামাঠা বর্ননা।একটা মনস্তাতিক দিক আছে যা সব ঘটনাতেই থাকে।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২২
মুসেবিমৌ বলেছেন: আমরা খুব বেশী অসাধারন ঘটনাও নিতে পারিনা...এটাই আমাদের স্বভাব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে এই কারনে কেউ কাউকে খাওয়ানোর রেওয়াজ নেই। বন্ধু হোক বা কলিগ দলবেধে সবাই একসাথে খেতে যায় এবং খাবার শেষে বিল সবাই সম্পরিমান ভাগ করে দেয়। ভুল বোঝাবুঝিরই কোন অবকাশই আর থাকে না। বিদেশে এসে প্রথম প্রথম বিষয়টার সাথে পরিচিত না থাকায় একটু অস্বস্তি লাগত। কিন্ত এখন বুঝি যে এটা কত সুন্দর একা সিস্টেম। মানুষের সাথে এভাবেই সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হয়।