নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।
(বাংলাদেশ ভাতের হোটেল স্পেশাল গোয়েন্দা ব্রাঞ্চ।)
বেশ কিছুদিন থেকে এই অফিস এর সবাই মারাত্মক বাস্ত সময় পার করছে। দম ফেলার সময় নেই, কত কত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা। আরও কত কী!
হটাৎ এমন একটি গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গিয়েছে যেটা নিয়ে গোয়েন্দা প্রধান খুবই ধুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন! কিভাবে বিষয়টা সামাল দিবেন বুঝতে পারছেন না। এদিকে বেশি দেরি হয়ে গেলে মহা বিপদ!
গোয়েন্দা প্রধান: একচুয়ালি ইনফরমেশন টা কী খুলে বল তো। আমি তো কিছুই বুজতে পারছি না। এই যুগে এসে কালোজাদুর ঐক্যবদ্ধ এটাক!
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, ভয়ানক ব্যপার! কিছু ইনফরমেশন পেয়েছি সারা দেশের যত তান্ত্রিক, পীর, ফকির, কালো জাদু বিশেষজ্ঞ আছে। এরা জরুরি গোপন মিটিং ডেকেছে। মিটিং এর উদ্দেশ্য ভালো না।
গোয়েন্দা প্রধান: মানে কী? কী বলতে চাইছো? ওরা নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস করতে চাইছে? দেশের সম্পদ নষ্ট করতে চাইছে?
স্পেশাল এজেন্ট: আসলে স্যার না। ব্যপারটা আরও ভয়াবহ। ওরা নেত্রী দ্য লিডার কে নাড়ি কাটা বাণ মারতে চলেছে! ওরা দেশে চলমান গণআন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। দে ওয়ান্ট জাস্টিস ঠু। দে আর সেইং; আওয়ার নেত্রী দ্য লিডার ইস এ কিলার অফ দ্য ইনোসেন্টস, সি ইজ আ উইচ। এন্ড স্যার, দে রিয়েলি ডন্ট লাইক উইচেস! এই বদমাইশ গুলো মিসোজিনিষ্ট বটে। উইচ দেখতে পারে না।
গোয়েন্দা প্রধান: হোয়াট ননসেন্স! এই সময়ে এসে এসব কে বিশ্বাস করে! রাবিশ।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, আপনি বিশ্বাস করতে না পারেন কিন্তু, দিস থিংস একচুয়ালি এক্সিস্ট। আমি নিজে সাক্ষী। আমাদের গ্রামের কাদের মিয়া কে তার শত্রুরা নাড়ি কাটা বাণ মেরেছিল; বেচারা লিঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়তে-পড়তে মরেছে! এই নাড়ি কাটা বাণ একচুয়ালি সিরিয়াস পোটেনশিয়াল থ্রেট টু হার ম্যাজেস্টি নেত্রী দ্য লিডার।
গোয়েন্দা প্রধান: বল কী! আর উ সিরিয়াস? মানে..মানে! সাংধাতিক ব্যপার! হোয়াট ইমিডিয়েট স্টেপস শুড উই টেক নাউ?
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে; দে আর রিয়েলি টাফ টু চেস এন্ড ট্রেস। এরা মুহূর্তের ভেতর এখন থেকে ওখানে যেতে পারে। এদের ঝাড়ুর মতো স্পেশাল ফ্লাইং ভেইকল আছে। ওরা ওটা ব্যবহার করে এখানে সেখানে উড়ে বেড়ায়! উড়ন্ত মিসক্রিন্টস বলতে পারেন স্যার।
গোয়েন্দা প্রধান: ও মাই গড! আচ্ছা আমাদের ইউএন এর দেয়া চপার দিয়ে চেস করে শুট ডাউন করা যাবে না? হাউ মেনি আর দে?
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, সম্ভব না। ফাইটার জেট দিয়েও ওদের শুট ডাউন সম্ভব না। দে আর নিয়ারলি ইনভিসিবল! তা বাদে এদের কাছে কুমড়ো বোম থাকে, একটা মেরে দিলে ইউএন হেলিক্যাপ্টর ক্র্যাশ করলে দেশের ভাব মূর্তি বিদেশে ক্ষুণ্ণ হবে। এন্ড স্যার দে আর বিগ অন নাম্বারস।
গোয়েন্দা প্রধান: এতো মহা মুশকিল! তাহলে আমরা এখন কী করতে পারি? ওদের মিটিং এর স্থান ট্রেস করতে পেরেছ? ওখানে রেইড করার পসিবিলিটি কেমন?
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার রেইড করার পসিবিলিটি নিয়ারলি ইম্পসিবল। ওরা পার্বত্য চট্টগ্রাম এর গহিন জঙ্গলে মিটিং এর স্থান ঠিক করেছে। ওখানে এক-দুই দিনে যাওয়া পসিবল না। এট লিস্ট ৩/৪ দিন তো লাগবেই।
গোয়েন্দা প্রধান: মহা মুশকিলে পড়লাম বাবা! তাহলে আমরা ফাইটার জেট থেকে ওদের মিটিং এর স্থানে মিসাইল মেরে উড়িয়ে দেই! কী বল?
স্পেশাল এজেন্ট: দ্যাটস অলসো নট পসিবল স্যার। আমরা যদি ফাইটার জেট ইউজ করে মিসাইল দিয়ে ওদের আক্রমণ করি তাহলে বিদেশীরা ভাববে দেশে গৃহ যুদ্ধ লেগে গেছে। আবার সীমান্তের ওপার থেকেও শত্রুরা ভাববে আমরা ওদের আক্রমণ করেছি। সিচুয়েশন ইস রিয়েলি কমপ্লিকেটেড স্যার!
গোয়েন্দা প্রধান: এত মহা সমস্যা! নেত্রী দ্য লিডার এর জীবন ঝুঁকির মধ্যে আমরা কিছুই করতে পারব না?
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার আমি বলিকি; আমরা কাউন্টার কালো জাদু বিশেষজ্ঞ, তান্ত্রিক, পীর, ফকিরদের কাজে লাগাতে পারি। দ্যাট উইল বি মোর এফেক্টিভ।
গোয়েন্দা প্রধান: আরে কী বিপদ! এখন এদের পাব কোথায়?
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার আমার পরিচিত একজন কালোজাদুকর আছে। মহা কামেল লোক! ইনি কামরুপকামাখ্যা থেকে বহু বছর এসব সাধনা করে এসেছেন। বলতে পারে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন। চিটাগং এর জঙ্গলেই তার চেম্বার। আমার গ্রামের কাদের মিয়াকে উনিই নাড়ি কাটা বাণ মেরেছিল। সাক্ষত যমদূত! বাবার রুহানি তাকতের জুড়ি নেই। আমি নিজে দেখেছি পলক মিয়াকে চিল এর ডিম, দেশি মুরগীর ডিম বলে খাইয়ে দিয়ে বদ্ধ উম্মাধ করে দিয়েছে! এখন সে এখানে সেখানে আবোলতাবোল বলে বেড়ায়! নিজেকে মাঝে মধ্যে ফেসবুক এর মালিক জাকের বার্গ দাবি করে। গ্রাম এর লোকজন ওকে বহুবার ধরে পাবনা মানসিক হাসপাতালে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পাগলটা বলে মেন্টাল হসপিটালই নাকি বন্ধ করে দেবে। যাকে তাঁকে কামড়ে দেয়! চিল এর ডিম খাওয়ার পর থেকে ওর দাঁত এ নাকি ভয়ানক বিষ হয়েছে, গ্রাম বাসি দেখেছে কিছু মানুষকে ও নিজে কামড়ে মেরেছে।
গোয়েন্দা প্রধান: আনবেলিভাবল! এমন মারাত্মক ক্ষমতা ধর লোক আছে এই দুনিয়াতে? আচ্ছা তাহলে তুমি এক কাজ কর; বাবাজিকে খবর দাও। বল দেশের স্বার্থে এই সময় তাকে খুবই প্রয়োজন।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, বাবাজির সাথে যোগাযোগ করতে পারব কিনা সিওর বলতে পারছি না। উনি আবার মোবাইল ইউজ করেন না। এসবে নাকি আধ্যাতিক চেতনা নষ্ট হয়। তারপরও আমি অ্যাস সুন অ্যাস পসিবল ওনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। মোবাইল ব্যবহার করলে তো বাবাজিকে ২মিনিটই ট্রেস করে ফেলতে পারতাম।
গোয়েন্দা প্রধান: ওকে ফোকাস অন ইওর টাস্ক, দিস থিং ইস আর্জেন্ট!
স্পেশাল এজেন্ট: ওকে স্যার। আমার প্রমোশন টা একটু দেখবেন! স্যার!
গোয়েন্দা প্রধান: আগে কাজ শেষ কর, নেত্রী দ্য লিডার সবারটাই দেখবেন। উনি বড়ই দীল দরিয়া মানুষ! তাঁর ব্যক্তিগত পিয়নকে যক্ষের। ধন দিয়েছেন। সে এখন বিদেশে বড় বিজনেসম্যান।
(২৪ ঘণ্টা পর)
গোয়েন্দা প্রধান: এনি আপডেট?
স্পেশাল এজেন্ট: সরি স্যার, বাবাজির সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি স্যার। তবে ওনার শিষ্যর সাথে কথা হয়েছে। সে বলেছে; বাবাজি নাকি বিশ্ব কালোজাদু সম্মেলন এটেন্ড করতে কহেকাফ শহরে গিয়েছেন!
গোয়েন্দা প্রধান: এটা আবার কোথায়? বিসিএসএ তো এই রাজধানীর নাম পড়িনি। আমার তো এই পৃথিবীর সব দেশের রাজধানীর নাম মুখস্ত।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, কহেকাফ শহর এই বিশ্বে নাই। এটা আকাশে, মানে; অন্য ডায়মেনশন এ। বলতে পারেন স্যার।
গোয়েন্দা প্রধান: কী বলছো সব আলতু-ফালতু কথা। সকাল সকাল দুষ্টু পানি খেয়ে এসেছো নাকি! আজকে তো কিলিং মিশন নেই। তাহলে কী খেয়েছ! বল তো! ভালো পিনিক হয়? (অত্যন্ত উদগ্রীব ভাবে) এমনিই এই কয়েকদিন ঘুম হচ্ছে না, একটু পিনিক হলে মন্দ হয়না।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, এখন তো ভাত খাওয়ারই টাইম পাচ্ছি না পিনিক করব কখন। কী যে বলেন স্যার!
গোয়েন্দা প্রধান: আচ্ছা তাহলে বাবাজির সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো? অন্য কোনো ওয়ে আছে?
স্পেশাল এজেন্ট: সরি স্যার, এই মোমেন্ট এ আর কোনো ওয়ে দেখছি না স্যার।
গোয়েন্দা প্রধান: এই দিকে আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি। অন্যদিকে কালো জাদু-মাদুর নাশকতা! আর সহ্য হচ্ছে না এই যন্ত্রনা।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, আমি বলি কী; আমরা ওই সব তান্ত্রিকদের একটা দাওয়াত দেই আমাদের ভাতের হোটেলে। ওদের বলব; রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের সম্মাননা দেয় হবে। তারা যে দাবি করবে সেটাই মেনে নেয়া হবে। তাছাড়া, ওই তান্ত্রিক,পীর, ফকির, কালোজাদু-মাদু যারা করে। এরা একটু সম্মানের কাঙ্গাল, যদি বড় করে একটা আয়োজন করে ওদের ডাকা হয় এবং ওদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়, আমার মনে হয় ওরা নিশ্চয়ই আসবে। আসলেই কেল্লাফথে! সব কয়টাকে খাবারের সাথে স্কোপোলেমিন দিয়ে রাষ্ট্র দ্রোহিতার বিবৃতি দিয়ে দিব। ঘাড় ধরে জেলে ঢুকাবো!
গোয়েন্দা প্রধান: আইডিয়াটা খারাপ বলনি। কিন্তু, ওরা যদি জেল থেকে ফুরুত করে উড়ে পালায়? যদি কুমড়ো বোম মেরে এখানে আগুন লাগায় দেয়, দ্যাট উড বি এ ডেজাস্টের!
স্পেশাল এজেন্ট: আমরা ওদের সেই সুযোগই দেবো না স্যার। ওরা আসলেই ওয়ার্ম টাওয়েল দিয়ে আপ্যায়ন করব। ওটাতেই স্কোপোলেমিন দেয়া থাকবে স্যার! মুখে লাগলেই যা বলব রোবটের মতো তাই শুনবে।
গোয়েন্দা প্রধান: অনেক রিস্কি মিশন! কিন্তু আই থিঙ্ক উই শুড টেক দ্য রিস্ক, ফর দ্য সেক অফ আওয়ার নেত্রী দ্য লিডার।
স্পেশাল এজেন্ট: জি স্যার! উই শুড প্রসিড ফ্রওয়ার্ড।
গোয়েন্দা প্রধান: আচ্ছা তুমি ওদের আনার ব্যবস্থা করো। আমি এদিকে ভালো-মন্ধ খাবারের ব্যবস্থা করি। গতবারের চাউমিন, পাস্তা বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। এবার ভালো খানাপিনা সহকারে একটা ছবি তুলে না ছাড়লে মনে হয় প্রমোশনটাই মিস হয়ে যাবে!
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার, আমার প্রমোশনটা একটু দেখবেন স্যার! প্লিজ! স্যার!
গোয়েন্দা প্রধান: ওকে ওকে যাও যাও! ডু ইওর টাস্ক! উই উইল টক এবাউট ইট লেটার।
স্পেশাল এজেন্ট: স্যার! ইয়েস স্যার! (তিন আঙুল দিয়ে স্যালুট)।
[চলবে..]
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
মিথমেকার বলেছেন: তারা আধ্যাতিক মানুষ, আধ্যাতিক জগতেই তাদের কাছে নাম্বার ওয়ান প্রায়োরিটি। তাছাড়া দে ডন্ট ওয়ান্ট এনি ট্যাগস অন দেম মেবি। লাইক; রাজাকার, অগ্নি-সন্ত্রাসী, উড়ন্ত-মিসক্রিয়েন্ট জঙ্গি গোষ্ঠী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ইত্যাদি, ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এইসব তান্ত্রিক গুরুরা কেন সরকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না?