![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কষ্টের। এত কাছের মানুষকে কোনদিন ছেড়ে যেতে দেখিনি। তাই হয়তো এত কষ্টও কোনদিন পেতে হয়নি। দিনের হিসেব রাখতে কখনোই ইচ্ছে হয়না। আজ কেউ একজন মনে করিয়ে দিলো,তাই। দেখতে দেখতে দুই বছর কেটে গেল!!!! যার অস্তিত্ব আমি প্রত্যেক মুহূর্তে অনুভব করি। তাকে আমি ভুলি কিভাবে!!! হাজার আনন্দের মাঝেও যার কথা হুট করেই মনে পড়ে যায়। আমাকে উদাস করে একপাশে সরিয়ে নেয়। তাকে আমি শুধুমাত্র একটা দিনের জন্য স্মরণ করি কিভাবে!!
আমি জানি। আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসতে। না হলে সব থেকে বেশি কষ্ট পাবো কেন!!!
...দাদা সরকারী চাকরী করতেন। আমার জন্মের অনেক আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। দাদী প্রত্যেক মাসে পেনশনের টাকা পেতেন। ছোটবেলায় আমাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতেন। আমিও দাদীর সাথে ব্যাঙ্কে যেতে মজা পেতাম। দাঁড়িয়ে থেকে টাকা গোনা দেখতাম। নতুন টাকা টেবিলের উপর উঁচু করে সাজানো থাকতো। টাকার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর স্বপ্ন দেখতাম। ইস! সবগুলো টাকা যদি আমার হত!! প্রথমেই একটা এরোপ্লেন কিনতাম!!
যাহোক,যখন একটু বড় হলাম আর টাকা-পয়সার প্রয়োজন পড়তো তখন দাদীর পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতাম। যেদিন পেনশনের টাকা পেতেন সেদিনই দাদীর কাছে ধর্না দিতাম। টাকা সরাসরি না চেয়ে বিভিন্ন বানোয়াট গল্পের মাধ্যমে চাইতাম । যেমনঃ বলতাম, ‘গতকাল রাতে দাদা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি আমাকে চকোলেট,ক্রিকেট ব্যাট কিনে দিচ্ছে। ইস!!! দাদা বেঁচে থাকলে কি মজাই না হত!!! দাদা অনেক ভালো একজন মানুষ ছিল,তাই না দাদী।’ আমার বানোয়াট গল্পের কারণ দাদী ভালো করেই জানতেন। কিছু বলতেন না,শুধু একটু হেসে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিতেন।
দীর্ঘ দুই বছর আমি আর দাদার স্বপ্ন দেখিনা। বানোয়াট গল্পও বলতে হয়না দাদীকে। হয়তো আমার বলা গল্পগুলো তার আর ভালো লাগছিলো না। হয়তো দাদার কথা খুব বেশি মনে পড়তো।
যেখানেই থেকো,ভালো থেকো।
©somewhere in net ltd.