![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
...বিশেষ বিশেষ সময় গার্লফ্রেন্ডের অভাব অনুভূত হয় । বন্ধু প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই গার্লফ্রেন্ডের থেকে অনুদান হিসেবে ব্যাগ ভর্তি খাবার-দাবার পাই। প্রত্যেকবারের মতই আজ যখন গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে ব্যাগ ভর্তি খাবার-দাবার নিয়ে রুমে ফিরলো। আমি ভুখা-নাঙ্গা বুভুক্ষের ন্যায় চেয়ে রইলাম ক্ষুধা নিবারক ঐ ব্যাগের পানে। রুমে যখন নিয়ে আইছে একা খাইবে ক্যামনে!!!! এক সময় ডাক পাইলাম। আহ,খাওয়ার পর দিলডায় যে কি শান্তি লাইগলো।
এই ব্যাগ ভর্তি খাবার-দাবার দেখে এক বন্ধুর কমেন্ট,এইরকম গার্লফ্রেন্ড দুই-চারটা থাকলেই তো আর লাগে না। মানে ডাইনিংএ কুপনই কাটা লাগেনা। কিয়ের সাইদুল ভাইয়ের কাছে প্লেট নিয়ে ভাজি চাওয়া। অনুসন্ধানী দৃষ্টিজাল নিক্ষেপ ঐ তরকারির বাটির দিকে,এক টুকরা মাংসের খোঁজে!!
...তো খাবারের কথাই যখন উঠলো তখন আরেকটা গল্প মনে পড়ে গেল। এক বন্ধু মুখ ফসকে কোন একদিন খায়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করছিলো। বন্ধু ফাজলামি করছে তাতে কি!!! আমরা কিন্তু ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিছিলাম। কাইলকে ফোন দিয়ে বন্ধুরে মনে করায় দিলাম,কিরে তোর না খাওয়ানোর কথা আইজকে!! ফোন রিসিভ কইরাই বন্ধু আম্রার শক খাইছে বুইঝতে পারলাম। বন্ধু কয়, ‘হ কইয়া ফেলছিলাম তো। কি আর করা!!!চইলা আয়!!’
...অনেক রাত। আমার পেটের ভিত্রে চোঁচোঁ শব্দ শুরু হইয়া গেছে। নিচে নামলাম খাইতে। নিচে নামতেই কমনরুমের সামনে দুই বিটলার সাথে দেখা হইলো। এক বিটলা আরেক বিটলারে কয়, ‘দোস্ত আইজ পকেটে টাকা নাই। খুব খিধা লাগছে। কিছু খাওয়া প্লিজ।’ কথা শুনে আরেক বিটলা তেমন কিছু কইলো না। কয়,চল ডাইনিং এ যাই। আমার উদ্দেশ্যও যেহেতু উদরপুর্তি তাই আমিও তাদের সাথে হাঁটা শুরু করলাম। ডাইনিং এ বসে দুই বিটলা পেট ভইরা খাইলো। ক্ষুধার্ত বিটলায় মনে হয় একটু বেশি কইরাই খাইলো। খাওয়া শেষ হইলে,সেই ডাইনিং এ নিয়ে আসা বিটলায় কয়, দোস্ত আম্রার কাছেও তো টেকা-পয়সা নাই। কি আর করা!! বাড়ি থেকে কবে টেকা পয়সা আসে তারও ঠিক নাই। তুই কাইল বিল দিয়া দিস!!!
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়............।
হলের বন্ধুদের সাথে অনেক অনেক স্মৃতি আছে। তবে এই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে স্মৃতি মনে হয় একটু বেশই। হয়তো একসময় অনেক অনেক খাবার থাকবে সামনে। কিন্তু পাশে কোন বন্ধু থাকবে না। এইসকল বিটলা বন্ধুরা থাকবেনা। কোন সময়টা ভালো!!!!
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১২
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: তাহলে আমার ক্ষেত্রে তো ব্যাপারটা আরও কষ্টের। আমি ঐ ঘটনার মধ্যে থাকা অবস্থায় ঘটনাটিকে মিস করতে থাকি "এমন সময় কি আর পাবো কখনো"
তবে আপনার এবং আপনার বান্ধবীর ক্রিম এর গল্প শুনে অনেক মজা পায়ছি। এরকম অনেক অনেক স্মৃতি আছে বন্ধুদের সাথে।
আপনি নিশ্চয় ভার্সিটিতে পড়েন....তাইনা।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: হ্যা ভার্সিটিতে
তবে এই একটি বছর-ই পাবো।
আপনার মতই আমার (ইনফ্যাক্ট আমাদের সব বান্ধবীর) অবস্থা। ঘটনার মধ্যে থেকে-ই মিস করি। আমরা খুব মজা করি, তার মাঝেই আবার একটু মন খারাপ করে বলি "বান্ধবী এই তো শেষ, সামনের বছর আর পাবোনা" । পরক্ষনেই আবার শেষ বছর বলে দ্বিগুন উদ্দ্যমে হৈ হৈ শুরু করি।
এবং এও বলে দুঃখ করি যে যা মজা করার এখনই করছি বিয়ের পরে দেখা যাবে সবার বর ই পড়বে বেরসিক !
আমরা এখন প্রতিটা অকেশনে হৈ হৈ করি "এটাই জীবনের শেষ বলে"
আপনারও ত মনে হয় শেষ না হলেও এ বছর-ই শেষ হবে অনার্স তাই না?
শুভ কামনা
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: দু'জনের দেখছি একই রোগ। যাহোক আশা করি আপনার বরটা অনেক রসিক হবেন । আর বিয়ের দাওয়াত যেন মিস না হয়। আমি কিন্তু দাওয়াতের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস
আমার আর দেড় বছর লাগবে বিএসসি শেষ করতে। জানিনা জীবনটা কেমন হবে তারপর। মনে হয় জীবনের সব থেকে সুন্দর সময়টা পাড় করছি।
আচ্ছা আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ছেন???
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
নীল-দর্পণ বলেছেন: হোম ইকোনোমিকস কলেজে পড়ছি "শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক" তে
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: আমাদের দেশের মেয়েদের জন্য একদম পারফেক্ট সাবজেক্ট!!!
ইঞ্জিয়ারিং পড়ে ঘরের কাজ করা থেকে কিন্তু ঘরের কাজটা পড়ালেখার মধ্যে শিখলে তা ভবিষ্যতে বেশি কাজে দিতে পারে।
আর বিয়ের দাওয়াতের ব্যাপারে বলি। বিয়ের দিন তারিখ আপনি না বললেও আমি কিন্তু মাঝে মাঝে ঠিকই খোঁজ নিবো
কোন মতেই মিস দেয়া চলবে না।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
নীল-দর্পণ বলেছেন: বিয়ের দাওয়াত....ইনশাআল্লাহ সময় মত
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: হয়তো একসময় অনেক অনেক খাবার থাকবে সামনে। কিন্তু পাশে কোন বন্ধু থাকবে না। এইসকল বিটলা বন্ধুরা থাকবেনা। কোন সময়টা ভালো!!!! এইটুকু পরে মনটা কেমন যেনো খারাপ হয়ে গেলো।
আমাদের যেমন এক আইটেম খেয়ে মন ভরেনা। ক্যান্টিনে একটা আইটেম প্লেটে খেয়ে আটেকটা আইটেম প্যাকেটে নিয়ে খেতে খেতে ক্লাসে ফিরি।
এক বান্ধবী ক্রীম ওয়ালা রুটি নিয়ে সবাই ওকে খোচা দিয়ে বলি, "তোর রুটিতে ক্রীম কম"
পাগলীটা আবার মামাকে প্লেট নিয়ে গিয়ে বলে, "আমারটায় নাকি ক্রীম কম"
পরের কথায় কান দিতে নেই বলে মামা ওকে আশ্বস্ত করে।
গত সপ্তাহে ঘটা এসব মনে পড়ে গেল আপনার পোষ্ট পড়ে। একসময় হয়ত খুব মিস করবো এসব