![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরুতেই বলি আমাদের কথা। পেশায় আমি বেসরকারি চাকুরিজীবী। আর আমার প্রিয়তমেষু সরকারি ব্যাংকার। পেশাগত কারণে আমরা একজন প্রাচ্যের ড্যান্ডিতে আর আরেকজন চায়ের দেশে। বসন্তের দিন চলে যাবে আর আমাদের দেখা হবে না তা কি হয়? তাই তো ১৪ ফেব্রুয়ারি অফিস শেষে টুপ করে বাসে উঠে পড়ি আমি। গন্তব্য সিলেট।
তারপর...
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (শুক্রবার)
সকালে উঠে আমরা মোটামুটি ইয়াম্ম খিচুড়ির সাথে ডিমভাজা দিয়ে নাশতা করেছি। তারপর ঝটপট রেডি হয়ে সারি নদীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। ওমা!! গিয়ে তো আমার চক্ষুচড়ক!!! নীল পানি যে!! কল্পনায়ও তো ভাবিনি এমন! শসা, তরমুজ আর চিপস ছিল আমাদের দুপুরের আহার। অসাধারণ নীল পানি কেটে কেটে ভটভটি ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে তো টুকুস টুকুস করে ছবি তুলেছি। জলকেলিও করেছি। সারি নদী যে এতোটাই মুগ্ধ করবে আমাকে ভাবিনি আগে। জিরো পয়েন্টে পৌঁছে দুপুরের আহারে যুক্ত হল পাকা মিষ্টি কামরাঙা, আধা পাকা কলা (কাঁচাও বলা চলে আর কি) আর আটার কটকটি। সারি নদীর পাড়ে কতক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, বালুতে পা ডুবিয়ে তারপর আবার রওনা হলাম। লালাখালের নীল পানিতে সাথে নরম সূর্যের আলোতে মুগ্ধ হতে হতে চললাম আমরা। রাতে কোথায় খাবো সেটা নিয়ে প্রতিবারের মত আবারো আমরা দ্বিধান্বিত হই। পরে টুপ করে নেমে পড়ি বাস থেকে। নেমে কয়েকটা শোরুমে ঢুকে এমনি এমনি জামা কাপড় দেখলাম। তারপর গেলাম ক্ষুধার ঘাঁটিতে (hungry station)। সেখানে গিয়ে সে অর্ডার করল কোরাল বারবিকিউ। পূর্বে খেয়ে সে মুগ্ধ তাই। আমিও খেয়ে সন্তুষ্ট। যদিও আমাদের যাওয়ার কথা ছিল উনদালে খেতে। যাওয়ার কথাই যেহেতু ছিল তাই আমি বললাম যাবোই। তারপর সত্যি সত্যি উনদালে গিয়েছি আবার খেতে। সেখানে গিয়ে ভাত, গরুর কালোভুনা আর মাটন রগনজোস খেয়েছি। তারপর হাঁটিহাঁটি করে বাসায় গেলাম। যাওয়ার পথে প্রয়াত সালমান শাহের বাসায় উঁকি দিয়ে একটা ছবিও তুলেছি। বাসায় ফিরে চোখ টমের মতো টেনে ধরে রেখে বারান্দায় বসে গপ্পো করেছি। তারপর আর কি!! ঘুম দেবির ডাকে সাড়া দিতে গেলাম। পরদিন ভোরে তো কর্মদানবের ডাকে সাড়া দিতে যেতে হবে সুদূর প্রাচ্যের ড্যান্ডিতে!!
২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
নাদিয়া জান্নাত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনার ভ্রমণকাহিনীটি 'অতি ছোট্ট' হলেও, পড়ে তো বেশ ভালই লাগলো।
'সারি' নদীতীরে গিয়েছি বহুবার, শেষবারে ২০০০ সালে। বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে নদীটিকে ঘিরে।
আশাকরি, এর পরে আরেকটা কোন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আরেকটু দীর্ঘ করে লিখবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
নাদিয়া জান্নাত বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ। অবশ্যই লিখব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার 'অতি ছোট্ট ভ্রমণকাহিনী' ভালো হয়েছে।
প্রার্থনা থাকলো, অনাবিল সুখের হোক আপনাদের আগামীর জীবন।